মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে ফের বিস্ফোরণ (Blast)। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার কাশিয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা। এখানেও নাম জড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই তৃণমূল সদস্যের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ছাদে বোমা রাখা ছিল এবং রোদে শুকানোর সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মজুত বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে এবং নাতি এতে গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। যদিও বাড়ির লোক জখম হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। জখম দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
ঘটনার পর পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। বোমা বিস্ফোরণ (Blast) যে ঘটেছে, তা অনেকেই জানলেও ক্যামেরার সামনে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। কারণ, যার বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে সেই লেলি বিবি স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নেই। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বোমা মজুত করছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এদিনের এই ঘটনায় সেই অভিযোগ আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, যে বিধানসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি রাজ্যের মন্ত্রীর এলাকা। এবার পঞ্চায়েত ভোট সুস্থভাবে হলে তৃণমূল কোথাও জিততে পারবে না। তাই শাসক দলের নেতারা এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই এসব করা হচ্ছে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তৃণমূলের জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে না দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর এই ধরনের ঘটনার পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours