Poppy Cultivation: ধান, আলু ছেড়ে জমিতে এ কী চাষ করছেন গোঘাটের চাষিরা?

posto_chas

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল সরকারের আমলে ধান বা আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পান না চাষিরা। এমনই অভিযোগ চাষিদের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা বলা হলেও আদতে ফড়েরা লাভের গুড় খেয়ে নেয়। তাই, বেশি লাভের আশায় হুগলির গোঘাটের মান্দারণ, কাঁটালি এলাকায় প্রথাগত চাষ ছেড়ে বিঘার পর বিঘা জমি জুড়়ে রমরমিয়ে চলছে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation)। পোস্ত চাষ করা বেআইনি। কারণ, এই পোস্ত থেকে আফিম তৈরি হয়। মাদক বিরোধী প্রচার চলছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কারবার চললেও পুলিশ প্রশাসন উদাসীন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে এলাকার একজন বা দুজন এই চাষ করতেন। আর এই চাষ করে চাষি পরিবার রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠতেই গ্রামের অন্য চাষিরা এখন পোস্ত চাষে মেতেছেন।

এক বিঘা জমিতে পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করলে কত আফিম তৈরি হয় জানেন কী?

বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) করে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে।  চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। পোস্তর আঠা বের করে নেওয়ার পর যে ফলটি পড়ে থাকে, তার ভেতর থেকে তৈরি হয় খাবারের পোস্ত।

পোস্ত চাষ (Poppy Cultivation) আদতে বেআইনি। জরিমানা থেকে শুরু করে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কড়া আইন থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই বিঘার পর বিঘা জমিতে চলছে পোস্ত চাষ। প্রশাসনের তরফে পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে প্রচার এবং আবগারি দফতর মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও কোনও সুরাহা হয়নি। জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই রমরমিয়ে এই চাষ হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু হুগলির গোঘাট বলে নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম জেলায় এই  চাষের রমরমা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষেরও।

যদিও এই বিষয়ে গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের খবর আমাকে কেউ দেয়নি। সংবাদ মাধ্যমের কাছেই শুনলাম। যদি কেউ এরকম করে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব।” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, প্রশাসনের প্রশয়ে এই ধরনের বেআইনি চাষের রমরমা। প্রশাসন খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে, আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share