মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি মমতা সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ পরামর্শও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূল অভিযুক্ত ও তাঁর শাগরেদদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলেছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও কথাও বিবেচনা করে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সন্দেশখালিকাণ্ডে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের রিপোর্টে কী রয়েছে?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা সহ অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ঘটনাও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে মহিলারা তাঁর হাতে রাখি পরান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কথা দিচ্ছি, যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমি ব্যবস্থা নেব।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি বোসের কনভয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। ঘটনার নেপথ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
রাজ্যপাল ফের যেতে পারেন সন্দেশখালি?
বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল। অসুস্থ সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে যান হাসপাতালেও। বিজেপি নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। সুকান্তের কেবিনে থাকা দলের সতীর্থদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির বিষয়ে রাজ্যপাল উদ্বিগ্ন। ফের তিনি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যপালের কথাতেই ঝরে পড়ে উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘‘আমি এমন কিছু শুনলাম, যা আগে কখনও শুনিনি। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। চোখের জল বাধ মানে না। রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এমন হতে পারে ভাবতেও পারছি না। সংবিধানে আওতায় আমার যেটুকু ক্ষমতা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours