মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাসন্তীতে (South 24 Parganas) গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ রাজ্যপাল যান বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে। সেখানে গত কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের যুব, মাদার এবং নির্দলের মধ্যে অশান্তি লেগেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। সেই সমস্ত সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে বাসন্তীর নিহত যুব তৃণমূল কর্মী জহিরুল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে আবার তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর দাবি, প্রশাসন চক্রান্ত করে বাড়িতে আসতে দেয়নি রাজ্যপালকে। শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছেন তৃণমূল প্রার্থী।
কেন গেলেন রাজ্যপাল (South 24 Parganas)?
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তাল। এই পর্যন্ত গত ২৩ দিনে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু যে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ ঘটছে তাই নয়, এলাকা বিশেষে পুরাতন এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের কথাও উঠে এসেছে। শুধু সংঘর্ষই নয়, মারামারি, প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে তৃণমূলের যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। গতকাল কোচবিহারের দিনহাটায় নির্দল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যপাল। ফেরার সময় ট্রেন থেকে রাতে খবর নেন আরও আক্রান্তদের।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বসন্তীতে তৃণমূলের যুব এবং মাদার সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্পষ্ট হয়। বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। মৃত জহিরুল মোল্লার বড় মেয়ে রাজ্য পুলিশের প্রতি আস্থা নেই বলে জানিয়ে দেন। এমনকি সিবিআই এবং রাজ্যপালের উপর ভরসা আছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ সোমবার তাই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই পরিদর্শনে যান বাসন্তীতে (South 24 Parganas)। নির্বাচন সময় পর্বে রাজ্য জুড়ে ঘটা অশান্তির এলাকা পরিদর্শন করে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভয়মুক্ত পরিবেশ গঠনের কথাই বারবার বলেন তিনি।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য
কাঁঠালবেড়িয়া (South 24 Parganas) অঞ্চলের তৃণমূলের যুব সভাপতি সনৎ দত্তের মা বীণা দত্ত বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজা গাজি নির্দলের হয়ে মাদার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বীণা দেবী বলেন, আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিনপাত করছি। আমরা যুব তৃণমূল করি। কিন্তু মাদার তৃণমূলের সঙ্গে নির্দলরা যুক্ত হয়ে রোজ ভয় দেখাচ্ছে। বাড়িতে বেশ কয়েকবার বোমাও মারা হয়। ইতিমধ্যেই আমার স্বামী বোমার আতঙ্কে তিনবার স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল এসেছেন, আমাদের কথা তাঁকে বলেছি। রাজ্যপাল সব রকম সাহয্যের আশ্বাস দিয়েছেন। উনি একটি নম্বরও দিয়ে গেছেন। যদি আরও কোনও রকম অসুবিধা হয়, তাহলে সেই কথাও জানাতে বলেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours