মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) কাছে হেনস্থা শিকার হয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেন যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। ইতিমধ্যে পঙ্কজবাবু তাঁর এই ইচ্ছার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রায়শই তাঁর ওপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি,হেনস্থা ও কলেজে বহিরাগতদের তান্ডবের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজবাবু। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় কমবেশি তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছেন। যখনই যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের নাম উঠে আসে। তাই পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ যে স্বাভাবিক এ কথা মেনে নিচ্ছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য
কী বলছেন পঙ্কজ রায়?
যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ এদিন বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা (TMCP) যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।’’ প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত পঙ্কজবাবু কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কলেজে বহিরাগত তান্ডব
এর পাশাপাশি বহিরাগত তাণ্ডবের (TMCP) তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে বহিরাগতরা এসে হুজ্জতি করছে। যে ভাষায় প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তারা কথা বলছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন পঙ্কজ বাবু। এতে যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আর কোনওভাবেই এই মানসিক চাপ তিনি নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply