Himachal Pradesh: খালি নেই হোটেল, গাড়িতেই আটকে ২০০ পর্যটক! ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল

Untitled_design(62)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা। সোমবারই ধসের কারণে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ভারী বর্ষণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। মঙ্গলের সকাল থেকেই দেখা বৃষ্টিপাতের কারণে  প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে (Highway) সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক গাড়ি। এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। জানা গিয়েছে, কোনও হোটেলে একটিও রুম ফাঁকা নেই। রবিবার দুপুর থেকে সোমবার বিকেল হয়ে গেলেও মাঝরাস্তায় গাড়ির মধ্যেই আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ২০০ পর্যটক (Tourists)। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে গাড়ির মধ্যে আটকে থাকা অবস্থাতেই রবিবার মৃত্যু হয় অনিল বিস্ত নামের একজনের। তাঁর গাড়ির ওপর ধসের জেরে ভারী পাথর এসে পড়ে। এরফলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। 

কী বলছে প্রশাসন?

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী বর্ষণের জেরে রবিবার সন্ধ্যায় মান্ডির কাছে বড়সড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে কিরাতপুর থেকে মানালি চার লেনের হাইওয়েতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। চার থেকে পাঁচ হাজারের মতো যানবাহন মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে খবর। বিস্ফোরক দিয়ে পাথর ফাটিয়ে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গিয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগামী ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাইওয়ে থেকে বোল্ডার সরিয়ে যান চলাচল শুরু করা যাবে বলেও আশ্বাসও দিয়েছে প্রশাসন। হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ভারী বৃষ্টি ও ধসের ফলে রাজ্যের প্রায় ৮৩টি রাস্তা ও দু’টি জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

প্রশাসনের ফেসবুক পেজ ফলো করার আবেদন 

পর্যটকরা বাইরে যাওয়ার আগে যেন জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজের প্রতি ঘণ্টার আপডেটগুলি অনুসরণ করেন, এমনই আবেদন কুলু পুলিশের। আবহবিদরা জানিয়েছেন, গত ২৪ জুন হিমাচলে প্রদেশে (Himachal Pradesh) প্রবেশ করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এরপরেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টিতে একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ভারী বৃষ্টির জেরে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে প্লাবন পরিস্থিতি। হড়পাবানের সতর্কতাও জারি করেছে প্রশাসন। আবহবিদরা বলছেন, আগামী বেশ কয়েক দিন ধরেই চলবে ভারী বৃষ্টি। সারা রাজ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। 

উত্তরাখণ্ডেও একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে

ভারী বৃষ্টির কারণে রবিবারই রুদ্রপ্রয়াগের জেলা শাসক কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে গিয়ে পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। জেলায় জেলায় ত্রাণ শিবির খোলার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। চারধাম যাত্রার তীর্থ যাত্রীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় উত্তরাখণ্ড সরকার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share