মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) একদিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিল স্পেশাল পিএমএলএ আদালত। বুধবারই টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে তোলা হয় আদালতে। সেখানেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি
যদিও হেমন্তকে দশ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজীব রঞ্জন। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে (হেমন্ত) বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে এটা একটা ষড়যন্ত্র। পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। যখন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখনই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটা অবৈধ।”
বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল
প্রসঙ্গত, টানা (Hemant Soren) সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। তার আগে দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেমন্ত। গ্রেফতারির আঁচ পেয়েই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। হেমন্তকে পাঠানো হয়েছে বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেলে। আদালত থেকে যখন তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন হেমন্ত সোরেন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁর অনুগামীরা। হেমন্ত ছিলেন মহাগটবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গ্রেফতার হতেই হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হায়দরাবাদে। এদিন রাতেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদে। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুুন: “ভবিষ্যৎ ভারতের বাজেট”, প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে গঠিত হয়েছিল মহাগটবন্ধন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে কংগ্রেস, আরজেডি এবং এনসিপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক। বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করতেই এসব করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, যা হয়েছে, তা আইন মেনেই (Hemant Soren)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours