Panchayat Vote: কীভাবে ব্যবহার হবে বাহিনী? কমিশনকে চিঠি অমিত শাহের মন্ত্রকের

রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা হারানো মানুষ রবিবার মালদার সাহাপুরে শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানালেন
Untitled_design(61)
Untitled_design(61)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা থেকেই লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যের মানুষ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট ঘোষণার ১৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা হারানো মানুষ রবিবার মালদার সাহাপুরে শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানালেন। এমন পরিস্থিতিতে ২২ কোম্পানির পর ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। অন্যদিকে বাহিনীর ব্যবহার কীভাবে হবে, তা জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি

মোট ৮২২ কোম্পানির মধ্যে এখনও বাকি ৪৮৫ কোম্পানি। এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। শুক্র, শনি, এবং রবিবারে বিএসএফ-এর আইজি এবং সিআইএসএফ-এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা উত্তর চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে। পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, পরপর তিন দিন বিএসএফ-এর সঙ্গে বৈঠকের পরও কমিশন এখনও জানাতে পারেনি মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কেমন ভাবে ব্যবহার করা হবে।

শুভেন্দুর করা মামলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী          

প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও অপারগতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয়, প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও জেলায় মোতায়েন করা বাহিনীর সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় কম না হয়। এমনকী যদি এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, তার চরম ফল কমিশনকে ভুগতে হবে বলেও জানায় আদালত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles