Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

বাঙালির কেনা চাঁদের জমিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩
Jhargram_(1)
Jhargram_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) যুবক সুমন্ত মুর্মু। ঘটনা ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের। মাত্র ৩ হাজার ২৪০ টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে তিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। এজন্য তিনি পেয়েছিলেন শংসাপত্রও। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৩। তাহলে কি সুমন্তর জমিতে নামবে চন্দ্রযান ৩! শুরু হয়েছে জল্পনা। সুমন্ত রয়েছেন সেই আশায়। সুমন্ত বলছেন, আজ ভারেতর একটি ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান ৩ সফল হলে ভারতের মুখ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উত্তর-পূর্ব অংশে তাঁর জমি রয়েছে বলে জানান সুমন্ত। যদি সেখানে চন্দ্রযান নামে, তাহলে তো আনন্দ বলে প্রকাশ করা যাবে না।

চাঁদে জমি কিনে উপহার (Jhargram)

২০২১ সালে ২ জুলাই সুমন্তের (Jhargram) প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তার আগের দিন, স্ত্রী মার্থাকে চাঁদে কেনা জমির দলিল উপহার দিয়েছেন সুমন্ত। আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। মার্থা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের জীবদ্দশায় চাঁদে থাকার সুযোগ হবে না। তবে এই দলিলের ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যৎ কোনও এক প্রজন্ম হয়তো চাঁদে থাকবে, এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। সুমন্তের এমন উপহার কোটি টাকার চেয়েও দামি।” বিদ্যুৎ দফতরের ঝাড়গ্রাম সাব স্টেশনের কর্মী সুমন্ত, একটি মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে চাঁদে জমি কিনেছেন ৪৫ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ৩২৪০ টাকা)। ডাকযোগে জমির দলিলও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

চাঁদের জমি বিক্রি হচ্ছে কীভাবে খোঁজ পেলেন?

২০২০ সালে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা মার্থা টুডুকে বিয়ে করেছেন সুমন্ত। সেই বিয়ের বর্ষপূর্তিতে স্ত্রীকে ব্যতিক্রমী উপহার দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সুমন্ত (Jhargram) জানান, ছোটবেলা থেকেই চাঁদের প্রতি আগ্রহ ছিল। হঠাৎই ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে চাঁদে জমি কেনা যায় বলে জানতে পারি। ক্রেতাদের তালিকায় রোনাল্ড রেগন, জর্জ বুশের মত অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাও রয়েছে। তাঁদের নাম দেখেই যোগাযোগ করেন সুমন্ত। অ্যামেরিকার ওই সংস্থাটি প্রকৃতই চাঁদের জমির মালিকানা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ক্রেতাকে ৬১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক মানের কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষও চাঁদে জমি কিনেছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে জমি কেনেন সুমন্ত।

কোন সংস্থা থেকে কিনলেন চাঁদের জমি

সুমন্ত (Jhargram) জানান, ডেনিস হোপের মালিকানাধীন আমেরিকার ‘লুনার এমব্যাসিনামের সংস্থাটি চাঁদের জমি বিক্রি করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা একটি প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের কোনও দেশ বা কোনও দেশের সরকার সৌরজগতের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি স্বত্ব দাবি করতে পারবে না। আটের দশকের একেবারে গোড়ার চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করে রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি লেখেন হোপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ। তৈরি করেন ‘গ্যালাকটিক ইনডিপেন্ডেন্ট গভর্নমেন্ট। হোপ নিজে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে হোপের গ্যালাকটিক গভর্নমেন্ট আমেরিকার সরকারের মান্যতাও পায়। খোদ হিলারি ক্লিন্টন সই করেছিলেন গ্যালাটিক ইনডিপেন্ডেন্ট সরকারের স্বীকৃতিপত্রে। অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূলে নেভাদায় লুনার এমব্যাসির মূল কার্যালয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles