মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে রবিবার ১৩ জন পণবন্দি ইজরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস (Israel-Hamas War)। অন্যদিকে, ৩৯ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। তবে রেডক্রস যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ১৭ জন ইজরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস জঙ্গিরা। দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন দেশই লাগাতার পণবন্দি মুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
সাময়িক যুদ্ধবিরতি
পণবন্দিদের মুক্তির (Israel-Hamas War) বিষয়ে মিশর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাস এবং ইজরায়েল রবিবার যাঁদের মুক্তি দিয়েছে, সেই তালিকা তারা হাতে পেয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত চার দিন ধরেই চলছে পণবন্দি বিনিময়প্রথা। রবিবার তৃতীয় দফায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। দুই দেশের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে যে কোনও রকম বাধা ছাড়াই এই পণবন্দি মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, গাজায় ত্রাণ পাঠিয়েছে মিশর। জানা যাচ্ছে, একশো কুড়িটি ট্রাকে করে এই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে দুটি জ্বালানি ট্রাক এবং দুটি রান্নার গ্যাসের ট্রাক রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল হামাস-ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) মধ্যে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে সেই সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। হামাস এবং ইজরায়েল দু'তরফই যুদ্ধ বিরোধীতে সম্মত হয়েছে।
গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রথম দফায় মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রথম দফায় মুক্তির (Israel-Hamas War) প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় ২৪ জন ইজরায়েলের বাসিন্দাকে মুক্ত করে হামাস জঙ্গিরা। এঁরা প্রত্যেকেই গাজায় আটক ছিলেন। এই ২৪ জনের মধ্যে ১০ জন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকি ১ জন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা এবং ১৩ জন শিশু ও মহিলা ইজরায়েলের বাসিন্দা। এরপরেই ইজরায়েল ও হামাস পণবন্দি নাগরিকদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে। গত শনিবারই দ্বিতীয় দফায় ১৭ জন পণবন্দিকে মুক্ত করে হামাস জঙ্গিরা। এই ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক রয়েছেন এবং বাকি ৪ জন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে, শনিবারই ইজরায়েল মুক্তি দেয় ৩৯ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন মহিলা এবং বাকি ৩৩ জন কিশোর বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours