মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত (India China Border) জটিলতার সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টায় ফের একবার আলোচনার টেবিলে বসল ভারত ও চিন। বুধবার নয়াদিল্লিতে বসেছিল ভারত-চিন কূটনীতি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন’-এর (WMCC) ২৭তম আলোচনায় অংশ নেন দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা।
বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের বৈঠক
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আলোচনা হয়েছে খোলামেলা ও ইতিবাচক পরিবেশে। ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। অন্যদিকে, চিনের তরফে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক দফতরের ডিজি। বৈঠকে পূর্ব লাদাখে (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর যে সংঘাতের জায়গাগুলি চিহ্নিত হয়ে রয়েছে, সেখানে অস্ত্র নিবারনের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের জন্য একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বুধবারের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে শান্তি স্থাপনের ইস্যুটি। বৈঠকে বলা হয়েছে, একমাত্র সীমান্ত শান্তি ও স্থিতাবস্থার মাধ্যমেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হওয়া সম্ভব। জানা গিয়েছে, সীমান্ত সমস্যার (India China Border) সমাধানে দ্রুত সামরিক কমান্ডার পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকে বসার জন্য উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এর আগের বৈঠকটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল বেজিংয়ে।
আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির
সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য দুপক্ষই আলোচনার টেবিলে একাধিকবার বসেছে। যদিও, সমাধান সূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে। কারণ একটাই, চিনের দ্বিচারিতা। বেজিং মুখে একরকম কথা বলে, কাজ করে উল্টো। গত তিন বছর ধরে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি জায়গায় (India China Border) ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিককালে, একাধিকবার ভারতের ভূমিতে আগ্রাসনের চেষ্টা করেছে চিনা পিএলএ। প্রতিবার ভারতীয় জওয়ানরা তা প্রতিহত করেছেন। গালওয়ানে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুদেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।
দু-মুখো নীতি বেজিংয়ের
চিনের দু-মুখো নীতি সম্পর্কে ভারত যথেষ্ট অবগত। এখনও একদিকে উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় বসলেও, সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলোতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করে চলেছে বেজিং। যা দেখে স্পষ্ট, মুখে সীমান্তে অস্থিরতা কমানোর কথা যত বলুক না কেন, চিন কিন্তু আদতে তার বিপরীত কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) খুব কাছেই বায়ুসেনা ঘাঁটি বানিয়ে চলেছে (India China Border)। এই আবহে আকাশে চিনা বায়ুসেনার শক্তি ক্রমেই বেড়েছে এই অঞ্চলে। শুধু এয়ারফিল্ড নয়, লাদাখের আশেপাশে হেলিপ্যাড, রেললাইন, মিসাইল বেস, সড়ক, সেতু নির্মাণ করে চলেছে চিন। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত, সেনা মোতায়েনের জন্যই এসব নির্মাণকাজ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours