মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। পশ্চিম বিশ্বকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা রাজনৈতিক ও গাণিতিক দু দিক থেকেই আমি জোরালভাবে অগ্রাহ্য করছি। জয়শঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অন্য দেশের থেকে কম দামেও তেল কেনে, তাতেও আগের থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
জয়শঙ্কর বলেন...
তিনি বলেন, ইরানে তেলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা ভেনেজুয়েলায় যা চলছে, তাতেও তেলের দাম চড়া। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাজার ঘুরে সব থেকে ভাল দর খোঁজাটাই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মস্কোর পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টাও করেছিল নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর
গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইপ্রাস থেকে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি কিনেছে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি। জয়শঙ্করের কথায়, এটি আমরা যা কিনেছি, তার ছ গুণ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদে যে নীতির কথা বলা হয়েছে, সব দেশই বলবে যে তারা সেগুলি সমর্থন করে। কিন্তু গত ৭৫ বছরে গোটা বিশ্বে কী ঘটেছে দেখুন। রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্য কী সেই সনদ মেনে চলে? অন্য দেশে সেনা পাঠায় না? জয়শঙ্করের দাবি, যেহেতু ইউরোপ এখন ভারতের সাবেকি জায়গাগুলি থেকে জ্বালানি কিনছে, তাই নয়াদিল্লিকে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে।
জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, গত ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জ্বালানি কিনছি রাশিয়া থেকে। এটি নতুন কিছু নয়...এই ষাট বছরে ইউরোপ সহ পশ্চিমের বহু দেশ পাকিস্তানের সেনা শাসককে অস্ত্র বিক্রি করেছে। সেই সময় একমাত্র দেশ যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনি বলেন, তাই আজ যদি রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়ে থাকে তার কারণ আমাদের অঞ্চলে সেনা শাসনকেই গুরুত্ব দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া।
+ There are no comments
Add yours