Chandrayaan 3: ‘‘চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ’’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

isro-rocket-launch

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারই চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ (আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর)। রবিবার এমনই বিবৃতি দিলেন মহাকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরে ৬ চাকার রোভারটি ১৪ দিন ধরে অনুসন্ধান ও গবেষণা চালাবে বলে জানা গিয়েছে। রোভারটিতে রয়েছে একাধিক ক্যামেরা, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে।

আরও পড়ুন: ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! ল্যান্ডিং কবে, জানিয়ে দিল ইসরো

মিশনের ৩ উদ্দেশ্য

মহাকাশ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশনের তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, এই মিশনের দ্বারা চাঁদের মাটি ছোঁয়া, দ্বিতীয়ত, রোভারটিকে চাঁদের মাটিতে সক্রিয়ভাবে চালানো এবং তৃতীয়ত চাঁদের বিভিন্ন অজানা দিকগুলি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো। রবিবার কেন্দ্রীয় মহাকাশ মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মোদি জমানায় মহাকাশ গবেষণায় ভারত এগিয়েছে অনেকটা বেশি। ইসরোর পরিকাঠামোগত অনেক উন্নয়নই হয়েছে মোদি জমানায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদির জমানায় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছে। মহাকাশ মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মার্কিন সফর মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আমেরিকার মতো দেশ যারা আমাদের অনেক আগে মহাকাশ গবেষণা চালাচ্ছে, তারাও আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে। আমাদের দেশের সঙ্গে তারা বেশ কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

মিশনের খুঁটিনাটি

২০১৯ সালে ভারত ‘চন্দ্রযান ২’ উৎক্ষেপণ করেছিল। ল্যান্ডিংয়ের আগে, মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযানের। চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’। তারপর চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে নামছে ইসরো। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। এস সোমনাথ বলেন, “আমরা চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সক্ষম হব।” ইতিমধ্যেই, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3) মহাকাশে বহনকারী রকেটের সাথে সংযুক্ত করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’ বা ‘জিএসএলভি মার্ক ৩’ (GSLV Mark 3) রকেটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’। বুধবার, এই রকেটের মাথায় পেলোড সংযুক্ত করা হয়। এই পেলোডের মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। মূলত তিনটি জিনিস রয়েছে এই মডিউলে। একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালসন মডিউল। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এই পেলোড ফেয়ারিংয়ে ভর করে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল চাঁদের উপরে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে অবতরণ-পর্ব শুরু করবে ল্যান্ডার ও রোভার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share