Jharkhand ED Raid: ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর পিএ-র পরিচারকের বাড়ি থেকে ২৫ কোটি টাকা উদ্ধার ইডির!

ঝাড়খণ্ড থেকে মিলল টাকার পাহাড়, নজরে মন্ত্রী
cash_recovery_from_jharkhand
cash_recovery_from_jharkhand

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) কংগ্রেসের (Congress) গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের পরিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল টাকার পাহাড়। ইডির (ED Raid) অভিযানে কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া নগদ গণনার কাজ চলছে।

কেন তল্লাশি

জানা গিয়েছে রাঁচি (Ranchi) শহরের একাধিক জায়গায় রবিবার তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এলাকা আজমগড়ের (Azamgarh) বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ২০২৩ সালে প্রথম টেন্ডার দুর্নীতি (Jharkhand Tender Scam) মামলায় অভিযান চালায়। এই মামলাতেই ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী আলমগির আলমের (MLA Alamgir Alam) আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ নগদ। ঝাড়খণ্ডের মোট ন’টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুনঃ “আগুন নিয়ে খেলছে কংগ্রেস”, বিস্ফোরক রাজনাথ

কোন মামলায় তদন্ত

২০২৩ সালে টেন্ডার দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রামোউন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি আধিকারিকরা। এবার এই মামলার গ্রেফতার হলেন সঞ্জীব লাল। ভোটের আবহে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মুখপাত্র প্রতুল সাহু বলেন, “রাজ্যে দুর্নীতির শেষ নেই। এই পরিমাণ নগদ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয় চলমান লোকসভা নির্বাচনে তারা এই টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।"

আলমগির আলমের পরিচয়

আলমগির আলম ঝাড়খণ্ডের পাকুর বিধানসভা থেকে চারবারের কংগ্রেসের বিধায়ক। ঝাড়খন্ড সরকারের তিনি সংসদীয় বিভাগ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষ ছিলেন। নিজের রাজনৈতিক জীবন পঞ্চায়েত প্রধান (সরপঞ্চ) হিসেবে শুরু করেছিলেন। তিনি ২০০০ সালে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে প্রচুর মাত্রায় টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং ব্যবসায়ী ধীরাজ সাহুর বেশ কয়েকটি ঠিকানা থেকে ইনকাম ট্যাক্স ৩৫০ কোটি টাকার বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিল। ধীরাজ জানিয়েছিলেন, “যে পরিমাণ নগদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা তাঁর মদের ব্যবসার টাকা। কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে এই টাকার কোন সম্পর্ক নেই।" এই ঘটনার এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ঝারখন থেকে বাজেয়াপ্ত হল টাকার পাহাড়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles