Kanchanjungha Express Accident: ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে আসছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

গফিলতির রহস্য সন্ধানে রেল দফতর
kanchanjunga_express
kanchanjunga_express

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগরতলা থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার পথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express Accident) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডাউন ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখন অবধি মৃত্যুর সংখ্যা ১১ ছাড়িয়েছে। এই ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে কারণ কী তা খুঁজতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ। সিগন্যালিং-এর ত্রুটি নাকি অন্তর্ঘাত উত্তর খুঁজতে চাইছে রেল। রেল দফতরের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সিগনালিং-এর ত্রুটি বলেই আপাতত রেলের তরফের সন্দেহ করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন পার করতেই রাঙাপানি স্টেশন। সোমবার সেখানেই সেই স্টেশনের কাছেই (Kanchanjungha Express Accident) ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আগরতলা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মালগাড়ি। কিন্তু কীভাবে একই লাইনে দুটি ট্রেন কাছাকাছি চলে এল এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের (Kanchanjungha Express Accident) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ। এরপর ১৯ তারিখ তিনি নিউজলপাইগুড়ি এডিআরএম চেম্বারে রেলকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সাধারণ মানুষ ও ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে কেউ কোনো তথ্য দিতে চাইলে তার কাছে জমা দিতে পারেন এবং লিখিতভাবে কেউ জানাতে চাইলে তার ব্যবস্থাও রয়েছে।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা জানতে চায় রেল (Kanchanjungha Express Accident)

সাধারণত ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় বেশি ঘটে। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটেনি। ফলে সিগন্যালিংয়ের বড় খামতি কথা বলছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ। এমনিতে এই সময়টাতে কুয়াশাও থাকে না। স্বাভাবিকভাবে ওই মালগাড়ির ড্রাইভার দূর থেকে কেন এক্সপ্রেস ট্রেনকে দেখতে পেলেন না কিংবা ট্রেন দেখতে পেলে ব্যবস্থা নিলেন না কেন এই প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ূন: শুরু হল ট্রেন চলাচল, লাইনের পাশেই দোমড়ানো-মোচড়ানো কামরা, মৃত্যু বেড়ে ১০

একইসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express Accident) ট্রেনটি কখন স্টেশন থেকে ছেড়েছিল, মালগাড়ি কখন ছেড়েছিল, দু'টো ট্রেনের গতিবেগ কত ছিল, এই সব প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসার। পয়েন্ট ম্যান, স্টেশন মাস্টার, গেটম্যানদের পর্যবেক্ষণ কী ছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ও রাঙাপানি স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা কী ছিল, এই সবকিছু খতিয়ে দেখার পরই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles