Lord Jagannath: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ভান্ডার লুট! এর নেপথ্য কাহিনী জানেন?

Untitled_design(65)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দুশো আশি বছর ধরে চলে আসছে গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। উল্টো রথের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার ভান্ডার লুট উৎসব অনুষ্ঠিত হল এখানে। স্থান ভেদে রথযাত্রার উৎসব এবং অনুষ্ঠানে কিছু বৈচিত্র ধরা পড়ে। দেখা যায় বিশেষ কিছু রীতি। গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় (Lord Jagannath) সেরকই উৎসব হল ভান্ডার লুট। যেখানে ভক্তরা প্রসাদ লুট করেন।

ভান্ডার লুট উৎসবের লৌকিক কথা

ভান্ডার লুট উৎসব শুরু হল কীভাবে? প্রতিটি স্থানীয় উৎসবের পিছনে থাকে একটি লৌকিক গল্প। গুপ্তিপাড়ার ভান্ডার লুট উৎসবেও রয়েছে একটি প্ৰচলিত গল্প। লৌকিক কথা অনুসারে, একবার প্রভু জগন্নাথ দেব রথে চড়ে মাসির বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়ি থেকে আর বৈকুণ্ঠধামে ফিরছেন না। জানা গেল, লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে ঝগড়া করে আসার কারণেই তিনি মাসির বাড়ি থেকে ফিরতে চাইছেন না। ওদিকে বৈকুণ্ঠধামে লক্ষ্মীদেবী বেশ চিন্তিত। ভাবছেন প্রভু নিশ্চয়ই পরকীয়াতে জড়িয়েছেন! তাই তাঁর সংসার বা দেবলোকে মন নেই। কী করা যায়? এমন অবস্থায় দেবতাদের পরামর্শ নিলেন লক্ষ্মীদেবী। সেই পরামর্শ মতো লক্ষ্মীদেবী পঞ্চমীতে এসে সরষে পোড়া দেন। এই অনুষ্ঠান লক্ষ্মী বিজয় বা হোরা পঞ্চমী নামে খ্যাত। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। তখন বৈকুণ্ঠের দেবতারা প্রভু বৃন্দাবনচন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রকে পাঠান। প্রভুর মাসির বাড়ির সমস্ত সুস্বাদু খাবার, পানীয় লুট করে নেওয়ার জন্য। খাদ্য ভান্ডার শেষ হলে প্রভু জগন্নাথ বৈকুণ্ঠধামে ফিরবেন এই ভরসায়। তখন থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এই উৎসব।

ভান্ডার লুটে কী হয়?

গুপ্তিপাড়ার মাসির বাড়ির গর্ভগৃহে প্রচুর পরিমাণ সুস্বাদু খাদ্য সাজানো থাকে। মূল চারটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মন্দির থেকে বিগ্রহ আসার পর নারায়ণ বা শালগ্রাম শিলা পিছন দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। এরপর শুরু হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর পর এক সঙ্গে সংকেত দেওয়ার পর সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন এক ফাঁকে ভক্তরা কায়দা মতো মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে ও সমস্ত প্রসাদ লুট করে। এটাই ভান্ডার লুট।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share