মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি রয়েছে। হাজির থাকার কথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অনুষ্ঠান শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর….’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’
পশ্চিমবঙ্গে হিংসার আবহে, শান্তির বার্তা দেবে গীতা (Gita)
প্রসঙ্গত, গত মাসেই আয়োজকরা দাবি করেন, অসংখ্য মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ‘‘বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হিংসা, হানাহানির মাঝে শান্তির বার্তা দিতেই আয়োজন করা হয়েছে এমন অনুষ্ঠান, তবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে সিলমোহর বসানোর চেষ্টা করছেন এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ, যা মোটেও কাম্য নয় ’’, মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ফোনে একথাও এদিন বলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ।
জায়গায় জায়গায় গীতা পাঠের পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী এদিন কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও আমন্ত্রিত থাকবেন গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে, কোনও রাজনীতি নেই তবু শাসক দলের নেতারা জায়গায় জায়গায় ফরমান জারি করছে ২৪ ডিসেম্বর কোনও বাস যেন কলকাতায় না যায়! এ কেমন কথা? মানুষ গীতা পাঠ করতে যাবে না? অনেক জায়গাতে গীতার পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও আসছে আমাদের কাছে।’’ দিনকয়েক আগেই ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। এনিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা তো গতবছর মায়াপুরেই ঘোষণা করেছিলাম, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হবে এমন এমন কর্মসূচি। গত কয়েকমাস ধরে সংবাদমাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এটা নিয়ে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিকরাও জানেন। তারপরেও কেন ওই দিনে টেট পরীক্ষার দিন দেওয়া হল বোঝা যাচ্ছে না।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply