মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা প্রায় দুবছর ধরে এক যুবকের অ্যাকাউন্টে ঢুকত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের হুদরাপুর এলাকায়। ফরিদা খাতুন নামে উপভোক্তার মোবাইলে প্রকল্পের টাকা ঢোকার ম্যাসেজ আসত। আর টাকা ঢুকত অন্যের অ্যাকাউন্টে। প্রশাসনের দরবারে গত দুবছর ধরেই দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি। ব্লক প্রশাসনের একাংশকে হাত করে এই সব হয়েছে। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করেছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lakshmi Bhandar)
ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীর ভান্ডারে(Lakshmi Bhandar) মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে জমা হওয়ার বিষয়টি মোবাইলে ফরিদা পেয়েছেন, কিন্তু প্রকৃত অর্থে সে টাকা তাঁর ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। বিডিও-র তদন্তে ধরা পড়ে যে অ্যাকাউন্টে ফরিদার টাকা জমা পড়ছে সেটি তাঁর অ্যাকাউন্টই নয়। সেটি সম্মতিনগরের হুদরাপুরের বাসিন্দা সাদের শেখ নামে এক যুবকের অ্যাকাউন্ট। নতুন বিডিও এসেছেন শুনে ফরিদা তাঁর অভিযোগ নিয়ে দু'দিন আগে হাজির হন তাঁর কাছে। দ্রুত দুর্নীতির তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফরিদার হাতে টাকা তুলে দিলেন রঘুনাথগঞ্জ ২-এর বিডিও দেবোত্তম সরকার। বিষয়টি জানার পর সাদেরকে বিডিও ডেকে পাঠান। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই সব কথা স্বীকার করে ওই যুবক।
কী বললেন বিডিও?
বিডিও দেবোত্তম বলেন, মহিলার অভিযোগ পেয়েই তদন্তের ভার দেওয়া হয় এক আধিকারিক চন্দন চৌবেকে। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হুদরাপুরের যুবক সাদের শেখের অ্যাকাউন্টে ২৬ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা ঢুকেছে ফরিদা খাতুনের প্রাপ্য টাকা। ওই যুবক স্বীকার করে তার গ্রামেরই বন্ধু রাহুল শেখ তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদা খাতুনের নামে ওই যুবকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কও তা খতিয়ে দেখেনি। এই ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি অবশ্যই ছিল। তা ছাড়া বাইরের দালাল চক্র এই ঘটনায় জড়িত জানিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। তবে যে যুবকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল তিনি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। আর মহিলার প্রাপ্য ১৩ হাজার টাকা তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours