মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের মৃত পড়ুয়া নাবালক (JU Student Death) ছিলেন। পুলিশ তাই প্রধান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারা যোগ করল। হস্টেলে র্যাগিংয়ের কারণে ইতিমধ্যে পুলিশ মামলা দায়ের করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অভ্যন্তরীণ তদন্তে অভিযুক্তদের আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেককেই ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার যোগ করা হল নতুন ধারা।
ভারতীয় দণ্ডবিধির কত নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হল?
গত ৯ই অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এ টু ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু (JU Student Death) হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্রের। পুলিশ জানিয়েছিল, হস্টেলের নিচে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ছাত্রকে। ফলে কীভাবে মৃত্যু হল, বিবস্ত্র কেন ছিলেন, ঘরের মধ্যে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ পকসো ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২ নম্বর ধারায় ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ হয়নি। এই মৃত্যুর তদন্তে যাদবপুর থানার পাশাপাশি তদন্ত করছেন লালাবাজারের গোয়েন্দারা। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি তদন্ত করছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।
প্রধান অভিযুক্ত (JU Student Death)
ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সর্বত্র জোরালো আওয়াজ ওঠে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় হস্টেলের পাশ-আউট ছাত্র সৌরভ চৌধুরি। এরপর একে একে দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ, অসিত সর্দার, সুমন নস্কর, সপ্তক কামিল্যা, মহম্মদ আরিফ, আসিফ আফজাল আনসারি, অঙ্কন সরকার এবং জয়দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পকসো আদালতে এদের তোলা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য মৃত ছাত্রের বাবা-মা কয়েকদিন আগেই নবান্নে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মৃত ছাত্রের বাবা-মাকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। নগরপালকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours