RG Kar case: “২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন দেখিনি”, ময়নাতদন্ত নিয়ে বিস্ফোরক আইনজীবী

supreme_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি ছিল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে। নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে উঠেছে গুচ্ছের প্রশ্ন (Supreme Court)। মৃতদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেল? মৃত্যুর কতক্ষণ পরে থানায় জানানো হল? কতক্ষণ পরেই বা দায়ের হল এফআইআর? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন। এমনিতেই ময়নাতদন্তের চালান না পাওয়া যাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, “চালান যদি মিসিং হয়, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে।”

বিস্ফোরক প্রশ্ন (RG kar case)

আর ময়নাতদন্তের পদ্ধতি নিয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি বলেন, “মৃতদেহ যখন উদ্ধার হল, তখন তার পা ঘোরানো ছিল ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। পশ্চাৎদেশ ভাঙা না হলে, পা এভাবে ঘোরানো সম্ভব নয়।” ফরেনসিক রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে রিপোর্ট দেখার আর্জিও শীর্ষ আদালতে জানান তিনি। এডুলজির দাবি, “নির্যাতিতার ভ্যাজাইনাল সোয়াব ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। তাই প্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এডুলজির বিস্ময় 

মৃত্যুর দীর্ঘক্ষণ পরে এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “আমার ২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন ঘটনা আমি দেখিনি।” তাঁর প্রশ্ন, “প্রমাণ সংগ্রহ করার এতক্ষণ পর কেন এফআইআর দায়ের হল? এফআইআর চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।” যিনি ভিডিওগ্রাফি করেছেন, তাঁর ডেজিগনেশন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এডুলজি (RG Kar case)। বলেন, “ভিডিওগ্রাফি কে করল? তাঁর কী পদ? ময়নাতদন্তের সময় কারা উপস্থিত ছিলেন?”

আরও পড়ুন: “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

শুনানিতে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও। তিনি বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘণ্টা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি, তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।” তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী, ক্রাইম সিন পুরো ঘিরে দিতে হয় (RG Kar case)। সেখানে কেউ ঢুকতে পারেন না। বেরতেও পারেন না কেউ। এখানে লোকজন আসা-যাওয়া করছিলেন (Supreme Court)। ছবিও তোলা হচ্ছিল (RG kar case)।”

প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতিও

শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানতে চান, আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব কত? জবাবে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ১৫-২০ মিনিটের পথ (RG Kar case)। এরপর প্রধান বিচারপতি  জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন যুক্ত করা হয়েছিল। জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা যুক্ত করা হয়েছিল। জেনারেল ডায়েরি কখন করা হয়েছিল, সেই তথ্যও জানতে চায় আদালত। রাজ্য জানায়, জেনারেল ডায়েরিও ২টো ৫৫ মিনিটেই করা হয়েছিল।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share