মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম,তৃণমূল সহ ২৬টি দল। ঠিক তার উল্টো চিত্র ধরা পড়ছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। এখানে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল কংগ্রেস-সিপিএম। উধাও দিল্লির দোস্তি। পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে সারা রাজ্য। গত ১১ জুলাই ফলাফল প্রকাশ হয় পঞ্চায়েত ভোটের। বর্তমানে চলছে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। সেখানেই দেখা গেল এমন চিত্র। শাসকদলের বিরুদ্ধে এককাট্টা বিরোধীরা।
উত্তরদিনাজপুর জেলায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল কংগ্রেস-ফরওয়ার্ড ব্লক
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ৪নং বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন (Panchayat Election) করল বিজেপি। শুক্রবার রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ধার্য ছিল। সেই মোতাবেক সকল দলের জয়ী প্রার্থীরা এসে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত চত্বরে (Panchayat Election)। মূলত ২৩টি আসন যুক্ত এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ৯টি, তৃণমূল ৮টি, কংগ্রেস ৪টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি এবং একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়। নির্দল প্রার্থী তৃণমূলকে সমর্থন করে। অপরদিকে কংগ্রেস এবং ফরওয়ার্ড ব্লক বিজেপিকে সমর্থন করায় পঞ্চায়েত বোর্ড বিজেপি গঠন করে। যদিও ভুল চিহ্ন দেওয়ায় দুই পক্ষেরই একটি করে ভোট কাটা যায়। মোট ২৩ টি আসনের মধ্যে বাম কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে ১৩ টি আসন হওয়ায় তারা এই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেন। এই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের জিন্নাতুন খাতুন এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির ফুলকুমার বর্মন। কংগ্রেসের জয়ী সদস্য জিন্নাতুন খাতুন বলেন, ‘‘আমরা চাই পঞ্চায়েতের উন্নতি হোক। তাই আমরা বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট মিলে বোর্ড গঠন করেছি। আগামীতে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’’ অপরদিকে বিজেপির জয়ী সদস্য ফুলকুমার বর্মন বলেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে এই বোর্ড গঠন করল। আমরা মানুষের সেবা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপির সঙ্গে জোটে কংগ্রেস এবং বাম
এখানেও শাসক দল তৃণমূলকে হঠাতে একজোট বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের
সুতি ১ ব্লকের সাদিকপুরে পঞ্চায়েত (Panchayat Election) দখলে রাখল বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোট। সুতিতে বোর্ড গঠনের পরে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের প্রধান হলেন আরএসপির আর উপপ্রধান বিজেপির। ২৭ আসনের সাদিকপুরে তৃণমূল জয়ী হয় ১০টি আসনে, বিজেপি ৮টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস ৬টিতে এবং সিপিএম ২টিতে এবং আরএসপি জয়ী হয় ১টি আসনে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে কংগ্রেসের একজন তৃণমূলে যোগদান করে। এদিন বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধে বাম কংগ্রেস ও বিজেপি। প্রধান হন আরএসপির রেশমা খাতুন এবং উপপ্রধান হয় বিজেপির আশিষ দাস । বোর্ড গঠনের পরেই আনন্দে মেতে ওঠেন বাম কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
সুতির হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন করল বিজেপি-বাম-কংগ্রেস মিলে
মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Election) বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের দখলে গেল। প্রধান হলেন কংগ্রেসের রাখি রবিদাস ও উপপ্রধান বিজেপির জবা রানী মন্ডল। শুক্রবার জোটের কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো, হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ১২ টি আসন, কংগ্রেস ৮টি আসন, বামফ্রন্ট ৪টি ও বিজেপি ২টি আসন। শেষমেষ বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের জোটে ১৪ জন সদস্যের সমর্থনে প্রধান হলেন কংগ্রেসের রাখি রবিদাস ও উপপ্রধান বিজেপির জবা রানী মন্ডল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই দিন হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Election) গঠন সম্পন্ন হল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours