Mahakumbh: মহাকুম্ভে একসঙ্গে মহাস্বচ্ছতা অভিযান ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর, তৈরি হল বিশ্বরেকর্ড

Mahakumbh 15,000 sanitation workers set a new Guinness World Record

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত ৬০ কোটি মানুষ এখানে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করবেন বলে অনুমান উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। ঢেলে সাজানো হয়েছে কুম্ভ মেলার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ঘন ঘন মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন করেছেন যোগী সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ১৪৪ বছর পরে সম্পন্ন হওয়া মহাকুম্ভ প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। যেমন গত সোমবারে মহাকুম্ভ স্পর্শ করে এক নয়া রেকর্ড। সোমবার, ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভস্থল পরিষ্কার করতে মাঠে নামেন। আর এই ইভেন্টই নাম তুলে ফেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। জানা গিয়েছে এর আগে এক সঙ্গে এত সাফাই কর্মীর স্বচ্ছ অভিযানের রেকর্ড (Guinness World Record) ছিল কুম্ভমেলারই। ২০১৯ সালে যে অর্ধ কুম্ভ হয়েছিল, তখন একসঙ্গে ১০ হাজার সাফাই কর্মী স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন।

লন্ডন থেকে এসেছিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তারা

এ নিয়ে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেসারওয়ানি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আকাঙ্খা রানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে লন্ডন থেকে পাঠানো হয় ঋষি নাথকে এবং তিনি এই মহাকুম্ভের ১৫ হাজার সাফাই কর্মীর একসঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানকে খতিয়ে দেখেন।

চারটি জায়গায় হয় স্বচ্ছতা অভিযান (Mahakumbh)

প্রসঙ্গত, স্বচ্ছ মহাকুম্ভ অভিযান যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতা অভিযান হিসেবে উঠে এল। এই স্বচ্ছতা অভিযানে (Mahakumbh) সাফাই কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁদেরকে নির্দেশ দিতে দেখা যায় গঙ্গা সেবা দূত এবং সেক্টর এর দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের। সাফাই কর্মীদের এই স্বচ্ছতা অভিযান চলে মহাকুম্ভের দুই নম্বর সেক্টরের হেলিপ্যাডে, সালোরি নাগবাসুকি ক্ষেত্র, আড়াইল এবং ঝুন্সি ক্ষেত্রে।

কী জানালেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী

এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের শহর পরিকল্পনা ও শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী একে শর্মা জানিয়েছেন যে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্টে। এই এত বড় কর্মযজ্ঞের পিছনে আসল হিরো হলেন সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই এবার সফল হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ডে নাম তুলে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share