Mahakumbh: মহাকুম্ভ গতি বাড়িয়েছে আধ্যাত্মিক পর্যটনের, ভক্তদের সুবিধায় যোগী সরকার গড়ছে ৫ করিডর

Mahakumbh boosts spiritual tourism five new spiritual corridors developed UP

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যোগী রাজ্যের আধ্যাত্মিক পর্যটনকে। বিশ্বের বৃহত্তম উৎসবের কারণে আধ্যাত্মিক পর্যটনের মানচিত্রে উত্তরপ্রদেশ একেবারে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় ২০২৫ সালে। শুরু হয় গত ১৩ জানুয়ারি, সম্পন্ন হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির দিন। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার পাঁচটি আধ্যাত্মিক করিডরকে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যার ফলে রাজ্যের আধ্যাত্মিক পর্যটন আরও নতুন মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই করিডর গুলির মাধ্যমে যোগী রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলি দর্শন করা যাবে।

২৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজ সফর করেন যোগী

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের (Mahakumbh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি পুলিশকর্মী, সাফাই কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, নৌকোর মাঝি, সাংবাদিক এবং পরিবহণ বিভাগকে কৃতজ্ঞতা জানান। মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য। সেখানেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ৫ আধ্যাত্মিক করিডরের কথা বলেন।

এই পাঁচটি করিডর কোনগুলি (Spiritual Tourism)

প্রয়াগরাজ-বিন্ধ্যাঞ্চল-কাশী করিডর

এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা প্রয়াগরাজ থেকে বিন্ধ্যাঞ্চলে দেবী ধাম এবং তারপরে কাশীর বিশ্বনাথ ধাম পর্যন্ত সফর করতে পারবেন। এটি একটি উল্লেখযোগ্য করিডর। কারণ এখানে শক্তি এবং শিব এই দুটি তীর্থ সম্পন্ন হবে।

প্রয়াগরাজ-অযোধ্যা-গোরক্ষপুর করিডর

এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে গোরক্ষপুর ধাম পর্যন্ত সফর করতে পারবেন। মাঝখানে (Spiritual Tourism) তাঁরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুবও দিতে পারবেন।

প্রয়াগরাজ-লখনৌ-নৈমিষারণ্য করিডর

এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা প্রয়াগরাজ থেকে নৈমিষারণ্য পর্যন্ত যেতে পারবেন ভায়া লখনউ হয়ে। প্রসঙ্গত, নৈমিষারণ্য ভারতবর্ষের ৮৮টি পবিত্র তীর্থস্থানের মধ্যে অন্যতম। এই তীর্থস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু ধর্মের ভগবান ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এবং দেবী সতীর কাহিনী।

প্রয়াগরাজ-রাজাপুর-চিত্রকূট করিডর

এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা তুলসী দাসের জন্মভূমি রাজাপুর থেকে চিত্রকূট ধাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গোস্বামী তুলসীদাস রামচরিত মানস সহ একাধিক হিন্দু শাস্ত্রের রচয়িতা।

প্রয়াগরাজ-মথুরা-বৃন্দাবন-শুক করিডর (ভায়া বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে)

এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে মথুরা বৃন্দাবন সহ শুক তীর্থ দর্শন করতে পারেন। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে শুক তীর্থ বিখ্যাত হয়ে রয়েছে মহর্ষি শুক্রাচার্যের ভূমি হিসেবে। অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থান হল মথুরা ও বৃন্দাবন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share