মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence) কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে চলতি সপ্তাহে। এই সংঘর্ষে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ১৩ জন। গত বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট হিংসা ছড়ায় মণিপুরের (Manipur Violence) নারানসেইনা, থামনাপকপিতে। গত চারমাস ধরে চলা মণিপুরের (Manipur Violence) হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫৯। দ্য ইন্ডিজিনিয়ায় ট্রাইবেল লিডার ফোরাম, যা কুকি এবং জো সম্প্রদায়ের একটি যৌথ বাহিনী, তারা ইতিমধ্যে চূড়াচন্দ্রপুর জেলায় বনধ-এর ঘোষণা করেছে। যাবতীয় জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখানেও কুকি সম্প্রদায়ের দু'জন মানুষের মৃত্যু হয়। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকেই ফের উত্তপ্ত (Manipur Violence) হয়ে ওঠে মণিপুর। বন্দুকের লড়াই সেখানে চলছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। চূড়াচন্দ্রপুর কুকি সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত, অন্যদিকে বিষ্ণুপুর জেলায় মেইতেই সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই দুই এলাকায় চলছে ব্যাপক হিংসা। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও মণিপুর হিংসায় চারজনের মৃত্যু হয়। যাঁদের মধ্যে দু'জন মেইতেই সম্প্রদায়ের এবং দু'জন কুকি সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দুই জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনীর মোতায়েন করেছে সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার ইতিমধ্যে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে হিংসা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছে।
যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার মণিপুরে
অন্যদিকে, মণিপুরে (Manipur Violence) অসম রাইফেলস এবং সে রাজ্যের পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪৬টি গ্রেনেড, ২টি পিস্তল এবং একটি এম-১৬ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী হানা দেয় পশ্চিম ইম্ফল জেলার চম্পিরকে। এই যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর পুলিশ সেখানকার স্থানীয়দের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে কোনও অস্ত্র মোতায়েনের (Manipur Violence) খবর থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁদেরকে জানানো হয়।
৩ মে থেকেই চলছে মণিপুর হিংসা (Manipur Violence)
প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে হিংসায় অগ্নিগর্ভ (Manipur Violence) হয়ে ওঠে মণিপুর। কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের এই বিবাদ প্রায় চার মাস ধরে চলছে সেখানে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেখানে গিয়ে দুই সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেই বৈঠক করেছেন। ঘোষণা করা হয়েছে ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজও। কিন্তু তারপরেও মণিপুরের (Manipur Violence) দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা যেন কোনওভাবেই থামছে না। কবে শান্ত হবে মণিপুর? এই প্রশ্নই এখন জাগছে মানুষের মনে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours