Manipur: প্রতিবাদ পরিণত হিংসায়, মণিপুরে বন দফতরের অফিসে আগুন, নৈশ কারফিউ

manipur_fire_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের পর ফের শনিবার। উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা অবধি জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ (Night Curfew)। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারাও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটও। এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুর জেলায় বন দফতরের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসে দমকল। আগুনও নেভানো হয়। যদিও তার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অফিসের বহু নথিপত্র। নষ্ট হয়েছে প্রচুর সরকারি সম্পত্তিও। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের তরফে আন্দোলন চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।

উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)…

মণিপুরের তখতে রয়েছে বিজেপি (BJP) সরকার। সম্প্রতি সংরক্ষিত ও সংরক্ষিত বন ও হ্রদগুলির ওপর সমীক্ষা শুরু করেছে সরকার। মূলত তা নিয়েই আপত্তি আন্দোলনকারীদের। কেবল তাই নয়, বিজেপি সরকার ধর্মস্থলগুলিকে সম্মান দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের। চার্চে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করছে তারা। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উসকানির জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের পরিস্থিতি।

আদিবাসী (Manipur) সংগঠন ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের সম্পাদক মন টোমবিং বলেন, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা জারি থাকবে। এন বীরেন সিংহ সরকারের সঙ্গে আপোসের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি বলেন, যদি সমীক্ষা করতেই হয়, তাহলে তা করতে হবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে। জোর করে কিছুই করা যাবে না। ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট জৌকুমার লংজাম জানান, সমীক্ষাটি করা হচ্ছে বন দফতর ও রাজস্ব দফতরের মধ্যে তৈরি হওয়া সংশয় দূর করতে।

আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

এর সঙ্গে উচ্ছেদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে প্রক্রিয়া প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভুলচুক হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি দফতরের কাজে কিছু ভুল হচ্ছে বলে মনে করলে আলোচনার রাস্তা সব সময় খোলা। এজন্য যে কেউ আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু হিংসায় কোনও সুফল মিলবে না। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৭ তারিখে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের। তার আগেই অনুষ্ঠানস্থল এলাকায় চালানো হয় ভাঙচুর। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তার পরেই নৈশ কারফিউ এবং ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share