Matsya 6000: গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে প্রস্তুত ‘মৎস্য-৬০০০’, কবে ডুব দেবে সাগরে?

samudrayan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সমুদ্রের অতল গহ্বরে লুকিয়ে রয়েছে কোন রহস্য, তা জানতে এবার সমুদ্র অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত সমুদ্রযান ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) মহাসাগরের প্রায় ৬ হাজার মিটার গভীরে পাড়ি দেবে। এই ডুবোজাহাজে থাকবেন তিনজন যাত্রী। কোন গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে সমুদ্রের তলায়, তারই সন্ধান চালাবে এবার সমুদ্রযান। মূল্যবান ধাতু, খনিজ পদার্থ যেমন কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজের খোঁজ চালাবে ‘মৎস্য-৬০০০’। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ডুবোজাহাজটি খোঁজ চালাবে কেমোসিনথেটিক বায়োডাইভারসিটির অর্থাৎ ৬০০০ মিটার নিচে ঠিক কেমন রয়েছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র তারই অনুসন্ধান করবে ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)। এর পাশাপাশি অতল গহ্বরে মিথেন গ্যাসেরও সন্ধানে চালাবে এই জুবোজাহাজ। জানা গিয়েছে ২০২১ সাল থেকেই এই সমুদ্রযান তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে এবার পরীক্ষামূলক ভাবে তা সমুদ্রে নামানো হবে। ২০২৪ সালে এই সাবমেরিনকে নামানো হবে বঙ্গোপসাগরে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে বিস্ফোরণে ফেটে যায় টাইটান ডুবোজাহাজ।তারপরে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) এর নির্মাতারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সমুদ্রযানকে গড়ে তুলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা।

সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর

ইতিমধ্যে এই সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘সমুদ্রের তলায় ৬ কিমি নীচে নামতে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সমুদ্রের জীববৈচিত্রকে কোনওভাবেই ক্ষতি করবে না ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)।’’ কিরণ রিজিজুর পোস্টে তাঁকে সাবমেরিনের ভিতরেও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

ডুবোজাহাজের খুঁটিনাটি

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির তৈরি এই ডুবোজাহাজ ৮০ মিলিমিটার পুরু টাইটেনিয়ামের পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই সাবমেরিন জলের চাপের থেকেও ৬০০ গুণ বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই যান জলের অতল গভীরে একটানা ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। ডুবোজাহাজে (Matsya 6000) থাকা ব্যক্তিরা মোট ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন সাপ্লাই পাবেন। সর্বক্ষণ এই যানের তদারকির জন্য থাকবে একটি জাহাজ। সেই জাহাজ থেকেই সাবমেরিনটি জলে ওঠা নামার কাজ করবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share