Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

Murshidabad_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর বিধানসভায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শাসক দলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বক্তব্যকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলের জেলা চেয়ারম্যান একটি কমিটি গঠন করেছেন। সালারে বিধায়ক কার্যালয় উদ্বোধন করে বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, পূর্ণাঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি এখনও ঘোষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি যদি দেখি প্রকৃত যারা তৃণমূল তারা কমিটিতে বাদ পড়েছে, কারও মর্জি মতো কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

কী নিয়ে গন্ডগোল?

ভরতপুর বিধানসভায় দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে  বহু বুথে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল নয়, বিধায়ক অনুগামীরা সিপিএম বা কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেন। কার্যত দলের নির্দেশকে না মেনেই ভরতপুরের বিধায়ক অনুগামী জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের মতো করে বোর্ড গঠন করেন। বিষয়টি জানার পরই দলের জেলা চেয়ারম্যান ক্ষোভ উগরে দেন।

কী বললেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান?

ভরতপুরের বিধায়ক  হুমায়ুন কবীরের নাম না করেই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভরতপুরে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারে বসেছেন, তাদেরকে আমরা দলের কেউ মনে করি না। যেহেতু এদের কোনও পদ নেই, এদের বহিষ্কার করার কোনও প্রশ্ন আসে না। কি সব ফাইভ ম্যান কমিটি হয়েছিল, সেগুলো রাজ্যের অনুমোদিত নয়, সেই কমিটির অস্তিত্ব নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অর্থাৎ কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি দলের সঙ্গে যারা হাত মিলাবে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন করে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

কী বললেন ভরতপুরের বিধায়ক?

ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ভরতপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের টিকিটে জয়ী  গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রয়েছে তারাও যদি বেচাল করে তাহলেও ব্যবস্থা নেব। মূলত তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের নাম না করে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতৃত্বদের তীব্র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকার যারা পদে রয়েছেন তারাই আমাকে বঞ্চিত করেছিল। তাদের মর্জি মতো টিকিট আমাকে দিয়েছিলেন। আমি আমার প্রার্থীদের জিতিয়ে দেখিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আগেই জল ঘোলা হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব সবই জানে। আমি শুধু বলতে চাই, যারা শাসক দলের টিকিটের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছে তারা যেন মা মাটি মানুষের নীতি আদর্শ মেনে চলে। যদি তারা লাইনচ্যুত হয়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা তখন কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share