মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো। তাই গ্রামের মানুষ অপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja) জন্য। আর এই লক্ষ্মী পুজোতে আত্মীয়-স্বজনের ভরে ওঠে প্রতিটি বাড়ি। লক্ষ্মীপুজোয় সামিল হন হিন্দু-মুসলিম সকলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুরের সোদিয়াল গ্রামের বাসিন্দারা এই পুজোকে কেন্দ্র করে সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছেন। হিন্দু মুসলিম উভয় পাড়ার মানুষরা মিলিয়ে লক্ষ্মীপুজো করেন সুন্দরবনের এই গ্রামে।
লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা (Lakshmi Puja)
এই গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, বেড়ে ওঠা। গ্রামে সেভাবে দুর্গাপুজো হয় না। তাই গ্রামের মানুষ একসাথে মিলে লক্ষ্মী পুজো (Lakshmi Puja) করেন। এবারের লক্ষ্মীপুজোয় লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। আর এই প্রতিমাকে ঘিরে গ্রামের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে পুজো কটা দিন আনন্দ করেন। পুজোর মণ্ডপ সজ্জা,মণ্ডপ তৈরি করা, চাঁদা তোলা উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে হাত রেখে কাজ করেন, তাই পুজোর সময় উভয় সম্প্রদায়ের বাড়িতে আত্মীয়রা আসেন, এই পুজো উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানও হয়। এমনই সম্প্রীতির পুজো নিয়ে গর্বিত এলাকাবাসী।
পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?
পুজো কমিটির সভাপতি বাপি হালদার বলেন, আমাদের গ্রামে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja) এবার ১৭ বছরে পা রাখল। এখানে কোনও দুর্গা পুজো সে ভাবে হয় না। তাই লক্ষ্মী পুজো জাঁকজমকভাবে করা হয়। এবারের পুজোয় প্রতিমাতে বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সেই সঙ্গে হোগলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মণের শক্তিশেল। মণ্ডপের চারিদিকে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে উড়িষ্যার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা তাম্বিচ আহমেদ বলেন, এই গ্রামের ঐতিহ্য হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে থাকেন। পুজোকে ঘিরে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন। আত্মীয়স্বজন সমস্ত বাড়ি আসে পুজোর দিন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষার জন্য এই পুজো বলে জানান তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours