মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে মাওবাদী-যোগের (Maoist) তদন্তে আসানসোলের ডিসেরগড়, পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকা সহ রাজ্যের ১০টি জায়গায় হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA Raid) । ২০২২ সালে প্রশান্ত বসু নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবারের এই তল্লাশি অভিযান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসবাদও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তল্লাশিতে কী কী মিলল তা নিয়ে চর্চা চলছে।
বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল (NIA Raid)
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর সোদপুরের পানিহাটি ও আসানসোলের দু'টি বাড়ি থেকে বেরোলেন এনআইএ-র (NIA Raid) আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশির পর দু'টি বাড়ি থেকেই ফোন, ল্যাপটপ এবং হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। বেশকিছু নথি সহ মোট পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে দুই সমাজকর্মী সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকায়। এদিন সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত দু'টি ঠিকানায় তল্লাশি চলে। আসানসোলের বাড়িতে এনআইএ তল্লাশির পর সুদীপ্তা বলেন, "তল্লাশির নামে ঘর তছনছ করেছেন তদন্তকারীরা। হার্ডডিস্কটা নিয়ে যাওয়ার ফলে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল। কারণ আমার একটাই কম্পিউটার ছিল। আমি সেখানেই লেখালিখি করতাম।” অন্যদিকে, পানিহাটিতে শিপ্রার বাড়ি থেকেও ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় এনআইএ।
আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!
রাঁচিতে তলব
পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তদন্তকারী আধিকারিকদের (NIA Raid) কথা শুনে মনে হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর রাঁচিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে, আমরা তদন্তকারী অধিকারিকদের জানিয়েছি, কলকাতায় অফিসে ডেকে পাঠালে যাবেন, রাঁচি যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত
বেহালার ফিলিপস আবাসন বা পরমা আবাসনে ৮০ নম্বর বাড়ি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর। পেশায় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সকাল ছয়টা নাগাদ এনআইএ (NIA Raid) আধিকারিকরা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে আসেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান এনআইএ আধিকারিকরা। যাওয়ার সময়ে কিছু কাগজপত্রও নিয়ে যান তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। ইতিমধ্যে রাঁচিতে এনআইএ-র পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার তদন্তে যোগসূত্র পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গে। অসমে মাওনেতা সব্যসাচী গোস্বামী গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্মলা নামে এক মাও নেত্রী কলকাতায় এসে বৈঠক করে আবার অন্যত্র চলে যান বলে সূত্র মারফত খবর পান এনআইএ গোয়েন্দারা। পানিহাটি, বীরভূম, যাদবপুর- সহ শহর কলকাতা জুড়ে সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নামে এনআইএ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours