Blog

  • Ramakrishna 405: শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি, সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান

    Ramakrishna 405: শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি, সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান

    তারক বিবাহ করিয়াছেন। বাপ-মা ঠাকুরের কাছে আসিতে দেন না। কলকাতায় বউবাজারের কাছে বাসা আছে — সেখানেই আজকাল প্রায় থাকেন। তারককে ঠাকুর বড় ভালবাসেন। সঙ্গে ছোকরাটি একটু তমোগুণী; ধর্ম বিষয়ক, ঠাকুরের সম্বন্ধে একটু ব্যঙ্গ ভাব। তারকের বয়স আন্দাজ বিংশতি বৎসর। কারও কাছে ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের বন্ধুর প্রতি —
    “একবার দেবালয়ে সব দেখে এসো না।”

    বন্ধু:
    “ও, সব দেখা আছে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ:
    “এনিই হেডমাস্টার?”

    বন্ধু:
    “ও।”

    ঠাকুর তারককে কুশল প্রশ্ন করিতেছেন, আর তাহাকে সম্বোধন করিয়া অনেক কথা কইতেছেন। তারক অনেক কথাবার্তার পর বিদায় গ্রহণ করিতে উদ্বুদ্ধ হইলেন। ঠাকুর তাহাকে নানা বিষয়ে সাবধান করিয়ে দিতেছেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের প্রতি: “সাধু — সাবধান! কামিনী কাঞ্চন থেকে সাবধান। মেয়ে-মানুষের মায়াতে একবার ডুবলে আর উঠবার জোর নাই। বিষালক্ষীর দোয়ায় যে একবার পড়েছে, সে আর উঠতে পারে না। আর এখানে এক-একবার আসবি।”

    তারক:
    “বাড়িতে আসতে দেয় না।”

    একজন ভক্ত:
    “যদি কারুর মা বলেন, ‘তুই দক্ষিণেশ্বরে যাস না’, যদি দিব্যি দেন, আর বলেন — ‘যদি যাস, তো আমার রক্ত খাবি!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ বলেন — যে ‘মা’ ও কথা বলে, সে মা নয়; সে অবিদ্যারূপিণী। সেই মায়ের কথা না শুনলে কোনো দোষ নেই, কারণ সে মা ঈশ্বরলাভের পথে বাধা দেয়। ঈশ্বরের জন্য গুরুজনের বাক্য লঙ্ঘনে দোষ নেই। ভরত রামের জন্য কৈকেয়ীর কথা শোনেনি, গোপীরা কৃষ্ণ দর্শনের জন্য স্বামীদের মানা শোনেনি, প্রহ্লাদ ঈশ্বরের জন্য পিতার কথা মানেনি, বলি ভগবানের প্রীতির জন্য গুরু শুক্রাচার্যের কথা মানেনি, বিভীষণ রামকে পাওয়ার জন্য রাবণের কথা শোনেনি।

  • Daily Horoscope 10 July 2025: বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 10 July 2025: বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    India: আফগানিস্তান সম্পর্কে খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত (India)। নয়াদিল্লির প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, আগের মতো কাজ চালিয়ে যাওয়া পদ্ধতি সম্ভবত সেই ফল এনে দেবে না, যা বৈশ্বিক সম্প্রদায় আফগান (Taliban) জনগণের জন্য কল্পনা করে।

    জার্মানির খসড়া প্রস্তাব (India)

    রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সেখানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গ্রহণ করা হয় জার্মানির প্রস্তাবিত একটি খসড়া প্রস্তাব। প্রস্তাবটি ১১৬টি ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবের বিরোধিতা করে  ২টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। এর মধ্যে ছিল ভারতও।

    কেন ভোট দেয়নি ভারত

    কেন ভোটদানে বিরত ছিল ভারত? এর উত্তরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পার্বতনেনি হরিশ বলেন, “সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে কোনও সুসংগঠিত নীতির মধ্যে নীতিগত উপকরণগুলির একটি সুষম সংমিশ্রণ থাকতে হবে — যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহ দেওয়া হবে এবং ক্ষতিকর কাজকর্মকে নিরুৎসাহিত করা হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র দণ্ডমূলক পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করে কোনও কৌশল সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। রাষ্ট্রসংঘ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য সংঘাত-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সূক্ষ্ম পন্থা গ্রহণ করেছে।” হরিশ বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।” তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ প্রচেষ্টা পরিচালিত হওয়া উচিত এমনভাবে যাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্বারা মনোনীত সত্তা ও ব্যক্তিবর্গ, আল কায়েদা ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠী, আইএসআইএল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি — যার মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো গোষ্ঠী ও তাদের আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষকরা (Taliban) অন্তর্ভুক্ত — যাতে আর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করতে (India) না পারে।” ভারতের নিশানায় যে পাকিস্তান, তা স্পষ্ট এই ইঙ্গিতেই।

    আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি

    খসড়া প্রস্তাবটি আঞ্চলিক সহযোগিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক অংশীদার এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির অবদানকে আফগান জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেছে। এর মধ্যে ভারতের, ইরানের ও তুরস্কের মতো দেশগুলির প্রদত্ত শিক্ষার সুযোগ এবং কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানে আফগান শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত। এই সুযোগগুলি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের প্রতি আঞ্চলিক ঐক্য ও বিনিয়োগের একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে তালিবানকে তাদের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং এই বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার সুবিধা নিতে প্রয়োজনীয় কাঠামো গঠনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    এশিয়ার ‘ল্যান্ড ব্রিজ’

    প্রস্তাবটি আফগানিস্তানের সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করতে পারে। এছাড়া আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তঃআঞ্চলিক অর্থনৈতিক (Taliban) প্রক্রিয়ায় একীভূত হওয়াকেও স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে (India)। এটি আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যেখানে দেশটি এশিয়ার একটি ‘ল্যান্ড ব্রিজ’ হিসেবে কাজ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ভারতের মানবিক সহায়তা দান

    এছাড়াও প্রস্তাবটিতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে আঞ্চলিক সংযুক্তি প্রকল্পগুলির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যেগুলি দেশটিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নিতে যেতে পারে। হরিশ বলেন, “আফগানিস্তানে ভারতের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে মানবিক সহায়তা দান এবং আফগান জনগণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ বাস্তবায়ন।” তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও খেলাধুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আফগান জনগণকে সাহায্য করা যায়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রমাণিত হয়েছে দেশের সকল প্রদেশজুড়ে ৫০০-রও বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে (India)।”

    তালিবানের কাবুল দখল

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের (Taliban) অগাস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ভারত প্রায় ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম, ৩৩০ মেট্রিক টনেরও বেশি ওষুধ ও টিকা, ৪০,০০০ লিটার কীটনাশক মালাথিয়ন এবং ৫৮.৬ মেট্রিক টন অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করেছে। ভারতের এই সাহায্য চরম সংকটে থাকা লাখো আফগানকে সাহায্য করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দফতর (UNODC)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে, ভারত আফগানিস্তানে মাদক নিরাময় কর্মসূচির জন্য, বিশেষ করে নারীদের জন্য ৮৪ মেট্রিক টন সহায়তা ও ওষুধ এবং ৩২ মেট্রিক টন সামাজিক সহায়তা সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারত এখনও আফগান ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি ও ফেলোশিপ দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সাল (Taliban) থেকে ভারত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রায় ২,০০০ জন আফগান শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন নারী (India)।

  • India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    India vs England: লর্ডসের সবুজ পিচে ভয় ধরাবে বুমরা! তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোর বর্তমানে ১-১। লর্ডস টেস্ট জিতলেই সিরিজে এগিয়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে লর্ডস টেস্টটা চ্যালেঞ্জিং করতে ইংল্যান্ডের অস্ত্র সবুজ পিচ। অনুশীলনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লর্ডসে পিচের উপর সবুজ আস্তরণ। এক নজরে দেখলে মাঠ আর পিচের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হবে। তবে, বুধবার খেলার আগের দিন সকালে কিছুটা ঘাস ছাঁটা হল লর্ডসের। আসলে এজবাস্টনে যশপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় পেস ব‌্যাটারি যেভাবে ইংল‌্যান্ড ব‌্যাটিংকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, তাতে ব্রেন্ডন ম‌্যাকালামের টিম পুরোপুরি সবুজ উইকেট খেলার সাহস মনে হয় না দেখাবে। তবে একটা কথা ঠিক, লর্ডসের উইকেট পেসারদের অনেক বেশি সাহায‌্য করবে। সেটাই ভারতীয় পেসারদের আরও তাতিয়ে দিচ্ছে।

    লর্ডসে জয়ের আশা

    সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লর্ডসের মাটিতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামবে ভারতীয় দল। পরিসংখ্যান বলছে, এখানে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে দুইটিতে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইবে গৌতম গম্ভীরের ছাত্ররা। তৃতীয় টেস্টের আগে সবচেয়ে বড় খবর হল অভিজ্ঞ পেসার বুমরা ফিরছেন একাদশে। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে বুমরা লর্ডস টেস্ট খেলবেন। বুমরার ফিরে আসা দলের বোলিং ইউনিটে নতুন গতি ও ধার যোগ করবে নিঃসন্দেহে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বল হাতে দারুণ লড়াই করেছেন মহম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ, তবে বুমরার মতো ম্যাচ উইনার বোলারের প্রত্যাবর্তন যেকোনো দলের জন্য বিশাল স্বস্তির। বুমরা ফিরলে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।

    ইংল্যান্ডের দলে পরিবর্তন

    অন্যদিকে, ইংল্যান্ড দলেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই তারকা পেসার জোফরা আর্চার ও গাস অ্যাটকিনসন দলে ফিরছেন। দুর্বল বোলিং আক্রমণ তাদের প্রথম দুই টেস্টে ব্যাকফুটে রেখেছিল। আর্চার ও অ্যাটকিনসন ফিরলে দলে ভারসাম্য আসবে। তারা ব্রাইডন কার্সে ও জশ টাংয়ের জায়গা নিতে পারেন। বিকল্প হিসেবে ক্রিস ওকসকে বাদ দিয়ে জশ টাংকে রাখা হতে পারে। ব্যাটিং লাইনআপেও পরিবর্তন হতে পারে—ফর্মহীন জ্যাক ক্রলি’র জায়গায় ঢুকতে পারেন জ্যাকব বেথেল।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, কে এল রাহুল, করুণ নায়ার, শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির

  • CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বরাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থানকে ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ (Pakistan China Bangladesh)। ত্রিশক্তির এই আঁতাত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল (CDS Gen Chauhan) অনিল চৌহান। তিনি বলেন, “এই তিনটি দেশের মধ্যে আঁতাত হলে তা গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।”

    পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন! (CDS Gen Chauhan)

    ভারতকে ‘টাইট’ দিতে পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন। এদিনের অনুষ্ঠানে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেনারেল চৌহান বলেন, “দেশের সামরিক ভান্ডার সুসজ্জিত করতে গত পাঁচ বছরে চিনের কাছ থেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে পাকিস্তান। চিনের সামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বহিরাগত শক্তিগুলি তাদের প্রভাব কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছে।” ভারতের সুরক্ষায় এই প্রভাব দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে দাবি করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। নয়াদিল্লির এই অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। পাল্টা আক্রমণ করে পাক সেনা। এর পর ৭-১০ মে পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। শেষে নরেন্দ্র মোদির ভারতের বিক্রমের কাছে হার মানে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই পাকিস্তানের তরফে আসে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিনের অনুষ্ঠানে অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Gen Chauhan)। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এটি কয়েকদিনের একটি সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছিল। তবে এটা ঠিক যে, এই সময়ে দেশের উত্তর সীমান্তে কোনও সমস্যা করেনি শি জিনপিংয়ের দেশ চিনের সেনাবাহিনী (Pakistan China Bangladesh)।” তিনি বলেন, “পারমাণবিক কোনও শক্তির দ্বারা তাদের দমানো যাবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তবে এই প্রথম পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ সরাসরি জড়িয়ে পড়ে সামরিক সংঘাতে।” চৌহান বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র আবিষ্কারের পর থেকে বিশ্বজুড়ে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।” তিনি বলেন, “সেই সব ঘটনার বিচারে অপারেশন সিঁদুর খানিক আলাদা। এর থেকে দেশ তথা বিশ্ব আগামী দিনে শিক্ষা নিতে পারবে।”

    কী বললেন চৌহান?

    তাঁর যুক্তির সমর্থনে এদিন তিনটি মৌলিক মতামত তুলে ধরেন চৌহান। তিনি বলেন, “প্রথমত, ভারতের পারমাণবিক মতবাদে এই শক্তিকে সর্বপ্রথম ব্যবহারের কোনও জায়গা নেই। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে। দ্বিতীয়ত, জবাবি হামলায় ভারত শুধু জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে।” তিনি বলেন, “বিষয়টি বাকিদের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার মতো শোনালেও, আগামী দিনে এই হামলা রুখতে ভারতের প্রয়োজন ছিল এই পদক্ষেপের (CDS Gen Chauhan)।”

    সেনা সর্বাধিনায়কের বক্তব্য

    সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, বর্তমানে যুদ্ধের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে (Pakistan China Bangladesh)। ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল, হাইপারসোনিক অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা সম্পূর্ণ রক্ষা পাওয়ার পদ্ধতি বিশ্বের কোনও দেশের কাছেই নেই। ফলে ভারতকে পুরানো এবং নতুন উভয় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান।

    সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

    গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। বাংলাদেশের রাশ ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। আর শুনতে খারাপ লাগলেও, তাঁর আমলেই বাংলাদেশে চরমে ওঠে হিন্দু নির্যাতন। মন্দির-বিগ্রহ ভাঙচুরের পাশাপাশি নির্বিচারে খুন করা হয় হিন্দুদের। সীতা-সাবিত্রীর ধর্মের মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরিরত হিন্দু পদাধিকারীদের রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় কোনও কারণ ছাড়াই। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র (CDS Gen Chauhan)। তার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এহেন আবহে সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    চৌহান বলেন, “চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য স্বার্থের মিল রয়েছে (Pakistan China Bangladesh), যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি এবং যার প্রভাব ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পড়তে পারে (CDS Gen Chauhan)।”

  • Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    Islamic Conversion Racket: ছাঙ্গুরবাবা সেজে ধর্মান্তরের কারবার ফেঁদেছিল জামালউদ্দিন, শেষ রক্ষা হল কই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (UP) মিলল ধর্মান্তর চক্রের বড়সড় হদিশ। রাজ্য পুলিশ ও সন্ত্রাসবাদ দমন স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে মেলে এই চক্রের হদিশ। অভিযোগ, এই চক্র পরিচালনা করছিল জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা (Islamic Conversion Racket)। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতারণা ও প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তরিত করা। ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে শান্তি, সম্প্রীতি ও নারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের কোনও ঠাঁই নেই। ছাঙ্গুরবাবাকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যা অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।”

    অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ (Islamic Conversion Racket)

    উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি, জামালউদ্দিন এই বাড়ি থেকেই অবৈধ ধর্মান্তকরণের ‘কারবার’ শুরু করেছিল। লখনউ থেকে মুম্বই পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই চক্রের জাল। জামালউদ্দিনের লোকজন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, টোপ দিয়ে, কখনও আবার ভয় দেখিয়ে হিন্দু তরুণীদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করত। এজন্য লেনদেন হত বিপুল পরিমাণ টাকা। জামালউদ্দিনের ফাঁদে পড়ে কিছু মানুষ মুসলিম হওয়ার পর ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চক্রের কথা। তদন্তে নামে এটিএস। এই গ্যাংয়ের বাকিদের গ্রেফতার করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

    ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড়

    তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্মান্তরণের এই চক্রের শেকড় বিস্তৃত আন্তর্জাতিক পর্যায়েও, বিশেষ করে আরব আমিরশাহিতে। জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাংলোয় তার সঙ্গে থাকত নিতু রোহরা, নবীন রোহরা ও তার মেয়ে। এই তিনজনকেই জামালউদ্দিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছিল। বাড়িটিতে থাকত জামালউদ্দিনের ছেলে মেহবুবও। চারজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই পাঁচ বছরে নিতু আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল ১৯ বার। এটিএস জেনেছে (Islamic Conversion Racket), নিতু, তার স্বামী নবীন রোহরা এবং তাদের মেয়ে ২০১৫ সালে দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ধর্মান্তরণের সার্টিফিকেট নিয়েছিল। যদিও তাদের পাসপোর্টের রেকর্ডে ভ্রমণের তারিখ নিয়ে অসঙ্গতি রয়েছে।

    পাঁচ বছরে ১৯ বার আরবে!

    মাত্র পাঁচ বছরে এতবার নিতু কেন আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিল, বিদেশি অর্থায়নের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক, তা খতিয়ে দেখছে এটিএস। জামালউদ্দিনের অপারেশন ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত। সে একাধিক ভুয়ো ট্রাস্ট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মধ্যে ছিল “আস্বি এন্টারপ্রাইজেস”, “আস্বি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট”, “আসিপিয়া হাসনি হুসেইনি কালেকশন” এবং “বাবা তাজউদ্দিন আস্বি বুটিক”। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত বিদেশি তহবিলকে সাদা করার (মানি লন্ডারিং) জন্য ব্যবহৃত হত। ধর্মান্তরকরণের উদ্দেশ্যেই এই অর্থ আসত বিদেশ থেকে। এসব ভুয়ো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে (UP) যুক্ত আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা দেখেন, জামালউদ্দিন ৬ লাখ টাকা একটি বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। এনইএফটির মাধ্যমে স্থানান্তর করেছিল ১০ লাখ টাকাও। এছাড়াও তার সহযোগীদের সঙ্গে আরও অনেক সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে (Islamic Conversion Racket)।

    নেটওয়ার্ক বিস্তৃত বহুদূর

    জামালউদ্দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ছিল পুনের ইদুল ইসলাম। সে এই নেটওয়ার্ক বিস্তারে সাহায্য করত। জামালউদ্দিন অন্যান্য রাজ্যেও জমি ও সম্পত্তি কিনে অপারেশনাল বেস গড়ে তুলেছিল। এসটিএফ জানিয়েছে, জামালউদ্দিনের পুনেতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। লোনাভালায় তার এক সহযোগী মহম্মদ আহমেদ খানের নামে ১৬ কোটি টাকার একটি সম্পত্তিও সে কিনেছে।

    মিলত মোটা অঙ্কের ইনাম

    এই ধর্মান্তর চক্রে জড়িত মুসলিম পুরুষদের টাকাও দেওয়া হত। কোনও হিন্দু মহিলাকে প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তর করলেই জুটত মোটা অঙ্কের ইনাম। যেসব মহিলাদের ধর্মান্তর করা হত, তাঁদের জাত অনুসারে ঠিক হত টাকার অঙ্ক। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা শিখ নারীদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্ততর করতে পারলেই মিলত ১৫-১৬ লাখ টাকা। মহিলা যদি ওবিসি সম্প্রদায়ের হলে মিলত ১০-১২ লাখ টাকা। অন্যান্য জাতের মহিলাদের ধর্মান্তর করতে পারলে মিলত আরও কম টাকা। এর পরিমাণ ৮-১০ লাখ টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন করতেই শুরু হয়েছিল এই ‘ব্যবসা’। প্রসঙ্গত, এই মডেলটি অনেকটা বেওয়ার মুসলিম গ্যাং কেসের মতো। সেখানে হিন্দু স্কুলছাত্রীদের টার্গেট করে শোষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের জন্য একইরকম পন্থা অবলম্বন করা হত (Islamic Conversion Racket)।

    রাজনীতির কারবারি থেকে ধর্মান্তর চক্রের চাঁই!

    জামালউদ্দিন ছিল রেহরা মাফি গ্রামের বাসিন্দা। সস্তার আংটির (UP) ফেরিওয়ালা ছিল সে। ২০১৫ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে গ্রামপ্রধান হয় সে। তার পর থেকেই দ্রুত ঘুরতে থাকে তার ভাগ্যের চাকা। রাজনীতিতে ‘মধু’র স্বাদ পেয়ে ছেলে মেহবুবকেও রাজনীতিতে নিয়ে আসে জামালউদ্দিন। যদিও তার পরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল টাকা খরচ করেও আর জিততে পারেনি সে। রাজনীতির এই ‘কারবারে’র পাশাপাশি জামালউদ্দিন বিস্তার করতে থাকে ধর্মান্তর চক্রের জাল। এজন্য অর্থও আসতে থাকে বিদেশ থেকে। রাতারাতি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায় জামালউদ্দিন। সে একাধিক সম্পত্তি কেনে, নির্মাণ করে শোরুম, বানায় বিলাসবহুল বাড়ি, কেনে দামী দামী গাড়িও (Islamic Conversion Racket)।

    মঙ্গলবার কোতোয়ালির উতরৌলায় মধুপুরে জামালউদ্দিনের প্রাসাদোপম বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল বাড়িটি (UP)। সেটি খালি করার জন্য তাকে তিনবার নোটিশও দেওয়া হয়েছিল (Islamic Conversion Racket)।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজে (Kasba Case) গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি। আবার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে মঙ্গলবার ‘ভাইপো গ্যাং’-র তালিকা প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কসবার ল কলেজের মতো রাজ্যের প্রতিটি কলেজেই ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্যরা সক্রিয়, যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় মেয়েদের উপর নির্যাতন এবং টাকা তোলার মতো অপরাধে যুক্ত।

    কারা রয়েছে তালিকায়

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, যোগ্যরা সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সব ছাত্ররা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করে। মনোজিত মিশ্রের মতো বহু ছাত্রী নির্যাতনকারী আজ কলেজ চত্বরে ক্ষমতার রক্ষাকবচ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের নাম প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে করলে আরও ১,০০০ জনের তালিকা দিতে পারি। সেই প্রস্তুতিও চলছে।’’ সেইসব ছবিতে তৃণমূল ও টিএমসিপি-র কোন কোন নেতা-নেত্রী কোথায় চাকরি পেয়েছেন সেসব তুলে ধরেন শুভেন্দু। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা। যিনি বর্তমানে অশিক্ষক কর্মী। আবার টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজের কর্মী। আশুতোষ কলেজের টিএমসিপি-র প্রাক্তন জিএস উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নাসির বাগানি সোনারপুর কলেজের কর্মী।

    কেন এই হাল

    শাসকদলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিত রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা আজ তলানিতে ঠেকেছে। প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ, কারণ এরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক। অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ রুমগুলোকে নোংরামির জায়গায় পরিণত করেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে কিছু বলেন না। আরেকদল অযোগ্য হয়ে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে। তাই শাসকদলের ছাত্রদের চটাতে চায় না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আজ যে ৫০ জনের তালিকা দেওয়া হল তারা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে। যার জন্য যোগ্যরা বঞ্চিত। সিপিএমের আমলেও বড়ো বড়ো ক্যাডারারও এভাবে যোগদান করেছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করব। প্রথমে ক্যাজুয়াল ঢুকিয়ে দেয় তারপর কাজ দেখিয়ে রেগুলার করে দেয়।’’ এই তালিকায় ২-৪ জন অধ্যাপকও আছেন, যাদের জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    পুলিশই সমস্যা

    একই দিনে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং জানান, ‘‘এটাই প্রথম দেখলাম, নির্যাতিতার এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দিয়ে ‘এম. জে.’ লেখা হয়েছে। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগ বদলে দিচ্ছে। যেখানে অভিযোগই পালটে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে?’’ পুলিশকে নিশানা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মূল সমস্যা পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সব কিছুর সমাধান হবে।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক

    আগামী ৯ অগস্ট তিলোত্তমাকে খুনের এক বছর পূর্ণ। ওইদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওইদিন ২ জায়গা থেকে লাখ খানেক লোক আসবে। বাস আটকালে, ট্রেনে লোক আসবে। সাঁতরাগাছি থেকে লোক আসবে। সেদিন তিলোত্তমার সেন্টিমেন্টে ও তাঁর বাবার আহ্বানে ভিড় করবে মানুষ।” তিলোত্তমার খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়াবেন না। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রোজ মনিটরিং করেছে আরজি কর মামলা। সিবিআই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারে না। অভিজিৎ সরকারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের লড়াই দেখেছি। বাধ্য হয়েছে পরেশ পালের নাম ঢোকাতে। এখানেও সিবিআই বাধ্য হবে। ১৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আবার আরজি করের শুনানি রয়েছে। কেউ শিথিলতা দেখলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।”

    উত্তরকন্যা অভিযান

    আগামী ২১ জুলাই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে। ওইদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উত্তরকন্য়া অভিযানের অনুমতি দেবে না আমি জানি। দুটো কারণ, ২১ জুলাই কোথাও কোনও কিছু হোক এই সরকার চায় না। আমাদের কর্মসূচির কাছে ওদের ২১ জুলাই যদি ফ্লপ হয়ে যায়, তাই এটা করতে চায় না। মহামান্য আদালত অনুমতি দিলে কলকাতা থেকে ৬০০ কিমি দূরে কর্মসূচি সফল হবে।”

     

     

     

     

     

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update)। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ, বুধবার থেকে তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়াও। দক্ষিণের পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও।

    নিম্নচাপ অঞ্চল (Weather Update)

    হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। বঠিন্ডা, রোহতক, কানপুর, ডালটনগঞ্জ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের নিম্নচাপ অঞ্চলের কেন্দ্র বরাবর দক্ষিণপূর্বে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি মৌসুমি অক্ষরেখাও। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ুও। এ সবের জেরে সপ্তাহভর ঝড়বৃষ্টি চলবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। দক্ষিণের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বিশেষ কোনও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে (Weather Update)।

    সপ্তাহব্যাপী ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি ও সোমবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং  কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মাঝে কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবেই।

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতার বেশিরভাগ রাস্তাই জলমগ্ন। জল জমেছে হাওড়ারও কিছু অংশে। টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়তে পারে শিলাবতী, কংসাবতীতে। ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি (Heavy Rainfall)। ডিভিসির ছাড়া জলে বিপদ বাড়তে পারে হাওড়া ও হুগলিতে (Weather Update)।

  • India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    India-Brazil Relation: “ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক ফুটবলের মতো আবেগময়” লুলার সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন মোড়। ভারত ও ব্রাজিল (India-Brazil Relation) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ করে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ছাড়াও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও পাশে থাকবে ভারতের ব্রাজিল। মঙ্গলবার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকের পরে এই কথাই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবদানের কথা মেনে নেন লুলা। তাই মোদিকে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অফ দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করা হয়।

    সন্ত্রাসের বিরোধিতায় পাশাপাশি

    পাকিস্তান এবং চিনের নাম না করেই ব্রাজিল থেকে দুই দেশকে বার্তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Brazil)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত এবং ব্রাজিল দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ এবং যারা এই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে তাদের বিরোধিতা করছে।’ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরে, সাংবাদিক সম্মেলেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একই রকম। এই ক্ষেত্রে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছি। এই ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতির কোনও জায়গা নেই।’ এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলার পরে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ব্রাজিল। এই জন্য এ দিন আবার সেই দেশের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদি।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি

    দুই দেশের (India-Brazil Relation) প্রতিনিধিদের মধ্যে এ দিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং ওষুধ, মহাকাশ, খাদ্য এবং জ্বালানি নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, নতুন প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সুপার কম্পিউটার, ডিজিটাল সহযোগিতার মতন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা। এ দিন একাধিক চুক্তিতেও স্বাক্ষর করছে ভারত এবং ব্রাজিল। দুই দেশের মধ্যে শক্তি, কৃষি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধসহ মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    ভারত-ব্রাজিল রঙিন সম্পর্ক

    ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক (India-Brazil Relation) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি বলেন, “আমরা চাই ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক হোক রঙিন কার্নিভালের মতো, ফুটবলের মতো আবেগময় এবং সাম্বার মতো হৃদয়স্পর্শী – ভিসা কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনের দরকার নেই!” তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পর্যটক, শিক্ষার্থী, ক্রীড়াবিদ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উভয় নেতা সম্মত হন যে, সমস্ত বিরোধ আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। মোদি বলেন, “ভারত-ব্রাজিল অংশীদারিত্ব বিশ্ব স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। সেটিকে ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পাশাপাশি শক্তি খাতে সহযোগিতাও বাড়ছে। মোদি বলেন, “পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি দুই দেশেরই অগ্রাধিকার। আজকের এই চুক্তি আমাদের সবুজ লক্ষ্যে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে।” প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রসঙ্গে মোদি জানান, “আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের মধ্যে গভীর আস্থা ও বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে।”

    আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-ব্রাজিল সম্পর্ক

    দুই দেশ (India-Brazil Relation) এখন ব্রাজিলে ভারতের ইউপিআই (Unified Payments Interface) চালু করার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মোদি। তিনি বলেন, “ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভিজ্ঞতা ব্রাজিলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।” মোদি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সুপারকম্পিউটিং ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়ছে, যা দুই দেশের মানব-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের প্রতিফলন। কৃষি গবেষণা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং আয়ুর্বেদ ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রসারের ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত-ব্রাজিল সমন্বয় প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “দুটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমাদের সহযোগিতা শুধু গ্লোবাল সাউথের জন্য নয়, গোটা মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে আমাদের যৌথ দায়িত্ব এই অঞ্চলের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা।” মোদি-লুলার এই বৈঠক ভারত-ব্রাজিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    সম্মানিত মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রাজিলের (PM Modi in Brazil) সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব দ্য সাউদার্ন ক্রস’ প্রদান করল সে দেশের সরকার। ভারত-ব্রাজিলের সহযোগিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মোদির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এই সম্মান প্রদান করেন। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এটি মোদির ২৬তম আন্তর্জাতিক সম্মান।

     

     

     

     

     

     

  • Ramakrishna 404: ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন, ঘরে প্রদীপ জ্বলিতেছে

    Ramakrishna 404: ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন, ঘরে প্রদীপ জ্বলিতেছে

    এই বলে মাস্টারের হাত ধরে তাঁর উপর ভর করে কালীঘরের সম্মুখ চাতালে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে বসে পড়লেন। বসার পূর্বে বললেন, — “তুমি বরং ওকে ডেকে দাও।”

    মাস্টার বাবুরামকে (পরবর্তীকালে স্বামী প্রেমানন্দ) ডেকে পাঠালেন।

    ঠাকুর মা কালী দর্শন করে বৃহৎ উঠোনের মধ্যে দিয়ে নিজের ঘরে ফিরে আসছেন। মুখে উচ্চারিত হচ্ছে— — “মা… মা… রাজরাজেশ্বরী…”

    ঘরে এসে আবার ছোট খাটে বসে পড়লেন। ঠাকুরের এক অদ্ভুত অবস্থা দেখা যাচ্ছে। কোনও ধাতুর বস্তুতে তিনি হাত দিতে পারছেন না। বলেছিলেন, — “মা বুঝি ঐশ্বর্যের ব্যাপারটি মন থেকে একেবারে তুলে দিচ্ছেন। এখন কলাপাতায় আহার করি, মাটির ভাড়ে জল খাই। গাড়ু (পিতলের পাত্র) ছুঁতে পারি না। তাই ভক্তদের বলেছি মাটির ভাড়া নিয়ে আসতে। গাড়ু বা ধাতুর থালায় হাত দিলে ঝনঝন শব্দ হয়, যেন শিঙি মাছের কাঁটা বিঁধছে হাতের মধ্যে।”

    প্রসন্ন কয়েকটি ভাঁড় নিয়েছিলেন। ঠাকুর হাসিয়া বলিতেছেন, “ভাঁড়গুলি বড়-ছোট! কিন্তু ছেলেটি বেশ, আমি বলাতে আমার সামনে ন্যাংটো হয়ে দাঁড়ালো — কী ছেলে মানুষ!”

    ভক্ত ও, কামিনী-সাধু — সাবধান!

    বেলঘরের তারক একজন বন্ধুর সঙ্গে উপস্থিত হইলেন। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন, ঘরে প্রদীপ জ্বলিতেছে। মাস্টারও দুই-একটি ভক্তও বসিয়া আছেন।

    তারক বিবাহ করিয়াছেন। বাপ-মা ঠাকুরের কাছে আসিতে দেন না। কলকাতায় বউবাজারের কাছে বাসা আছে — সেখানেই আজকাল প্রায় থাকেন। তারককে ঠাকুর বড় ভালবাসেন। সঙ্গে ছোকরাটি একটু তমোগুণী; ধর্ম বিষয়ক, ঠাকুরের সম্বন্ধে একটু ব্যঙ্গ ভাব। তারকের বয়স আন্দাজ বিংশতি বৎসর। কারও কাছে ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ তারকের বন্ধুর প্রতি —
    “একবার দেবালয়ে সব দেখে এসো না।”

    বন্ধু:
    “ও, সব দেখা আছে।”

    শ্রী রামকৃষ্ণ:
    “এনিই হেডমাস্টার?”

    বন্ধু:
    “ও।”

LinkedIn
Share