Blog

  • Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    Artificial Photosynthesis: আর প্রয়োজন নেই সূর্যালোকের, অন্ধকারেই হবে সালোকসংশ্লেষ! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর প্রয়োজন হবে না প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষ (Photosynthesis) প্রক্রিয়ার! কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ (artificial photosynthesis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন করা যাবে খাদ্য। সেই খাদ্যেই এবার পেট ভরাবে তামাম বিশ্ববাসী। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষণায়। সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচারফুড (Nature Food) পত্রিকায়। প্রকাশিত গবেষণাপত্রে হইচই বিশ্বজুড়ে।

    গাছের পাতাকে বলা হয় রান্নাঘর। মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে জল সংগ্রহ করে গাছ। পাতা দিয়ে শোষণ করে সূর্যালোক। তাকে কাজে লাগিয়ে গাছ তৈরি করে খাবার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে সালোকসংশ্লেষ। কাবর্ন ডাইঅক্সাইড (CO2) শোষণ করে গাছ বাতাসে অক্সিজেন (O2) ছাড়ে। সেই অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে তামাম প্রাণীজগৎ।

    আরও পড়ুন : একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    তবে, বিজ্ঞানীদের দাবি, এবার আর কেবল এই প্রাকৃতিক সালোকসংশ্লেষের ওপর নির্ভর করতে হবে না। কারণ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উৎপন্ন হবে মানুষের খাবার মায় অক্সিজেনও।

    কী এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ?

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ সিস্টেম মূলত উৎসেচক-নির্ভর রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখে। এই উৎসেচক হাইড্রোজেন শক্তি এবং জৈব রাসায়নিক ট্রান্সডুসার দ্বারা চালিত হয়। হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ ব্যবহার করে হাইড্রোজেন শক্তি উৎপন্ন হয়। 

    ট্রান্সডুসার হল যেকোনও মেডিকেল আল্ট্রাসাউন্ড সিস্টেমের একটি অংশ। একটি ট্রান্সডুসার যে কোনও প্রাকৃতিক পরিমাণকে বৈদ্যুতিক সংকেতে এবং এর বিপরীতে রূপান্তর করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষণ ব্যবস্থার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে পিভি প্যানেল যা সিস্টেমের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে, কার্বোহাইড্রেট আকারে শুষ্ক কৃষি, তরল জ্বালানি, রাসায়নিক ফিডস্টক এবং পলিমার যা ফাইবার তৈরি করে এবং ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত হাইড্রোজেন। 

    কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের প্রক্রিয়ায় গবেষকরা দ্বিস্তরীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, বিদ্যুৎ ও জলের মিশ্রণের মাধ্যমে অ্যাসিটেট যৌগ তৈরি করেন। অ্যাসিটেট হল ভিনিগারের অন্যতম প্রধান উপাদান। আলোর অবর্তমানে খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবগুলি তখন এই অ্যাসিটেটকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে অ্যাসিটেট সমৃদ্ধ ইলেক্ট্রোলাইজারের মাধ্যমে সরাসরি অন্ধকারে বহু খাদ্য-উৎপাদনকারী জীবের প্রসার ঘটতে পারে।

    বিশ্বজুড়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে খাদ্যের চাহিদাও। এই চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন আরও খাবার উৎপাদনের। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষের ফলে পৃথিবীজুড়ে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট (Global Food Crisis) সমস্যার সমাধান হবে, কমবে দূষণও (Pollution)। 

     

  • Calcutta High Court DA case: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court DA case: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও মেটানো হয়নি কর্মীদের ডিএ (DA)। সেই কারণে এবার রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ (electricity) সংস্থা পিডিসিএল (PDCL) এবং এসিডিএসএলের (ACDSL) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই দুই সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থা পিডিসিএল এবং এসিডিএসএলের কর্মীরা তাঁদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তার পরেও মহার্ঘ ভাতা না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মীদের ডিএ মেটানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল আদালত। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় এবার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    এই মামলায় আদালতের নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দিতে হবে কর্মীদের। তা না মেটানোয় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার ও দুই সংস্থার সিএমডি-র বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না কর্মীদের বকেয়া ডিএর পাঁচ ভাগের একভাগ মেটানো হচ্ছে, ততদিন বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্দেশ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।

    আদালতের নির্দেশে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বকেয়া ডি এ-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দিয়ে শুধু ২০১৯ সালের বকেয়ার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের নতুন রোপা রুল (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) অনুযায়ী বকেয়া ডিএ হিসাব করে তার এক পঞ্চমাংশ দেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্ন তোলে আদালত।

    আরও পড়ুন : বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী হাইকোর্ট, এবার তৃণমূলের রোষে খোদ বিচারপতি

    এর পরেই এদিন দুই সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, টাকার জন্য কাঁদছে। অবাক লাগে। তাঁর প্রশ্ন, বাদাম খাওয়ার টাকা দিয়েছেন নাকি? সংস্থার কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কর্মীরাও মানুষ। তাঁরা এন্ট্রি খাতা নন। তাঁদের ছাড়া সংস্থা চলে না। ঠিক মতো ব্যবহার করুন।

    এর আগের শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ২৩ জুনের মধ্যে দুই সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বকেয়া ডিএ-র পাঁচভাগের একভাগ মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া মেটানোর পরের দিন আদালতে এসে নির্দেশ পালন হয়েছে কিনা, তাও জানাতে বলা হয়েছিল। সময় দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সেই কারণেই শুক্রবার হয় ওই মামলার শুনানি।

     

  • New Labour Codes: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে

    New Labour Codes: সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি, আর কী পরিবর্তন আসল নতুন শ্রমবিধিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু আলোচনার-পর্যালোচনার পর নয়া শ্রমবিধি (New labour codes) প্রকাশ করল কেন্দ্র। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই লাগু  হবে এই নতুন শ্রমবিধি। এই শ্রমবিধি কার্যকর হলে বাড়তে পারে সাপ্তাহিক ছুটি, অবসরকালীন কিছু সুযোগ-সুবিধাও আসতে পারে এই নতুন নিয়মে। এই সবকিছু ভালোর মধ্যে একটিই নেতিবাচক দিক, তা হল নয়া শ্রমবিধিতে কমে যেতে পারে টেক-হোম বেতন। অর্থাৎ সব কেটে-কুটে যে টাকা আপনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, তা কমে আসবে। 

    সূত্রের খবর, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হতে পারে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারটি আইনের  চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছিল। একইভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০, কোড অন সোশ্যাল সিক্যুরিটি ২০২০, অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০ – এই চার বিধি নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্য এই আইনগুলির খসড়া গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায় সমস্ত রাজ্য একসঙ্গে এই চারটি পরিবর্তন কার্যকর করুক।

    আরও পড়ুন: জুলাইয়েই ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র, কত হবে বেতন?        

    নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাদের মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। নতুন নিয়মে পিএফে বেশি টাকা রাখতে হবে কর্মীকে। অবসরের সময় তা অত্যন্ত লাভজনক। নতুন শ্রমবিধিতে কর্মীদের গ্র্যাচুইটিও বাড়বে। অবসরের পরে তাতেও লাভবান হবেন তাঁরা। তবে, এই নতুন নিয়মে টেক হোম স্যালারি কমতে পারে।  

    সরকার খসড়ায় চার দিনের কর্ম সপ্তাহের প্রস্তাব করেছে। মানে সপ্তাহে চারদিন কাজে যেতে হবে আর তিনদিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। তবে যে বাড়তি একদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে তা পুষিয়ে দিতে হবে, বাকি দিনগুলিতে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে। সরকারের প্রস্তাব, একজন কর্মচারীকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে।   

    নতুন শ্রমবিধির পরিবর্তনগুলি এক নজরে:

    পাঁচ দিনের বদলে কর্মীদের চার দিন কাজ করতে হবে।

    সপ্তাহে তিন দিন ছুটি পেলে কর্মীকে বাকি চার দিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে।   

    কর্মচারীদের মূল বেতন হবে তাঁদের  মোট বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ। পিএফে কর্মীদের অবদান বাড়বে।

    নতুন নিয়মে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ -কে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।

    গ্র্যাচুইির পরিমাণ বাড়বে।

    আরও পড়ুন: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    তবে দিনে ১২ ঘণ্টার কাজ হলে, সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারে কোম্পানিগুলি। বেশি টাকা গুনতে হতে পারে তাদের। কারণ ফ্যাক্টরি অ্যাক্টের আওতায় যে কোম্পানিগুলি রয়েছে কোনও কর্মী দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে তাদের ‘ওভার টাইম’- এর টাকা দিতে হবে।

    স্পেন, জাপান, নিউজিল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই সাপ্তাহিক তিন দিন ছুটির নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে।  

     

     

     

     

     

     

  • India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    India US relation: ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পাশে রয়েছে আমেরিকা (America)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়া (Russia) -ভারত সম্পর্ক বহু পুরানো। তখন বন্ধু (Partner) খুঁজতে তারা প্রস্তুত ছিল না বলেও জানিয়েছে আমেরিকা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বদলে গিয়েছে বিশ্বরাজনীতি। গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একটা অংশ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পাশে। আর একটি অংশ রাশিয়ার পাশে। ইউক্রেনের পাশে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকা। এমতাবস্থায় ভারত এখনও সম্পর্ক রেখে চলেছে রাশিয়ার সঙ্গে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের যে নিষেধাজ্ঞা কানে তোলেনি সাউথব্লক। যুদ্ধের আবহেও নিয়মিত জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। এ নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারির মুখেও পড়তে হয়েছে। তার পরেও দমানো যায়নি মোদির ভারতকে। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই ভারতের সঙ্গে ‘সন্ধি’ করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন,  আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে নানা বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। মস্কোর সঙ্গে বিভিন্ন দেশ আলাদা আলাদা সম্পর্ক রেখে চলেছে।

    এক সময় সৌদি আরব থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল কিনত ভারত। তবে বর্তমানে সৌদি আরবকে পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারে তেল কেনা যাচ্ছে না রাশিয়া থেকে। প্রত্যাশিতভাবেই সস্তা হয়েছে পুতিনের দেশের তেল। এই পরিস্থিতিতে তেলের ভাঁড়ার পূরণ করে নিতে মরিয়া ভারত। সেই কারণেই এখন রুপি-রুবেল মেকানিজম দিয়ে লেনাদেনা চালিয়ে যাচ্ছে মোদির ভারত ও পুতিনের রাশিয়া। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার।

    আরও পড়ুন : ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা!

    প্রাইস বলেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরানো। এই সম্পর্ক এমন সময় বিকশিত হয়েছিল যখন আমেরিকা বন্ধু বেছে নিতে প্রস্তুত ছিল না। বর্তমানে এই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা যে বন্ধুত্বে আগ্রহী, সে কথা আমরা আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের জানিয়ে দিয়েছি।

     

  • Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    Presidential Polls: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Polls) বিরোধী জোটের (opposition) সর্বসম্মত প্রার্থী হচ্ছেন যশবন্ত সিনহা। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ১৮টি জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর পাওয়ার, কংগ্রেস  (Congress) নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ বিরোধী নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পাওয়ার বলেন, ‘‘বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী হবেন যশবন্ত।” 

    এদিন ১৮টি বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দেয় ওয়েইসির ‘মিম’, কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, এসপি, ডিএমকে, আরএসপি। শরদ পাওয়ার জানান, যশবন্ত সিন্হাকে সমর্থন করেছে আম আদমি পার্টি (AAP) ও TRS। এর আগেই তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেছেন যশবন্ত।  তারপরই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রার্থীপদে সিলমোহর দেয় বিরোধীরা। ২৭ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করবেন যশবন্ত। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যদিও এই নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী কে, তা এখনও দলের তরফে ঘোষণা করা হয়নি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রাক্তন আমলা যশবন্ত ১৯৮৪ সালে জনতা দলের হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। এর পর তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। তিনি বিজেপি-র মুখপাত্রও ছিলেন এক সময়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের হাতে দলের রাশ ওঠার পর থেকেই বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।  ২০১৮ সালে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। 

    আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বৈঠকে বিজেপি, মঙ্গলেই চূড়ান্ত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম?

    এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন,“আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা একজন সাধারণ প্রার্থী নির্বাচন করার এবং মোদি সরকারকে আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমরা যশবন্ত সিনহাকে সাধারণ প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যশবন্ত সিনহাকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।”  

  • RBI on Card Payment: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    RBI on Card Payment: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে কেনাকাটা বা লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন প্রায় সবাই ডেবিট কার্ড (Debit Card) বা ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) ব্যবহার করেন। নগদ টাকার বিনিময়ে বিকিকিনির বদলে অনলাইন পেমন্ট (Online Payment) করতেই স্বচ্ছন্দ এই প্রজন্ম। তবে অনলাইন পেমেন্ট করতে গিয়ে সমস্যাতেও পড়তে হয়। কার্ডের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে। এবার কার্ডের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম (New Rule) চালু করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। 

    আগামী ১ জুলাই থেকে সমস্ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) লেনদেনের টোকেনাইজেশন লাগু করছে। টোকেনাইজড কার্ড (Tokenized Card) লেনদেন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করছে আরবিআই কর্তৃপক্ষ। তার মূল কারণ হল, লেনদেন প্রসেসিংয়ের সময় প্রকৃত কার্ডের ডিটেইলস মার্চেন্টের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।

    আগামী ১ জুলাই থেকে গ্রাহকদের কার্ডের বিবরণ সংরক্ষণে মানা হবে বিধিনিষেধ। মার্চেন্ট, পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর, পেমেন্ট গেটওয়ে এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাঙ্কগুলি আর গ্রাহকদের কার্ডের বিবরণ সেভ করতে পারবে না। ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে, যারা এই ধরনের ডেটা সেভ করেছে, তাদের সেগুলি উড়িয়ে দিতে হবে। বদলে চালু হবে টোকেনাইজেশন।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে বড় জয় ভারতের, হল চুক্তিও

    টোকেনাইজেশন (Tokenization) হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কার্ডের বিবরণ একটি অনন্য কোড (UAC) বা টোকেনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়। এর ফলে কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ না করেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়।

    টোকেনাইজড কার্ড তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে কারণ লেনদেন প্রসেসিংয়ের সময় প্রকৃত কার্ডের বিশদ বিবরণ মার্চেন্টের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না। লেনদেন ট্র্যাকিং এবং রিকনসিলিয়েশনের উদ্দেশ্যে কার্ড নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা এবং কার্ড প্রদানকারীর নাম সংরক্ষণ করা যেতে পারে। একটি টোকেনের জন্যও গ্রাহকের সম্মতি এবং OTP-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করতে হয়। ক্রেডিট, ডেবিট কার্ড টোকেনাইজেশনের সময়সীমা ৩০ জুন, ২০২২ করা হয়েছে।

  • Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid 19) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশবাসীকে। টানা দুদিন দেশে কোভিডে (Covid in India) আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে থাকলেও শনিবার এই সংখ্যা ১৩ হাজার পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,২১৬। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ১২,৮৪৭। দেশে এখনও দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৬৫। সংক্রমণের নিরিখে এর পরেই রয়েছে কেরল। কেরলে একদিনে আক্রান্ত ৩,১৬২। কেরলের পরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি (১,৭৯৭), হরিয়ানা (৬৮৯) ও কর্নাটক (৬৩৪)।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার       

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক কোভিড বুলেটিন (Covid Bulletin) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,১৪৮ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে কেরলেই মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। একদিনে কেরলে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে তিন জন, কর্নাটকে দুজন এবং উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪। 

    [tw]


     [/tw]

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৭৩ শতাংশ। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৬ কোটি ৪২ হাজার ৭৬৮ টিকাকরণ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ   

    পুরো বিষয়টির মধ্যে একটিই আশার আলো। আর তা হল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৬ কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল টিকা পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।    

     

  • Mobile Users: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    Mobile Users: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসে ৭৫ লক্ষ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর (Active Mobile Users) সংখ্যা কমল দেশে। এমনটাই জানাল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Telecom Regulatory Authority of India)। চারমাসে এই প্রথম কমল এই সংখ্যা। এমনই তথ্য উঠে আসছে একটি গবেষণার রিপোর্ট থেকে।

    জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে এয়ারটেল (Airtel) এবং ভোডাফোন (Vodafone) ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ লক্ষ এবং ৩৮ লক্ষ কমেছে। জিও (Jio) ব্যবহারকারীর সংখ্যায় কোনও তারতম্য দেখা যায়নি এপ্রিল মাসে। গোটা দেশে ওই মাসে মোবাইল ফোনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০১ কোটিরও বেশি ছিল।

    আরও পড়ুন: এবার গুগল ম্যাপ দেখেই জানতে পারবেন টোল ট্যাক্সের তথ্য!আরও পড়ুন: এবার গুগল ম্যাপ দেখেই জানতে পারবেন টোল ট্যাক্সের তথ্য!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিয়ে ১০ বছরে দ্বিতীয়বার মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমল টেলিকম সংস্থাগুলির। প্রথমবার ২০২০-র এপ্রিল মাসে কোভিডের লকডাউন ঘোষণার পরে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছিল।

    আরও পড়ুন: আলবিদা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার! নস্টালজিক নেটদুনিয়া

    বেশ কিছুদিন ধরেই মন্দার মুখ দেখছে এয়ারটেল। দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগেই কমেছে এই সংস্থার। ভিজিটর লোকেটর রেজিস্টার থেকে ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ যদি নেটওয়ার্ক কভারেজ স্থানের বাইরে থাকেন বা ফোনটি বন্ধ রাখেন তাহলে তাঁর বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যাবে না।  

    যেহেতু এপ্রিল ভ্রমণের মরসুম, তাই যেসব উপভোক্তারা ঘুরতে গিয়ে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবেন তাঁদের সক্রিয় ব্যবহারকারী হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ তাঁদের কোনও তথ্য পাবে না টেলিকম সংস্থাগুলি। সেই কারণেও সংখ্যায় পতন হতে পারে। 

    গত কয়েক বছরেই মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০ লক্ষ থেকে ১০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব জিওর। জিও এবং এয়ারটেলের একবছরে যথাক্রমে ১১ লক্ষ এবং প্রায় ১৭ লক্ষ গ্রাহক বেড়েছে। ভোডাফোন উল্টে একবছরে ১৭ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে। 

      

  • Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্পে বায়ুসেনায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু ২৪ জুন, সেনায় ডিসেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) নিয়ে কালক্ষেপ করতে চাইছে না সরকার (government)। আগামী ২৪ জুন থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানালেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী। শুক্রবার, তিনি জানান, এই প্রকল্প দেশের যুবসমাজকে আরও বেশি করে দেশসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। নূন্যতম দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে।

    আরও পড়ুন: নিয়ম শিথিল! অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ২৩

    সেনা প্রধান জেনারেল (Army Chief) মনোজ পাণ্ডে (Manoj Pande) এদিন ঘোষণা করেছেন, দিন-দুয়েকের মধ্যে সেনার ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই প্রক্রিয়ার বিশদ তথ্য দেওয়া থাকবে সেখানে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা প্রথম দফার নিয়োগ সেরে ফেলতে চান। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ অগ্নিবীরেরা সেনাবাহিনীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথে চার বছরের চুক্তির চাকরিতে প্রথম ছয় মাস প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

    গত মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান অর্থাৎ জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই অগ্নিপথ স্কিমের ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনা প্রধানের মতে, ভারতীয় সেনায় এত বড় সংস্কার এর আগে কখনও হয়নি। চার বছরের চুক্তির চাকরি শেষে ৭৫ শতাংশকে সেনা থেকে অবসর দেওয়া হবে। পাকা চাকরির জন্য বিবেচিত হবেন বাকি ২৫ শতাংশ। প্রথম বছর ৪৬ হাজার পদে লোক নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

  • Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি 

    Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প কী? কীভাবে করতে হবে আবেদন? জেনে নিন সব খুঁটিনাটি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্পের মাধ্যমেই এবার থেকে জওয়ান নিয়োগ করা হবে সেনাবাহিনীতে (Indian Army)। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আধুনিক এই পন্থা অবলম্বন করতে চায় কেন্দ্র। 

    কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারবেন, সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছর বয়সি ছেলেরা। এই প্রকল্পে যাদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে, তাঁরা ‘অগ্নিবীর‘ (Agniveer) নামে পরিচিত হবেন। প্রতিবছর সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টে যত শূণ্যপদ হবে, তার ওপর নির্ভর করে প্রতিবছর নিয়োগ করা হবে।  প্রথম বছর নেওয়া হবে ৪০ হাজার যুবককে। প্রথম বছর তাঁরা পাবেন ৩০ হাজার টাকা। চতুর্থ বছরে গিয়ে পাবেন ৪০ হাজার টাকা। আয়ের ৩০ শতাংশ তাঁরা জমাতে পারবেন। সম পরিমাণ টাকা দেবে সরকারও। 

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত নয়! রয়েছে নানা সুযোগ
     
    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে দেওয়া হবে ১০-১১ লক্ষ টাকা করমুক্ত ভাতা।

    এক নজরে এই প্রকল্প সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক: 

    আরও পড়ুন: “Agnipath”: সেনায় ৪ বছর দিক যুবারা, “অগ্নিপথ” প্রকল্পের ঘোষণা রাজনাথের

    অগ্নিপথ প্রকল্পটি কী? 

    সশস্ত্র বাহিনীতে প্যান ইন্ডিয়ার চ্যুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। যারা এই প্রকল্পে চাকরি পাবেন তাঁদের ‘অগ্নিবীর’ বলা হবে। পাহাড়, মরুভূমি, স্থল, বায়ু, সমুদ্র যেকোনও বিভাগের দায়িত্ব পেতে পারেন অগ্নিবীররা।

    মহিলারা এই পদে আবেদন করতে পারবেন? 

    এই মুহূর্তে না। কিন্তু পরবর্তীতে মহিলাদেরও সুযোগ দেওয়া হবে। 

    এই চাকরির সময়সীমা কী?

    চারবছরের জন্যে নিয়োগ করা হবে এই অগ্নিবীরদের।

    কত বেতন পাবেন এই অগ্নিবীরেরা?

    শুরুতে বেতন হবে ৪.৭৬ লক্ষ। সময়ের সঙ্গে বেতন বাড়বে। শেষের বছরে ৬.৯২ লক্ষ অবধি বেতন পাওয়া যাবে।

    এই অগ্নিবীররা কী সশস্ত্রবাহিনীতে স্থায়ী চাকরি পেতে পারেন?

    চার বছর শেষে এই অগ্নিবীরদের মধ্যে ২৫%-কে স্থায়ীভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে এবং বাকিদের করমুক্ত ভাতা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে।

    কীভাবে আবেদন করা যাবে এই চাকরিতে?

    এই ওয়েবসাইটগুলিতে কিছুদিন পর থেকে আবেদন করা যাবে।

    joinindianarmy.nic.in
    joinindiannavy.gov.in
    careerindianairforce.cdac.in

    ট্রেনিং-এ কী কী বিষয় রয়েছে?

    সাধারণ সশস্ত্র বাহিনীর ট্রেনিং-এর সাথে অগ্নিবীরদের আংশিক মিলিটারি ট্রেনিং-ও দেওয়া হবে। 

    কখন আবেদন করা যাবে?

    মঙ্গলবারই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে আবেদনের প্রক্রিয়া। 

     

LinkedIn
Share