Blog

  • Sarbananda Sonowal: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে,” বললেন সোনোয়াল

    Sarbananda Sonowal: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে,” বললেন সোনোয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” সোমবার বিহারের (Bihar) রাজধানী পাটনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় জলপথ-১ (গঙ্গা নদী) সংক্রান্ত পরামর্শমূলক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় পোর্ট, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। পাটনায় এই জাতীয় কর্মশালার আয়োজন এই প্রথম। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজকের এই পরামর্শমূলক কর্মশালায় আমরা আমাদের নদীগুলিকে, বিশেষ করে জাতীয় জলপথগুলিকে, পুনরুজ্জীবিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পুনরায় অঙ্গীকার করছি যাতে সেগুলি আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠতে পারে, শুধু অতীতের স্মৃতিচিহ্ন নয়। আইডাব্লুটি হল সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “আমি পবিত্র গঙ্গা নদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এটি এই ভূমির জীবনের, সভ্যতার ও আধ্যাত্মিক শক্তির চিরন্তন উৎস। তাঁর প্রবহমান জলে লুকিয়ে আছে শতাব্দীর সংস্কৃতি, জ্ঞান, জীবিকা ও উত্তরাধিকার। গঙ্গা শুধুই একটি নদী নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের হৃদস্পন্দন। আজ যখন আমরা পাটনায়—এই শহর যিনি নিজে আগলে রেখেছেন, সেখানে একত্রিত হয়েছি, তখন আমরা ফের প্রতিজ্ঞা করছি এই পবিত্র নদীকে জাতির আধুনিক উন্নয়ন ও রূপান্তরের যাত্রার সঙ্গে একত্রিত করার।”

    ওয়াটার মেট্রো (Sarbananda Sonowal)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, বিহার সরকার, বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রণালয় এবং ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে একটি যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যাতে বিহারে গঙ্গা নদীর ওপর টেকসই উন্নয়নের সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করা যায়। এর পরেই মন্ত্রী (Sarbananda Sonowal) বলেন, “পাটনায় একটি ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি কোচি ওয়াটার মেট্রোর সফল মডেলকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে অনুসরণ করবে। তবে এটা নির্ভর করবে পাটনার ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। প্রস্তাবিত এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হল গঙ্গার দুই তীরকে সংযুক্ত করা এবং রাজধানী শহরের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, দক্ষ ও আধুনিক শহরভিত্তিক পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। পাটনায় একটি জাহাজ মেরামত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যাতে অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য একটি শক্তিশালী পরিবকাঠামো তৈরি হয়।”

    জাহাজ মেরামত কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রে কেবল জাহাজ মেরামতের কাজই হবে না, বরং নতুন জাহাজ নির্মাণের সুবিধাও থাকবে। এই প্রকল্পগুলি গঙ্গা নদীকে টেকসই শহরভিত্তিক (Bihar) পরিবহণের একটি প্রাণরেখা হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং নদীকেন্দ্রিক পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের জাতীয় প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Sarbananda Sonowal)।”

  • PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Cyprus)। সোমবার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ মাকারিও থার্ড’ সম্মান দেন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডেস। এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে এই সম্মানকে দেখছেন তিনি। এরপরই সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসকে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, এই যুগ যুদ্ধের যুগ নয়। তবে সন্ত্রাসেরও নয়। এই যুগ মানবতার প্রতি আহ্বানের সময়। ’

    বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান

    তিন দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে রবিবার ভূমধ্য সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে পৌঁছন মোদি। সোমবার, সম্মান পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মান আসলে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের। এই সম্মান তাঁর ব্যক্তিগত সম্মান নয়। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আদর্শকে সম্মান জানাল সাইপ্রাস। ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক এবং দুই দেশের ‘পারস্পরিক বোঝাপড়া’-এর প্রতি এই সম্মান উৎসর্গ করেন মোদি। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার জন্য সাইপ্রাসকে ধন্যবাদও জানান তিনি। মোদি বলেন, ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয় এই সম্মানের দাবিদার। ভারতীয়দের সক্ষমতা, ভারতের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান। এই সম্মান দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতীক।’’

    সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক গভীরতর হওয়ার সময়েই প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের মতোই তুরস্ক ও সাইপ্রাসের মধ্যেও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব চলাকালীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে তারা। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদে বিরোধিতা করেছে সাইপ্রাস। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছে সাইপ্রাস। পাকিস্তানের জঙ্গি মদতের কথা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনার কথাও বলেছে তারা। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বারবার সমর্থন করেছে সাইপ্রাস। তাই ভারত-পাক সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সাইপ্রাস সফর ভারতের পক্ষে লাভজনক হতে পারে।

    ভারত-সাইপ্রাস দীর্ঘদিনের সম্পর্ক

    ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাইপ্রাস। এই পরিকাঠামো প্রকল্প ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দশকের বেশি সময়ের পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটা প্রথম সাইপ্রাস সফর। ১৯৮২ সালে সাইপ্রাস সফরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী এবং ২০০২ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও, এই পর্যায়ের বৈঠক অন্যতম বিরল ঘটনা। সফরে গিয়ে প্রথমেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজধানী নিকোসিয়ায় হয় বৈঠক। এরপর সাইপ্রাসের বন্দর শহর লিমাসোলে সে দেশের ব্যবসায়িক মাথাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। মোদি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছোবে। দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়েও হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের পর্যটন শিল্প বৃদ্ধির উপর জোর দেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘সাইপ্রাস ভারতীয়দের কাছে অন্যতম পছন্দের পর্যটনের জায়গা।’’

    সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণ

    ২০২৬ সালের প্রথমার্ধেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করতে চলেছে সাইপ্রাস। এই মুহূর্তে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তাগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাইছে ভারত। নিকোসিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির বন্ধুত্ব এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সাইপ্রাস এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। তাঁর এই সফর ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আরও মজবুত করবে বলে আশাবাদী মোদি। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।

    কানাডার পথে মোদি

    রবিবারই ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ভারত ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। এ ছাড়া, ক্রোয়েশিয়াতেও যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। ত্রিদেশীয় সফরে মোদির সঙ্গে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। বর্তমানে সেখানে মসনদ বদলেছে। মার্ক কার্নির নয়া সরকার নয়াদিল্লির সঙ্গে বিরোধ মেটাতে তৎপর। এই আবহে ১৬-১৭ জুন জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি, ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে ফের বেআব্রু করার সুযোগ পাবেন মোদি। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা, সুরক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরবেন তিনি।

     

     

     

     

     

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Tendulkar Foundation: ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সচিন! একদা মাও-গড় দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তুলছেন ৫০টি খেলার মাঠ

    Tendulkar Foundation: ফের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সচিন! একদা মাও-গড় দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তুলছেন ৫০টি খেলার মাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের মাওবাদী-অধ্যুষিত জেলা দান্তেওয়াড়ায় (Dantewada) শুরু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী ক্রীড়া আন্দোলন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সচিন তেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন (Tendulkar Foundation) ও মান দেশি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘ময়দান কাপ’ প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫০টি খেলার মাঠ। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালাতে চায় জেলা তথা রাজ্য প্রশাসন।

    ২০টি মাঠ নির্মাণ সম্পন্ন

    দান্তেওয়াড়ার কালেক্টর কুণাল দুদাওয়াত বলেন, গত বছর, রাজ্য সরকার দান্তেওয়াড়া এবং অন্যান্য ছয়টি জেলা সহ বাস্তার অঞ্চলের ক্রীড়া প্রতিভাদের উৎসাহিত করার জন্য বাস্তার অলিম্পিক ২০২৪ আয়োজন করেছিল। লক্ষ্য ছিল নকশাল-প্রভাবিত এবং সংবেদনশীল জেলাগুলির ক্রীড়া প্রতিভাদের খেলার মাধ্যমে সমাজের সাথে সংযুক্ত করা। তারই অংশ হিসেবে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পোর্টা-কেবিন স্কুলের ক্যাম্পাসে নির্মিত হচ্ছে এই মাঠগুলো। ইতিমধ্যেই ২০টি মাঠ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ৩০টি অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। মাঠগুলিতে থাকছে ১৩ ধরনের খেলাধুলার সুযোগ—দৌড়, লং জাম্প, শটপুট, জ্যাভলিন থ্রো এবং ওয়াল ক্লাইম্বিং সহ বিভিন্ন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট। প্রতিটি মাঠ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৪ লক্ষ্য টাকা। এই মাঠ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্থানীয় উপকরণ। এর ফলে দেশ আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছে, বলে জানান দুদাওয়াত।

    সচিন তেন্ডুলকরের মতো আইকনিক ব্যক্তিত্বদের দরকার

    দুদাওয়াত বলেন, জেলা প্রশাসন স্বাধীনভাবে খেলার মাঠ তৈরি করতে পারত, তবে পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের যুবক ও শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য সচিন তেন্ডুলকরের মতো আইকনিক ব্যক্তিত্বদের জড়িত করা প্রয়োজন। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই দান্তেওয়াড়ার চিন্দনার, কাসোলি ও হিটামেটা গ্রামের মাঠ নির্মাণ শেষ হয়েছে, যার সুফল পাচ্ছে প্রায় ১০,০০০ শিশু। শুধু খেলার মাঠ নয়, দান্তেওয়াড়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে একটি আধুনিক ‘স্পোর্টস সিটি’। সেখানে থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি মাঠ, সুইমিং পুল ও আবাসন সুবিধাসহ উন্নত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

  • Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    Bangladesh: লাগাতার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে! ২৪ ঘণ্টায় লুট ৬ মন্দির, নেত্রকোনায় ভিটেছাড়া হরিদাস সম্প্রদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শুক্রবার ১৩ জুন, এমনই একটি ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সে দেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা। অভিযোগ উঠেছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৌলবাদীরা ছয়টি হিন্দু মন্দিরে লুটপাট চালিয়েছে (Atrocities Against Hindu)। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় ২০২৪ সালের অগাস্টে। তারপর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দু মন্দির ভাঙচুর, লুট এসব যেন প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে।

    কী বলছেন স্থানীয় মহিলা (Atrocities Against Hindu)?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমেও এই ঘটনার খবর সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোটালীপাড়ার এক হিন্দু মহিলা জানান, “গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ১২ জুন, দুয়ারীপাড়ার একটি মন্দিরে লুট চালায় মৌলবাদীরা। শুক্রবার, আমাদের এলাকায় চারটি মন্দির লুট করা হয়েছে। পুজোর জন্য সংরক্ষিত সমস্ত সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে তারা।” তিনি আরও বলেন, “যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে প্রতিবার চুরি হওয়া পুজোর সামগ্রী নতুন করে কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ, পিতল ও ব্রোঞ্জের পাত্র কেনার খরচ অনেক বেশি। আমাদের পক্ষে তা বারবার সম্ভব নয়।”

    হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে, আমরা এখন কীভাবে বাঁচব?

    ওই মহিলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যেসব মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি সরকারের কাছে আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। আমরা এখন কিভাবে বাঁচব? সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। অপরাধীদের ধরার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আমরা অসহায়, আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।”

    ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই, জানালেন বয়স্ক মহিলা

    অন্যদিকে এক বয়স্ক মহিলা ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমি শুক্রবার ১৩ জুন, ভোরবেলা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখি বিগ্রহের কানের দুল নেই।” তিনি আরও বলেন, “মন্দিরে গোপাল, রাধাকৃষ্ণ ও মনসা দেবীর মূর্তিগুলিতে সোনার অলংকার ছিল, যা সব লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “বেশিরভাগ মূর্তি পিতলের তৈরি হলেও রাধাকৃষ্ণের মূর্তিটি ছিল রুপোর। আমার ছোট ছেলে এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিল। গত তিন-চার বছর ধরে এই মূর্তিগুলিই আমরা প্রতিদিন পুজো করি।”

    এলাকার হিন্দুরা চরম আতঙ্কে রয়েছে

    একটি অন্য সাক্ষাৎকারে, আরও এক মহিলা বলেন, “মন্দিরে রাখা সমস্ত অলংকার লুট করে নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা ঘরের ভিতর ঢোকে, তারপর মন্দিরে যায়। এই মন্দির সর্বদাই খোলা থাকে। রাতে কী ঘটেছিল, আমরা বুঝতেই পারিনি। সকালে আমরা লুটপাটের খবর পাই।” এক স্থানীয় যুবক বলেন, “মন্দির থেকে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার ব্রোঞ্জের থালা, কলসি এবং পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে রয়েছে।”

    নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) নেত্রকোনা জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হরিদাস সম্প্রদায়ের একাধিক হিন্দু পরিবারকে গৃহহীন করে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়।

    কী বলছে বাংলাদেশের সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল?

    বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র সময় ন্যাশনাল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই এলাকায় হিন্দু পরিবারগুলি গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছিলেন। অভিযোগ, মৌলবাদীরা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ওই পরিবারগুলিকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছিল, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষিতে মৌলবাদীরা ওই এলাকা জনাব আলি মার্কাজুন নুর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তি বলে দাবি করে এবং সেখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।

    কোনও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি এখনও

    পরবর্তীতে হিন্দু পরিবারগুলি নিরাপত্তার দাবিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে, মৌলবাদীদের আক্রমণ আরও বেড়ে যায়। অভিযোগ, অন্তত পাঁচটি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে লুটপাট করা হয়েছে নগদ অর্থ এবং মূল্যবান সামগ্রী। এই ঘটনায় এক হিন্দু মহিলা (Bangladesh) বলেন, “আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেই রবিবার ৮ জুন, মৌলবাদীরা আমাদের আরও তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।” তাঁর আরও দাবি, “ওরা এখানে একটি মাদ্রাসা খুলতে চায়। প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”

  • Andaman Sea: আন্দামান সাগরে যকের ধন! খোঁজ মিলল তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডারের, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি?

    Andaman Sea: আন্দামান সাগরে যকের ধন! খোঁজ মিলল তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডারের, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ধরে ভারতে তেলের চাহিদা পূরণের জন্য নির্ভর করতে হয়েছে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের উপর। ইরান, ইজরায়েল, রাশিয়া এবং আরব আমিরশাহির মতো মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের থেকে বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে হত ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেল। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ এবং দেশের মোট প্রয়োজনের প্রায় আশি শতাংশের বেশি তেল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা যুদ্ধের আবহ— এ সব কিছুই সরাসরি প্রভাব ফেলে ভারতের অর্থনীতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার উপর। এই প্রেক্ষাপটে, এক বড়সড় সুখবর দিল ভারত সরকার (India)। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের আবহে ভারত সরকার জানাল এক চমকপ্রদ তথ্য। আন্দামান সাগরে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ তেলের সম্ভাব্য ভাণ্ডার (Andaman Sea)। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

    বর্তমানে দেশের (India) কোথায় কোথায় রয়েছে তেলে ভাণ্ডার

    বর্তমানে দেশের মধ্যে অসম, গুজরাট, রাজস্থান, মুম্বই এবং কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে তেলের খনি রয়েছে। বিশাখাপত্তনম, মাঙ্গালোর ও পাদুরেও রয়েছে তেলের ভাণ্ডার। সম্প্রতি ওড়িশা ও রাজস্থানেও নতুন তেলের ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ইতিমধ্যে ওএনজিসি ও অয়েল ইন্ডিয়া সেখানে অনুসন্ধান এবং খনন কার্য শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    অনেকেই গায়ানার উদাহরণ দিচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, আন্দামান সাগরে (Andaman Sea) সম্ভাব্য তেল ভাণ্ডারের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই গায়ানার উদাহরণ টেনে আনছেন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্তর্গত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ হল গায়ানা। এখানেই ২০১৫ সালে বিশাল আকারের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছিল মার্কিন সংস্থা হেস কর্পোরেশন এবং চিনের সংস্থা সিএনওওসি। প্রায় ১১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল মজুত তেল ও গ্যাস আবিষ্কারের পর রাতারাতি বদলে যায় গায়ানার অর্থনৈতিক চেহারা। তেল আবিষ্কারের আগে গায়ানা ছিল এক অর্থে অনুন্নত একটি রাষ্ট্র। কিন্তু এই আবিষ্কারের ফলে দেশটি বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে গায়ানা বিশ্বের তেল উৎপাদনে ১৭তম স্থানে রয়েছে, যা তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যে এক বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

    বদলে যেতে পারে ভারতের অর্থনীতির চেহারা

    যদি আন্দামানে (Andaman Sea) গুয়ানার মতো তেলের ভাণ্ডার পাওয়া যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে বদলে যাবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর বক্তব্য, এই অনুসন্ধান যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে ভারতের অর্থনীতি ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে এক লাফে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

    ৮৫ শতাংশ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, “২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে (তেল) কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। পরে আমরা নীতিগত পরিবর্তন এনে তা বদলে ফেলি।” বর্তমানে ভারত তার প্রয়োজনীয় ক্রুড অয়েলের প্রায় ৮৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে। এই খাতে ভারত হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। কিন্তু যদি আন্দামানে (Andaman Sea) তেল উত্তোলন শুরু হয় তবে তেল আমদানির উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে।

    ২০২৪ অর্থবর্ষে ওএনজিসি মোট ৫৪১টি নতুন কূপ খনন করেছে

    মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৪ অর্থবর্ষে ওএনজিসি মোট ৫৪১টি নতুন কূপ খনন করেছে, যা গত ৩৪ বছরে সর্বোচ্চ। তাঁর কথায়, ভারতের মোট ৩৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পলিভূমির মধ্যে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

    কমবে তেলের দাম, বাড়বে জ্বালানি নিরাপত্তা

    অনেকেই মনে করছেন,যদি ভারতের আন্দামান (Andaman Sea) সাগরেও তেলের বিশাল ভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে তা ভারতের ক্ষেত্রেও এক ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে। এতে করে শুধু তেলের আমদানি কমবে না বরং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও অনেকটাই সুদৃঢ় হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি বা ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব ভারতের অর্থনীতির উপর পড়বে না। এমন একটি আবিষ্কার শুধু ভারতের জ্বালানি ক্ষেত্রে যে বিরাট বিপ্লব আনবে এমন নয় বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকেও অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    Rudrastra Drone Tested: রুদ্রাস্ত্রের সফল পরীক্ষা! ৩,৫০০ মিটার উপর থেকে সরাসরি স্ট্রাইক, শত্রু দমনে নয়া পরিকল্পনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে আর একটি পালক। বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (Solar Defence and Aerospace Limited) নির্মিত আক্রমণাত্মক ড্রোন ‘রুদ্রাস্ত্র’-র সফল (Rudrastra Drone Tested) পরীক্ষা সম্পন্ন হল রাজস্থানের পোখরানে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই ট্রায়ালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর মানদণ্ড ছাপিয়ে গেল রুদ্রাস্ত্র। এই ড্রোনটি সীমান্তের ওপারে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হবে। এটি ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

    পোখরানে সফল পরীক্ষা

    ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশীয়ভাবে তৈরি ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (VTOL) ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছে। রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে ‘রুদ্রাস্ত্র’। সেনাবাহিনী প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ড্রোন কিনতে চায় কারণ এগুলি শত্রু অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করতে সক্ষম। হেলিকপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে সক্ষম রুদ্রাস্ত্রের জন্য আলাদা রানওয়ের প্রয়োজন হয় না। ফলে দুর্গম ও অপ্রবেশযোগ্য এলাকা থেকেও সহজেই পরিচালনা করা যায়। পরীক্ষার সময়, ‘রুদ্রাস্ত্র’ ড্রোনটি মোট ১৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তু এলাকার উপর দিয়ে ঘোরাফেরা করা এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ভেসে থাকা অন্তর্ভুক্ত। ড্রোন থেকে ফেলা শেলটি মাটির ঠিক উপরে বাতাসে বিস্ফোরিত হয়। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে খুব কম উচ্চতায় বিস্ফোরিত হয় এবং সেনাবাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে বিশাল এলাকায় নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সফল হয়। পরীক্ষার সময় এটি ৫০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে এবং নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

    মহাকাব্যিক নাম, বিধ্বংসী ক্ষমতা

    ‘রুদ্রাস্ত্র’ নামটি প্রাচীন হিন্দু পুরাণ থেকে নেওয়া, যেখানে এটি শিবের সঙ্গে যুক্ত একটি বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে বিবৃত। ড্রোনটির অস্ত্রসজ্জায় রয়েছে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-পার্সোনেল ওয়ারহেড, যা লক্ষ্যবস্তুর উপরে বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে উচ্চবেগে টুকরো ছড়িয়ে দেয়, ফলে শত্রুপক্ষের মানুষ ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

    লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা পর্যবেক্ষণ

    রুদ্রাস্ত্র ২,০০০ থেকে ৩,৫০০ মিটার উচ্চতা থেকে আক্রমণ চালাতে পারে এবং সেই সময় লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে কমান্ড সেন্টারে সরাসরি হামলার দৃশ্য পাঠায়। এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। সেনা সূত্রে খবর, সোলার অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স লিমিটেড (SDAL)  ‘রুদ্রাস্ত্র’কে সেনাবাহিনীর জন্য অনেক কাজ করার জন্য প্রস্তুত করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ড্রোন-ভিত্তিক যুদ্ধ কৌশলে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে এবং তাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আধুনিক যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশীয়ভাবে তৈরি অস্ত্রের উপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।

  • Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৬তম জাতীয় জনগণনা। সরকারি নির্দেশিকা জারি করল ১৬ জুন। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, জনসংখ্যা গণনা দুটি ধাপে যথাক্রমে ১ অক্টোবর, ২০২৬ এবং ১ মার্চ, ২০২৭ তারিখে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে, যা গৃহতালিকাকরণ অভিযান (HLO) নামেও পরিচিত, সেখানে সম্পদ, পারিবারিক আয়, আবাসন পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথমবার, উত্তরদাতারা বাড়ি থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, কারণ আসন্ন আদমশুমারি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। দ্বিতীয় ধাপ, যা জনসংখ্যা গণনা (PE) নামেও পরিচিত, তাতে পরিবারে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির সম্পর্কে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে।

    এর আগে রবিবার দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত (Digital Headcount) ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের জনগণনা কমিশনার-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শুরু হবে জনগণনা প্রক্রিয়া। স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের ১৬তম জনগণনা একাধিক কারণে ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার জনগণনার আওতায় আনা হবে জাতি অনুসারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও। ২০২৭ সালে যে এই জনগণনা (Census 2027) হবে, তা হবে দেশের সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন জনগণনা।

    কী বললেন শাহ (Census 2027)

    এদিনের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১৬ জুন জনগণনা ২০২৭-এর জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর ৮ম জনগণনা হিসেবে শুরু হবে। এই জনগণনাকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে একটি বিশেষ দিক—প্রথমবারের মতো এতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে। এটি একটি বড় অগ্রগতি। শাহ বলেন, “আমি ১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রবীণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামিকাল গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথমবার জাতিভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রায় ৩৪ লাখ গণনাকারী ও তদারকি কর্তা এবং প্রায় ১.৩ লাখ জনগণনা কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে এই কাজ পরিচালনা করবেন।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কঠোর তথ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হবে।

    কোভিড-১৯ অতিমারি

    এই গণনা হবে প্রথম আদমশুমারি যা কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়েছিল। নতুন আদমশুমারির রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭, যা অতিমারি-উত্তর সময়ে দেশের জনসংখ্যার একটি প্রাসঙ্গিক চিত্র দেবে। ২০২৭ সালের জনগণনা দুটি প্রধান ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপটি হল, হাউসলিস্টিং অপারেশন। এটি শুরু হবে ২০২৬ সালে। এই পর্যায়ে ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের ঘরবাড়ির অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা এবং গৃহস্থালির সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপটি হল জনসংখ্যা গণনা (Digital Headcount)এটি হবে ২০২৭ (Census 2027) সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেমন নাম, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা এবং জাতি সম্পর্কিত তথ্যও।

    দ্রুত তথ্য সংগ্রহ

    এই দুই ধাপের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যাতে গৃহ-ভিত্তিক ভৌত পরিকাঠামো ও সেই ঘরে বসবাসকারী মানুষের বিষয়ে বিস্তারিত ও স্তরভিত্তিক তথ্য মেলে। ৩৫ লাখেরও বেশি কর্মীর সহায়তায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানব-নির্ভর তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি। তবে এটি হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপে। জানা গিয়েছে, জনগণনা ২০২৭-এ ব্যবহার করা হবে না প্রচলিত কাগজের ফর্ম ও ক্লিপবোর্ড। এবার গণনাকারীরা ব্যবহার করবেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা মোবাইল অ্যাপ, যা ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ১৬টি ভারতীয় ভাষায় মিলবে। এর ফলে দেশের প্রতিটি অংশ — হিমালয়ের কোলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উপকূলবর্তী শহর পর্যন্ত — সরাসরি ও দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

    জনগণনার অ্যাপ

    ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার, নাগরিকরাও নিজেদের তথ্য নিজেরাই অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন, যা এই প্রক্রিয়ায় এক অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ এনে দেবে। এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভুল জনগণনা (Census 2027)।” জনগণনার এই অ্যাপে থাকবে একাধিক স্মার্ট ফিচার। এগুলি হল, অধিকাংশ প্রশ্নের জন্য প্রাক-কোডেড ড্রপডাউন মেনু, যা বিভ্রান্তি ও তথ্য নথিভুক্ত করার ভুল কমাবে। ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন, যা যে কোনও হাতে লেখা তথ্যকে ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করতে পারবে। কোড ডিরেক্টরি দেবে বর্ণনামূলক উত্তরের জন্য একক বিকল্প। এতে দেশের অঞ্চল ও ভাষাভিত্তিক মান বজায় থাকবে। এই ডিজিটাল রূপান্তর পূর্ববর্তী জনগণনাগুলির একটি বড় প্রতিবন্ধকতা দূর করবে। আগে লাখ লাখ কাগজের ফর্ম ম্যানুয়ালি স্থানান্তর করা হত। পরে তাকে স্ক্যান করতে হত। এসব কারণে ফল প্রকাশে দেরি হত, বাড়ত ভুলের ঝুঁকিও (Digital Headcount)।

    রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ

    ভারতীয় জাতীয় জনগণনার ইতিহাসে ২০২৭ সালের জনগণনা সম্ভবত সবচেয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে নয়া সংযোজন হল জাতিভিত্তিক গণনা। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত জাতিগত তথ্য রেকর্ড করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জাতিগত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যাতে সংরক্ষণ নীতি ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে কার্যকর করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা (Census 2027)। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশজুড়ে প্রতিনিধিত্ব, সম্পদের বণ্টন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। যে আলোচনা এতদিন হয়নি নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে।

    গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে

    প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ জমানায় জাতগণনা জনগণনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল। তবে ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তৎকালীন জওহরলাল নেহরুর সরকার এই প্রথা বন্ধ করে দেয়। সাধারণ জনগণনায় তফশিলি জাতি, উপজাতি মানুষের নানা তথ্য উঠে আসে। তবে ওবিসির বিষয়টি সাধারণ জনগণনায় থাকে না। তাই গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল জাত গণনার দাবি (Digital Headcount)। যেহেতু এবার আগের চেয়ে ঢের বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্য যেমন জাতিগত পরিচয় ডিজিটালভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাই সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তথ্য আদান-প্রদানের সময় সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ সংরক্ষণ এ সব একাধিক স্তরের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হবে নাগরিকদের তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং তথ্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে (Census 2027)।”

    বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে

    ভারতের আসন্ন জনগণনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় ঘটনা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে। এটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তবে এটি হবে যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ডিজিটাল গণনার চেষ্টা, যেখানে থাকবে গতি, নির্ভুলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য সমন্বয়। এই বিশাল কর্মসূচি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। শাহ বলেছিলেন, “আসন্ন জনগণনা হবে ঐতিহাসিক। শুধু কি গণনা করা হচ্ছে সেই জন্য নয়, বরং কীভাবে তা করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যই তুলে ধরে জনগণনা ২০২৭-এর মূল ভাবনা – এটি শুধুই সংখ্যার হিসেব নয়, বরং ভারতের বিস্তৃত উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতিফলন।

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে যে জনগণনা হবে, তা হবে মোদি জমানার প্রথম জনগণনা। ওই বছরেরই ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি (Digital Headcount)। যদিও জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখের বেশ কিছু অংশে বছরের সেই সময় তুষারাবৃত থাকায় ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই ওই অংশে শুরু হয়ে যাবে জনগণনার কাজ (Census 2027)।

  • Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    Indus River: পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানায় ব্যবহার হবে সিন্ধুর জল! ১১৩ কিমি খাল তৈরি করবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে ভারত সরকার। এর পরেই এই নদীর জলকে (Indus River) কীভাবে দেশের কাজে আরও বেশি করে লাগানো যায়, সে পরিকল্পনাই করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এনিয়ে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে দিল্লিকে। এই আবহে আরও এক পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে সিন্ধু নদের জলকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে ভারত সরকার। এজন্য ১১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এই খালটি চেনাব নদীকে সিন্ধুর অন্যান্য উপনদীর সঙ্গে যুক্ত করবে।

    কী বলছেন অমিত শাহ?

    এই প্রকল্পের (Indus River) লক্ষ্য হল সিন্ধুর জলকেব্যাপকভাবে কাজে লাগানো এবং পাকিস্তানে অতিরিক্ত জলপ্রবাহ রোধ করা। শনিবারই রাজস্থানে বিজেপির একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি এই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই খালের মাধ্যমে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সিন্ধুর জল নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সিন্ধুর প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুলভাবে প্রার্থনা করবে।

    অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে (Indus River)

    প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই প্রস্তাবিত খাল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থান জুড়ে বিস্তৃত অন্যান্য ১৩টি খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। মনোহর পারিক্কর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস-এর একজন সিনিয়র ফেলো উত্তম সিনহা এই বিষয়ে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরন মোকাবিলায় এই খাল কার্যকরী হবে। একইসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) এমন উদ্যোগের ফলে আঞ্চলিক যে বৈষম্যতা তাও দূর হবে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার রণবীর খালের দৈর্ঘ্য ৬০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার (Indus River) করার কথাও ভাবনা-চিন্তা করছে।

LinkedIn
Share