Pakistan: ভারতের দাবিই সত্যি প্রমাণিত হল, কার্গিল যুদ্ধে জড়িত থাকার কথা কবুল পাকিস্তানের!

kargil_war_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ কার্গিল যুদ্ধে (Kargil War) জড়িত থাকার কথা কবুল করে নিল পাকিস্তান (Pakistan)। সে দেশের প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির।

কার্গিল যুদ্ধ কবুল (Pakistan)

এই অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের যোগের কথা কবুল করেন তিনি। জানান, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে কার্গিলের যুদ্ধে তাঁদের অনেক সৈন্য প্রাণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “১৯৪৮, ১৯৬৫, ১০৭১ বা ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ হোক, হাজার হাজার সৈন্য পাকিস্তান ও ইসালমের জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।” প্রসঙ্গত, পাক সেনা কখনওই কার্গিল যুদ্ধে তাদের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি। তারা এতদিন দাবি করে এসেছে, কার্গিল যুদ্ধ ‘মুজাহিদিন’ বা মুক্তি যোদ্ধাদের কাজ।

কার্গিল যুদ্ধ

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ হয়। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ওই যুদ্ধে গোহারা হারে পাক সেনা। লাদাখে টানা প্রায় তিন মাস যুদ্ধ করে টাইগার হিল-সহ কার্গিল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের অংশের যে জায়গাটা অনুপ্রবেশকারীরা দখল করে রেখেছিল, তা পুনরুদ্ধার করে ভারত। পরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে কার্গিল সেক্টর থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের

যুদ্ধের পর থেকেই ভারত দাবি করে আসছে, কার্গিল যুদ্ধের নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের ওপর তাদের দাবি জাহির করতেই এলাকা দখল করেছিল তারা। যে দখলদারদের হটিয়ে কার্গিল পুনরুদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। কার্গিল যুদ্ধে যে পাক সেনা জড়িত, তার একাধিক প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবন্দি, তাদের পে বুক, ইউনিফর্ম এবং অস্ত্র। কার্গিল যুদ্ধে নিহত কয়েকজন পাক সেনার দেহ নিতে অস্বীকার করে পাকিস্তান। সেই দেহগুলোকে কবর দেয় ভারত।

কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হন ভারতের ৫৪৫ জন সেনা। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের স্মরণে ফি বছর ২৬ জুলাই দিনটিকে কার্গিল (Kargil War) বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে ভারত।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share