মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “৩০০ সিট পেয়ে আমরা রাম জন্মভূমিতে মন্দির তৈরি করেছি। ৪০০ পেলে মথুরায় (Mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) মন্দির তৈরি করব। ফেরত নেব পাক (POK) অধিকৃত কাশ্মীর।” সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মোদি ৩.০ সরকারের পরিকল্পনার যেন আগাম ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ হিমন্ত বিশ্বশর্মার
কাশ্মীর প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, “কংগ্রেস জমানায় জবর দখল করে রাখা কাশ্মীরের অংশ ফেরত আনা নিয়ে কোনও আলোচনা হত না। শুধু ভারতীয় কাশ্মীরের প্রসঙ্গে আলোচনা হত। কৌশলগত সুবিধার জায়গায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু মোদি জামানায় হয়েছে ঠিক উল্টো। ওই সাক্ষাৎকারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কংগ্রেস জামানায় বলা হত কাশ্মীরের একটি অংশ ভারতের, অপর অংশ পাকিস্তানের। সংসদে কখনই বলা হত না যে পাকিস্তান কাশ্মীরের একটি অংশকে বলপূর্বক দখল করে রেখেছে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। পাকিস্তানের মানুষ এখন ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেখানকার প্রশাসনের কাছ থেকে পরিত্রাণ চাইছে পাকিস্তানের দখল করে রাখা কাশ্মীরের মানুষ। আগে লালচৌকের আশেপাশে পাকিস্তানের পতাকা উড়ত। কিন্তু সেসব দিন অতীত হয়ে গিয়েছে।”
অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বিজেপি সরকার সংরক্ষণ বিরোধী নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। বিজেপি যাকে রাষ্ট্রপতি করেছে তিনি তফশিলি শ্রেণিভুক্ত। আমরা চাই সংরক্ষণ থাক। কিন্তু কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের অনেকেই এসসি, এসটি ও ওবিসির সংরক্ষণ তুলে দিয়ে সবটাই মুসলিমদের দিয়ে দিচ্ছে। আমরা এটার বিরোধী।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের প্রতিক্রিয়া
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের যে গণবিদ্রোহ শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই বলেছেন, “ভারতের সংসদের রিজোল্যুশন আছে। আমরা স্পষ্টভাবে মনে করি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ। ঐতিহাসিকভাবে এটি শুধুমাত্র ভারতেরই অংশ। আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে।“
আরও পড়ুন: "৩০ এর বেশি সিট পেলে ছমাসের মধ্যে নবান্নে বসবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী", ঘোষণা সুকান্তর
আমাদের সংকল্প একদিন আমরা পাকিস্তানের কব্জা শেষ করে দেব। এবং ওই অঞ্চল ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাবে। কিন্তু ভারতের কিছু বিরোধী দলের নেতা আজব যুক্তি দিয়ে চলেছেন। যেমন ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছেন এ বিষয়ে কথা বলা যাবে না। কারণ পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আমরা আমাদের দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের উপর গর্ব করি। কিন্তু মনিশংকর আইয়ার এবং ফারুক আবদুল্লার মতো নেতারা পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours