মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকটি পোস্টারকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হরিয়ানার নুহ, গুরগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকা। ৩১ জুলাই ব্রিজমণ্ডল জলাভিষেক যাত্রায় অংশ নেওয়া হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর আছড়ে পড়েছিল হিংসা (Nuh Clash)। এই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভিএইচপিকে দায়ী করে মুসলমান এবং বাম ঘেঁষা পত্রপত্রিকাগুলি। যদিও আসল সত্য প্রকাশ করল হরিয়ানা পুলিশ।
আশিফ লোহার ছাঁট ব্যবসায়ী
জানা গিয়েছে, সেদিনের ওই পোস্টার সেঁটে ছিল আশিফ নামে এক যুবক। সে পেশায় লোহার ছাঁট ব্যবসায়ী। এহেন আশিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টানা জেরায় নিজের দোষ কবুলও করে সে। হিন্দি দৈনিক ভাস্করের দাবি, গুরগ্রামের পুলিশ জানিয়েছে, জলাভিষেক যাত্রার ঠিক একদিন আগে সেক্টর ৬৯ এ যে পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছিল, সেগুলি সাঁটিয়েছিল আশিফ। এই পোস্টারগুলিতে জলাভিষেকের আগে মুসলমানদের এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। তার জেরেই এলাকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে হিংসা (Nuh Clash)।
হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা
৩১ জুলাই জলাভিষেক যাত্রায় অংশ নেন হিন্দু পুণ্যার্থীরা। আচমকাই হিন্দুদের ওই যাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। এলাকার একটি মসজিদ লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। সেক্টর ৫৭-এর অঞ্জুমান জামা মসজিদে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। গুলির ঘায়ে মসজিদের ইমাম সহ মৃত্যু হয় চারজনের। এঁদের মধ্যে দুজন হোমগার্ড ও স্থানীয় এক বাসিন্দাও ছিলেন। পুলিশ জানায়, জলাভিষেক যাত্রার দিনের ওই হিংসায় অন্তত ৬০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পুলিশ কর্মী।
Propaganda vs Reality, During Nuh violence Asif himself put up fake posters in the name of VHP to threaten others competitors, Shocking revelation. pic.twitter.com/tHVEbd9Oqd
— Lala (@FabulasGuy) September 25, 2023
বাম ঘেঁষা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ইসলামিস্ট সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল (Nuh Clash) দাবি করেছিল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রার আগে এলাকা খালি করে দেওয়ার পোস্টারে ভয় পেয়েছিলেন মুসলিমরা। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, কর্মসূত্রে আসা মুসলমানেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারণ পোস্টারে লেখা হয়েছে দু দিনের মধ্যে জায়গা খালি না করলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে।
আরও পড়ুুন: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর
পুলিশকে আশিফ জানায়, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে মোজেদের বাড়ি ও স্ক্র্যাপইয়ার্ডের সামনে পোস্টারগুলি সাঁটায় সে। পোস্টার সাঁটানোর পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এই পরিস্থিতিরই সুযোগ নিয়ে আশিফ একচেটিয়া ব্যবসা করার মতলবে ছিল। বিশেষ উদ্দেশ্যেই সে পোস্টারে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নাম ব্যবহার করেছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours