Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

rajiv-sinha-f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিনই আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা দিয়ে এই মামলায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা, সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছরের জুন মাসের ৮ তারিখে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস (Panchayat Vote)। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে, কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথ পালন না করায় ফের অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। তখনই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন ক্ষমা চাইলেন রাজীব।

হলফনামায় কী বললেন রাজীব? 

হলফনামায় রাজীবের বক্তব্য, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। হাইকোর্টে এদিন রাজীবের হলফনামা গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি মস্করা করেই বলেন, ‘‘হলফনামায় কী দিয়েছেন? কোনও ভাবে আদালত অবমাননা হয়নি? সব কিছু ঠিকঠাক করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন— হলফনামায় এ সবই লিখেছেন তো? দেখি কী রয়েছে?’’ আইনজীবী উত্তরে জানিয়েছেন, কোনও ভুল হয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Panchayat Vote) অন্য পক্ষ রাজীবের হলফনামার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দিতে চায়। তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

গত ১৩ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করে আদালত

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। রাজীব ক্ষমা চাওয়াতে কার্যত তা বিরোধীদের কাছে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) সরাসরি তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি রাজীব। রাজ্যে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তখনও নির্বিকার ছিলেন বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। অবশেষে আজকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share