Rajnath Singh: ‘‘বিজেপি সংবিধানকে বাঁচায়, কংগ্রেস তা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে’’, সংসদে রাজনাথ

rajnath_singh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সংবিধান গঠনকারীদের ভূমিকা অন্ধকারে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে কংগ্রেস সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে ক্ষুন্ন করেছে। লোকসভায় শুক্রবার এমনই মত প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। লোকসভায় দু’দিনের ‘ভারতের সংবিধানের ৭৫ বছরের গৌরবময় যাত্রা’ নিয়ে আলোচনার সময় বিতর্কের সূচনা করে রাজনাথ বলেন, ‘‘সংবিধান তৈরিতে বেশ কয়েকজন নেতার অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।’’

কী বললেন রাজনাথ

রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মতো আমরা কখনওই সংবিধানকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করিনি। আমরা সংবিধানকে বাঁচিয়ে চলেছি। আমরা এমন অনেক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছি, যা সংবিধানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, এবং আমরা সংবিধান রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট সহ্য করেছি।’’ সংবিধানের নির্মাতাদের মধ্যে বীর সাভারকারের অবদানের কথা উল্লেখ করার সময় রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। রাজনাথ তাঁর বক্তব্যে বিচারপতি এইচআর খান্নার অবদানও তুলে ধরেন। বিচারপতি খান্না ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় বিরোধী রায় দিয়েছিলেন, যা তাঁকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বঞ্চিত করেছিল। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭৩ সালে, সংবিধানের মূল্যবোধ উপেক্ষা করে কংগ্রেস সরকার বিচারপতি জেএম শেলাট, কেএস হেগড়ে এবং এএন গ্রোভারের মতো সিনিয়র বিচারপতিদের পদোন্নতি উপেক্ষা করে চতুর্থ সর্বাধিক সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিল।’’

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ

কংগ্রেস নেতৃত্বকেও একহাত নেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘আজকাল দেখছি বহু বিরোধী নেতাই সংবিধানের কপি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাস্তবতা হল যে তাঁরা তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এই অনুশীলনটি শিখেছেন, যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সংবিধানকে তাঁদের পকেটে রেখেছেন।’’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পরোক্ষ আক্রমণ করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সংবিধানকে মাথার ওপরে রাখে।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share