মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর মিশন সূর্যের আদিত্য এল ওয়ান (Aditya-L1) প্রযুক্তির টিমে বিশেষ কৃতিত্ব রেখেছেন রাণীগঞ্জের বাঙালি সন্তান সানি মিত্র। কয়েকদিন আগেই চন্দ্রযান ৩ এর মতন মিশনে কাজ করে সুনাম অর্জন করে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের এই বাঙালি যুবক। সূর্যের গগন অভিযানে এই বাঙালী যুবকের ভূমিকায় জেলাবাসী আপ্লুত।
সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান (Aditya-L1)
চন্দ্রযান ৩ মিশনের মতন সূর্যের আদিত্য এল ওয়ানেও (Aditya-L1) বিশেষ প্রযুক্তির কাজ করছেন রাণীগঞ্জের বাঙালি সন্তান সানি মিত্র। শনিবার সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রী হরিকোটা থেকে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য এল ওয়ান। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে এল ওয়ানে অবস্থান করবে এই সৌরযান। এই সৌরযানের অবস্থান বিন্দু দাঁড়াবে পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে। এই বিষয়ে ইসরোর মহানির্দেশক এস সোমনাথন্ বলেন, এই সৌরযান সঠিক ব্যাসার্ধে পৌঁছাতে সময় লাগবে মোট ১২৫ দিন। সূর্যের বাইরে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে, তাঁর উপর বিশেষ সংবাদ দেবে এই আদিত্য এল ওয়ান। সৌরমণ্ডলের আরও অজানা তথ্য যেমন সূর্যের রশ্মি, ওজন স্তর সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানতে সাহায্য করবে এই সৌরযান।
রাণীগঞ্জের বিজ্ঞানী সানি মিত্র
সানি মিত্র ইতিমধ্যেই ইসরোতে চন্দ্রযান ৩ এর মধ্যে বিকাশ ইঞ্জিনের বিভাগে কাজ করেছেন। এবার সৌরযানেও তাঁর বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে। সৌরযানেও (Aditya-L1) সানি মিত্র বিকাশ ইঞ্জিন বিভাগে কাজ করছেন। সানির পড়াশুনা মূলত দুর্গাপুরে। ইংরেজি মাধ্যমের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনা করতেন সানি। এরপর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে খড়গপুর আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক এবং স্নতকোত্তর পাশ করেন। এরপর ২০১৮ সালে ইসরোতে যোগদান করেন তিনি। তাঁর কৃতিত্বে বাংলার মুকুটে আরেক পালক সংযোজন হল বলে মনে করছেন জেলাবাসী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours