Mohan Bhagwat: “বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের তালিকা তৈরি করুন”, নির্দেশ ভাগবতের

mohan_bhagbwat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশে যত মন্দির রয়েছে তার একটা তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই তালিকায় দেশের ক্ষুদ্রতম মন্দিরগুলির নামও তুলতে হবে বলে জানান তিনি। রবিবার তিনদিনের আন্তর্জাতিক মন্দির কনভেনশন এবং এক্সপো ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরএসএস প্রধান ওই নির্দেশ দেন। সম্মেলন হচ্ছে বারাণসীর রুদ্রাক্ষ ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে। এদিনের বক্তৃতায় ভাগবত বলেন, “সমাজে মন্দিরগুলির একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সেই মন্দিরগুলির কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে। প্রতিটি দিক – সেটা হতে পারে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, পরিষেবা অথবা পরিকাঠামো – এ সবেরই উন্নতি ঘটানো উচিত।”

মন্দিরের কাজ কী জানেন?

সমাজে মন্দিরের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “মন্দির কর্তৃপক্ষের কাজ হল মানুষের বিপদের দিনে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। প্রতিটি মন্দির, তাদের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে, সেই মতো তারা তাদের এলাকায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবে। মন্দিরগুলি স্থানীয় মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাবে। তাঁদের প্রার্থনার পথ দেখাবে। সরসংঘ চালক বলেন, পরিষেবা এবং বাস্তুতন্ত্রে মন্দিরের গুরুত্ব কী, তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বোঝানো প্রয়োজন।”

মন্দিরে স্বচ্ছ ভারত মিশন

মন্দিরগুলিতে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রয়োজনীয়তার সদর্থক দিকগুলি নিয়েও আলোচনা করেন ভাগবত। তিনি বলেন, “মন্দির হল পবিত্রতার প্রতীক। তাই মন্দিরগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন। মন্দিরগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল টেম্পল কনভেনশনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খুঁজতে হবে বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের খুঁটিনাটি তথ্যও।” 

আরও পড়ুুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকা

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখা একটি চিঠি। তাতে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রতি বিশেষ উৎসাহ দেখিয়েছেন। সংঘ প্রধান বলেন, “দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে সনাতনপন্থীদের সাতশোরও বেশি মন্দির থেকে প্রতিনিধিরা এসে যোগ দিয়েছেন এই কনভেনশনে।” আয়োজকদের তরফে প্রসাদ লাড বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমরা গোটা দেশে মন্দির ও মন্দির সংস্কৃতিকে সাহায্য করতে চাই। এই কনভেনশনের মধ্যে দিয়ে ভারতের সমস্ত মন্দিরগুলির মধ্যে সেতুবন্ধন হবে। সেখানে একদিকে যেমন মিলিত হবে ধর্ম, তেমনি একসূত্রে গাঁথা পড়বে সমাজও।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share