মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাঁওতার বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar)। আগামী অর্থবর্ষের জন্য তৈরি করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ৷ এদিন হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নানের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি ৷ সুকান্তর দাবি, এই বাজেটের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দিয়েছে মমতার সরকার ৷
ডিএ নিয়ে সরব
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ল ৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এর ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ। সরকারি কর্মচারিদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সুকান্তর প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও কত তফাত। পে কমিশন ঘোষণার দরকার যেখানে, সেখানে ডিএ দিচ্ছে, তাও চার শতাংশ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চার শতাংশর ভিক্ষা নয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া হবে।”
মিথ্যার ফুলঝুড়ি
রাজ্য বাজেট (State Budget 2025) পেশের পর এদিন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mjumdar) বলেন, “এই বাজেট নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা কথার ফুলঝুরি। বাজেট কেমন হয় কেন্দ্রীয় বাজেটটা দেখুন।” বাজেটে ৭০ হাজার আশাকর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়ার ঘোষণাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কিনতে দুশো কোটি টাকা, এটা কেন্দ্রের টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর টাকা নয়। আমরা মামলা করব ভাবছিলাম। বাজেটে ঘোষণা করে মামলার হাত থেকে বাঁচল। ভারতবর্ষের সব রাজ্যের আশা ও আইসিডিএস কর্মীরা আগে থেকে মোবাইল ব্যবহার করে। এটা এগিয়ে বাংলা না পিছিয়ে বাংলা!”
শিল্পের কোনও দিশা নেই
শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যে ২ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মুখেই বলা হচ্ছে কিন্তু কাজ কোথায়। রাজ্য বাজেটে শিল্পেরও কোনও দিশা নেই বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি বলেন, “বেকার ছেলেদের চাকরি পাওয়ার রাস্তা কোথায়। সরকারি চাকরি না পেলে প্রাইভেট জায়গায় যে কাজ করবে তার রাস্তা কোথায়। শিল্পই নেই।”
Leave a Reply