মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের সেই তীব্রতা আর নেই। ফলে ছুটি বাড়ানোরও তেমন সুযোগ নেই। অন্যদিকে রাজ্য সরকার এক সপ্তাহের যে ছুটি ঘোষণা করেছিল, তা শেষ হচ্ছে রবিবার। সেই হিসেবে ২৪ শে এপ্রিল সোমবার থেকেই খুলে যাওয়ার কথা রাজ্যের শিক্ষা (Education) প্রতিষ্ঠানগুলির। যদিও বিষয়টি নিয়ে রবিবার দিনভর ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি ছিল। কারণ সোমবার থেকে যে স্কুল খুলছে, তার কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কতদিন ছুটি থাকবে, তা আগের নির্দেশিকাতেই পরিষ্কার করা ছিল। নতুন করে কোনও নির্দেশিকা জারি করার দরকার পড়ে না। ছুটি শেষ মানেই স্কুল খুলবে, এটাই স্বাভাবিক।
গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে
উল্লেখ্য এবার গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল ২ মে থেকে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে স্কুল শিক্ষা দফতর ১৭ই এপ্রিল থেকেই স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে। যদিও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে মেশার কারণেই তিনি জানতে পেরেছেন, প্রচণ্ড গরমে তাদের মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। তাঁর মতে, এ থেকেই হতে পারে হিট স্ট্রোক। সেই কারণেই তিনি সোম থেকে শনি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে (Education) এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেন।
কী অভিযোগ করেছিল বিজেপি?
অন্যদিকে তড়িঘড়ি এই ধরনের ছুটি ঘোষণার পিছনে অন্য চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, মিড ডে মিলের চাল চুরি করার পথ প্রশস্ত করতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। তাই ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও এরা থামতে চায় না। তাঁর মতে, এইভাবে পড়াশোনা (Education) বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours