মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তে একের পর এক গণপিটুনিতে মৃত্যু ও চোপড়ায় সালিশি সভার নাম করে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যপাল অবিলম্বে বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারি (Article 355) দাবির জন্য যেন কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেন। এ নিয়ে রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানের কাছে তিনি অনুরোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, রাজ্যের হাত থেকে পুলিশের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হোক। সোমবারই সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী এবং বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে বলব, আগামিকাল ফিরে এসে যেন তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য।’’
রাজ্যের ৪০ থেকে ৫০টি থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অত্যন্ত শোচনীয়
বিরোধী দলনেতার আরও মন্তব্য, ‘‘শুধু কোচবিহার বা চোপড়ার ঘটনাই নয়, শাসকের মদতে প্রায় প্রতিদিনই একটার পর একটা ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের উচিত অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানানো।’’ তাঁর মতে, ‘‘রাজ্যের ৪০ থেকে ৫০টি থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অত্যন্ত শোচনীয়। আমার কাছে রাজ্যপাল যদি জানতে চান আমি সেই সমস্ত থানার নামের তালিকা ওনাকে দিতেও প্রস্তুত আছি।’’
পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেওয়া উচিত, মত শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
বাংলার সঙ্গে মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির তুলনা টানেন শুভেন্দু। বাংলাকে উপদ্রুত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে ভোটে জিতেছেন। ২০২৬ সালে আবার ভোট আছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। তাঁর অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতায় হাত দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পুলিশি ব্যবস্থা কেড়ে নেওয়া হোক। এবার সময় এসে গিয়েছে। ৩৫৫ ধারার সুপারিশ করে, মণিপুরের মতো উপদ্রুত ঘোষণা করে, সমস্ত থানাগুলিকে নিয়ে নেওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার পরামর্শদাতা নিয়োগ করে দেওয়া উচিত।’’
বিচার ব্যবস্থা যেভাবে রাজ্যের গণতন্ত্র রক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়
বিচার ব্যবস্থার প্রতি গভীর আস্থা প্রকাশ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিচার ব্যবস্থা যেভাবে রাজ্যের গণতন্ত্র রক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রশংসনীয়। কিন্তু আজ আমি মনের অত্যন্ত দুঃখের জায়গা থেকে বলছি যে, রাজ্যপালের উদ্যোগ ভাল, কিন্তু সাংবিধানিক পদে থেকে অনেকেরই যে ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা কেউ কেউ নিচ্ছেন না। বর্তমানে রাজ্যের বেহাল আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যা তাতে রাজ্যপালের উচিত বাংলায় ৩৫৫ কার্যকর (Article 355) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে দরবার করার সময় এসেছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours