Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) হামাসের হাত! এই হামাসই (Hamas) প্রথমে আক্রমণ করেছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। সেই হামাস এবং অন্যান্য সংস্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ে জঙ্গি-জাল তৈরি করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই নেটওয়ার্কই বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলেছে। চালাচ্ছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জঙ্গি-জাল অবিলম্বে ছিন্ন করতে না পারলে কিংবা জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে না পারলে, তামাম বিশ্বের পক্ষেই তা হবে সাক্ষাৎ যমদূত স্বরূপ। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বলি হন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। এঁদের মধ্যে আবার দুজন বাদে বাকি ২৬ জনই হিন্দু। জঙ্গি হামলায় একমাত্র যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন বলে। এছাড়া, এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে।

    বিস্ফোরক সব তথ্য (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। তার পরেই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। এই তদন্তেই জানা যায়, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। হামাস একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠন। মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেস্তাইনের গাজায় তাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখান থেকেই ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। পরে প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। বছর দুয়েক আগে যে কায়দায় হামাস হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে, তার সঙ্গে পহেলগাঁওকাণ্ডের যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পাকমদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে হামাসের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের।

    হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইএসআই!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে (Pahalgam Attack) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দুজন কাশ্মীরের। এরা প্রত্যেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সূত্রের খবর, সেখানেই লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আইএসআইয়ের মদতে তরুণদের জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে হামাস (Hamas)। কেন্দ্রের এক সূত্রের দাবি, যুদ্ধ বিরতির শর্ত মেনে ইজরায়েল যে হামাস নেতাদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছিল, পাক সরকারের আমন্ত্রণে তারাই আসে পাকিস্তানে। তার পরেই তাদের রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানেই লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে হামাসের ওই নেতারা।

    জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর

    সূত্রের খবর, পাকিস্তান হামাস জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর করেছে। হামাস জঙ্গিরা পাকভূমে পা দেওয়ার পরে রাওয়ালকোট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তাদের নিয়ে যাওয় হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই শোভাযাত্রায় হামাস নেতাদের ঘোড়ার পীঠে চাপিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। শোভাযাত্রায় যাদের ঘোড়ায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা হল হামাস মুখপাত্র খালিদ কোয়াদ্দৌমি এবং নাজি জাহির। হামাসের দুই শীর্ষ নেতা মুফতি আজম এবং বিলাল আলসাল্লাতকেও পাকিস্তানের তরফে দেওয়া হয়েছিল ওই রাজকীয় অভ্যর্থনা। এই শোভাযাত্রায়ই ছিল লস্কর ও জইশের একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং মাথারাও। সেই শোভাযাত্রা থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্যালেস্তাইনের মতোই কাশ্মীরও একই ধরনের ইসলামিক জেহাদের অংশ (Pahalgam Attack)। ভারত এবং ইজরায়েলকে একই বন্ধনীভুক্ত করে এই দুই দেশের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয় জঙ্গিদের ওই শোভাযাত্রায়।

    কী বলছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে গণহত্যা চালায় হামাস। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে ২২ এপ্রিল। গোয়েন্দাদের মতোই এই দুই হামলার কৌশলের মধ্যে অদ্ভূত মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। রুভেন আজার বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বীকার করতে হবে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিল রয়েছে। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা (Hamas)। তার পরেই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা।” তাঁর মতে, এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ।

    মোদির প্রশংসা

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, এবং জঙ্গিদের ওপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল।” ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।”

    বাংলাদেশেও হামাসের হাত!

    শুধু পাকিস্তান কিংবা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও হামাস নেতারা পা রেখেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার পরে পরেই কয়েকজন হামাস নেতাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছন আইএসআইয়ের কর্তারা। উদ্দেশ্য, হামাসের ভাবধারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ঢাকায় ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসলামিক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম চরমপন্থী ইসলামি হিসেবেই পরিচিত। আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামাসের একটি দল সম্প্রতি বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর পরিদর্শন করে। দলটি পাক সেনার নয়া উদ্বোধন করা পাকিস্তান আর্মি ফেসিলিটিও পরিদর্শন করে। এখানেই রয়েছে পাকিস্তানের যুদ্ধ সিমুলেশন কেন্দ্র।

    পাকিস্তান দাদা!

    হামাস দলটি যে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিল, সেখানেই রয়েছে বাহাওয়ালপুর কোর। রাজস্থান সীমান্তের কাছে হওয়ায় এই সামরিক গঠনটির প্রধান দায়িত্ব হল সীমান্ত রক্ষা ও দ্রুত সেনা মোতায়েন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত বছর জানুয়ারিতে হামাসের মুখপাত্রকে পাক সংসদে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় এক পাকিস্তানি আইনপ্রণেতা ভারত ও ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইন্ডিয়ান মিডল ইস্ট ইউরোপিয়ন করিডরের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখন সেই পরিকল্পনা চাপা পড়েছে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১৫ জন প্যালেস্তাইন বন্দিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে হামাসের (Hamas) মুখপাত্র। পাকিস্তানকে ‘দাদা’ হিসেবেও সম্বোধন করে তিনি।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি তারা সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে কূটনৈতিক দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও শুরু করেছে নয়াদিল্লি (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জের, জম্মু-কাশ্মীরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও দুই জঙ্গির বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর কাশ্মীর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশ। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরে আরও দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যদিও ওই জঙ্গিদের এখনও ধরা যায়নি। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে তাদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, কুলগামের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাজে তারা সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ।

    কুলগামে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গির বাড়ি (Jammu And Kashmir)

    জঙ্গিদের দুই সহযোগী কুলগামে লুকিয়ে আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হামলায় অভিযুক্তদের সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কুলগামে শনিবার সকালে যার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার নাম জাকির আহমেদ গনি। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সঙ্গে সরাসরি যোগ না-থাকলেও নেপথ্যে থেকে কাজ করেছিল এই জাকির। হামলার পরিকল্পনায় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়েছে।

    পুলওয়ামায় ভাঙা হল আহসান আল হক শেখের বাড়ি

    পুলওয়ামায় (Pahalgam Attack) আহসান আল হক শেখ নামের আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি ভাঙা হয়েছে শনিবার সকালে। জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার মুরান গ্রামে সে থাকত। বুলডোজার দিয়ে শুক্রবার রাতে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় বুলডোজার দিয়ে।

    নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা পাকিস্তানের, রাতে সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর গুলি, পাল্টা জবাব দিল ভারতও

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার রাতেও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলি চালাল পাকিস্তান (Pahalgam Attack)। বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে খবর। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। শনিবার সকালেই এনিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২৫ এবং ২৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলি থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে। একই ভাবে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানেরাও। কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।’’

  • Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    Pahalgam Terror Attack: ‘‘প্ল্যান এ ফেল, উপত্যকার ঘাসে রয়েছে ৩৫টি বন্দুক’’! আটক ঘোড় সহিসের ‘প্ল্যান বি’-ই কি বৈসরনে হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার এক সহিসকে আটক করেছে গান্দেরবাল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওর ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন এক মহিলা পর্যটক। ভিডিওতে তিনি ওই ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন, সন্দেহভাজন পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদেরই একজন। তাঁর আরও দাবি, তিনি যখন কাশ্মীরে ঘুরতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি তাঁর ধর্ম পরিচয় জানতে চেয়েছিল। ওই ছবির ভিত্তিতে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয়

    গান্দেরবাল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সহিসের নাম আইয়াজ আহমেদ জুঙ্গাল। তাঁর বাবার নাম নবি জুঙ্গাল। গান্দেরবালের গোহিপোড়া রাইজানের বাসিন্দা তিনি। সোনমার্গের থাজওয়াস হিমবাহে পর্যটকদের খচ্চরের সওয়ারি করান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আইয়াজের সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার কোনও যোগ রয়েছে কি না, মহিলা যে সহিসের কথা বলেছেন, ধৃত তিনিই কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত তিন জনের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। সেই স্কেচ দেখার পরে একতা তিওয়ারি নামে এক মহিলা পর্যটক দাবি করেছেন, ওই তিন জনের মধ্যে এক জনের সঙ্গে গত ২০ এপ্রিল তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে। একতা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

    ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ কেন

    একতা নিজের মোবাইলে মেরুন জ্যাকেট, পাজামা পরা এক ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, ওই ব্যক্তিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) সঙ্গে জড়িত। ওই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ম নিয়েও জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে দাবি একতার। তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈসরন উপত্যকাতেই ওই ব্যক্তির ছবি তুলেছেন তিনি। তবে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছেন। ভিডিওতে একতা আরও দাবি করেন, তাঁর বন্ধুরাও ওই ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। তবে তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অন্যরাও জঙ্গিদের স্কেচ থেকে সন্দেহভাজনদের চিনতে পেরেছেন। একতা জানিয়েছেন, ওই সহিস তাঁকে তাঁর নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। একতার ভাইয়ের হাতে রুদ্রাক্ষ দেখে ওই ব্যক্তি জানতে চান, কেন তাঁর ভাই হাতে ওটা পরেছেন?

    অজমের শরিফ গিয়েছেন

    একতার দাবি, ওই ঘোড় সহিস এ-ও জিজ্ঞাসা করেন যে, একতা কখনও অজমের শরিফ বা অমরনাথ গিয়েছেন কি না। তাঁর কত জন হিন্দু বা মুসলিম বন্ধু রয়েছেন। তিনি অমরনাথ যেতে চান কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেছিলেন ওই সহিস। তাঁর অমরনাথ যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন বলেও দাবি করেছিলেন সহিস। একতা কোরান পড়েছেন কি না, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। একতার দাবি, তিনি জবাবে জানিয়েছিলেন, উর্দু পড়তে পারেন না। তাই কোরান পড়া হয়নি। তখন সহিস জানিয়েছিলেন, হিন্দিতে লেখা কোরানও পাওয়া যায়। একতা জানিয়েছেন, এ সব প্রশ্নের পরে তিনি ভয় পেয়ে যান।

    প্ল্যান এ ফেল, প্ল্যান বি!

    একতা জানান, এসব কথা শুনে তিনি ও তাঁর দল সিদ্ধান্ত নেন যে, বৈসরনে যাবেন না। তাঁরা ফিরে আসেন। এর মধ্যেই ওই সহিসের কাছে একটা ফোন আসে। একতা জানান, তাঁর সঙ্গে কথোপকথনের সময়ই ওই ব্যক্তির ফোন আসে। সেই ফোনে তাঁকে বলতে শুনেছিলেন, ‘‘প্ল্যান এ ব্রেক ফেল। প্ল্যান বি ৩৫ বন্দুক পাঠানো হয়েছে। উপত্যকার ঘাসে রয়েছে।’’ যখন সহিস বুঝতে পারেন একতা তাঁর কথা শুনছেন, তখন অন্য ভাষায় তিনি কথা বলতে শুরু করেন, এমনটাই জানিয়েছেন একতা। এখন প্রশ্ন তবে কি প্ল্যান বি-ই বৈসরনে হামলা! ২৬ নিরীহ হিন্দু পর্যটককে হত্যা! বৈসরনের ঘাসেই কি লুকানো ছিল আগ্নেয়াস্ত্র! যা দিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা!

    জেরা শুরু আইয়াজের

    মহিলার আরও দাবি, কথা শুনে ওই সহিসকে পাকিস্তানি বলে মনে হয়েছিল তাঁর। প্রশ্ন উঠেছে, এইসব শোনার পরেও পুলিশকে কেন জানাননি তিনি? একতার দাবি, পর্যটকদের বুথে কোনও লোক ছিল না। এমনকি, পহেলগাঁওয়ের ৭-৮ কিলোমিটার আগে একটি চেকপোস্ট ছিল। তিনি যখন ফিরছিলেন, তখন সেই চেকপোস্টেও কেউ ছিলেন না। কিন্তু একতা বারবার দাবি করেছেন, পুলিশ যে তিনজনের স্কেচ প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল পহেলগাঁওতেই। একতার অভিযোগের ভিত্তিতেই আইয়াজকে গ্রেফতার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এখন তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। তবে, ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে সত্যিই পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) যোগ রয়েছে কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি পুলিশ।

  • Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন (Waqf Act), ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশন খারিজ করার জন্য শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রাথমিক হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। সরকার ওই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণভাবে বৈধ। আরও জানিয়েছে, এই আইনের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। এই আইন কখনও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করেনি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সপ্তাহের ভিতরে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকার হলফনামা জমা দেয়। সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে। ওয়াকফ আইন নিয়ে ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর বিবরণ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করে কেন্দ্র। মোদি সরকার আরও জানিয়েছে, সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য!

    কী জানাল কেন্দ্রীয় সরকার (Waqf Act)?

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বৈধ এবং দেশের সংসদে আইন মেনেই তা পাশ করানো হয়েছে।

    ● দেশের সংসদে তৈরি করা সংশোধনী আইন সংবিধান মেনেই পাশ করানো হয়েছে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২২ জনের ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ দুইজন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এটা এমন একটা সংখ্যা যা ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্তকেই প্রাভাবিত করতে পারবে না।

    ● দেশের সংসদ তার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করেছে, যাতে ওয়াকফ বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বেশ কিছু মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক অধিকারকে সংশোধন করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।

    ● কেন্দ্রের মতে, ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে যেভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা আসলে এদেশের বিচারবিভাগীয় মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যায়।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির একাধিক অপব্যবহার সামনে এসেছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তা না জেনে, একটা বিধানের (সংসদে পাশ করা আইন) ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা অনভিপ্রেত। যদি সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য (Waqf Act) নষ্ট করার সমতুল্য!

    ১৭ এপ্রিল মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিতে বলে কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিলই (Waqf Act) এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত রয়েছে এমন ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনওরকমের বদল ঘটানো যাবে না। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও। তখনই কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক হলফনামা জমা করল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শেরশা সি শেখ মহিউদ্দিন এই হলফনামা জমা দেন শীর্ষ আদালতে।

    ৩৬ বার যৌথ সংশোধনী কমিটির বৈঠক, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদারের পরামর্শ

    প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে যৌথ সংশোধনী কমিটির ৩৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদার তাঁরা নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। যৌথ সংসদীয় কমিটি দেশের দশটি বড় শহরে ঘুরে জনসাধারণের মতামত নিয়েই নয়া ওয়াকফ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত যেকোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। অতীতে বহুবার এদের বিরুদ্ধে গরিব মুসলমানদের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের (Waqf Act) ব্যক্তিগত সম্পত্তি হরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে নয়া সংশোধনীতে এই অধিকার একেবারে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন সম্পত্তি ওয়াকফ হবে এবং কোনটি ওয়াকফ নয় তা বিচার করা চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৯৫৪ সালে প্রথমবার ওয়াকফ আইন পাশ করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধন এনে ফের ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বাড়িয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।

  • Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    Pahalgam Terror Attack: জোর করে পাহাড়ে তোলা হয়েছিল,পুলিশ দেখেও নীরব! পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভমের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দম্পতি। ফেব্রুয়ারিতে চার হাত এক হয়েছিল কানপুরের ব্যবসায়ী শুভম দ্বিবেদীর। গা থেকে এখনও মুছে যায়নি নতুন বিয়ের গন্ধটুকু। স্ত্রী ঐশ্বন্যাকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ভূস্বর্গকে। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে বিধবা হলেন ঐশ্বন্যা। সিঁথির লাল রং মুছে গেল রক্তের দাগে। মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ব্যবসায়ী শুভম। অতর্কিতে হামলার ফলে এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেসে যায় বৈসরন। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন, কেউ পুত্রকে! মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। কিন্তু শুভমের স্ত্রীর দাবি, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় চক্রান্ত। রয়েছে স্থানীয় যোগাযোগ।

    স্থানীয় কয়েকজন ঘোড়াওয়ালাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    কানপুরের বাসিন্দা শুভম দ্বিবেদীর মরদেহ তাঁর শহরে নিয়ে আসা হয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নিজে উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে শুভমের স্ত্রী ঐশান্যা (Aishanya)। তিনি জানান, হামলার আগেই কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছিল, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে স্থানীয়দের কেউ কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ঐশান্যা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন, তবে তাঁরা আগেই ঘোড়াওয়ালাকে বলে দিয়েছিলেন বেশি উঁচুতে না নিয়ে যেতে। কিন্তু সেই ঘোড়াওয়ালা জোর করে তাঁদের পাহাড়ের শীর্ষে নিয়ে যেতে থাকে। শুভম তাঁকে অনুরোধ করেন যে পুরো টাকা নিয়ে নিলেও যেন নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু সেই অনুরোধ উপেক্ষিত হয়।

    জড়িত কয়েকজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী

    কয়েকটি পরিবারের অভিযোগ, ঘোড়াওয়ালারা ইচ্ছাকৃতভাবে পর্যটকদের ওপর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং যখন গুলি চলতে শুরু করে, তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিনজন কাশ্মীরি পুলিশকর্মী ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কিছুই করেননি। পর্যটকদের সাহায্যের জন্য বারবার চিৎকার করা হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। শুভমের বাবা জানান, পহেলগাঁওয়ে তাঁদের হোটেলে কিছু স্থানীয় ব্যক্তি পর্যটকদের সম্পর্কে — কে কোথা থেকে এসেছে, কতজন, নাম ও ফোন নম্বর — এসব জানার চেষ্টা করছিল। অন্যদিকে, এক মহিলা পর্যটক অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ঘোড়াওয়ালা ঘন ঘন ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইছিল এবং কোরান নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল। সেই ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল, তাঁদের দলের সদস্যরা মুসলিম না হিন্দু। সন্দেহবশত ওই মহিলা তাঁকে বলেন যে তাঁরা সবাই মুসলিম, তখন সে বলেছিল যে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই তারা অমরনাথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। এমনকি ফোনে কথা বলার সময় ঘোড়াওয়ালা ৩৫টি বন্দুকের কথাও বলেছিল, বলে দাবি ওই মহিলা পর্যটকের।

    হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল 

    এই সমস্ত ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, পহেলগাঁওয়ে এই হামলার পেছনে কি স্থানীয় স্লিপার সেল বা মৌলবাদী চক্র কাজ করেছে? এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। পহেলগাঁও থেকে বৈসরন উপত্যকা যাওয়ার পথ বেশ দুর্গম। সেখানে গাড়ি চলাচলের কোনও পথ নেই। হয় পায়ে হেঁটে অথবা ঘোড়ায় বা খচ্চরে চেপে যেতে হয় সেখানে। এতটা পথ পার হয়ে জঙ্গিরা পৌঁছে গেল সেখানে। তারা রেইকি করল, সেনার পোশাক গায়ে সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে ঘাপটিও মেরে থাকল। অথচ স্থানীয়রা কিছুই টের পেল না? উঠছে এই ধরনের নানা প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, এই ঘটনার জবাব সঠিক সময়ে দেওয়া হবে এবং সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা হবে।

    জানা যাচ্ছে, পিওকে ও পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সহায়তায় নাশকতার এই ছক অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা হয়েছিল। ওপার থেকে অস্ত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের এদেশে পাঠানোর পাশাপাশি খোঁজা হয়েছিল এমন পর্যটনস্থল, যেখানে পর্যটকের সংখ্যা প্রচুর হলেও নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে তুলনামূলক কম। শুধু তাই নয়, আততায়ীদের কাছে ওপার থেকে রিয়াল টাইম নানা নির্দেশও পাঠানো হচ্ছিল বলেও শোনা যাচ্ছে। যে চার আততায়ী মঙ্গলবার নাশকতা চালিয়েছিল, তাদের হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো ছিল। যার ফলে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং ও রিয়াল টাইম আপডেটও নিচ্ছিল তাদের ‘আকা’-রা। স্থানীয় সহযোগিতা ছাড়া সীমান্তের ওপার থেকে এসে এত নিখুঁত পরিকল্পনা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat On Pahalgam: “লড়াইটা ধর্ম বনাম অধর্মের, হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না”, পহেলগাঁও ইস্যুতে মন্তব্য মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ লড়াই ধর্ম বনাম অধর্মের। একজোট হতে হবে। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat On Pahalgam)। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘এই যুদ্ধ ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে। আমরা প্রত্যেকে এই ঘটনায় ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে ধ্বংস করতে গেল পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। যেমন রাবণ নিজেকে শোধরাতে অসম্মত ছিলেন। তাই রামের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। তবু রাবণ শোধরানোর একটা সুযোগ দিয়ে তার পরই হত্যা করেছিলেন রাম।’ ভাগবতের কথায়, “একজন প্রকৃত হিন্দু কখনও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা রাক্ষসোচিত আচরণ—মানবতাবিরোধী ও ধর্মের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

    ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে হিন্দুদের

    ‘হিন্দু’ শব্দটির উল্লেখ না করেও আরএসএস প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সংখ্যাগুরুদের। তবে একই সঙ্গে মোদি সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এবার কড়া জবাব দিতেই হবে। বৃহস্পতিবার আরএসএস প্রধান পহেলগাঁও ইস্যুতে মুখ খুলে বললেন, “ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের।” সংঘপ্রধান বলছেন, “আমাদের হৃদয় ব্যাথিত। আমরা ক্ষুব্ধ। কিন্তু শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।” ভাগবত বলেন, “আজকের রাবণ ধ্বংসে দরকার মা দুর্গার মতো শক্তি—অষ্টাদশ ভুজা শক্তি। সেই শক্তি আমাদের ঐক্য, আমাদের সংগঠন, আমাদের নৈতিক অবস্থান।”

    একত্রিত হওয়ার ডাক

    সরসংঘপ্রধান (Mohan Bhagwat On Pahalgam) বলছেন, “এবার আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা একত্রিত থাকলে কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। আর যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তাহলে সেই চোখ গেলে দেওয়া হবে। ঘৃণা বা নৃশংসতা কোনওটাই আমাদের স্বভাব নয়। কিন্তু চুপচাপ নিজের ক্ষতি সহ্য করাও যাবে না। অহিংসদেরও শক্তিশালী হতে হয়। শক্তি না থাকলে কোনও বিকল্প থাকে না। আর শক্তি থাকলে সেটা দৃশ্যমান হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “এটি কোনো ধর্মীয় সংঘর্ষ নয়, এটি ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াই। রাবণও শিবের ভক্ত ছিলেন, পণ্ডিত ছিলেন। কিন্তু তিনি অধর্মের পথে চলেছিলেন—তাই রামের হাতে নিহত হন। তেমনি যারা আজ ঘৃণা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, তাদেরও নির্মূল করতে হবে ধর্ম রক্ষার তাগিদে।”

    জোরালো প্রতিক্রিয়া

    আরএসএস প্রধান ভাগবতের মতে, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা, শয়তানি শক্তিকে আটকাতে হলে আমাদের আরও শক্ত হবে। আমরা দেশবাসীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই। তাহলে কেউ আমাদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকাতেও সাহস পাবে না। আর কেউ যদি সে সাহস করে তার চোখ যেন উপড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার জোরালো প্রতিক্রিয়া দরকার।’ মোহন ভাগবতের কথায়, ভারতবাসীর স্বভাবে হয়তো শত্রুতা ঘৃণা নেই। কিন্তু তা বলে তাঁরা নীরবেও ক্ষতি সহ্য করবে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নয়। এটি ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে একটি যুদ্ধ। কারণ যারা নিহত হয়েছে তাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কোনও হিন্দু বা আমাদের সৈন্য কখনও তাদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে কাউকে হত্যা করেনি। কিছু চরমপন্থী তাদের নিজস্ব ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং এই ধরনের কাজ করেছে। সবার মধ্যে ক্রোধ এবং শোক রয়েছে। তবে গোটা জাতিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।’

    সরছে পর্যটকরা

    জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় অন্তত ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন। পহেলগাঁও হামলার পরে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে অন্তত ১০ হাজার পর্যটক ইতিমধ্যেই সরে গেছেন। ২৪ এপ্রিল শুধুমাত্র শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ১১০টি ফ্লাইটে ১৪,০০০-এরও বেশি যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইবি ও র’ প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

  • Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    Pahalgam Attack: দেড় বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরে আসে ২ পাক জঙ্গি মুসা ও আলি, পথ চেনায় আদিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে ঢোকে মুসা। তার পরে আসে আলি। এই দুই জঙ্গিকে পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। আদিল নিজেও পহেলগাঁও হামলায় জড়িত। এছাড়াও রয়েছে আরেক হামলাকারী আসিফ শেখ। এই জঙ্গির বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে। আসিফের বাড়ি ইতিমধ্যে বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আদিলের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বুলডোজার দিয়ে।

    জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে (Pahalgam Attack)

    সূত্রের খবর, জঙ্গি আসিফ জম্মু-কাশ্মীরের যে এলাকায় থাকত, সেটি ছিল লস্কর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির এলাকা। তাকে বছর খানেক আগে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল আসিফ। এর ঠিক তিন বছর পরে সে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Attack) জড়িত আর এক জঙ্গি আদিল। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ কাশ্মীরে আদিলকে দেখা যেত বলে জানা যাচ্ছে।

    দেড় বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল ২ পাক জঙ্গি মুসা এবং আলি

    অন্যদিকে, প্রায় দেড় বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা এবং আলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে গোয়েন্দা সূত্রে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। অন্যদিকে অপর পাক জঙ্গি (Terrorists) আলি শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সক্রিয় ছিল। প্রসঙ্গত, এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) পর্যন্ত বিস্তৃত। মনে করা হচ্ছে এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। যাতায়াতের পথে তাদের সাহায্য় করত আদিল।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Defence Minister: ‘‘তিন দশক ধরে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে চলেছে পাকিস্তান’’, স্বীকারোক্তি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গোপনে সন্ত্রাসকে সমর্থন এবং ফান্ডিং করে পাকিস্তান।’’ এমনই স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) খাজা আসিফ। ব্রিটেনের স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাঁর দেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে এবং তাদেরকে অর্থায়ন করছে। পহেলগাঁও হামলার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই আবহে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক দাবি সিলমোহর পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন কাজ করেছে পাকিস্তান, দাবি আসিফের

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) আসিফের আরও দাবি, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁর দেশ এই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তিনি (Khawaja Asif) আরও বলেন, ‘‘আমাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ৯/১১-র পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম। তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হয়ত অন্যরকম হতে পারত।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করত।’’

    লস্করের নাকি অস্তিত্ব নেই তাদের দেশে (Pakistan Defence Minister)

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Pakistan Defence Minister) ওই সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে তাদের দেশে নাকি লস্কর-ই-তৈবা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতীতে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সংগঠনের বেশ খানিকটা সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অস্তিত্ব আর নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও স্বীকারোক্তি, ‘‘পাকিস্তানের (Pakistan Defence Minister) সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যখন কোনও সম্পর্কই নেই, তখন আমরা কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করব?’’ এ সময় তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, লস্করের একটি শাখা সংগঠন নাকি পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে। তখন আসিফ (Khawaja Asif) উত্তর দেন, ‘‘যখন তাদের মূল সংগঠনের অস্তিত্বই নেই, তখন ছায়া সংগঠন কোথা থেকে আসছে।’’

  • Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    Jammu Kashmir Attack: বিস্ফোরণে উড়ল পহেলগাঁওয়ের ২ জঙ্গির বাড়ি, এনকাউন্টারে খতম লস্কর কমান্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় (Jammu Kashmir Attack) জড়িত আসিফ শেখের বাড়ি ধূলিসাৎ করা হল বিস্ফোরণে। জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেই বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্যদিকে, আরেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা ছিল বলে জানতে পারে প্রশাসন। এরা হল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখ। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আদিল অনন্তনাগের বাসিন্দা। অন্যদিকে আসিফের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের ত্রালে।

    বৃহস্পতিবার রাতেই তল্লাশি জঙ্গি আসিফের বাড়িতে (Jammu Kashmir Attack)

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর শুক্রবার আসিফের বাড়িটিও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। পহেলগাঁওয়ের (Terrorist) জঙ্গিহানায় দুজনই যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বান্দিপোরায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। ইতিমধ্যে ১ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে খবর। খতম জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার আলতাফ লালি (Jammu Kashmir Attack)। এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুলির লড়াই চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি

    ধর্ম দেখে ২৬ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। জঙ্গিদের (Jammu Kashmir Attack) খুঁজতে চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। মূলত পহেলগাঁওয়ের আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই চলছে এই তল্লাশি অভিযান। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই এলাকাতেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। আজ শুক্রবার সকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বান্দিপোরার কুলনার বাজিপোরায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের খোঁজে। জঙ্গলে ঢুকতেই জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এই সংঘর্ষে দুই জওয়ান আহত হন। আপাতত চারিদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা।

LinkedIn
Share