Tag: bangla news

bangla news

  • Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    Sandeshkhali: আদালতের পথে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ শাহজাহান মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলাকে! জেলে বসেই প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার দৃশ্য! সাক্ষীকে মারতে জেলে বসেই কি প্ল্যান করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)? রেশন দুর্নীতি এবং সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন মামলার সাক্ষীকে হত্যার ছক করে ছিলেন। বিজেপি অবশ্য বারবার রাজ্যের জেল প্রশাসনকে তোপ দেগে অভিযোগ করে জানিয়েছে, জেলে বসেই শাহজাহান সন্দেশখালির মামলাকে প্রভাবিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। অভিযুক্ত নেতা জেলে থাকলেও তাঁর বিচরণ যে সর্বত্র তা আরও একবার প্রমাণিত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময় গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে ভোলা প্রাণে বাঁচলেও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি অবশ্য গোটা দুর্ঘটনার পিছনে শাহজাহানের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলে মনে করছে।

    আগে থেকে পরিকল্পিত হামলা (Sandeshkhali)

    বুধবার, আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) একটি মামলা। এই মামার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলা ঘোষ। আজ আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার সাক্ষী দিতে। রাস্তায় যাওয়ার সময় ন্যাজাটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষের। একই ভাবে মৃত্যু হয় চালক শাহানুরের। কিন্তু বেঁচে যান ভোলা। তবে নিজে এখনও জানেন না ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাক চালক ধাক্কা মারার পর বাইকে করে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা যে আগে থেকেই পরিকল্পিত তাও দাবি করেছে বিজেপি।

    মামলার সাক্ষীকে খতম করাই উদ্দেশ্য

    বিজেপির অবশ্য দাবি, “শাহজাহানের মামলায় (Sandeshkhali) যেহেতু ভোলা সাক্ষী, তাই তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোর্টে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে হামলা করা হয়। আগে থেকে প্রিপ্ল্যান্ড্ ছিল। ছেলে এবং তাঁর গাড়ির চালক মারা গিয়েছেন। যে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন সেই গাড়ির কাগজপত্র ঠিক ছিল না। আজকেই ইএমআই-এর তারিখ ছিল।”

    ভোলানাথ ঘোষ একসময়ে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) সঙ্গী ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ২০২১ সালে শাহজাহানের লোকজন ভোলার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছিল। তারপর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ভোলা নিজে বলেন, “বয়ারমারি পার হয়েছি ওই লরিটা সামনে যাচ্ছিল আমাদের গাড়ি এগোচ্ছিল। ডাইরেক্ট এসে আমার গাড়িতে মারল। তারপর আমার গাড়ি জলে চলে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলাম।”

    ‘‘এটা একশ শতাংশ খুন’’

    ভোলার বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে ভাবে খুন করা হয়েছে। এটা একশ শতাংশ খুন। আমি যা শুনেছি ট্রাকের ড্রাইভারের নাম আলিম। গারিটা ছিল লাউখালির। আগে থেকে বাবার গাড়ি ফলো করছিল। পাশ থেকে দুবার ধাক্কা দেওয়া হয়। এখানে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) রাজ চলে, জেলে বসেই নিজের বৌয়ের সঙ্গে গল্প করেন তিনি। শাহজাহানের হয়ে ন্যাজাটের (Sandeshkhali) সবিতা রায় এবং মোসলেম শেখ দাপট চালাচ্ছে। ওদের ষড়যন্ত্রেই এই খুন হয়েছে।”

  • Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলার শুনানি চলাকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Remarks) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (Motivated Campaign) বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত দু’দল বিচারপতি। এক পক্ষের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ‘অবিবেচনাপ্রসূত’। অন্য পক্ষের দাবি, তাঁর মন্তব্যকে নিয়ে প্রধান বিচারপতির যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি (Motivated Campaign)

    ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রবীণ আইনজীবী ও আইনবিদদের একটি দল সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি লিখে তাঁর বেঞ্চ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে করা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। এই মন্তব্যগুলি উঠে এসেছিল ভারতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্যের হেফাজতে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির প্রেক্ষিতে। ২ ডিসেম্বরের সেই শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, প্রধান বিচারপতি   কান্ত মৌখিকভাবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জানতে চেয়েছিলেন, “অনধিকারপ্রবেশকারীদের কি লাল গালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানানো উচিত? যারা দেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে, তাদের জন্য বিচারসভা দারুণ কোনও রক্ষাকবচ দেবে, এটাই কি আবেদনকারীরা চান?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “উত্তর ভারতে আমাদের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত রয়েছে। যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী প্রবেশও করে, তবে তাদের এখানে রাখার জন্য আমাদের কি বাধ্যবাধকতা আছে?”

    অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বক্তব্য

    এই ঘটনার পর (Motivated Campaign) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ওই দল চিঠিতে বলেন, হিংসা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের যখন এমন বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় যা তাদের মর্যাদাকে অস্বীকার করে, তখন তা সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে বিপন্ন করে এবং আদালতকে দুর্বল মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে জনগণের আস্থা নষ্ট করে। তাঁরা প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান, আদালতে মন্তব্যের মাধ্যমে মানব মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দাঁড়ানো সংবিধানিক নৈতিকতার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে (Rohingya Remarks)।

    পাল্টা জবাব

    এরই জবাবে অবসরপ্রাপ্ত আর একদল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, আদালতের কাজকর্ম ন্যায্য ও যুক্তিনিষ্ঠ সমালোচনার জন্য সবসময়ই উন্মুক্ত, কিন্তু বর্তমান আলোচনা নীতিনিষ্ঠ মতভেদের অনেক দূরে। চিঠিতে বলা হয়, “এই আলোচনার উদ্দেশ্য সাধারণ আদালতের প্রশ্নোত্তরকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে অযথা অগ্রাহ্য করা। প্রধান বিচারপতিকে শুধু একটি মৌলিক আইনি প্রশ্ন তোলার জন্যই নিশানা করা হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সেই মর্যাদা দিয়েছেন যেটি আদালতে দাবি করা হচ্ছে?” চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে বেঞ্চ খুব স্পষ্টভাবে বলেছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা কোনও মানুষ, সে তিনি (Motivated Campaign) নাগরিকই হোন বা বিদেশি, তাঁকে কখনওই নির্যাতন, নিখোঁজ বা অমানবিক আচরণের শিকার হতে দেওয়া যাবে না, এবং সবার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। অথচ সমালোচকরা এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন।

    ভারতীয় আইনে শরণার্থী

    ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গারা ভারতীয় আইনে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেনি। তাদের কোনও আইনি শরণার্থী-সুরক্ষা কাঠামোর মাধ্যমে দেশে ঢোকানো হয়নি। অনেকেই অনিয়মিত বা অবৈধভাবে দেশে এসেছে, এবং শুধু দাবি করলেই সেই অবস্থাকে আইনি স্বীকৃত ‘শরণার্থী’ মর্যাদায় রূপান্তর করা যায় না।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত ১৯৫১ সালের রাষ্ট্রসংঘ শরণার্থী কনভেনশন বা তার ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তাই যে কোনও ব্যক্তির প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা আসে সংবিধান, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন আইন এবং সাধারণ মানবাধিকার নীতিমালা থেকে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে, যা ভারত গ্রহণ করেনি (Rohingya Remarks)।”

    রোহিঙ্গারা কীভাবে আধার কার্ড পেল

    অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী কিছু রোহিঙ্গা কীভাবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ ভারতীয় নথিপত্র পেয়ে গিয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এসব নথি শুধু নাগরিক বা বৈধ বাসিন্দাদের জন্য। এদের অপব্যবহার দেশের পরিচয় ও কল্যাণব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সম্ভাব্য যোগসাজশ, জালিয়াতি ও সংগঠিত চক্র সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে (Motivated Campaign)।”

    চিঠির আরও বক্তব্য

    চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। দীর্ঘকাল ধরে তারা সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তাদের নাগরিকত্ব নিয়েও বিরোধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সংবিধানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিকে অমানবিক বলে উপস্থাপন করা প্রধান বিচারপতির প্রতি অবিচার, এবং বিচারব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। জাতীয়তা, অভিবাসন, নথিপত্র বা সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্ন তোলা যদি পক্ষপাতের অভিযোগে রূপান্তর করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিপদের মুখে পড়বে (Rohingya Remarks)। শেষে অবশ্য চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে এবং আদালতের বক্তব্যকে বিকৃত করা বা মতভেদকে ব্যক্তিগত আক্রমণে পরিণত করার চেষ্টার নিন্দাও জানানো হয় (Motivated Campaign)।

  • Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    Nadia: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগেই উদ্ধার বস্তা ভর্তি ভোটার কার্ড! এসআইআর আবহে চাঞ্চল্য নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারে নদিয়ায় (Nadia) সভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যে এসআইআর আবহেই ফের রাশি রাশি ভোটার কার্ড (Voter Cards) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। জানা গিয়েছে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হয়েছে বস্তা ভর্তি প্রচুর ভোটার কার্ড। বেশিরভাগ ভোটার কার্ডে লেখা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ঠিকানা। রাস্তার ধারে প্রথমে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় জনতা। এরপর লোকমুখে খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় প্রচুর জনতা। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়। অবশেষে পুলিশ এসে উদ্ধার করে কার্ডগুলিকে নিয়ে যায়।

    ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড (Nadia)

    এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “ফাটা বস্তা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়, এরপর পা দিয়ে নাড়া দিতেই ভিতর থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটার কার্ড (Voter Cards) বেরিয়ে আসে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ ভোটার কার্ড হবে। কার্ডের সঙ্গে বেশকিছু কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে।” উদ্ধার হওয়া এই ভোটার কার্ড কাদের? এখানে কীভাবে এল? এগুলি কি জাল বা ভুয়ো। এই নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তীব্র তর্জা শুরু হয়েছে। বুধবার কৃষ্ণনগর গর্ভমেণ্ট কলেজের ময়দানে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই এইভাবে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন এবং শাসক দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে।

    সক্রিয় জাল ভোটার চক্র

    বিজেপির তরফে রানাঘাট (Nadia) সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর বলেছেন, “যে এলাকা থেকেই ওই বস্তাবন্দি কার্ড উদ্ধার হয়েছে সেখানকার পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। ভোটের সময় এই সব কার্ড নিয়ে ছাপ্পা দেওয়া হতো। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জাল ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনা তারই প্রমাণ।” অপর দিকে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপন সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাবেন তাই ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করা হয়েছে।” উল্লেখ্য আগেও শান্তিপুর থেকে রাশি রাশি বস্তাবন্দি জাল ভোটার (Voter Cards), আধারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনাই প্রমাণ করে জেলায় জেলায় জাল ভোটার নির্মাতারা কতটা সক্রিয়।

  • SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    SIR: এসআইআরে জাল তথ্য-নথি দিলেই সাত বছরের জেল! কড়া হুঁশিয়ারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরে (SIR) জাল নথি দিলে সাত বছরের জেল হতে পারে। ভুয়ো ভোটারদের আটকাতে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন মিশন। গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর দফতর লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে এসআইআরে কেউ নথি জাল করলে জমা করলে আইন মেনে সাজা হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হতে পারে। কমিশন এসআইআর-এর কাজে বিএলও-দের সঠিক তথ্য দিয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। মৃত, অবৈধ ভোটার বা স্থানান্তরিত হয়েছে এমন নাম যদি নিবিড় তালিকায় থাকে তাহলে কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কোনও ভাবেই মেনে নেবে না।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ

    নির্বাচন কমিশনের (SIR) তরফে বলা হয়েছে, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি ভোটার কার্ড, জন্ম, বিবাহ, মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, কোনও সরকারি কর্মচারীর প্রদত্ত শংসাপত্র, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে জাল প্রমাণপত্র জমা করে থাকেন তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেলা এবং জরিমানা হতে পারে। এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার থাকবে।”

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্ক্যান হবে

    এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল শাসকের দিকে অভিযোগ তুলে বিজেপি বার বার বলেছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন করার ঝাড়াই-বাছাই-এর কাজে সুযোগ বুঝে অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই রাজ্যে বাংলাদেশিরা জাল নথি দিয়ে নিজেদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করছেন। এরপর দিব্যি নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যকে নিজের বাবা-মায়ের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ ব্যবহার করছেন। আবার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের ব্লক স্তরে সরকারি দফতর থেকে টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, ওবিসি-র মতো সার্টিফিকেটও নাকি দেওয়া হচ্ছে। তবে ভুয়ো কাগজ নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এআই ব্যবহার করে ভোটারদের নাম, ছবি যুক্ত যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে, ফলে জাল তথ্য দেওয়া ভোটারদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত চিনতে সুবিধা হবে।

    প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে

    ১৪ ডিসেম্বর হল এসআইআর-এর (SIR) এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার শেষ সময়। এই তালিকায় যদি ভোটারদের নাম ভুল থাকে, কোনও অভিযোগ থেকে বা সংশোধন থাকে তাহলে তা কারেকশন করার শেষ সময় আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিতর্কের সমাধান করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা এবং আলোচনা করে তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাকে দূর করার নানা কাজও করবে কমিশন। তার সময় সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ করা হবে।

    কত নাম বাদ?

    কমিশনের আগে বিএলওদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।

    এসআইআরে (SIR) শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি সংখ্যা খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং ঠিকানা বদল করেছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে বাতিলের তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নামও রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই তথ্য এবং নিবিড় সংশোধনের তালিকা যাতে আরও নির্ভুল হয়, সেই কথা বলে কমিশন (Election Commission) কড়া বার্তা দিয়েছে। রাজ্যে এই কাজকে আরও ভালো ভাবে করার জন্য কমিশন ৫ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে।

  • Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে গাড়ি-বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল দিল্লিকাণ্ডের আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এনআইএ-র। এই মামলায় ধৃতদের জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই ধৃতদের নিয়ে অনন্তনাগ জেলায় গিয়ে পরীক্ষার জায়গায় চিরুনি তল্লাশি করে বেশ কিছু সামগ্রী পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এদিকে, দিল্লির লালকেল্লার ঘটনায় অষ্টম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তার নাম বিলাল নাসের মাল্লা। ধৃত পেশায় একজন চিকিৎসক। থাকেন দিল্লিতে। আদতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, বিলাল নাসের মাল্লা ডক্টর্স টেরর মডিউল বা হোয়াইট কলার টেরর মডিউল নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য। আত্মঘাতী জঙ্গি উমরকে সে লুকোতে সাহায্য করেছিল।

    কে এই চিকিৎসক বিলাল নাসের মাল্লা?

    লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এনআইএ বিলাল নাসের মাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। লালকেল্লা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে বিলালের জড়িত থাকার বিষয়টি এনআইএ নিশ্চিত করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, লালকেল্লায় বিস্ফোরণ ঘটানো চিকিৎসক আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমরের সহযোগী ছিল চিকিৎসক মাল্লাও। এমনকী উমরকে আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এনআইএ তদন্ত অনুসারে, বিলাল জেনেশুনে মৃত অভিযুক্ত উমর উন নবিকে লজিস্টিক (থাকা-খাওয়া) সহায়তা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে। এনআইএ জনিয়েছে, প্রকৃত ষড়যন্ত্র ও আসামিদের পরিচয় গোপন করতে প্রমাণ নষ্ট করারও চেষ্টা করেছিল বিলাল।

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ৮

    গত ১০ নভেম্বর সেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। মামলাটির তদন্ত করছে এনআইএ। ওই মামলায় যুক্ত সন্দেহে এর আগে আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন সঈদ ও আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় বিলালি মসজিদের ইমাম মহম্মদ আসিফ ও ইলেক্ট্রিশিয়ান নজর কামালকে। সবার আগে, ফরিদাবাদ টেরর মডিউল ফাঁস করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই চিকিৎসক আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে। মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিলাল নাসের মাল্লা হল অষ্টম গ্রেফতারি। এই নেটওয়ার্কের বাকি সদস্যদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা উমরের

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বোমা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আনন্তনাগের জঙ্গলে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বোমার পরীক্ষা করার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। তদন্তকারীরা বোমা পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু উপাদান উদ্ধার করেছেন। তদন্তকারী ওই সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, বোমার পরীক্ষার জন্য এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল। অননন্তনাগের বিভিন্ন জঙ্গলেও তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

  • SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও এমুনারেশন ফর্ম (Enumeration Form) আপলোড করেছেন এক বিএলও (BLO)। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিএলও-র পাশাপাশি অপর আর এক বিএলও এবং তাঁদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইআরও, এইআরও-কেও শোকজ করল কমিশন (Election Commission)। বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের দুই বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এবং এইআরও (সহকারী ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কমিশন।

    দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহের ৯৪ নম্বর বুথে (Booth Number 94) প্রথম যিনি বিএলও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পদাধিকারী। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। ওই বিএলও-কে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ায় তাঁকে রিমুভ করে দ্রুত অন্য একজনকে বিএলও (BLO) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু অভিযোগ, অপসারণের পরেও ওই বিএলও কাজ করে যান। ওই বুথে নতুন যে বিএলও এসেছেন, তিনি নিযুক্ত হয়েও পুরনো বিএলও-কে কাজ চালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আগে ওই বুথে বিএলও ছিলেন সোমা সেন। পরে বিএলও হয়েছিলেন দেবী হালদার। পর্যবেক্ষক দুই বিএলও-র সই দেখে চিহ্নিত করেছেন। ওই বুথে ইআরও হলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী। দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অফিসারদের শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।

    দোষ প্রমাণিত হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ

    বাংলার এসআইআরের (SIR in West Bengal) কাজ সুস্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে একাধিক রোল অবজার্ভার (Roll Observer) রাজ্যে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। তাঁদেরই একজন সি মুরুগান। সূত্রের খবর, তিনিই এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করে স্পেশ্যাল অবজার্ভার (Special Observer) সুব্রত গুপ্তকে জানান। পরে তিনি সিইও দফতরে (CEO Office) রিপোর্ট দেন এবং সিইও দফতর কমিশনকে জানায়। শুধু ওই বিএলও নন, তাঁর জায়গায় যিনি কাজের জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন সেই বিএলও এবং ওই এলাকার ইআরও, ডিইও-র ভূমিকাও খতিয়ে দেখে কমিশন। দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এরপরই কড়া পদক্ষেপ করা হল।

    স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভারের কাজ

    নানা ঘটনার পর ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR West Bengal) পর্বে আরও কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত শুক্রবারের বৈঠকেই যার ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার সকালেই সেই ইঙ্গিতকে বাস্তবায়িত করে কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে। পাঁচ ডিভিশনে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইএএস অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভার (Special Roll Observer) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের প্রত্যেকেই কেন্দ্রের মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এই পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে তিনটি বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। কোনও যোগ্য নাগরিক যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, তা দেখাই বিশেষ পর্যবেক্ষকদের প্রধান কাজ। কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। দাবি–আপত্তি থেকে গণনা, নোটিস নিষ্পত্তি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ – প্রতিটি ধাপে কঠোর পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন এঁরা।

  • Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব কলকাতার জলাভূমির যে কোনও দাগ নম্বর-সহ জায়গা-জমিতে আর কোনও নির্মাণ করা যাবে না। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে এই মর্মে জানাতে হবে বলে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য কলকাতা এবং শহরতলী সংলগ্ন বহু পুকুর, জলাশয় ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ (Illegal Constructions) গজিয়ে উঠেছে। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, টাকা নিয়ে প্রমোটার রাজ কায়েম করেছে তৃণমূল সরকার। অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলরাই এই অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে।

    অমৃতা সিনহার নির্দেশ (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার বিশেষ বেঞ্চ নির্দেশে বলেছে, “এই দাগ নম্বরে নির্মিত সকল নির্মাণ অবৈধ (Illegal Constructions)। অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলতে হবে। রাজ্য, পুরসভা, এবং পূর্ব কলকাতার জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। কোনও বেআইনি নির্মাণের নথিভুক্তিকরণ (রেজিস্ট্রেশন) হবে না। একই ভাবে জলাভূমির উপর নির্মিত বেআইনি নির্মাণের উপর কোনও যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা না দেওয়া হয়। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে সুনিশ্চিত করতে হবে বেআইনি কাজকে যেন কোনও রকম সুবিধা যেন না দেওয়া হয়। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে। কেন আপনারা অবিলম্বে এই সমস্ত জমিতে তৈরি নির্মাণ বন্ধ করছেন না? পাশাপাশি, এর আগে যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে সেগুলির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হল এতদিনে ? এর আগে আদালতের কাছেই তথ্য এসেছে ৫০০-র বেশি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমস্ত বেআইনি নির্মাণের কোনও দেওয়াল বা বারান্দা আপনারা ভেঙেছেন? তাই দ্রুত পদক্ষেপ করুন।”

    কত অবৈধ নির্মাণ?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ যে আসতে চলছে তা বুঝে আগেই রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছিল। সরকারের তরফ থেকে যেখানে যেখানে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে সেগুলি নিয়ে তথ্য দিয়ে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কত সংখ্যক বেআইনি নির্মাণ (Illegal Constructions) হয়েছে তা নিয়ে পুরসভা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। জলাজমি, পুকুর এবং মাছের ভেরি বাঁচাতে পরিবেশ কর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিল। পরিবেশের ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে আদালতের রায়ে এলাকাবাসীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • Ramakrishna 529: “হনুমানের মাথায় হাত দিয়া শ্রীরাম আশীর্বাদ করিতেছেন, হনুমানের দৃষ্টি শ্রীরামের পাদপদ্মে”

    Ramakrishna 529: “হনুমানের মাথায় হাত দিয়া শ্রীরাম আশীর্বাদ করিতেছেন, হনুমানের দৃষ্টি শ্রীরামের পাদপদ্মে”

    ৫০ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা নগরে ভক্তমন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২৮শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত নন্দ বসুর বাটীতে শুভাগমন

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এইবার ছবি দেখিতে গাত্রোত্থান করিলেন। সঙ্গে মাস্টার ও আরও কয়েকজন ভক্ত, গৃহস্বামীর ভ্রাতা শ্রীযুক্ত পশুপতিও সঙ্গ সঙ্গে থাকিয়া ছবিগুলি দেখাইতেছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) প্রথমেই চতুর্ভুজ বিষ্ণুমূর্তি দর্শন করিতেছেন। দেখিয়াই ভাবে বিভোর হইলেন। দাঁড়াইয়াছিলেন, বসিয়া পড়িলেন। কিয়ৎকাল ভাবে আবিষ্ট হইয়া রহিলেন।

    হনুমানের মাথায় হাত দিয়া শ্রীরাম আশীর্বাদ করিতেছেন। হনুমানের দৃষ্টি শ্রীরামের পাদপদ্মে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ অনেকক্ষণ ধরিয়া এই ছবি দেখিতেছেন। ভাবে বলিতেছেন, “আহা! আহা!”

    তৃতীয় ছবি বংশীবদন শ্রীকৃষ্ণ কদমতলায় দাঁড়াইয়া আছেন।

    চতুর্থ—বামনাবতার। ছাতি মাতায় বলির যজ্ঞে যাইতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন, “বামন!” এবং একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    এইবার নৃসিংহমূর্তি দর্শন করিয়া ঠাকুর গোষ্ঠের ছবি দর্শন করিতেছেন। শ্রীকৃষ্ণ রাখালদের সহিত বৎসগণ চরাইতেছেন। শ্রীবৃন্দাবন ও যমুনাপুলিন! মণি বলিয়া উঠিলেন—চমৎকার ছবি।

    সপ্তম ছবি দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন—“ধূমাবতী”; অষ্টম—ষোড়শী; নবম—ভুবনেশ্বরী; দশম—তারা; একাদশ—কালী। এই সকল মূর্তি দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন—“এ-সব উগ্রমূর্তি! এ-সব মূর্তি বাড়িতে রাখতে নাই। এ-মূর্তি বাড়িতে রাখলে পূজা দিতে হয়। তবে আপনাদের অদৃষ্টের জোর আছে, আপনারা রেখেছেন।”

    শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণা দর্শন করিয়া ঠাকুর ভাবে বলিতেছেন, “বা! বা!”

    তারপরই রাই রাজা। নিকুঞ্জবনে সখীপরিবৃতা সিংহাসনে বসিয়া আছেন। শ্রীকৃষ্ণ (Ramakrishna) কুঞ্জের দ্বারে কোটাল সাজিয়া বসিয়া আছেন। তারপর দোলের ছবি। ঠাকুর অনেকক্ষণ ধরিয়া এর পরের মূর্তি দেখিতেছেন। গ্লাসকেসের ভিতর বীণাপাণির মূর্তি; দেবী বীনাহস্তে মাতোয়ারা হইয়া রাগরাগিনী আলাপ করিতেছেন।

    ছবি দেখা সমাপ্ত হইল। ঠাকুর আবার গৃহস্বামীর কাছে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া গৃহস্বামীকে বলিতেছেন, “আজ খুব আনন্দ হল। বা! আপনি তো খুব হিন্দু! ইংরাজী ছবি না রেখে যে এই ছবি রেখেছেন—খুব আশ্চর্য!”

    শ্রীযুক্ত নন্দ বসু বসিয়া আছেন। তিনি ঠাকুরকে আহ্বান করিয়া বলিতেছেন, “বসুন! দাঁড়িয়ে রইলেন কেন?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বসিয়া)—এ পটগুলো খুব বড় বড়। তুমি বেশ হিন্দু।

    নন্দ বসু—ইংরাজী ছবিও আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) — সে-সব অমন নয়। ইংরাজীর দিকে তোমার তেমন নজর নাই।

LinkedIn
Share