Tag: bangla news

bangla news

  • Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও সুরক্ষিত নয়, দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (CEO Office) এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। এরমধ্যেই দফতরে ঢুকে সিইও মনোজ আগরওয়ালের (CEO Manoj Agarwal) সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় শুভেন্দুদের। সেখানেই একাধিক দাবি তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, “সময় নিয়ে এসেও এইভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হল, এর থেকেই বোঝা যায় সিইও অফিস সুরক্ষিত নয়।”

    ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি!

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে এসেছেন তিনি। মূলত ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বরের এন্ট্রি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই তিনদিনের প্রত্যেকটা এন্ট্রি পর্যবেক্ষকদের দিয়ে অডিট করাতে হবে। আধুনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে করতে হবে অডিট। রাতারাতি ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এতে এইআরও, ইআরও ও আইপ্যাক যুক্ত আছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    সিইও দফতরে ডেপুটেশন

    শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা স্ক্যাম।” বিরোধী দলনেতার দাবি, সারা দেশে এসডিও-দেরই ইআরও করা হয়। এ রাজ্যে ল্যান্ড অফিসারকেও ইআরও করা হল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, “এটা করতে পারেন না। এসডিও র‍্যাঙ্কের অফিসারকেই করতে হবে।” ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাক এসআইআর-এর ডেটা এন্ট্রি করেছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। বিসিএস, আইএএস-দেরই শুধু ইআরও করতে হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, বহু বাংলাদেশি মুসলমান ও মৃতদের নাম ঢোকানো হয়েছে। শুভেন্দুর নেতৃত্বে এদিন সিইও দফতরে ডেপুটেশন দেন বিজেপি বিধায়করা।

    সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তর

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “৫০০০ বিএলও বেনিয়ম করেছেন, এখনও করছেন। দু’মাস পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (WB CEO) এবং এসআইআর-এর (SIR) কাজের জন্য দিল্লির নিয়োগ করা বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তর (Subrata Gupta) সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেইসময়েই দফতরের বাইরে অবস্থান করা ‘বিএলও অধিকার রক্ষা’ কমিটির সদস্যরা তাঁদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন। শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। শুরু হয় স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। মনোজ আগরওয়ালের কাছে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,“অবৈধভাবে সিইও অফিসে আসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জেনেছি, সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছে, সেটা দ্রুত করতে হবে এবং সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।”

  • SSC Scam: বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    SSC Scam: বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) শিক্ষক নিয়োগে এবার ৭২৯৩ জন দাগির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কমিশনকে সাফ নির্দেশ, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীর নাম, ঠিকানা সব কিছুকে প্রকাশ্যে আনতে হবে। উল্লেখ্য, অযোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট থেকে আগেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই দাবিতে যোগ্য প্রার্থীরা কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং এসএসসির ঘুম ভাঙেনি। ফলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ ঠিক কবে কার্যকর হয় তাই এখন দেখার।

    দ্রুত তালিকা প্রকাশ করতে হবে (SSC Scam)

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিমকোর্ট সর্বত্র বারবার দাগিদের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়ে একাধিকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি তালিকা প্রকাশ করলেও তা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দাগিদের আর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না বলেও সাফ নির্দেশ ছিল উচ্চ আদালতের। কিন্তু পরীক্ষায় অযোগ্যদের বসার ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। খোদ যোগ্য প্রার্থীরাই অযোগ্যদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, “এসএসসি কমিশন (SSC Scam) দাগিদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর সমস্ত কিছু দিয়ে বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করবে। এবার দ্রুত তালিকা প্রকাশ করতে হবে।” উল্লেখ্য গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন দাগি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক যাঁরা চাকরি করছিলেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য সমেত নাম প্রকাশ করেছে।

    তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং অশিক্ষক কর্মীরা রয়েছেন

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি-র ৩৫১২ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে ৭২৯৩ জনের অযোগ্য নাম জানিয়েছিল। এবার আগামী বুধবারের মধ্যে ৭২৯৩ জনের সম্পূর্ণ নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন এসএসসিকে আউট অফ প্যানেল, র‍্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে নিয়োগ যাতে স্বচ্ছ হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এই তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং অশিক্ষক কর্মীরা রয়েছেন। এসএসসি ৩৫১২ জনের দাগি অশিক্ষ কর্মীদের তালিকা এবং দাগি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক-শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে তাঁরা সকলেই চাকরি করছিলেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে সবচেয়ে বড়সড় দুর্নীতি হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সদ্য জামিনে জেলের বাইরে এসেছেন। সমস্ত সাক্ষ্য, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যে চার্জশিট জমাও করেছে। এখন দোষীদের শাস্তি ঘোষণা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

  • Suvendu Adhikari: “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে নেই সিরিয়াল নম্বর”! পুলিশ-নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে নেই সিরিয়াল নম্বর”! পুলিশ-নিয়োগে দুর্নীতির পর্দাফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির জেরে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি। ফের হয়েছে পরীক্ষা। আবারও হয়েছে মামলা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রকাশ্যে এল পুলিশে নিয়োগ পরীক্ষায় (Police Exams) দুর্নীতির অভিযোগ। রবিবারই হয়েছে এই পরীক্ষা। তার পরেই ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, পরীক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া হয়নি ওএমআর শিটের কার্বন কপি। ওই শিটে সিরিয়াল নম্বরও ছিল না বলে অভিযোগ। সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষা কেন্দ্রের উল্লেখ করে এমন একটি ওএমআর শিটও দেখান নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু।

    কার্বন কপিতে সিরিয়াল নম্বর ছিল না (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওএমআর শিটের কার্বন কপিতে সিরিয়াল নম্বর ছিল না। ওই শিটের কার্বন কপি প্রার্থীদের দেওয়াও হয়নি। কার্বন কপি না দেওয়ায় বোর্ড যে কোনও ধরনের দুর্নীতি করতে পারবে। সিরিয়াল নম্বর নেই মানে যে কোনও সময় কার্বন কপি চেঞ্জ করে দেবে।” তাঁর প্রশ্ন, “কার্বন কপি বোর্ডের কাছে থাকবে কেন?” তিনি বলেন, “টাকার ভিত্তিতে যাঁদের নেওয়া হবে, তাঁদের ওএমআর চেঞ্জ করে দেবে।” রেলবোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এই কারণে ওড়িশা সরকার পরীক্ষা করাচ্ছে, আর সেখানে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চাকরি পাচ্ছে বাংলার ছেলেমেয়েরা।”

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জাতীয় স্তরের সমস্ত পরীক্ষায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (Police Exams) থেকে শুরু করে রেলের পরীক্ষায়, সবেতেই ওএমআরের কার্বন কপি দেওয়া হয়, সিরিয়াল মেনটেইন করা হয়। কার্বন কপির একটা কপি পরীক্ষার্থীদের হাতে থাকে।” এই নিয়োগ পরীক্ষায় কীভাবে দুর্নীতি হবে, তারও আভাস দেন শুভেন্দু। বলেন, “এসএসসির মতোই খাতা বদলাবে। তবে এবার হয়তো আর সাদা রাখবে না, ওএমআর শিটটাই বদলে দেবে। যাঁদের নিতে চায়, নির্বাচন আসছে বলে যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, সেই লোকগুলোকে ডেকে ডেকে ফিলআপ করিয়ে দেবে। সেখান থেকে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম সান্যালের কাছে পৌঁছে যাবে।”

    মামলা করার পরামর্শ

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চাকরিপ্রার্থীদের জনস্বার্থ মামলা করার পরামর্শ দেন। আশ্বস্ত করে আইনি সাহায্যের জন্যও। তিনি বলেন, “এই সরকার যুবকদের স্বপ্ন ভাঙার কাজ করছে। প্রতারণার শিকার হওয়া যুবকরা চাইলে আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে পারেন। চাইলে তাঁরা আইনি লড়াইতেও নামতে পারেন। এই বিষয়ে বিজেপির যুব মোর্চা তাঁদের পাশে থাকবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই সরকার চাকরি দেওয়ার সরকার নয়। পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “যেহেতু ওএমআর শিটে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়নি, কার্বন কপিও দেওয়া হয়নি, তার মান পরে চাকরি নিয়ে (Police Exams) নয়ছয় করা হবে। অন্য লোকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, রবিবারই শুভেন্দু বলেছিলেন, “ফর্ম বিক্রি করে টাকা তোলা হচ্ছে। পুলিশের পরীক্ষা হচ্ছে, একটাও চাকরি হবে না। সবাইকে পরীক্ষায় বসিয়ে রেখে গাজর ঝুলিয়ে দিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মৌখিক পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। তাই আর নিয়োগ হবে না (Suvendu Adhikari)।”

  • Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    Cyclone Ditwah: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সহ ৬ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা ভূমিধস-আক্রান্ত কটমালে বড় ধরনের উদ্ধার ও সরিয়ে আনার অভিযান পরিচালনা করেছে। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকাটি এখনও পুরোপুরি অবরুদ্ধ। দিনভর আইএএফ-এর হেলিকপ্টারগুলি মোট ৪৫ জন আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত। ছিল ৪ টি শিশুও। সকলকেই নিরাপদে কলম্বোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন ভারতীয় নাগরিক, বিভিন্ন দেশের বহু বিদেশি নাগরিক এবং শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারাও ছিলেন। উদ্ধার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিকও ছিলেন।

    উদ্ধার-কাজে সক্রিয় ভারতীয় বায়ুসেনা

    স্থলভাগে ত্রাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে, আইএএফ ৫৭ জন শ্রীলঙ্কান সেনাকর্মীকে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে, যাতে উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আইএএফ ভীষ্ম ক্যাপসুল ও মেডিক্যাল টিমও মোতায়েন করেছে। রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৪০০-র বেশি ভারতীয় নাগরিককে বিমানযোগে ভারতে ফিরিয়ে এনেছে। সাইক্লোন দিটওয়া শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস নামিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। রাস্তা ভেঙে পড়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় আটকে থাকা মানুষের জন্য জীবনরক্ষায় ভূমিকা নেয় ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টার।

    ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’

    ঘূর্ণিঝড় দিটওয়ার তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সে দেশে ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ৪০০ জন। প্রতিবেশী এই দেশে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়ও। বিমানে করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে। এই দুর্দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতের বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে আকাশপথে কলম্বোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২১ টন ত্রাণসামগ্রী। আইএনএস বিক্রান্তে করে পাঠানো হয়েছে চেতক হেলিকপ্টার। বিশাখাপত্তনম থেকে ত্রাণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে আইএনএস সুকন্যাও। এই গোটা উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’। সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও বিমানে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

    উদ্ধার অভিযান, বাঁচানো হল পাক নাগরিককেও

    কঠিন আবহাওয়া ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বায়ুসেনা বিভিন্ন দেশের নাগরিককে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ছিলেন— জার্মানির ২, দক্ষিণ আফ্রিকার ৪, স্লোভেনিয়ার ২, যুক্তরাজ্যের ২, ভারতের ১২, শ্রীলঙ্কার ৫ জন নাগরিক। এছাড়া তিনজন গুরুতর আহত শ্রীলঙ্কান নাগরিককে দ্রুত কলম্বোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানের সময় এক গরুড় কমান্ডোকে হেলিকপ্টার থেকে উইঞ্চের সাহায্যে বিপদসংকুল এলাকায় নামানো হয়। তাঁর নেতৃত্বে আটকে পড়া দলকে পাহাড়ি পথে নিয়ে যাওয়া হয় কটমালের একটি ছোট হেলিপ্যাডে, যেখান থেকে ২৪ জন যাত্রীকে প্রবল বাতাস ও কম দৃশ্যমানতার মাঝেও কলম্বোতে নিয়ে যায় আইএএফ হেলিকপ্টার। দ্বিতীয় দফা উদ্ধার অভিযানে ইরানের ৫, অস্ট্রেলিয়ার ১, পাকিস্তানের ১, বাংলাদেশের ৩, শ্রীলঙ্কার ৮ জন ছিলেন। অভিযানটি পরিচালিত হয় শ্রীলঙ্কার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে। এর আগে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর পাঁচটি দল, মোট ৪০ জন সৈন্যকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে করে দিয়াথালাওয়া সেনানিবাস থেকে কটমালা অঞ্চলে পাঠানো হয় উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সহায়তা করার জন্য।

  • Madhya Pradesh: গণবিবাহের আসরে বিয়ে করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে! কেন জানেন?

    Madhya Pradesh: গণবিবাহের আসরে বিয়ে করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। আর পাঁচটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Madhya Pradesh) ছেলে কিংবা মেয়ের বিয়েতে যেমন জাঁক হয়, তাঁর বিয়েতে তেমন দেখা গেল কই! শুধু তাই নয়, তাঁর বিয়ে হল গণবিবাহের আসরে। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও, এমনভাবেই ছেলের (Abhimanyu Yadav) বিয়ে দিয়ে নজির গড়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মোহন যাদব। তাঁরই ছোট ছেলের বিয়ে হয় ৩০ নভেম্বর, রবিবার। আরও ২১ জোড়া যুগলের সঙ্গে নববধূর সঙ্গে এদিন সাত পাকে বাঁধা পড়েন মন্ত্রীপুত্রও।

    গণবিবাহ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রও (Madhya Pradesh)

    মোহন যাদবের ছোট ছেলে অভিমন্যু উজ্জ্বয়িনীতে আয়োজিত গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে ইশিতা যাদবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বর-কনেদের সকলেই জমকালো পোশাকে সেজেছিলেন। বিবাহস্থলে এসেছিলেন ঘোড়া এবং সুসজ্জিত রথে চড়ে। গণবিবাহের আসরে ছেলের বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় জোর দেন বিয়ে সরলভাবে হওয়া উচিত। তাই সবাই একসঙ্গে বিয়ে করছে।”

    সমাজে বার্তা

    বিয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। তিনি বলেন, “গণবিবাহের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে একটি অত্যন্ত বড় বার্তা দেওয়া হয়েছে।” নিজের বিবাহ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিমন্যু বলেন, “এটি একটি রাজকীয় বিবাহ – অনেক বর আমার সঙ্গে এখানে উপস্থিত আছেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু রামদেব এবং বাগেশ্বর ধামের প্রধান পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীও (Madhya Pradesh)।

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২৫ হাজার অতিথি। এঁদের সিংহভাগই বর এবং কনের পরিবারের। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবন গীতা কলোনিতে পুজোর্চনা করেন। শনিবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা পালন করেন বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি। প্রসঙ্গত, গত বছরও বড় ছেলে বৈভবেরও বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই সাদামাঠাভাবে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল (Abhimanyu Yadav) রাজস্থানে। তবে সেটি ছিল নিতান্তই সাদামাঠা একটি অনুষ্ঠান। আর এবার গণবিবাহের আসরে ছোট ছেলের বিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী। সমাজকেও বার্তা দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় খরচ-খরচা থেকে শত হাত দূরে থাকতে।

  • Jadavpur University: মাওবাদী নেতা হিডমার স্মরণে শোকসভা! যাদবপুরে ফের ‘দেশ-বিরোধী’ কার্যকলাপ

    Jadavpur University: মাওবাদী নেতা হিডমার স্মরণে শোকসভা! যাদবপুরে ফের ‘দেশ-বিরোধী’ কার্যকলাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আরবান নকশালদের ফের দৌরাত্ম্য। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় কুখ্যাত মাওবাদী নেতা হিডমা। তার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ২৬টির বেশি নাশকতামূলক হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল এই দুষ্কৃতি। একজন দুষ্কৃতীর কার্যত শহিদ দিবস পালন করল যাদবপুরের মাওবাদী সংগঠন আরএসএফ। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য প্রশাসন জেনে শুনেও চুপ! কীভাবে দেওয়া হল স্মরণ সভার অনুমতি? এতো নিজের দেশেই যেন দেশবিরোধী কার্যকলাপ! এমনটাই মনে করছেন কিছু ছাত্রছাত্রী।

    বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের দেশ বিরোধী মনোভাব (Jadavpur University)

    গত ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে মাওবাদী সমর্থক বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের (RSF) ৬ষ্ঠ রাজ্য সম্মেলন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিবেকানন্দ সভাগৃহে। এই সম্মলেন ছিল সম্পূর্ণ ভারত বিরোধী মনোভাবাপন্ন। সম্মেলন স্থল হিসেবে কলকাতার নামাঙ্কন করা হয় কোটেশ্বর রাও নগর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নামাঙ্কিত করা হয় বাসবরাজু সভাগৃহ। আর স্বামী বিবেকানন্দ সভাগৃহের নামাঙ্কিত করা হয় হিডমা সভামঞ্চ। খুব স্পষ্ট এযেন ভারতের ভিতরে আরেক মাওবাদী রাজ্য। এখান থেকেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    শোক প্রকাশ

    উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরি সীতারামরাজু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে সিপিআই মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিডমা। আবার ওই বছরের মে মাসে ছত্তিশগড়ের বাস্তার অঞ্চলে এক এনকাউন্টারে নিহত হয় সিপিআই মাওবাদী সংগঠনের সম্পাদক নাম্বালা কেশবরাও ওরফে বাসভরাজু। ২০১১ সালে মাওবাদী নেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি  জঙ্গলমহলের বুড়িশোল গ্রামে নিহত হয়েছে।  দেশের এক অংশে যখন সেনাবাহিনী নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে দেশের শত্রু মাওবাদীদের দমন করছে, সেখানে অপর দিকে যাদবপুরের (Jadavpur University) মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে মাওবাদীদের সমর্থনে শোকসভা পালিত হচ্ছে।  তবে আরএসএফ (RSF) সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক তথাগত রায় চৌধুরী দাবি করেছেন, “নামকরণ প্রতীকী ছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি।” তবে এদিনের সম্মেলনে কুখ্যাত মাওবাদীদের মৃত্যুতে ১ মিনিট করে বিশেষ শোক জ্ঞাপনও করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    এই মৃত মাওবাদীদের প্রতি শোকে জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান এবং অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করলে উপাচার্য প্রফেসর চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য কোন ভাবেই মুখ খোলেননি। তবে সিপিএম পরিচালিত শিক্ষক সংগঠন জুটার শিক্ষক বলেন, “সব রকম নিয়ম মেনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখন আলচানায় কি বিষয় উঠে আসবে তা জানার কথা নয়।” অপর দিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্ন করলে উত্তর দেন, এই স্মরণ সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।

  • CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    CAA: বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা ১২ শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমানদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও মতে এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক হিন্দু। এমনই ১২ জন হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) -এর অধীনে তাঁদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছে সরকার। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাতে পেয়ে তাঁরা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন। যার জেরে অবসান ঘটল বহু দশকের অনিশ্চয়তার। সেই সঙ্গে সূচনা হল এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে থাকলেও, নিরন্তর অত্যাচারের কারণে ভারতকেই তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমি হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন। শেষমেশ সেই দেশেই চিরকালের জন্য ঠাঁই জুটল সহায়-সম্বলহীন এই ১২জন হিন্দু শরণার্থীর।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রা (CAA)

    এই হিন্দু পরিবারগুলির বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রাটি ছিল যথেষ্ট বেদনাদায়ক। তাঁদের অনেকেই পূর্ব বাংলা ছেড়ে আসেন কেবল পরণের পোশাকটি সম্বল করে। ধর্ম, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের কারণে তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিলেন শুধু এই বিশ্বাস নিয়েই যে ভারত তাঁদের রক্ষা করবে। ভারতে বসবাস করলেও বস্তত তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রহীন। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা নিয়মিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতেন না, পাসপোর্ট পেতেন না, কিংবা অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন। কোনও নথির প্রয়োজন হলেই তাঁদের বলা হত ১৯৭১ সালের আগের কাগজপত্র দেখাতে। কার্যত এটি ছিল তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ নিরন্তর হিংসার মধ্যে তাঁরা এ দেশে চলে এসেছিলেন কোনওক্রমে।

    লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে

    শরণার্থী এই হিন্দুদের লড়াই চলেছে দশকের পর দশক ধরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাঁদের নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছে। তৃণমূল তো বটেই, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বহু নেতাও তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। যার ফলে এই দেশের হাজার হাজার হিন্দু শরণার্থী দিন কাটিয়েছেন ভয়ে ভয়ে। এই ভয় পাছে কখনও ফের বাংলাদেশে ফিরতে হয়, সেই ভেবে, কখনও বা কাজ হারানোর ভয়ে, এবং যে দেশকে তারা নিজেদের ঘর মনে করত, সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয় (CAA)।

    সিএএ

    শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য স্বস্থির হাওয়া বয়ে নিয়ে এসেছে সিএএ। মোদি সরকার এই সিএএ-এর বিধি জারি করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর পরিবর্তন হতে থাকে তাঁদের পরিস্থিতির। এই সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে মতুয়া এবং অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়দের জন্য যাঁরা দেশভাগের সময় ও পরবর্তী কালে ভারতে এসেছেন। অথচ, এই সিএএ-রই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলবল (Indian Citizenship)।মতুয়া সম্প্রদায়ই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। তাঁরা মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বহু দশক ধরে ঠাকুরবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় বহু পরিবার কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করতেন। তাঁরা সব সময় আশঙ্কায় থাকতেন যে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন, নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁরা বলছেন, এখন তাঁরা নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন।

    বিজেপির অবদান

    এই অগ্রগতির একটি বড় অংশই সম্ভব হয়েছে মাস দুয়েক ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিজেপির খোলা সহায়তা কেন্দ্র এবং ক্যাম্পগুলির জন্য। নদিয়া, কোচবিহার এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্যাম্পগুলি হাজার হাজার শরণার্থীকে সিএএর ফর্ম পূরণ, তথ্য যাচাই এবং কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে সাহায্য করেছে। যাঁরা একসময় মনে করতেন তাঁরা কখনওই বৈধ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না ভারতে, তাঁরাই এখন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন (CAA)।

    কী বলছেন নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতীয়রা

    সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষ করে হিন্দুরা ভারতে এসেছিলেন। আমার অভিজ্ঞতায়, যখন আমরা ভারতে এসেছিলাম, তখন রেলওয়ে স্টেশনে জিআরপি আমাদের আটক করে বারাসত ও শিয়ালদহে নিয়ে গিয়েছিল। তখন (Indian Citizenship) আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পাসপোর্ট অফিসে যেতে গিয়েও নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় বসা বা ভর্তি হতেও বহু নথিপত্র জমা দিতে হয়েছে। এখন সরকারের প্রণীত আইনের আওতায় নাগরিকত্ব পাওয়ার ফলে উদ্বাস্তু মানুষরা অনেক উপকৃত হয়েছে। উদ্বাস্তুদের পক্ষ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই (CAA)।”

  • PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    PM Narendra Modi: “নাটক অন্য জায়াগায় করুন”, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার, ১ ডিসেম্বর সংসদে (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন বসেছে। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে এবারের দৃষ্টিকোণ ঠিক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সংসদ ভবনের সামনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “পরাজয়ের হতাশা থেকে উর্ধে উঠে সকলকে দেশের কাজের জন্য দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। অযথা বিশৃঙ্খলা করে নিজেদের পরাজয়কে আরও একবার প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না। হারের হতাশাকে কোনও ভাবেই সংসদে টেনে আনবেন না। সরকারের নীতিকে বাস্তবায়নে সকলকে মনোযোগী হতে হবে।”

    দেশ দ্রুত অগ্রগতির পথে (PM Narendra Modi) 

    ১৮ তম লোকসভার ষষ্ঠ অধিবেশন এবং ২৬৯ তম রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের একটি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, “সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলে তা যেন কোনও ভাবেই নাটকে পরিণত না হয়। নাটক করার অন্য অনেক জায়গা রয়েছে, সেখানে করুন। সংসদে এই রকম আচরণ চলবে না। সংসদের কাজকর্ম অবশ্যই যেন গঠনমূলক ফলাফল কেন্দ্রিক ও বিতর্কমূলক হয়। সংসদের অধিবেশন কেবলমাত্র কোনও আচার অনুষ্ঠান নয়। আলাপ, আলোচনা এবং দেশকে দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তা সম্ভব হলেই আমাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সাংসদদের আচরণ এমন হতে হবে যাতে দেশের জন্য কী করতে চান তা যেন স্পষ্ট হয়। গোটা বিশ্ব আমাদের দেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির প্রভাবকে খুব কাছ থেকে দেখছে। বিহারের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন এবং ফলাফল আমাদের দেশের শক্তিশালী গণতন্ত্রকেই প্রতিফলিত করেছে। মা ও বোনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নতুন আশার সঞ্চার করেছে।”

    নতুন সাংসদদের অনুপ্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের হারকে সমালোচনা করে বলেন, “পরাজয়ের পর থেকেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও কৃতকর্মের ফলে পরাজয়কে হজম করতে পারছেন না। তাই পরাজয়কে হাতিয়ার করে অধিবেশন (Parliament) পর্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। একই ভাবে নির্বাচনের বিজয়কেও অহংকার ভাবে দেখা উচিত নয়। ফলে সকল হতাশা থেকে বেড়িয়ে এসে কাজ করার জন্য সাংসদদের আহ্বান জানাই। যারা অল্প বয়সী সাংসদ তাদের বলার সুযোগ দিতে হবে। নতুন সাংসদদের বলাবার জন্য অনুপ্রেরণা দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার জন্য গোটা দেশের বহু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে গিয়েও দিতে পারেন। কিন্তু সংসদ একটি বিশেষ কাজের ক্ষেত্র এটা ড্রামা করার জায়গা নয়, এখানে শুধু ডেলিভারি করতে হবে। আমি গতকাল এক নেতার ভাষণ শুনলাম, তিনি নির্বাচনী পরাজয়ে ব্যাপক ভাবে হতাশাগ্রস্থ। নির্বাচনে জয় পরাজয় আছে, তবে দেশের কাজের জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাই শীতকালের অধিবেশনকে যেন হারের শোক বা জয়ের উল্লাসে পরিণত না হয়, সেটাও ভালো করে ভাবতে হবে। সকল সাংসদকে দেশের জন্য কি করতে পারি আর কি করতে পেরেছি সেই কথাই যেন বলতে শোনা যায়।”

    সংসদে ঠান্ডা মাথায় কাজ

    সংসদের শীতকালীন এই অধিবেশনে (Parliament) কেন্দ্রীয় সরকার মোট ১৪টি নতুন বিল পেশ করতে পারে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে অধিবেশনের শুরুতেই এসআইআর ইস্যুতে সংসদ অচল করতে পারেন বিরোধীরা। রবিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার দাবি তুলেছে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য সকল বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “শীতকালীন অধিবেশন মানে ঠান্ডা মাথায় কাজ করা।” আবার কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড ও এসআইআর ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি বায়ুদূষণ, বৈদেশিক নীতি, কৃষকের সমস্যা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়েও বিস্তৃত আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে।

    সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-আরজেডি মহাজোটের ভরাডুবি হয়েছে। একক ভাবে এনডিএ জোটের নেতৃত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নীতিশ কুমার। এই নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে একক ভাবে সবচেয়ে বেশি আসন। ফলে ভোটের হারার চরম হতাশা লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনে দেখা যায় কিনা তাই এখন দেখার।

  • India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    India vs South Africa: ভাঙলেন শচিনের রেকর্ড, স্ব-মহিমায় কিং কোহলি! রোহিত-বিরাটের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ফের তার প্রমাণ মিলল বাইশ গজে। লাল বল থেকে সাদা বলে প্রত্যাবর্তন। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটেও ফিরল হাসি। রাঁচিতে এক দিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭ রানে হারিয়ে দিল ভারত (India vs South Africa)। দর্শকেরা যা দেখতে মাঠে এসেছিলেন, সেটা পেয়ে গেলেন। বিরাট কোহলির শতরান, রোহিত শর্মার অর্ধশতরান! আর কী চাই। কোহলি-রোহিতের হাত ধরেই জয়ে ফিরল ভারত। হাসি ফিরল গুরু গম্ভীরের মুখেও। প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯/৮ তুলেছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেল ৩৩২ রানে। একই সঙ্গে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়লেন কিং কোহলি। ছয়ের পর ছয় এল ‘রো-কো’র ব্যাট থেকে।

    শচিনকে ছাপিয়ে গেলেন

    রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে ১৩৫ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যার সুবাদে টিম ইন্ডিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর করতে সক্ষম হয়। এই ইনিংসে কোহলি ৫টি বড় রেকর্ড গড়েছেন। ছাপিয়ে গিয়েছেন মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন তেন্ডুলকরকে। বিরাট কোহলি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও একটি ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সচিন টেস্ট ক্রিকেটে ৫১টি সেঞ্চুরি করেছেন। কোনও ফর্ম্যাট (টি-২০, টেস্ট এবং ওয়ান ডে) -এ এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কারও ছিল না, কিন্তু এখন বিরাট কোহলি এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫২টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। বিরাট কোহলি ১৩৫ রানের এই ইনিংসে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটি বড় রেকর্ড ভেঙেছেন। তিনি ভারতে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। আগে এই রেকর্ড সচিন তেন্ডুলকরের নামে ছিল, যিনি ৫৮ বার এই কীর্তি গড়েছিলেন। কোহলি ৫৯ বার দেশের মাটিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫০ বা তার বেশি রান করেছেন।

    রেকর্ডের পর রেকর্ড

    বিরাট কোহলি ভারতের কোনও একটি মাঠে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিরাট ৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট বিশাখাপত্তনম এবং পুনেতেও ৩টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে ওই দুই মাঠে যথাক্রমে সাত ও আটটি ইনিংস লেগেছে কোহলির। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। রাঁচিতে কোহলির দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ওয়ান ডে সেঞ্চুরি ছিল। বিরাট কোহলি ৩ নম্বর পজিশনে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ছক্কা মারা ব্যাটার হয়ে গিয়েছেন। তিনি রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন, যিনি ৫৪০ ইনিংসে ২১৭টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিরাট কোহলি তিন নম্বরে খেলে ৩২৭ ইনিংসে ২১৮টি ছক্কা মেরেছেন।

    রোহিতের পরিচিত মেজাজ

    দু’বছর আগের এক দিনের ক্রিকেট থেকে একটা ঘরানা শুরু করেছেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে এতটাই আগ্রাসী খেলছেন যে বাকিদের উপর চাপ কমে যাচ্ছে। তাঁকে সেই স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। রোহিতের লক্ষ্য থাকে পাওয়ার প্লে-তে যতটা সম্ভব রান তুলে নেওয়া। এর একটা উল্টো দিকও রয়েছে। চালিয়ে খেলতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনাও বহু গুণে বাড়ে। রোহিত অবশ্য কোনও দিনই সে সবের পরোয়া করেন না। সে কারণেই সাফল্য পাচ্ছেন। সিডনিতে শেষ যে ম্যাচটি খেলেছিলেন, সেখানে শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। রাঁচিতে তাঁর ব্যাট থেকে আগ্রাসী অর্ধশতরান দেখা গেল। এক রানের মাথায় ক্যাচ পড়েছে। তবু আগ্রাসনের রাস্তা থেকে সরেননি রোহিত। করবিন বশকে টানা দু’টি চার মেরেছেন। প্রেনেলান সুব্রায়েনকে পর পর দু’টি ছয় মেরেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর জুটি। দু’জনের বোঝাপড়া কতটা ভাল তা এই ম্যাচেও বোঝা গিয়েছে। সিডনির পর রাঁচিতেও দু’জনের জুটি ভারতকে শক্তিশালী করেছে। ২০তম ওভারে মার্কো জানসেনকে ছয় মেরে শাহিদ আফ্রিদির নজির ভেঙে দিয়েছেন।

    ৬৮১ রানের পাহাড়

    ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) মধ্যে আয়োজিত প্রথম একদিনের ম্যাচে দুটো দল মোট ৬৮১ রান করে। এছাড়া দুই দলের হয়ে উড়ে যায় ২৮ গগনচুম্বী ছক্কা। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে এটাই সর্বাধিক রান। পাশাপাশি সর্বাধিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন দুই দলের ব্যাটাররা। ইতিপূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩৮ রান করেছিল। এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রান করে। এই ম্যাচে দুটো দল মিলিয়ে মোট ৬৬২ রান করেছিল। আর হাঁকিয়েছিল ২৫ ছক্কা। এবার দশ বছরের পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

  • Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    Parliament Winter Session: সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পেশ করতে পারে সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার। ১৯ দিনের এই অধিবেশনে ১৫ বার সভা বসার কথা। জাতীয় মহাসড়ক সংশোধনী বিল , পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত বিল, বীমা আইন সংশোধনী বিল এবং ভারতের উচ্চ শিক্ষা কমিশন ২০২৫ এর মতো মোট ১৩টি বিল এই অধিবেশনে উত্থাপিত হবে। ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীদের জন্য খারাপ খবর আসতে চলেছে এই অধিবেশনে। বাড়তে চলেছে নেশার খরচ। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের উপরে কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। দাম বাড়তে চলেছে সিগারেট ও অন্য তামাকজাত পণ্যের। দাম বাড়তে চলেছে পানমশলারও।

    কতদিন চলবে অধিবেশন

    সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। গান্ধীদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ও দেশজুড়ে চলা এসআইআর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আপাতত শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই এই দুই বিষয় নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে। কেন্দ্র ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চলেছে, যার মধ্যে রয়েছে নিউক্লিয়ার এনার্জি রিফর্ম (Nuclear Energy Reform), হায়ার এডুকেশন কমিশন বিল (Higher Education Commission), কোম্পানি আইন সংশোধন (Corporate Law Reform) এবং সিকিউরিটিজ মার্কেট সংশোধন (Securities Market Reform)। এই পরিস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। অধিবেশন মসৃণভাবে চালাতে সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকেন সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    নতুন আবগারি বিল

    শীতকালীন অধিবেশনের (Parliament Winter Session) প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন আবগারি বিল পেশ করতে পারেন। এই বিলে পান মশলা ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরে অতিরিক্ত সেস বসানোর কথা বলা হয়েছে। শুল্ক থেকে আয় হওয়া টাকা খরচ করা হবে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের খাতে। ওয়াকিবহাল সূত্রের খবর, এই বিলে পান মশলার উপরে সেস বসতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ‘সিন গুডস’ (Sin Goods) অর্থাৎ সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের উপরেও অতিরিক্ত সেস বসতে পারে। তবে ছাড় দেওয়া হবে বিড়িতে। এই বিলে এমন বিধানও রয়েছে যে জনস্বার্থে সরকার পরবর্তী সময়ে ‘সিন গুডসে’র তালিকায় আরও সংযোজন করতে পারে। বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলেই, তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

    কত দাম বাড়বে

    নতুন আবগারি বিলে সরকার ৭৫ এমএম দৈর্ঘ্যের বেশি ফিল্টার সিগারেটের প্রতি এক হাজার স্টিকে ১১ হাজার টাকা সেসের প্রস্তাব দিয়েছে। আগে এই শুল্ক ছিল মাত্র ৭৩৫ টাকা। নন ফিল্টার সিগারেট (৬৫-৭০এমএম) ক্ষেত্রে প্রতি এক হাজার স্টিকে ৪৫০০ টাকা শুল্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৮ গুণ বেশি সেস বসবে। এছাড়া পাইপ ও সিগারেটে ভরা স্মোকিং মিক্সচারে আগে যে ৬০ শতাংশ সেস ছিল, তা বাড়িয়ে ৩২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে আবগারি শুল্ক তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছিল, যাতে সেস বসলেও দামে বিশেষ প্রভাব না পড়ে। এবার সেই শুল্কে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এই বিলে বিভিন্ন নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপাদনের ক্ষমতার উপরেও সেস বসবে। অর্থাৎ ধরা যাক, যদি কোনও মেশিনে প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্রামের পান মশলার ৫০০ প্যাকেট তৈরি হয়। তাহলে প্রতি মেশিন পিছু প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা করে সেস বসবে। যদি উৎপাদন আরও বাড়ে, পণ্যের ওজন বাড়ে, তাহলে সেসও বাড়বে।

    অ্যাটমিক এনার্জি বিল

    প্রথামাফিক অধিবেশন শুরুর আগে, রবিবার সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। ওই বৈঠকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলগুলির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি এবং দেশের নানা প্রান্তে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানানো হবে। শীতকালীন অধিবেশনে ১৩টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তার মধ্যে উল্লেখ্য হল ‘অ্যাটমিক এনার্জি বিল, ২০২৫’। এই বিলে দেশের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ মেনে এত দিন পরমাণু শক্তি ক্ষেত্র পুরোপুরি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবটাই দেখত পরমাণু শক্তি দফতর (ডিএই)।

    কোন কোন বিল আসতে পারে

    দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বশাসিত করতে ‘হায়ার এডুকেশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বিল, ২০২৫ পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তালিকায় রয়েছে কর্পোরেট আইন (সংশোধনী) বিল, মণিপুর জিএসটি (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল। রবিবারের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রের তরফে অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য বিরোধী দলগুলির সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী রিজিজু বলেন, “সংসদের কাজ থমকে দেওয়া উচিত নয়। সরকার সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে চালাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে।”

     

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share