Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    Sharmishta Panoli: তোষণের রাজনীতি করতেই গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা, পার পেয়ে যাচ্ছে ওয়াজাহাত খান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতির জন্য তামাম ভারতে পরিচিত কংগ্রেসের ‘ডিএনএ-জাত’ তৃণমূল কংগ্রেস। ‘মাদার পার্টি’র মতো সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement Politics) তারও মজ্জাগত। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা সময় তাঁর ‘দুধেল গাই’দের সম্পর্কে প্রশস্তি গাইতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গদি আঁকড়ে ধরে রাখতে তাঁর যা যা করা দরকার, তিনি তা-ই করে চলেছেন। এই যেমন, মুসলমান ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে পুণের একটি আইনের কলেজ ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmishta Panoli) জীবনকে কার্যত ‘জীবন্ত নরকে’ পরিণত করার যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওকে কেন্দ্র করে আপত্তি তোলে মুসলমান সম্প্রদায়ের একাংশ। তার পরেই প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে গুরগাঁও থেকে ওই হিন্দু ছাত্রীকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে মমতার সরকার।

    শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা (Sharmishta Panoli)

    স্থানীয় আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। শর্মিষ্ঠাকে দু’সপ্তাহের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। শর্মিষ্ঠার আইনজীবীর মতে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ভালো নেই শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘দুধেল গাই’দের গায়ে লাগায় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmishta Panoli) তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত প্রশাসন শর্মিষ্ঠাকে যেসব মুসলমান অনলাইনে ধর্ষণ, খুনের হুমকি এবং ‘সর তন সে জুদা’ (ধড় থেকে মুন্ডু আলাদা করে দেব) বলে হুমকি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি! একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারেন, তা মাথায় ঢুকছে না শর্মিষ্ঠার শুভাকাঙ্খীদেরও।

    ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করা হয়নি?

    মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মমতা পুলিশমন্ত্রীও। তাঁর নির্দেশে পুলিশ গিয়ে গুরগাঁও থেকে ধরে আনতে পারে বছর বাইশের ওই ছাত্রীকে (Sharmishta Panoli)। শুধু তাই নয়, তাঁর গ্রেফতারিকে ন্যায্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টাও নিরন্তর করে চলেছে। অথচ, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, সেই ওয়াজাহাত খান নিজেও হিন্দু দেবদেবী (বিশেষত অসমের কামাখ্যা মন্দির) সম্পর্কে প্রায়ই অবমাননাকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, তার পরেও দিব্যি হাত গুটিয়ে বসে থাকে মমতার পুলিশ। অথচ ওয়াজাহাতকে গ্রেফতার করতে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে না, সে থাকে খাস কলকাতায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওয়াজাহাতের মতো এক উগ্র মুসলমানকে গ্রেফতার না করে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের বার্তা দিলেন। যেহেতু মুসলমানদের চটালে গদি খোয়াতে হতে পারে, তাই শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হলেও, বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় (বর্তমানে বেপাত্তা) ওয়াজাহাতের মতো উগ্র মুসলমানরা! শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের তরফে (Sharmishta Panoli) মুসলমানদের এই বার্তাও দেওয়া হয় যে, ‘তোমরা আমাদের ভোটব্যাংক (Muslim Appeasement Politics)। তাই সনাতন ধর্ম নিয়ে কোনও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলেও, তোমাদের কোনও ভয় নেই। কারণ, ম্যায় হুঁ না’!

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের বক্তব্য 

    তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত, যিনি আগেও স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে নারীবিদ্বেষমূলক মন্তব্য ও ভুয়ো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন, তিনিও এবার শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অমানবিক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সে (শর্মিষ্ঠা) যদি আমার মেয়ে হত, তবে আমি এতক্ষণে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতাম এবং তাকে ত্যাগ করতাম।” তিনি বলেন, “সে শিশু নয়, ২২ বছর বয়সি একজন আইন শিক্ষার্থী। সে যা বলেছে এবং করেছে, তা সম্পূর্ণ সচেতনভাবে ডানপন্থী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে করেছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে ঋজু সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বিদ্বেষ ছড়ানো ও হয়রানির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন (Sharmishta Panoli)।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ (শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার) কেবল সনাতনিদের বিরুদ্ধেই নেওয়া হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে অপমান করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটা তোষণের রাজনীতি।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনি দেবী কালী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? তাদের (টিএমসি) সাংসদ সায়নী ঘোষ মহাদেব নিয়ে কী পোস্ট করেছিলেন? কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে এতগুলো এফআইআর দায়ের হয়েছে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি (Sharmishta Panoli)।”

    তৃণমূলের মুসলিম তোষণ নতুন নয়

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলিম তোষণের ঘটনা নতুন নয়। এর শুরু হয়েছিল সে-ই ২০১১ সালে, যখন প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে মমতার সরকার। এই পার্টিই মুসলিমদের ওবিসি শ্রেণিভুক্ত করতে শুরু করে (Muslim Appeasement Politics)। কলকাতা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধানিক প্রতারণা’ বলে আখ্যা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের উর্দুভাষীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ বা তার কিছু বেশি। সেখানে উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে মমতার সরকার। মুসলমানদের তুষ্ট করতেই ইমাম ভাতাও চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Sharmishta Panoli)।

  • Ramakrishna 369: যতক্ষণ আমিটা তিনি রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ একটি ভাব আশ্রয় করে তাঁকে ডাকতে হয়

    Ramakrishna 369: যতক্ষণ আমিটা তিনি রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ একটি ভাব আশ্রয় করে তাঁকে ডাকতে হয়

    নানাভাবে পূজা ও গিরিশ- আমার মাতৃ ভাব

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)

    যতক্ষণ আমিটা তিনি রেখে দিয়েছেন, ততক্ষণ একটি ভাব আশ্রয় করে তাঁকে ডাকতে হয় (Kathamrita)। শান্ত দাস্য বাৎসল্য- এইসব।

    আমি দাসী ভাবে এক বছর ছিলাম। রম্যময়ীর দাসী (Ramakrishna)। মেয়েদের কাপড় ওড়না এইসব পড়তাম। আবার নথ পড়তাম। মেয়ের ভাব থাকলে কাম জয় হয়।

    সেই আদ্যা শক্তির পূজা করতে হয়। তাঁকে প্রসন্ন করতে হয়। তিনি মেয়েদের রূপ ধারণ করে রয়েছেন। তাই আমার মাতৃভাব অতি শুদ্ধ ভাব (Kathamrita)। তন্ত্রে বামাচারের কথা আছে। কিন্তু সে ভালো নয়, পতন হয়। ভোগ রাখলেই ভয়। মাতৃ ভাব যেন নির্জলা একাদশী। কোনও ভোগের গন্ধ নাই। আর আছে ফলমূল খেয়ে একাদশী, আর লুচি ছক্কা খেয়ে একাদশী। আমার নির্জলা একাদশী। আমি মাতৃভাবে ষোড়শীর পূজা করেছিলাম। দেখলাম স্তন, মাতৃ স্তন, যোনি, মাতৃযোনি। এই মাতৃ ভাব (Ramakrishna) সাধনের শেষ কথা তুমি মা। আমি তোমার ছেলে এই শেষ কথা।

    সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম- গৃহস্থের নিয়ম ও গিরিশ (Ramakrishna)

    সন্ন্যাসী নির্জলা একাদশী, সন্ন্যাসী যদি ভোগী রাখে তাহলেই ভয়। কামিনী কাঞ্চন ভোগ (Ramakrishna)। যেমন থুথু ফেলে আবার থুতু খাওয়া। টাকা করে মান সম্মান ইন্দ্রিয় সুখ- এইসব ভোগ। সন্ন্যাসীর ভক্ত স্ত্রীলোকের সঙ্গে বসা বা আলাপ করা ভালো নয়। নিজের ক্ষতি। আর অন্য লোকেরও ক্ষতি। অন্য লোকের শিক্ষা হয় না। লোকশিক্ষা হয় না (Kathamrita)। সন্ন্যাসীর দেহ ধারণ লোক শিক্ষার জন্য।

  • Kashmir: ভূস্বর্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পিএসএ মামলা দায়ের

    Kashmir: ভূস্বর্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পিএসএ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের অন্তত পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে সোমবার কঠোর জননিরাপত্তা আইনে (PSA) মামলা করা হয়েছে। এই পাঁচজন কাশ্মীরে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল। অভিযুক্তরা হল, নইম আহমেদ খান, ফাইজান আখতার ভাট, মেহরাজউদ্দিন ভাট, উমর হামিদ শেখ এবং সুহাইব শফি বাবা। অভিযুক্তরা সকলেই শ্রীনগরের বাসিন্দা।

    সরকারি মুখপাত্রের বক্তব্য (Kashmir)

    এক সরকারি মুখপাত্র জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত করা ডোজিয়ারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ নেওয়া হয় এবং তাদের জম্মুর কাঠুয়া, উদমপুর ও কোট বালওয়াল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা নথিভুক্ত রয়েছে। তবুও তারা নিজেদের আচরণ সংশোধন করেনি এবং আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও তারা নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রবিরোধী ও অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত ছিল, যা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।”

    অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা শ্রীনগরে এমন দেশবিরোধী কাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করছে, এই ধরনের উপাদানগুলির বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন অভিযানের মাধ্যমে(Kashmir)। এক আধিকারিক বলেন, “এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তির পরিপন্থী যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল করতে আমরা আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি (PSA)।”

    পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, “যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর অবৈধ বা বিশৃঙ্খল কার্যকলাপে লিপ্ত, তাদের আমরা সাফ জানিয়ে দিচ্ছি — আইনের দীর্ঘ হাত তাদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ধরবে এবং প্রতিটি অপরাধীকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।” “জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তির পরিপন্থী সকল অপরাধমূলক কার্যকলাপ নির্মূল করতে আইনের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের অটল প্রতিশ্রুতি ফের একবার মনে করিয়ে দেয় তারা। তিনি বলেন, সেই সব ব্যক্তিদেরও সতর্ক করছি যারা জাতির নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অবৈধ বা বিশৃঙ্খল কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন—আইনের দীর্ঘ হাত তাদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ধরবে এবং প্রত্যেক অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করা হবে,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে (Kashmir)।

  • Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ (Shri Ram Swabhiman Parishad)। পরিষদের সম্পাদক সুরজ কুমার সিং এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “পরিষদ শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “শর্মিষ্ঠা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

    গ্রেফতারের দাবি (Shri Ram Swabhiman Parishad)

    তিনি বলেন, “স্কাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা – যাদের দফতর পাকিস্তানের করাচিতে – তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এমনকী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে, সার তন সে জুদা স্লোগান তোলা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি তিনি বিএনএসের ২৯৫এ ধারায় দোষী হন, তাহলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হোক। কিন্তু একজন হিন্দু হিসেবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। তাঁর কিছু হলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ দায়ী থাকবে। আজকের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু ধর্মকে অপমানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, আর নিজের লোকেরা হচ্ছে নিশানা।”

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান সুরজ। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি করাচিতে রেজিস্ট্রার্ড, যদিও এখানে (ভারতে) তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং তাঁর পরিবার ও লিগ্যাল টিমের পাশে থাকব (Sharmistha Panoli)।” প্রসঙ্গত, ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণ

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিল। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, সে গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর (Shri Ram Swabhiman Parishad) জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে (Sharmistha Panoli)।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    এই ওয়াজাহাতই অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। ট্যুইটবার্তায় সে লিখেছিল, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুশকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে (Shri Ram Swabhiman Parishad)।

    শাস্তিযোগ্য অপরাধ! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি (Shri Ram Swabhiman Parishad)। বিজেপির এক নেতা বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে (Sharmistha Panoli)। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

  • PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’বছরে এই প্রথম! এবার জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত নাও হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কানাডায়। সেখানেই উপস্থিত নাও হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কানাডায় আয়োজিত এই জি৭ শীর্ষ সম্মেলন হবে ১৫ থেকে ১৭ জুন। এতে অংশ নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং কানাডা-সহ প্রথম শ্রেণির শিল্পোন্নত দেশগুলি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও অংশ নেবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। তবে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। সরকারি সূত্রের খবর, ভারত এখনও পর্যন্ত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পায়নি। যদি আমন্ত্রণ জানানোও হয়, ভারতের তরফে সেখানে যোগ দেওয়ার কোনও আগ্রহই নেই।

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক (PM Modi)

    সূত্রের খবর, ভারতের এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের বর্তমান শীতল পরিস্থিতিরই প্রতিচ্ছবি। এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর হওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডা সফর করেনও, তবে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডায় আয়োজিত জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

    কী বলছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এদিকে, কানাডার নয়া প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে (PM Modi) দেশের বিদেশমন্ত্রী অঙ্কিতা আনন্দ এক সাক্ষাৎকারে জানান, সদ্য নির্বাচিত মার্ক কার্নি সরকার ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। তিনি স্বীকার করেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পরিণতিতে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জর হত্যায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ভারতের দিকে। যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রুডোর পরে কানাডার কুর্সিতে বসেন কার্নি। তার পরেও যে ভারত-কানাডার সম্পর্কের উন্নতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর জি৭ সম্মেলনে যোগ না দিতে যাওয়ার ‘সিদ্ধান্ত’ই তার প্রমাণ (PM Modi)।

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Ramakrishna 368: পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়

    Ramakrishna 368: পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়

    শ্রী রামকৃষ্ণ- সমাধির পরে অবতারাদির আমি আবার ফিরে আসে। বিদ্যার আমি, ভক্তের আমি, এই বিদ্যার আমি দিয়ে লোকশিক্ষা হয়। শংকরাচার্য বিদ্যার আমি রেখেছিল।

    চৈতন্যদেব এই আমি দিয়ে ভক্তি আস্বাদন করতেন। ভক্তি ভক্ত নিয়ে থাকতেন। ঈশ্বরীয় কথা কইতেন। নাম সংকীর্তন করতেন।

    আমি তো সহজে যায় না। তাই ভক্ত জাগ্রত স্বপ্ন- প্রভৃতি অবস্থা উড়িয়ে দেয় না। ভক্ত সব অবস্থায় লয়। সত্ত্ব রজ তমো- তিন গুণও লয়। ভক্ত দেখে তিনি চতুরবিংশতি তত্ত্ব হয়ে রয়েছেন। জীবজগৎ হয়ে রয়েছেন। আবার দেখে সাক্ষাৎ চিন্ময় রূপে তিনি দর্শন নেন।

    ভক্ত বিদ্যা, মায়া আশ্রয় করে থাকে। সাধু সংঘ, তীর্থ, জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য এইসব আশ্রয় করে থাকে। সে বলে যদি ‘আমি’ সহজে চলে না যায় তবে থাক শালা দাস হয়ে ভক্ত হয়ে।

    ভক্তেরও একাকার জ্ঞান হয়। সেটা কি ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই নাই। স্বপ্নবৎ বলে না। তবে বলে তিনি এইসব হয়েছেন। মোমের বাগানে সবই মোম তবে নানা রূপ।

    তবে পাকা ভক্তি হলে এরূপ বোধ হয়। অনেক পিত্ত জমলে নেবা লাগে। তখন দেখে যে সবই হলদে। শ্রীমতি শ্যামকে ভেবে ভেবে সমস্ত শ্যামময় দেখলে। আর নিজেকে শ্যামবোধ হল। পারার মধ্যে সীসা অনেকদিন থাকলে সেটাও পারা হয়ে যায়। কুকুরে পোকা ভেবে ভেবে আরশোলা নিশ্চল হয়ে যায়। নড়ে না শেষে কুকুরে পোকাই হয়ে যায়। ভক্ত তাকে ভেবে ভেবে অহমশূন্য হয়ে যায়। আবার দেখে তিনিই আমি। আমিই তিনি। আরশোলা যখন কুকুরে পোকা হয়ে যায়, তখন সব হয়ে গেল। তখনই মুক্তি।

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    Sharmistha Panoli Arrest: শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডাচ সাংসদ, আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে গুরুগ্রাম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পালোনিকে (Sharmistha Panoli Arrest) গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বছর বাইশের শর্মিষ্ঠা পুণের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবার এই শর্মিষ্ঠার সমর্থনেই সরব হলেন নেদারল্যান্ডসের রাজনীতিবিদ (Dutch MP) গির্ট উইল্ডার্স।

    মোদির কাছে আবেদন (Sharmistha Panoli Arrest)

    ডাচ সাংসদ তথা দক্ষিণপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের নেতা উইল্ডার্স প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেন যাতে শর্মিষ্ঠাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্ত করুন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা বাকস্বাধীনতার পক্ষে লজ্জাজনক। পাকিস্তান ও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাকে শাস্তি দেবেন না। তাঁকে সাহায্য করুন নরেন্দ্র মোদি। শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (সবার নজর শর্মিষ্ঠার দিকেই)।প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শর্মিষ্ঠা। সেই ভিডিওয় এমন কোনও মন্তব্য করেছিলেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অনলাইনে তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। বিতর্কের জেরে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শর্মিষ্ঠা। চেয়ে নেন ক্ষমাও।

    অতি সক্রিয় পুলিশ

    নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া এবং ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, এফআইআর দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গুরুগ্রামে গিয়ে গ্রেফতারের জন্য এবং তাদের পদক্ষেপের জন্য বিজেপি মমতার পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মাত্র বাইশ বছর বয়সী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কারণ তিনি ১৫ মে একটি ভিডিও মুছে ফেলেছিলেন এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও খবর মেলেনি। তবুও কলকাতা পুলিশ অস্বাভাবিকভাবে তাড়াহুড়ো করে কাজ করছে। এটি আর আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয় – এটি নির্বাচনী প্রয়োগের বিষয়।” তিনি আরও লেখেন (Sharmistha Panoli Arrest), “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হয়েছে, যার মধ্যে একাধিকবার মর্মান্তিক প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস রয়েছে” এমন অভিযোগ করে মালব্য বলেন, “আইন কি তাঁর ওপর একই তাগিদের সঙ্গে প্রয়োগ করা হবে?” তিনি লেখেন, “ভারত দেখছে। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয় – এটি প্রতিফলিত করে যে কীভাবে একজন তরুণী হিন্দু মহিলাকে ভোটব্যাঙ্ক তুষ্ট করার জন্য টার্গেটে পরিণত করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হওয়া উচিত (Dutch MP)।”

    জনকল্যাণ সেনার বক্তব্য

    জনকল্যাণ সেনা নেতা পবন কল্যাণ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সময় শর্মিষ্ঠা, যিনি একজন আইন শিক্ষার্থী, কিছু কথা বলেছিলেন যা কিছু মানুষের কাছে দুঃখজনক ও আঘাতজনক ছিল। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন, ভিডিওটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমাও চান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু যখন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, সনাতন ধর্মকে উপহাস করেন, তখন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে যে গভীর ও জ্বলন্ত ক্ষত সৃষ্টি হয়, তার দায় কে নেবে? তখন সেই ক্ষোভ কোথায় যায়, যখন আমাদের বিশ্বাসকে বলা হয় ‘গন্ধ ধর্ম’? তখন কারা ক্ষমা চায়? তখন দ্রুত গ্রেফতারি কোথায় (Sharmistha Panoli Arrest)?”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডব্লিউবিপিএসের ডিজি যখন অনুব্রত মণ্ডল আপনার অধস্তন কর্মকর্তার স্ত্রী ও মাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কোথায় আপনার মেরুদণ্ড বন্ধ করে রেখেছেন? আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা শর্মিষ্ঠার মামলাটি গ্রহণ করছেন এবং তাকে সর্বোত্তম আইনি প্রতিরক্ষা প্রদান করা হবে, এবং আমি আশা করি যে তিনি জঘন্য ও দুষ্ট মমতা পুলিশের খপ্পর থেকে মুক্ত হবেন (Dutch MP)।”

  • Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    Kolkata Police: পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে গ্রেফতার ছাত্রী, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে কোথায় থাকেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় (Kolkata Police)। দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকিও। তার আগেই অবশ্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি (Bengal govt)। ডিলিট করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টও। তার পরেও কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার উজিয়ে গিয়ে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় আইনের এক ছাত্রীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা নামের ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলে অভিহিত করেন।

    দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার (Kolkata Police)

    সেই তিনিই একটি পাকিস্তানি ট্রোলকে উদ্দেশ করে ভিডিও বানানো এক দেশপ্রেমিক তরুণীকে গ্রেফতার করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করলেন। শর্মিষ্ঠার একমাত্র ‘অপরাধ’, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যা জেহাদিদের সমর্থন করে। তারা অমুসলিম ‘কাফের’দের হত্যা করে — এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট। যদিও তার ভিডিওতে গালিগালাজ ও উত্তেজিত ভাষা ছিল, তা ছিল মূলত পাকিস্তানি ট্রোলদের বিরুদ্ধে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছিল এবং পহেলগাঁও হামলার ধর্মীয় উদ্দেশ্য অস্বীকার করছিল। শর্মিষ্ঠা ওই পাকিস্তানি ট্রোলকে কটাক্ষ করেন এবং ইসলামিক ৭২ হুর ও তাদের নবীকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় ইসলামপন্থীদের একটা বড় অংশ।

    শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, শর্মিষ্ঠার প্রতিক্রিয়া ছিল তারই স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানি এক ট্রোলের প্রতি এই প্রতিক্রিয়াই ভারতে অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক নয় (Kolkata Police)। কারণ মমতা সরকার ইসলামপন্থীদের খুশি করতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে। বর্তমান ঘটনাটি মমতা সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার আর একটি উদাহরণ, যেখানে তারা নিজেদের রাজ্যেই ইসলামপন্থী দাঙ্গাবাজদের দ্বারা নিপীড়িত হিন্দুদের দুরবস্থার প্রতি চোখ বুজে থাকে। তাঁদের মতে, গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারের অধীনে মুর্শিদাবাদ ও সন্দেশখালিতে হিন্দুদের ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অত্যাচার একেবারে সরকারের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে। মুসলিম-প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১ই এপ্রিল ‘ওয়াক্‌ফ (সংশোধন) আইন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

    জলের ট্যাংকে বিষ

    বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়েছে। তাদের জলের ট্যাংকে বিষ মেশানো হয়েছে, এবং ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দু মহিলাদের বলা হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দিয়ে স্বামী-সন্তানের জীবন রক্ষা করে (Bengal govt)। ইসলামপন্থীরা হিন্দু নারীদের বলেছিল, নিজেদের ধর্ষিত হতে দাও, তবেই পরিবার বাঁচবে। তাদের সিঁদুর মুছে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ (Kolkata Police)। গত বছর সন্দেশখালিতেও হিন্দু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন মূলত নারীরা। এই মহিলারা তৃণমূল নেতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহচর শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মী — শিব প্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারের গ্রেফতারের দাবি জানান।

    নিপীড়নের প্রতিবাদ

    সেদিন সন্দেশখালির শত শত মহিলা ঝাঁটা, লাঠি ও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হাতে পথে নামেন। অবরোধ করেন সড়ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই অঞ্চলের বিবাহিত হিন্দু নারীদের বয়স ও সৌন্দর্যের ভিত্তিতে তুলে নেওয়া হত। রাতে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এই মহিলাদের স্বামীদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, তাদের স্ত্রীর ওপর তাদের কোনও ‘অধিকার’ নেই। যদি তারা মহিলাদের ওপর হওয়া এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের (Bengal govt) নির্মমভাবে মারধর করা হয় (Kolkata Police)।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে দ্রুততায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, সেই তৎপরতা একেবারেই দেখা যায়নি যখন রাজ্যের হিন্দু জনগণ ইসলামপন্থী দাঙ্গাকারীদের হাতে নির্মম নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিল। মুসলিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি নিজেও একজন মহিলা, হিন্দু নারীদের ওপর হওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নিষ্ক্রিয়তা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে (Bengal govt) তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (Kolkata Police)।

     

LinkedIn
Share