Tag: bjp

bjp

  • Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    Joy Banerjee: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুগছিলেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Joy Banerjee)। সোমবার ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Tollywood Actor)। শেষ সময়ে অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা। জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট জয়কে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৭ অগাস্ট তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। এদিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘণ্টাচারেক হাসপাতালেই থাকবে অভিনেতার মরদেহ।

    বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান (Joy Banerjee)

    ১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয়ের। ছোট থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয় ‘অপরূপা’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। দ্রুত ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়ে যান সুপুরুষ জয়। পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পান জয়। অঞ্জন চৌধুরীর ‘হীরক জয়ন্তী’ ছবি বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয় তাঁকে। জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও হিট করে। সুখেন দাস, অঞ্জন চৌধুরীর একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জয়কে। ‘হীরক জয়ন্তী’, ‘মিলন তিথি’, ‘জীবন মরণ’, ‘নাগমতি’-সহ বহু ছবির নায়ক ছিলেন সুপুরুষ জয়।

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন

    অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন জয়। যোগ দিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে বীরভূম ও উলুবেড়িয়া লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন জয়। বীরভূমে তিনি হেরে যান তৃণমূলের তারকা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের কাছে। হেরে গিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও। বিজেপির হয়ে একাধিকবার ভোটের ময়দানে নামলেও, প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন জয়। শেষমেশ ২০২১ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির হয়ে আর প্রতিনিধিত্ব করবেন না।

    জয়ের প্রথম স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর ফের বিয়ে করেন জয় (Joy Banerjee)। এবার তাঁর ঘরণী হন অঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর সময় তিনিই ছিলেন পাশে। আর ছিলেন জয়ের মা। প্রয়াত অভিনেতার সহকারী ছোটু জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জয়। সম্প্রতি (Tollywood Actor) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হওয়ায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Joy Banerjee)। তাঁর জীবনাবসানের খবরে শিলমোহর দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাংস্কৃতিক সেলের কো-কনভেনর সুরজিৎ চৌধুরী।

  • PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দিন তিনেক আগেই ঝটিকা সফরে বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা করেছিলেন দমদমে। এবার তিনি যেতে পারেন নদিয়ায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন। পুজোর আগে বাংলায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। পুজোর আগে তিনি ২ বার বাংলায় আসতে পারেন। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তাই পুজোর মরসুমেও রাজনৈতিক পালাবদলের অপেক্ষা রাজ্যে। মহালয়ার আগে-পরে বড় পরিকল্পনা সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া চলছে বিজেপির (BJP)।

    পুজোর মুখে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। গত কয়েকদিনে তিন বার বঙ্গসফরে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। এদিকে পুজো উদ্বোধনে শহরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কারণ মহালয়ার আগের দিন আসছেন মোদি, পরের দিন শাহ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২২ সেপ্টেম্বর মোদি-শাহের উপর্যুপরি বঙ্গসফর দেবীপক্ষের প্রথম দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ তুঙ্গে রাখবে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে, এখনই পুজোর আগে মোদি-শাহের কর্মসূচি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    বাংলায় পর পর সভা প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপি সূত্রের খবর, দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক সক্রিয়তা বিন্দুমাত্র শিথিল করার পরিকল্পনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে (PM Modi in Bengal) বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। এক একটি বিভাগে সর্বোচ্চ পাঁচটি এবং সর্বনিম্ন তিনটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং রাজ্য নেতৃত্বের যৌথ সিদ্ধান্ত, ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যেক বিভাগে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি করে জনসভা হবে। শিলিগুড়ি বিভাগের আলিপুরদুয়ারে, বর্ধমান বিভাগের দুর্গাপুরে এবং কলকাতা বিভাগের দমদমে সেই জনসভা হয়ে গেছে। বাকি এখনও সাতটি বিভাগে সাতটি জনসভা। সেগুলির মধ্যে একটি পুজোর আগেই সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাকি ছ’টি হবে পুজোর পরে। তার জন্য পুজোর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে দু’বার করে বাংলায় আসতে পারেন মোদি।

    পরবর্তী সভা নদিয়ায়

    সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নদিয়ার নবদ্বীপে জোড়া সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। একটি প্রশাসনিক সভা আর একটি রাজনৈতিক সভা করার কথা তাঁর। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় নবদ্বীপ বিভাগের অধীনে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র পড়ে। রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। তার মধ্যে একমাত্র রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রই বিজেপির দখলে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সেই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই কোথাও আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মোদির ফের বঙ্গে পা রাখার আগে ২ বার বাংলা সফরে আসতে পারেন অমিত শাহ। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে প্রধান বক্তা অমিত শাহ। তবে জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। কারণ, ১১ হাজার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে একসঙ্গে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের পর পুজোর আগে আরও একবার বাংলায় আসার কথা শাহর। মহালয়ার পরের দিন, ২২ সেপ্টেম্বরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজোর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো হিসেবে পরিচিত এই দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আগেও এসেছেন তিনি। ওইদিনই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অংশ নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দু’বছর পরে ওই পুজোর আবার আয়োজন হচ্ছে ইজেডসিসিতে। ২০২০ সালে ইজেডসিসির এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অবশ্য কলকাতায় এসে নয়। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এবার শাহ কলকাতায় এসেই সে পুজোর উদ্বোধন করবেন। রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ গোটা আয়োজনের দায়িত্বে।

  • PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের দেশ থেকে যেতেই হবে,” সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “এখান থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে হবে কি (TMC) না? কে তাড়াবে? বিজেপি তাড়াবে। তাই বিজেপিকে জেতান। বিজেপিকে ভোট দিন। অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা ছেড়ে পালাবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের কাছে সম্পদ কম। যুব সমাজকে উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, নাগরিকদের সুবিধা দিতে হবে। অনুপ্রবেশকারীরা রোজগার কেড়ে নিচ্ছে। নাগরিকদের অধিকারে ভাগ বসাচ্ছে। মা-বোনেদের সম্মানে হাত দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর তোপ, “তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ভোটব্যাংকের জন্য প্রশ্রয় দিচ্ছে। জমি কেলেঙ্কারি হচ্ছে। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আদিবাসীদের জমি দখল করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমি লালকেল্লার প্রাচীর থেকেও বলেছি, অনুপ্রবেশকারীদের যেতেই হবে। যারা নকল কাগজপত্র নিয়ে এখানে আছে, তাদের এখান থেকে যেতেই হবে। এই ভাবে তৃণমূল সরকারকেও এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।”

    বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায় (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি যা ভাবে, তা করে দেখায়। তার তাজা প্রমাণ অপারেশন সিঁদুর। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে বিজেপি নিয়োজিত।” তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার সগর্বে বাংলা ভাষা আর বাংলা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরাই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছি।” তিনি বলেন, “বাংলাকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই, যেখানে বাংলার একজন যুবককেও কাজের জন্য বাইরে যেতে না হয়। দেশের সব চেয়ে বড় চিন্তা অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ সময়ের আগে চিন্তা করেন। অথচ তার পরেও অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের যুবকদের চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে। পরিকাঠামো উন্নয়নেও বাধা দিচ্ছে। এই জন্যই ভারত সরকার এত বড় অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু ইন্ডি জোট তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে।” তিনি বলেন, “বাংলায় অনুপ্রবেশ ঘোর সামাজিক সংকট তৈরি করছে। এটা থামাতেই হবে। এজন্য আমি লালকেল্লা থেকে ডেমোগ্রাফিক মিশনের কথা ঘোষণা করেছি (TMC)।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে শোনা গেল দুর্নীতি বিরোধী বিলের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এবার লোকসভায় বিজেপি এক বড় দুর্নীতি-বিরোধী বিল নিয়ে এসেছে। বাংলাকেও সেই বিলের কথা বলব। আমাদের দেশে একজন সরকারি কর্মী, সে তিনি সাফাইকর্মীই হোন বা গাড়ির চালক, তাঁকে জেলে ঢোকানো হলে ৫০ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না পেলে নিয়ম অনুযায়ী সাসপেন্ড হয়ে যান। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে যান, তাহলে তাঁদের জন্য কোনও আইন নেই!” পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এমন একজন জেলে গিয়েছেন, যাঁর বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় মিলেছে। তাও তিনি চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল (PM Modi)। তিনিও চেয়ার ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এমন লোক যাঁরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, তাঁদের সরকারি পদে থাকার অধিকার আছে কি (TMC)?”

  • PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন উন্নয়ন থমকে থাকবে,” দমদমে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যতদিন বাংলায় তৃণমূলের সরকার থাকবে, ততদিন বাংলায় উন্নয়ন থমকে থাকবে। তৃণমূল গেলে তবেই আসল পরিবর্তন আসবে। টিএমসি যাবে, তবেই আসল পরিবর্তন আসবে।” শুক্রবার দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে (Kolkata) ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় বলতে উঠে এই ভাষায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আক্রমণ শানালেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। এদিন বাংলায়ই ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “সবাই আমার প্রণাম নেবেন। ছোটরা ভালবাসা।” এরপরই তিনি দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির ও কালীঘাট মন্দির-সহ একাধিক মন্দিরের কথা উল্লেখ করে ‘প্রণাম’ জানান। তিনি বলেন, “আমি এমন একটা সময়ে কলকাতায় এলাম, যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কুমোরটুলিতে প্রতিমা গড়া চলছে। এর সঙ্গে যখন উন্নয়ন জুড়ে যায়, তখন খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়।”

    প্রধানমন্ত্রীর বাণ (PM Modi)

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী একের পর এক বাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, “প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বামেদের শাসন দেখেছে বাংলা। ১৫ বছর আগে আপনারা মা-মাটি-মানুষে বিশ্বাস করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আগের চেয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হল। ‘ক্রাইম’ এবং ‘কোরাপশন’ টিএমসি সরকারের পরিচিতি।” তিনি বলেন, “বাংলার জন্য যে টাকা আমরা সরাসরি রাজ্য সরকারকে পাঠাই, তার বেশিরভাগই লুট হয়ে যায়। আপনাদের জন্য খরচ হয় না। টিএমসি ক্যাডারের জন্য খরচ হয়। এই জন্য জনকল্যাণে পিছিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আগে ত্রিপুরা, অসমের এই হাল ছিল। যবে থেকে বিজেপি সরকার এসেছে, তবে থেকে ওই দুই রাজ্যেই পাচ্ছে গরিব কল্যাণ যোজনার লাভ।”

    “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার গৌরবোজ্জ্বল অতীত আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই এক সঙ্গে বলতে হবে তৃণমূলকে সরাও। বাংলাকে বাঁচাও।” তিনি বলেন, “পরিবর্তন চাই। এমন পরিবর্তন, যা মেয়েদের সুরক্ষা দেবে, যা দোকান আর ঘর জ্বালানো বন্ধ করবে, গরিবের অধিকার গরিবকে পাইয়ে দেবে, কৃষকের উন্নতি হবে।” এদিনের সভায় ছাব্বিশের ভোটের স্লোগানও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “বাঁচতে চাই, তাই বিজেপি চাই!”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় বিজেপির সরকার বানান। আমরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বাংলা বানিয়ে দেব। বিকশিত বাংলা, মোদির গ্যারান্টি।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির কাছে রোডম্যাপ আছে। কিন্তু তৃণমূলের নেই। তৃণমূল উন্নয়নের শত্রু। তার সাক্ষী এই দমদমের মানুষও।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট সিটি মিশনে এখানকার অনেক উন্নতি হতে পারত। কিন্তু তৃণমূলের সরকার সেই প্রকল্প যুক্ত হল না। তৃণমূলের কাজ হল, যে কোনও উপায়ে পশ্চিমবঙ্গে (Kolkata) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ আটকানো।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবেদন, “আপনারা এখানেও একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন।”

  • PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে এই সফর পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়। দমদমে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ এবং একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাটনা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    বক্তব্য রাখবেন ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’তে

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মেট্রো রেলে করে বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে আবার যশোর রোড স্টেশনে ফিরে আসবেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর দমদম (Dumdum) সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই তিনি বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য় রাখবেন।

    একনজরে মোদির সফর – ২২ অগাস্ট, শুক্রবার

    বাংলার মাটিতে পা রাখবেন 

    বিকেল ৪:০৫ — কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)

    ৪:১০ — সড়কপথে রওনা হবেন যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে

    মেট্রো রুট উদ্বোধন

    ৪:১৫ — মেট্রোর নতুন তিনটি রুট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে। এরপর মেট্রো চড়ে যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) পর্যন্ত যাবেন
    ৪:৩৫ — ওই ট্রেনে চেপেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসবেন

    সরকারি অনুষ্ঠান

    ৪:৪৫ – ৫:১৫ — দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে প্রশাসনিক মঞ্চে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

    রাজনৈতিক ভাষণ

    ৫:২০ — উঠবেন বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে (প্রশাসনিক মঞ্চের পাশেই)

    ৫:৩০ – ৬:১৫ — ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সফর শেষ করে ফিরে যাওয়া

    ৬:১৫ — সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের (Dumdum) উদ্দেশে রওনা

    ৬:৩০ — দিল্লির উদ্দেশে বিমানে রওনা হওয়ার কথা

    যে তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে:

    শিয়ালদা – এসপ্ল্যানেড

    বেলেঘাটা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    অতিরিক্ত উদ্বোধন:

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ে-এরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • Kolkata Metro: মাত্র ৩৬৬ মিটার জমির জন্য থমকে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫ মেট্রো! মমতার নীতিকে সংসদে তুলোধনা শমীকের

    Kolkata Metro: মাত্র ৩৬৬ মিটার জমির জন্য থমকে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫ মেট্রো! মমতার নীতিকে সংসদে তুলোধনা শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোপথে (Kolkata Metro) জুড়ে যাচ্ছে শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড। অরেঞ্জ লাইনে রুবির সঙ্গে যোগ হচ্ছে বেলেঘাটা। অন্যদিকে, ইয়োলো লাইনে বিমানবন্দরের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে নোয়াপাড়া। সব মিলিয়ে মেট্রো নেটওয়ার্কে একদিকে যেমন হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দর, তেমনি এবার হাওড়া ময়দান থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভেও। এই মেট্রো রুটগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে ২২ অগাস্ট শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগেই বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বুধবার সংসদে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শমীক জানান, একটা ছোট জায়গার কাজ হচ্ছে না বলেই আটকে আছে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের কাজ।

    কী বললেন শমীক

    সংসদে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, খোদ মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার কয়েকদিন আগেই আক্ষেপ করে বলেছেন, চিংড়িঘাটার মাত্র ৩৬৬ মিটার এবং নব দিগন্ত থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য যে জমি প্রয়োজন ছিল, দেয়নি রাজ্য। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি। এই জমিটুকু পাওয়া গেলে ওই অংশের কাজ শেষ হয়ে যেত। ফলে কবি সুভাষ থেকে জয়হিন্দ মেট্রো স্টেশন বা কলকাতা বিমান বন্দর পর্যন্ত মেট্রো করিডরের অনেকটা অংশই চালু করে দেওয়া যেত। তিনি উল্লেখ করেন, ওই অংশের কাজ না হওয়ায় পডুয়া থেকে আইটি সেক্টরের কর্মী, সবারই অসুবিধা হচ্ছে।

    জমি নীতিই বাধা

    শমীক বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’ শমীক বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ কলকাতা পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তিনটি পিলার নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে শমীক দাবি করেছেন।

    সুজিত বসুর সঙ্গে কথা শমীকের

    বঙ্গবাসীর স্বার্থে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। দমদমে এক সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য নিজেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর বক্তব্য, সল্টলেক থেকে কলকাতার কানেকশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বহুদিন ধরেই আটকে আছে। সেই কারণেই তিনি দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শমীক জানান, দমকল মন্ত্রী তাঁকে বলেছেন যে, তাঁর তত্ত্বাবধানে এক প্রান্তের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু চিংড়িঘাটা অঞ্চলে কলকাতা পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের আপত্তির কারণে তিনটি স্তম্ভ সরানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই পুরো প্রকল্প আটকে রয়েছে। দমকল মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কিছু করতে পারছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাধা

    শমীকের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার জন্যই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রাজ্যে শুরু করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়ন বারবার ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের প্রস্তাবগুলিকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।’’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় বিশ্বাসী। তাঁর লক্ষ্য রাজ্যের উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা। কিন্তু রাজ্য সরকারের নীতির কারণে উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে।’’

    নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

    শুক্রবার, রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দমদমে (Kolkata Metro) প্রশাসনিক কর্মসূচি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি জনসভা রয়েছে তাঁর। দমদমের প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকেই নতুন তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত চলে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো। এবার সেই লাইনের সম্প্রসারিত অংশেও চলবে মেট্রো। উদ্বোধন হবে রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশের। এতদিন গ্রিন লাইনে মেট্রো চলছিল হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ। গতবছর ৬ মার্চ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো রুটের সূচনা হয়। এবার হাওড়া থেকে যেমন সরাসরি সল্টলেকে পৌঁছানো যাবে তেমনই মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে বিমানবন্দরও। অন্যদিকে, ১৬ অগাস্ট শনিবার কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট সম্প্রসারিত রুটেরও পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যেই মিলেছে ছাড়পত্র। অর্থাৎ ওই একইদিনে শহরের আরেক রুটেও মেট্রো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

  • PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    PM-CM Removal Bill: টানা ৩০ দিন ‘বন্দি’ থাকলেই পদ খোয়াবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা! নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের নিয়ে সংসদে নতুন বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দোষী সাব্যস্ত না হলেও, গুরুতর অপরাধ মামলায় গ্রেফতার বা আটক হলেই তাঁদের অপসারণের কথা বলা রয়েছে বিলে (PM-CM Removal Bill)। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেন। কেন্দ্রের দাবি, অপরাধমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই বিল।

    বিলে কী বলা হয়েছে?

    কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও মন্ত্রী যদি গ্রেফতার হন এবং একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, সেক্ষেত্রে ৩১তম দিনে তাঁকে হয় পদত্যাগ করতে হবে, নয়ত পদ থেকে সরানো হবে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নরই নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। (PM-CM Removal Bill) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস জেলে থাকলেও ইস্তফা দেননি। জেল থেকেই দায়িত্ব সামলেছিলেন। কিন্তু এই আইন পাশ হলে ৩১তম দিনেই মন্ত্রিত্ব থেকে সরতে হবে বন্দি মন্ত্রীকে।

    লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ

    বুধবার লোকসভায় মোট তিনটি বিল পেশ করেন শাহ। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন তিনি। তিনটি বিল পেশ হতেই বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন লোকসভায়। ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিলের প্রতিলিপি (কপি) ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদেরা। কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, কেসি বেণুগোপাল, মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ অন্য সাংসদেরা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হন লোকসভায়। তাঁদের দাবি, এই বিল সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলে স্রেফ সাধারণ মানুষের চোখে পট্টি পরানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যতে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও মামলা করা যেতে পারে। তিনি দোষী সাব্যস্ত না হলেও তাঁকে ৩০ দিন হেফাজতে রেখে দেওয়া হতে পারে। তার পরে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিলের বিরোধিতা করছেন।

    বিল পাঠানো হল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে 

    বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে সংসদের উভয় কক্ষের শাসক-বিরোধী সাংসদেরা থাকবেন। তবে এর পরেও বিরোধীদের হট্টগোল বন্ধ হয়নি। শেষে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে দুপুর তিনটে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। পরে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বিল পাঠানো হয়েছে কমিটিতে?

    ১. সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল
    ২. কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫
    ৩. জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫

    এই বিলগুলিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন অমিত শাহ। তবে বিরোধীরা বলছে, “অভিযোগ প্রমাণিত না হয়েই পদচ্যুতির বিধান গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”

    কী করবে যৌথ সংসদীয় কমিটি?

    এই কমিটি লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩১ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে — ২১ জন লোকসভা থেকে এবং ১০ জন রাজ্যসভা থেকে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকবেন এতে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংস্থা কিংবা স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের ডেকে মতামত নিতে পারবে। এই কমিটিকে আগামী অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে — অর্থাৎ প্রায় তিন মাস সময় পাচ্ছে তারা। সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। এরপর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বসবে পরবর্তী অধিবেশন। জানা গিয়েছে, সংবিধানের ৭৫ অনুচ্ছেদে নতুন ৫(এ) ধারা যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই আইনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে। গ্রেফতার কিংবা আটকের পর যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, তবে ৩১ তম দিনে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে কিংবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।

  • BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায়  ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ করতে রাজ্য বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চাকে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। অবশ্য ঘোষণা নয়, এই কর্মসূচির কথা প্রস্তাব আকারে পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতাদের তা বিবেচনাও করতে বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল।

    ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ (BJP)

    সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নারী শক্তি সম্মেলনে’র। রাজ্য মহিলা মোর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন এবং মীনাদেবী পুরোহিত। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাস ছয়েক (পুজোর মাস এবং অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে) দেরি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বনশল। এই কয়েক মাসে মহিলা মোর্চাকে কোন কোন জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, তা উল্লেখ করার পর বনশল বলেন, “আমি চাই ব্রিগেডে যেমন জনসভা হয়, সেই রকম ভাবে কলকাতায় এক লাখ মহিলার জমায়েত করা হোক। কারণ এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। তাই মহিলারাই পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর ডাক দেবেন।” তিনি বলেন, “এখানে শুভেন্দুদা রয়েছেন। তিনি এবং অন্য নেতারা যদি আমার সঙ্গে সহমত হন, তাহলে আমার মনে হয় একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া যেতেই পারে। জনসভা নয়। সারা বাংলা থেকে এক লাখ মহিলা এসে নামবেন কলকাতার রাস্তায় আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দেবেন (BJP)।”

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “যদি আমরা এক লাখ মহিলাকে নিয়ে এই মহিলা ব্রিগেড করতে পারি, তাহলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড। আপনারা যাঁরা আজ এখানে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ২০০ জন করে মহিলাকে আনতে পারলেই সংখ্যাটা এক লাখ ছাপিয়ে যাবে। আজ থেকেই খাতায় নাম লিখতে শুরু করুন যে, আমি এই ২০০ জনকে আনব।” মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, “ব্রিগেডেই হোক বা কলকাতার রাজপথে, লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে কলকাতার বুকে এই কর্মসূচি রূপায়িত (Sunil Bansal) হলে, তাহলে তা সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে (BJP)।”

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    CP Radhakrishnan: সংঘ পরিবারের সাধারণ কর্মী থেকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রবিবার, ১৭ অগাস্ট এই ঘোষণা সামনে এসেছে এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই ঘোষণা করেন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এনডিএ-র সংসদীয় দলের সংসদীয় বোর্ডের মিটিং সম্পন্ন হওয়ার পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন তিনি।

    শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের পুরো নাম হল চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। তাঁকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করা হয় ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হওয়ার আগে তিনি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসেবে এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। শ্রী সিপি রাধাকৃষ্ণণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালের ৪ মে, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে। এর পরে তিনি পড়াশোনা করেন তুতিকোরিনের ভিও চিদাম্বরম কলেজে এবং সেখান থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন।

    তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

    তিনি একজন ভূমিস্তরের কর্মকর্তা হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তারপরে ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতা ও প্রতিভার জোরেই তিনি উপরে উঠতে থাকেন। তিনি দুবার কোয়েম্বাটুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জানা যায়, ভারতীয় জনসংঘের সঙ্গেই তার প্রথম রাজনৈতিক যোগাযোগ শুরু হয় এবং জনসংঘের রাজ্য কমিটির একজন সদস্য হন, যা ছিল বর্তমান বিজেপির পূর্বসূরি। ১৯৭৪ সালে তিনি জনসংঘের রাজ্য কমিটির সদস্য হন। জনসংঘে যোগদানের আগে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) স্বয়ংসেবক ছিলেন বলেও জানা যায়।

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু বিজেপির সম্পাদক হন

    ১৯৯৬ সালে সিপি রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিজেপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি লোকসভার সাংসদ হন (CP Radhakrishnan) কোয়েম্বাটুর থেকে ১৯৯৮ সালে। পরে, ১৯৯৯ সালেও তিনি পুনরায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। সংসদে থাকাকালীন তিনি পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান এবং একই সঙ্গে পার্লামেন্টারি কমিটি ফর পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস ও স্পেশাল কমিটি অন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সদস্যও ছিলেন।

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি

    ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রাধাকৃষ্ণণকে (CP Radhakrishnan) দায়িত্ব দেওয়া হয় তামিলনাড়ুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে। এই সময়ে তিনি ৯৩ দিনব্যাপী একটি রথযাত্রা কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যা প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। এই রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সমস্ত নদীগুলোর সংযোগ সাধন, সন্ত্রাসবাদ দমন, ‘এক দেশ এক আইন’ বাস্তবায়ন, অস্পৃশ্যতা নির্মূল এবং মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা।

    কোচির নারকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান

    সিপি রাধাকৃষ্ণণকে চেয়ারম্যান করা হয় কোচির  নারকেল বোর্ডের, যা কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোট শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্থ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারকেলের ছোবড়ার রফতানি সর্বোচ্চ হয় এবং ভারত ২৫৩২ কোটি টাকার নারকেলের ছোবড়া রফতানি করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কেরালার বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির বাইরে রাধাকৃষ্ণণ টেবিল টেনিস খুব ভালো খেলতেন। জানা যায়, নিজের কলেজ জীবনে তিনি টেবিল টেনিসের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর ক্রিকেট ও ভলিবলের প্রতিও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

    একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন

    তিনি একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। সফর করা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, চিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান প্রভৃতি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন যে, “তিনি দীর্ঘদিন জনসেবায় যুক্ত ছিলেন। রাধাকৃষ্ণণজির মধ্যে কর্তব্যবোধ, মানবিকতা এবং বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। তিনি এর আগেও একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন এবং সর্বদা লক্ষ্য রেখেছেন জনগণের সেবা এবং দরিদ্রদের সশক্তিকরণে। তামিলনাড়ুতে তিনি ভূমিস্তরে কাজ করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এনডিএ পরিবার তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।”

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা কী বলছেন?

    সিপি রাধাকৃষ্ণণের মা জানিয়েছেন, তিনি খুবই খুশি তাঁর ছেলের এই সাফল্যে। তিনি বলেন, “যখন আমার ছেলে জন্মগ্রহণ করে, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতো হয়। সেই অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়। আজ সেই প্রার্থনা সফল হয়েছে।” উল্লেখ্য, সিপি রাধাকৃষ্ণণ ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তিনি হতে চলেছেন দ্বিতীয় কোনও ওবিসি নেতা যিনি দক্ষিণ ভারত থেকে উপরাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে তিনিই তৃতীয় নেতা যিনি উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের নাম ঘোষণায় তামিলনাড়ুর বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা গর্বিত।”

LinkedIn
Share