Tag: bjp

bjp

  • Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    Lalu Yadav: ‘‘কুম্ভ ফালতু’’, বিতর্কিত মন্তব্য লালুর, ‘‘উনি হিন্দু বিদ্বেষী’’, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলা, শিশু-সহ মোট ১৮ জনের। এনিয়েই মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিহারের আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। রবিবার পদপিষ্টের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের লালু (Lalu Yadav) বলেন, ‘‘কুম্ভের (Mahakumbh) কি কোনও অর্থ আছে? সবটাই অর্থহীন, ফালতু।’’ এর পাশাপাশি লালু প্রসাদ যাদব আরও বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ প্রসঙ্গত, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার ভোট

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহারের ভোট। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাপক ভাবে সেখানে আসন নিয়ে জিততে চলেছে এনডিএ জোট। এই আবহে লালুর এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি তোষণের রাজনীতি করছেন বলেই মত অনেকের। তাঁর এই মন্তব্যে আসলে প্রতিফলিত হয়েছে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

    তোষণের রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির

    লালুপ্রসাদের (Lalu Yadav) এহেন মন্তব্যে রাজনীতির পারদও চড়ছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিও লালু-সহ আরজেডিকে হিন্দু বিদ্বেষী তোপ দেগেছে। বিহার বিজেপির মুখপাত্র মনোজ শর্মার দাবি, এটাই হিন্দু ধর্মের প্রতি আরজেডির মানসিকতা প্রকাশ করেছে। মনোজ বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতির কারণে এই ধরনের মন্তব্য করছেন লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Yadav)। আরজেডি নেতারা সর্বদা হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপমান করেছেন। লালুপ্রসাদের মহাকুম্ভকে অর্থহীন বলে সর্বশেষ বিবৃতি হিন্দু ধর্মের প্রতি দলের মানসিকতাকে তুলে ধরছে।’’ লালু বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মনোজ শর্মা আরও বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক রুটি সেঁকতেই এমন কথা বলছেন তিনি। এটা প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার হিন্দুদের অপমান করেছেন তিনি।’’

  • Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    Chhattisgarh Urban Bodies Election: ছত্তিশগড়ে পুরনির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার, রায়গড়ে মেয়র হলেন চাওয়ালা জীবর্ধন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের রং এখন গেরুয়া। ছত্তিশগড়ে স্থানীয় নির্বাচনেও (Chhattisgarh Urban Bodies Election) বিরাট জয় পেল বিজেপি। শনিবার সমস্ত মেয়র পদেই জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও রাই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা ছত্তিশগড় বিজেপির জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। ছত্তিশগড় পুরসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা ১০টা আসনেই জয় পেয়েছে। বিপুল মার্জিনে জয় পেয়েছেন তারা। কংগ্রেস একটা আসনেও জিততে পারেনি। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রাখার জন্য সমস্ত ভোটারদের ধন্য়বাদ জানান তিনি।

    নাড্ডার শুভেচ্ছা

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ছত্তিশগড়ে বিজেপির সভাপতি ও ছত্তিশগড়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিপুল বিজয়ের জন্য। জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক জয় হল মানুষের আস্থা জনকল্যাণমুখী স্কিম ও আদিবাসী কল্যাণে নিয়োজিত স্কিমগুলির উপর। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এই স্কিমগুলি প্রয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে এই কর্মকাণ্ড চলছে। কার্যত ছত্তিশগড় থেকে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে কংগ্রেস। একের পর এক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার পুরসভাগুলির ভোটেও বিজেপিরই জয় জয়কার।

    চা-ওয়ালা থেকে মেয়র

    একজন চাওয়ালার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার নজির আগেই দেখেছে দেশ। এবার এক চা বিক্রেতাকে মেয়রও হতে দেখল ছত্তিশগড়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে ‘নাকের জলে, চোখের জলে’ করে রায়গড় শহরের মেয়র হলেন বিজেপি নেতা জীবর্ধন চৌহান। তাঁর এই সাফল্য এখন মুখে মুখে ফিরছে। শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে উঠে চৌহান হয়ে উঠেছেন নয়া অনুপ্রেরণা। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক ওপি চৌধুরী বলেন, ‘এই জয় ঐতিহাসিক জয়।’ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চৌহান বলেন, “যেদিন আমি খবর পেয়েছিলাম একজন চাওয়ালাকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবশেষে এই সাফল্যে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সংঘ, বিজেপি ও বিধায়ক ওপি সিংকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার মতো একজন গরিব মানুষকে এই পদের যোগ্য বলে মনে করেছেন ও আমায় লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছেন।”

  • Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বিরাট অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।

    সমাজ মাধ্যমে লম্বা পোস্ট শুভেন্দুর

    এনিয়েই সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।’’

    এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে, দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’’ এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। ঘটনা গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। তার মধ্যেই আবার নয়া এক ওষুধ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ ব্লকের (INDIA Block) অন্ধকার দশা চলছে।” দিল্লি নির্বাচনে (Delhi Election) আপ দুর্গে ধস নামানোর পর মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা প্রকাশ রেড্ডি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের। অথচ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোট। এই জোটে রয়েছে আপও।

    মুখোমুখি লড়াই (Delhi Election)

    সেই আপের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের জেরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আপ এবং কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হলে দিল্লি বিধানসভার অন্তত ১৩টি আসনের ফল অন্যরকম হত। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে ‘ইন্ডি’ ব্লক। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক মহল বিশ্লেষণ করছে যে ভারতের রাজনীতিতে আর কোনও নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট থাকবে না। সংসদ নির্বাচনের পর ইন্ডি জোট জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং এখন দিল্লিতে এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি।” এর পরেই তিনি বলেন, “ইন্ডি জোটের এখন অন্ধকার দশা চলছে (Delhi Election)।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই ঘটনাগুলোই জোটের অন্দরে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা প্রমাণ করে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কোনও জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে না।” ইন্ডি জোটের অন্দরে এই কোন্দলের জন্য রেড্ডি দায়ী করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর দাবি, “আঞ্চলিক দলগুলি এখন নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, জোটের অংশ হিসেবে নয়। এসবই ইঙ্গিত করে ইন্ডি জোট ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেসের হাল দেখে সব দল একা একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর ইন্ডি জোটের দুই সদস্য দল কংগ্রেস এবং আপকে নিশানা করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ইন্ডি জোটের (INDIA Block) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীও (Delhi Election)।

  • Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে হয়েছে দিল্লি বিজয়। সেই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Woman Chief Minister) ছিলেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তার পর দিল্লিতে (Delhi) কায়েম হয় কংগ্রেস ও আপের রাজত্ব। এবার ফের পালাবদল ঘটেছে। দিল্লির রাশ ফের এসেছে পদ্ম-পার্টির হাতে। এবারও কি তাহলে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছেন দিল্লিবাসী? চলছে নানা গুঞ্জন।

    মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! (Woman Chief Minister)

    এক পক্ষের মতে, আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে বিজেপিরই অন্য এক অংশের মতে, এবার কোনও মহিলার মাথায় উঠতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সামাজিকভাবে প্রতিনিধিত্বশীল পটভূমি থেকে একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। দিল্লির এই নয়া মন্ত্রিসভায় মহিলা এবং দলিতদের জোরালো উপস্থিতিও দেখা যেতে পারে।

    মোদি দেশে ফিরলেই ঘোষণা!

    সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় গেরুয়া পার্টি পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এবার দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। যেহেতু দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি, তাই সরকার গড়বে পদ্ম পার্টি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কাকে বসানো হবে, তা জানা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফর সেরে ফিরলে।

    এক প্রবীণ বিজেপি নেতার ইঙ্গিত, বিজেপি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে সম্ভাব্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে। এই বিবেচনা থেকেই বেছে নেওয়া হতে পারে পূর্বাঞ্চলীয় পটভূমির কোনও প্রার্থীকে। শিখ কিংবা কোনও জাঠ নেতাকেও বসানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। কোনও মহিলাকেও মনোনীত করা হতে পারে। বিজেপির ওই নেতার কথায়, এটাই হবে সব চেয়ে উপযুক্ত (Woman Chief Minister)।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে যেসব মহিলা এগিয়ে রয়েছেন, তাঁরা হলেন রেখা গুপ্ত। শালিমার বাগের বিধায়ক তিনি। বিজেপির মহিলা ইউনিটের জাতীয় সহ সভাপতি তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি হারিয়েছেন সাড়ে ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে। দৌড়ে রয়েছেন গ্রেটার কৈলাশের বিধায়ক শিখা রায়, ওয়াজিপুরের বিধায়ক (Delhi) পুনম শর্মা, নজফগড়ের বিধায়ক নীলম পেহলওয়ান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ (Woman Chief Minister)।

  • Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    Manipur: মণিপুরে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? রুদ্ধদ্বার বৈঠক বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সম্প্রতি সরে দাঁড়িয়েছেন বীরেন সিং। এই আবহে মণিপুরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, ইম্ফলে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র (Resignation) পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। দীর্ঘ ২ বছর ধরে মণিপুরে (Manipur) লাগাতার হিংসার মাঝে অবশেষে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। রবিবার ইম্ফলে রাজভবনে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেছেন তিনি। বীরেনের ইস্তফার পর কে হবেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী? চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিজেপি নেতৃত্ব নয়াদিল্লিতে কুকি-জো বিধায়কদের সাথে আলাদা করে দেখা করতে চলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এমনক এক নেতাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, যিনি মৈতৈ এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যকার এই চলমান হিংসা এবং সংঘাত মোকালিবা করতে পারবে।

    বিজেপির বৈঠক

    উত্তরপূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আপাতত ইম্ফলের এক হোটেলে আছেন। এর আগে বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের সময়ও তিনি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার হোটেলের ঘরেই স্পিকার টি সত্যব্রত সিং, শিক্ষামন্ত্রী ওয়াই খেমচাঁদ, টিএইচ বিশ্বজিৎ, প্রাক্তন মন্ত্রী থ রাধেশ্যাম এবং মন্ত্রী আওয়াংবোই নিউমাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন সম্বিত পাত্র। মনে করা হচ্ছে, বীরেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে এঁদের কাউকে। খেমচাঁদকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে কুকিদের কোনও আপত্তি নাও থাকতে পারে। এই আবহে সম্বিত পাত্রের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় খেমচাঁদ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা মেনে নেব। আমাদের লক্ষ্য রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা।’ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘হাইকমান্ড যদি আমাকে প্রজেক্ট করে, আমি তা মেনে নেব।’

  • BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    BJP: ১৩ মাস আগেই গঠিত হয় সরকার, বিজেপি জমানায় ছত্তিশগড়ে খতম ৩০০ মাওবাদী, গ্রেফতার ১,১০০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়াল সরকার। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ছত্তিশগড়ের বিজেপি (BJP) সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। এই কারণেই গত কয়েক মাস ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য

    প্রসঙ্গত, রবিবারই বস্তারের জঙ্গলে প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের একটি বাহিনী অভিযানে যায়। দলটিতে ছিলেন ৬০০ জন কমান্ডো। সেই অভিযানেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হন। শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ানও। রবিবারের মাওবাদী দমনের ওই অভিযানকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বড় সাফল্য’ বলে দাবি করেন। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

    ১৩ মাসে হত ৩৫৮ মাওবাদী

    ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিগত ১৩ মাসে ছত্তিশগড়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১,১৭৭ জন মাওবাদীকে। আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৮৫ মাওবাদী। এটাকেই মাওবাদ দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিনিয়ত অভিযানের গতি বাড়ছে। আরও বেশি ধারালো করা হচ্ছে মাওবাদ বিরোধী অভিযান। মাওবাদীদের নিকেশ করতে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে বাহিনী।

    বিজেপি (BJP) সরকার ক্ষমতায় আসতেই শুরু জোরালো অভিযান

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হন বিষ্ণু দেও সাই। তিনি রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন, এমনটাই খবর সূত্রের। ঠিক এই কারণেই গত এক বছরের মধ্যে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের গতি আরও জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।

  • BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    BJP: আপকে দুরমুশ করে দিল্লি বিজয় হয়েছে, এবার বিজেপির মিশন ‘বাংলা চলো’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। এবার বিজেপির (BJP ) পাখির চোখ বাংলা। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দুর্গে ধস নামিয়েছে গেরুয়া পার্টি। এবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে দুরমুশ করতে চাইছে পদ্ম পার্টি (Bangla Chalo)। ২৭ বছর পরে দিল্লিতে ফের সরকার গড়েছে বিজেপি। তার পর থেকেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

    তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা! (BJP)

    পদ্ম পার্টির বদ্ধমূল ধারণা, আপের দুর্গে যখন ধস নামানো গিয়েছে, তখন তৃণমূলের মৌরসিপাট্টায়ও থাবা বসানো অসম্ভব নয়। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে ফুটেছে পদ্ম। বিজেপি সূত্রে খবর, তার পরেই তারা চাইছে পূর্ব ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে তেরঙ্গা শিবিরে ধস নামানো। দিল্লির মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত বাংলায় প্রবেশ করাও বিজেপির পক্ষে একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আশা করেছিল। তবে, সেবার ফল ভালো হয়নি। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় বিজেপি মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদের চেষ্টা!

    ২০১৯ সালে, বিজেপি কেন্দ্রে আরও বড় ব্যবধানে ক্ষমতায় ফিরে আসে। ততক্ষণে তারা উত্তর-পূর্ব ভারতেও যথেষ্ট শক্তিশালী ভিত তৈরি করে ফেলেছিল। ২০১৪ সালের আগে এই এলাকায় বিজেপির প্রায় কোনও প্রভাবই ছিল না। দুবছর পর বিজেপি ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ ভেদ করার চেষ্টা করেছিল, যদিও কোনও লাভ হয়নি।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জিতেছে ২১৫টি আসনে। এই নির্বাচনে বিজেপির ভোট ও আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদিও তা তাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০০ আসনের তুলনায় অনেক কম। তবে, দিল্লিতে জয়ী হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা এখন মনে করছেন যে বাংলা আর “মিশন ইম্পসিবল” নয় (BJP)।

    ৮ ফেব্রুয়ারি, দিল্লিতে বিজেপির জয় উদযাপনের সময়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, “জাতীয় রাজধানীর পর এবার বাংলা বিজেপিকে ভোট দেবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে (Bangla Chalo)।” তিনি বলেন, “দিল্লি কি জিত হামারি হ্যায় … ২০২৬ মে বাংলা কি বারি হ্যায় …” (দিল্লির বিজয় আমাদের … ২০২৬ সালে বাংলার পালা)” (BJP)।

  • Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    Delhi Election: “ইন্ডি জোটের আদৌ প্রয়োজন আছে কি?”, মোক্ষম প্রশ্ন উদ্ধব ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ জোটের (INDIA Bloc) সদস্যরা যদি নিজেদের মধ্যে সংঘাত চালিয়ে যায় এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে এই জোটের আদৌ কোনও প্রয়োজন আছে কি?” মোক্ষম প্রশ্নটি তুলে দিলেন শিবসেনা (ইউবিটি) সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে স্বয়ং।

    দিল্লিতে সংঘাত (Delhi Election)

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election) আলাদা করে লড়াই করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কংগ্রেসের নেতৃত্বেই জোটবদ্ধ হয়েছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। জন্মলগ্ন থেকেই ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে ভিন্নমতের স্রোত প্রবল। তার জেরে লোকসভা তো বটেই, তার পরবর্তীকালের বিভিন্ন নির্বাচনেও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন ইন্ডি জোটের বেহাল দশা। নতুন বছরের প্রথম ভোটটি হয় ৫ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন।

    জয়জয়কার বিজেপির

    এই নির্বাচনে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হন আপ এবং কংগ্রেস নেতারা। এতে আদতে সুবিধা হয়ে যায় বিজেপির। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টিতে জেতে পদ্ম-পার্টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রের রাশ যায় কেজরিওয়ালের দলের হাতে। কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। অথচ ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ‘ইন্ডি’ জোটের (এক্ষেত্রে আপ এবং কংগ্রেস) সদস্যরা যদি একজোট হয় লড়াই করত, তাহলে দিল্লির রাশ এবারও থাকত বিজেপি বিরোধীদের হাতেই (Delhi Election)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সুফল কুড়িয়েছে গেরুয়া শিবির।

    এর পরেই ‘ইন্ডি’ জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উদ্ধবের দল। শিবসেনা (ইউবিটি)-র মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য ও বিভাজন সরাসরি বিজেপির জয়কে সহজ করে দিয়েছে। দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেস একে অপরকে ধ্বংস করতে লড়াই করেছে। ফলে বিজেপির জয় আরও সহজ হয়েছে। যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে জোট গঠনের কোনও দরকার নেই। মন খুলে লড়াই করুন… নিজেদের মধ্যেই লড়াই চালিয়ে যান।” আরও লেখা হয়েছে, “যদি এই নির্বাচনের ফল থেকে কেউ কোনও শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদেরই স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে তারা স্বৈরাচারী শাসনকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য (INDIA Bloc) দায়ী। এ ধরনের মহান কাজের জন্য গঙ্গায় গিয়ে স্নান করারও আর কোনও দরকার নেই (Delhi Election)।”

  • Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    Delhi Assembly Poll 2025: “দিল্লি দেখাল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লিবাসী দেখিয়ে দিয়েছেন বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।” দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Poll 2025) বিজেপির জয়ের পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “জনসাধারণ নোংরা যমুনা, নোংরা পানীয় জল, ভাঙা রাস্তা, উপচে পড়া নর্দমা, প্রতিটি রাস্তায় খোলা মদের দোকানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জবাব দিয়েছেন।”

    কী বললেন শাহ (Delhi Assembly Poll 2025)

    শাহ বলেন, “দিল্লিতে এই দুর্দান্ত জয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা দিল্লির বিজেপি কর্মীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধা, অননুমোদিত উপনিবেশের বাসিন্দাদের আত্মসম্মান বা স্ব-কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনা, মোদীজির নেতৃত্বে দিল্লি এখন একটি আদর্শ রাজধানী হয়ে উঠবে।”

    ‘মোদী কি গ্যারান্টি’

    এর পরেই (Delhi Assembly Poll 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দিল্লিতে মিথ্যার রাজত্বের অবসান হয়েছে। এই পরাজয় অহংকার ও অরাজকতার। এটি ‘মোদী কি গ্যারান্টি’ এবং মোদীজির উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে দিল্লিবাসীর বিশ্বাসের জয়। এই বিশাল জনাদেশের জন্য দিল্লির জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। মোদীজির নেতৃত্বে, বিজেপি তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানীতে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।” তিনি বলেন, “দিল্লির হৃদয়ে রয়েছেন মোদি। জনগণ মিথ্যা, প্রতারণা এবং দুর্নীতির ‘শিসমহল’ ধ্বংস করে দিল্লিকে আপদামুক্ত করেছেন।” তিনি বলেন, “দিল্লি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীদের এমন একটি শিক্ষা দিয়েছে যে এটি সারা দেশের জনসাধারণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”

    প্রসঙ্গত, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। গোহারা হেরেছেন কেজরিওয়াল স্বয়ং। তাঁর দল আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। অথচ এই দিল্লিতেই দশ বছর আগের নির্বাচনে কেজরিওয়ালের দল জিতেছিল ৬৭টি আসনে। ২০২০ সালে আপ জিতেছিল (Amit Shah) ৬২টি আসনে। এবার সেই দলকেই মুখের মতো জবাব দিলেন দিল্লিবাসী (Delhi Assembly Poll 2025)।

LinkedIn
Share