Tag: India news

India news

  • Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    একদা রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার উল্লেখ করেছিলেন ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’ শব্দবন্ধের। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান…

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক এক যুগ আগে, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্যে শিল্পে জোয়ার আনবেন তিনি। দাবি করেছিলেন, বিনিয়োগের বন্যায় ভেসে যাবে রাজ্য। কিন্তু, সব প্রতিশ্রুতিই সার! যদিও, এখনও সেই একই বুলি আওড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই গালগপ্পোকে হাতিয়ার করেই তিনি বর্তমানে স্পেন-মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন— রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে (Mamata Foreign Tours)। যদিও, শেষেমেশ কী আসবে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক হতেই পারে। কারণ, অতীতে যে বাণিজ্য-শিল্প সফর করেছিলেন তিনি, সেখান থেকে কার্যত খালি হাতেই ফিরেছেন (Bengal Industry Situation)। 

    রাজ্যে বিনিয়োগ খতিয়ান

    দেশে-বিদেশে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বাণিজ্য সম্মেলন থেকে শুরু করে শিল্প মেলার আয়োজন করেছেন। প্রত্যেকটায় নিট ফল শূন্য। না, এটা বিরোধীদের গাল-ভরা অভিযোগ নয়। খোদ সরকারি পরিসংখ্যানই তাই বলছে। ২০১৫ সালে রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে ঘোষিত হয়েছিল ২,৪৩,১০০ কোটি টাকার লগ্নি৷ বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৯৮৩ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ ঘোষণার মাত্র ০.৪ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে৷ ২০১৬ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩,৪৩৩ কোটি টাকা যা ঘোষণার ১.৩ শতাংশ, ২০১৭ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ২,৫৩৬ কোটি টাকা, যা ঘোষণার ১.০৭ শতাংশ।

    প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান

    ইতিহাসবিদদের মতে, আনুমানিক ৪৭ খৃষ্টপূর্ব সময়ে জুলিয়াস সিজার রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে একটি বীরত্বসূচক বাক্যাংশ উল্লেখ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে, অমর হয়ে যায়। সেই বাক্যাংশটি ছিল ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। রোম সম্রাটের বাক্যাংশ ‘ভি-থ্রি’ (তিনটে ইংরেজি অক্ষর ভি) হলে, এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান। অর্থাৎ, তাঁরা আসেন, বড় বড় প্রস্তাব-প্রতিশ্রুতি দেন এবং প্রস্থান করেন। এ তো গেল রাজ্য সম্মেলনের কথা। এবার আসা যাক বিদেশে মমতার শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনের কথায়। মসনদে আসীন হওয়ার পর মমতা প্রথম বিদেশে বাণিজ্য সম্মেলন করেন সিঙ্গাপুরে ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে (Mamata Foreign Tours)। সেবার ব্যাঙ্কিং, তথ্যপ্রযুক্তি জগতের একঝাঁক প্রতিনিধি সহ ৫২ জন বণিক-কর্তা ও ১২ জন সরকারি আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। ছিলেন বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরাও।

    সিঙ্গাপুর থেকে কি কিছু এল?

    টলিউডের আশা ছিল, সিঙ্গাপুরে যেমন হলিউডের স্টুডিও আছে, সেই মতো বিদেশি স্টুডিও যেন এরাজ্যেও গড়ে ওঠে। টলিউডের দাবি ছিল, সিঙ্গাপুরের পরিকাঠামো যাতে এরাজ্যে আসে, তার প্রয়াস যেন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Foreign Tours)। শোনা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুরের মতো দিঘাতেও ওয়াটার ওয়ার্ল্ড গড়ে উঠবে। তৈরি হবে আন্ডারওয়াটার পার্ক, সাবমেরিন মিউজিয়াম। শেষে দেখা গেল, সিঙ্গাপুর থেকে বিনিয়োগের ছিঁটেফোঁটাও এলো না। দিঘায় এখন শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরি কলা পাওয়া যায়। ওয়াটার ওয়ার্ল্ড বিশ বাঁও জলে। এও শোনা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী এক অনাবাসী ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বালিতে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাঁকে টাকার জন্য এত চাপ দেওয়া হয়, যে সেই অত্যাচারে তিনি চলে যান এরাজ্য থেকে (Bengal Industry Situation)।

    কলকাতা হয়ে উঠল কি লন্ডন?

    মসনদে বসেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানিয়েই ছাড়বেন। সেই গপ্পে ভর করে ২০১৫ সালে লন্ডন সফরে যান মমতা (Mamata Foreign Tours)। তৎকালীন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন, সাংসদ-শিক্ষাবিদ সুগত বসু, সাংসদ-অভিনেতা দেব, ফিকির সভাপতি জ্যোৎস্না সুরি-সহ এক বিশাল দল নিয়ে জুলাই মাসের শেষে লন্ডন সফর করেন মমতা। ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। একাধিক বৈঠক, কথা-আলোচনা… সেবারও অনেক প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি ঘটেছিল। ব্যস, ওই পর্যন্তই। গাল-গপ্পো শেষে দেখা গেল, সবই ‘ধাপ্পা’ (Bengal Industry Situation)। আট বছর পর, সম্প্রতি রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সদর্পে ঘোষণা করেন, কলকাতাকে লন্ডনের থেকেও ভালো করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন, লন্ডনে একটা হাইড পার্ক আছে। সেখানে কতগুলো চিপসের দোকান আছে আর কয়েকটা হাঁস চরে বেড়ায়। আর কিছু নেই।

    মমতার জার্মানি-ইতালি সফর

    এখানেই শেষ নয়। রাজ্যে শিল্প টানতে মুখ্যমন্ত্রী অতীতে নেদারল্যান্ডস থেকে শুরু করে জার্মানি, ইতালিতেও পাড়ি দিয়েছিলেন।  রাজ্যে বিনিয়োগ টানতেই এই  বিদেশ সফরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Foreign Tours)। ২০১৭ সালের জুন মাসে স্থানীয় বণিকসভার সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের শিল্প প্রতিনিধিরাও। এর পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ১২ দিনের সফরে জার্মানি ও ইতালি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও তাঁর সঙ্গী ছিলেন অমিত মিত্র। তাছাড়া তৎকালীন মুখ্যসচিব মলয় দে, তৎকালীন অর্থসচিব (বর্তমানে মুখ্যসচিব) এইচকে দ্বিবেদীও গিয়েছিলেন মমতার সঙ্গে। সেবার ফ্র্যাঙ্কফুর্ট এবং মিলানে বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। কিন্তু, সেখান থেকেও কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে (Bengal Industry Situation)। 

    কেন রাজ্যের শিল্পের এই দুরবস্থা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, কোনও শিল্পপতি এরাজ্যে বিনিয়োগে রাজি হননি। কোনও শিল্পপতি রাজ্যে বিনিয়োগ করে অর্থ নষ্ট করতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যবে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে থেকেই বিজনেস সামিট হয়। কিন্তু সেখানে নামকরা কোনও শিল্পপতি আসেন না। থাকেন কিছু সাজানো শিল্পপতি। আর ওই একই লোকেরা প্রতিবছর এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁরা ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু বিনিয়োগ করেন না। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য শিল্পে পরিকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ অবনতি ঘটাতেই নতুন বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন না মাঝারি শিল্পপতিরা। এছাড়াও রাজ্যে শাসক দলের দাপট বেড়ে চলায় রাজ্যে বিনিয়োগে ভরসা কমেছে নতুন শিল্প উদ্যোগীদের (Bengal Industry Situation)। এছাড়াও শাসক দলের শিল্প তাড়ানোর যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, তা থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anantnag Encounter: শহিদ আরও এক জওয়ান, ৫০-ঘণ্টা পেরিয়ে এখনও অনন্তনাগে চলছে সেনা অভিযান

    Anantnag Encounter: শহিদ আরও এক জওয়ান, ৫০-ঘণ্টা পেরিয়ে এখনও অনন্তনাগে চলছে সেনা অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০-ঘণ্টা পার। এখনও চলছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগেরজঙ্গলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া সামরিক অভিযান। জেলার কোকেরনাগের ঘন জঙ্গলে (Anantnag Encounter)  এখনও লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি। দফায় দফায় চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। এরই মধ্যে, সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন আরও এক সেনা জওয়ান। গুরুতর আহত আরও এক জওয়ান। এই নিয়ে গত ৩৬-ঘণ্টায় চার জওয়ানের মৃত্যু হল। 

    অনন্তনাগে এখনও পর্যন্ত শহিদ ৪ সেনাকর্মী

    বুধবার জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচাক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। দুই সেনাকর্তা এবং এক পুলিশকর্তার মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের কোণঠাসা করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী (Anantnag Encounter)। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে তুমুল সংঘর্ষ। তখনই জঙ্গিদের চালানো গুলিতে দুই জওয়ান আহত হন বলে সেনা সূত্রে খবর। শুক্রবার ভোরে একজনের মৃত্যু হয়। শহিদ হওয়া চতুর্থ জওয়ানের পরিচয় এখনও সেনার তরফে প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেসরকারিভাবে জানা গিয়েছে, শহিদ চতুর্থ সেনাকর্মী হলেন, রাইফেলম্যান রবি কুমার। 

    ‘‘জঙ্গি খতম না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে’’

    সেনা সূত্রে খবর, লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা সকলেই লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান এখনও দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে উজেইর খান নামে এক জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে অবশ্য খবর, গত এপ্রিলে পুঞ্চে ৫ সেনা জওয়ানের উপর হামলার নেপথ্যে জঙ্গিদের যে মডিউল কাজ করেছিল, বুধবারের হামলাও তাদেরই কাজ। সেনা জানিয়েছে, জঙ্গিদের পরাস্ত করতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে (Anantnag Encounter)। ড্রোন এবং কোয়াডকপ্টার দিয়ে এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে (Jammu Kashmir)। চিনার কোরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং ভিক্টর ফোর্সের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল বলবীর সিং এই অভিযানের তত্ত্বাবধান করছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সবকটা জঙ্গি খতম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: ‘‘শীঘ্রই বিচার’’! ২ লস্কর জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে বাহিনী, অনন্তনাগে চলছে অভিযান

    Anantnag Encounter: ‘‘শীঘ্রই বিচার’’! ২ লস্কর জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে বাহিনী, অনন্তনাগে চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযান শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার বিকেলে। প্রায় ৪৮-ঘণ্টা কেটে গেল। এখনও অনন্তনাগে (Anantnag Encounter) চলছে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। এর মধ্যে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে শহিদ হয়েছেন দেশের তিন বীর সুপুত্র। তাঁদের মৃত্যুর বদলা না নেওয়া পর্যন্ত রণে ভঙ্গ যে দেওয়া হবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে সেনা। কোকেরনাগের জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দুই লস্কর জঙ্গিকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। চারদিক দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আকাশপথে নজরদারি রাখছে ড্রোন।

    শীঘ্রই বিচার মিলবে, বললেন কাশ্মীর পুলিশের ডিজি 

    গতকাল, জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) সন্ত্রাসদমন অভিযানে নেমে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে কোকেরনাগের (Anantnag Encounter) গারোল এলাকায় শহিদ হয়েছেন সেনার কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হিমায়ুন মুজামিল ভাট। এর পরই, ২ ঘাতক জঙ্গির খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি জারি রয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এ দিন সকালে ট্যুইটারে বলা হয়, “শহিদ কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট যেভাবে নিজেদের প্রাণ বলিদান করেছেন, তাদের বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আমাদের বাহিনী অটল সংকল্প নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।” কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেন, ‘‘দুই জঙ্গিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। দুজনই লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। শীঘ্রই বিচার মিলবে।’’

    গতকালের হামলায় নেতৃত্বে লস্কর জঙ্গি উজেইর, কে সে?

    সেনার তরফেও বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপডেট দেওয়া হয়েছে। নর্দার্ন কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান, বর্তমানে জঙ্গিরা নেপালের রুট ধরেও ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। পাহাড়ের উপরে জঙ্গলগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় জঙ্গিদের গতিবিধিতে সুবিধা হচ্ছে। বর্তমানে যে এনকাউন্টার চলছে অনন্তনাগে (Anantnag Encounter), তারা সম্প্রতি জম্মুতেও জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এক সেনা আধিকারিক জানান, যে দুই জঙ্গি গতকাল সেনার উপর হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে এক জন উজেইর খান। সে কোকেরনাগেরই বাসিন্দা। ২০২২ সালে লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয় উজেইর।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান

    এদিকে, গতকালের ঘটনার (Anantnag Encounter) পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিকে সিং। তিন অফিসারের শহিদ হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে একঘরে করার দাবি তোলেন তিনি। তাঁর মতে, পাকিস্তানকে সবদিক থেকে একঘরে করতে হবে। ভিকে সিং বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে পুরোপুরিভাবে একা করে দিতে হবে। কখনও সে দেশের অভিনেতারা এ দেশে আসছেন। আবার কখনও ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানকে পুরো একঘরে করে দিতে পারলে, তবেই কিছু হওয়া সম্ভব। যতক্ষণ না পর্যন্ত পাকিস্তানকে সবদিক থেকে একঘরে করা হবে, ততদিন ইসলামাবাদ ভাববে, যা করছে, তা স্বাভাবিক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: তেরঙায় মোড়া সন্তানদের নিথর দেহ, শোকে পাথর শহিদ জওয়ানদের পরিবার

    Anantnag Encounter: তেরঙায় মোড়া সন্তানদের নিথর দেহ, শোকে পাথর শহিদ জওয়ানদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ সকালেই ফোন করে কথা বলেছিলেন বাড়িতে। কারও বাড়িতে ফেরার কথা ছিল অক্টোবরেই। বদলে তাঁরা ফিরলেন তেরঙায় মোড়া শববাহী শকটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব হাসি মিলিয়ে গেল কান্নায়। অনন্তনাগে তিন বীর শহিদের বাড়িতে এখন শুধুই হাহাকার। শোকে পাথর গোটা পরিবার। 

    বুধবার, জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদমন অভিযানে (Anantnag Encounter) নেমেছিল সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। গারোল এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হন সেনার কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনচক এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হিমায়ুন মুজামিল ভাট। এদিন তিন শহিদের বাড়িতে ছিল শুধুই নিস্তব্ধতা। পরিবারের লোকজন কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাঁদের প্রিয়জন আর বাড়ি ফিরবেন না।

    ‘‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব’’, সেই শেষ কথা!

    ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন শহিদ কর্নেল মনপ্রীত সিং। তাঁর বাড়ি পঞ্চকুলার ২৬ নম্বর সেক্টরে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে মনপ্রীতের পরিবারের সম্পর্ক নতুন নয়। তাঁর ঠাকুরদা শীতল সিং, বাবা লক্ষ্মীর সিং (বর্তমানে প্রয়াত) ও কাকা রণজিৎ সিং সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন৷ তাঁর স্ত্রী জগমিত গ্রেওয়াল হরিয়ানার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা (Anantnag Encounter)। তার দুই সন্তান রয়েছে। এক ছেলের বয়স ৬ বছর আর মেয়ের বয়স দুই বছর। শহিদ কর্নেলের শ্যালক জানান, বুধবার ভোরবেলা শেষবার কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। সেই সময় মনপ্রীত জানিয়েছিল, এখন ব্যস্ত আছে, পরে কথা বলবে। সেটাই শেষ কথা..। 

    অক্টোবরেই বাড়ি আসার কথা ছিল

    হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা ছিলেন শহিদ মেজর আশিস ধোনচক। বছর দুয়েক আগেই জম্মুতে বদলি হন আশিস। এ বছরই তিনি পেয়েছিলেন ‘সেনা মেডেল’ (Anantnag Encounter)। পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী এবং দু’বছরের সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর কাকা জানান, দেড় মাস আগেই বাড়িতে এসেছিলেন আশিস। আবার অক্টোবরে আসার কথা ছিল বাড়ি বদল করার জন্য। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ।

    শহিদ ডিএসপির কন্যার বয়স ২ মাস

    অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের পরিবারেও শুধু হাহাকার। ২০১৮ সালেই পুলিশে যোগ দেন হুমায়ুন। শহিদ পুলিশ অফিসারের বাবা গুলাম হাসান ভাট জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল। মাত্র দুই মাস আগেই হুমায়ুনের কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল (Anantnag Encounter)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    C-295 Aircraft: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, এবার ভারতের হাতে এল ‘সি-২৯৫’, কী এর বিশেষত্ব?

    আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। অবশেষে ভারতের হাতে এল অত্যাধুনিক সামরিক পণ্য সরবরাহকারী বিমান ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার। এই বিমানকে বলা হচ্ছে ‘মুশকিল আসান’। কিন্তু, কেন? কী আছে এই বিমানে? কী এর বিশেষত্ব? পড়ুন বিস্তারিত।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ‘সি-২৯৫’ মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট (C-295 Aircraft) এল ভারতের হাতে। বুধবার, স্পেনের সেভিয়া শহরে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরির হাতে এই বিমানের প্রতীকী চাবি তুলে দেন এয়ারবাসের কর্মকর্তারা। এই বিমানের উৎপাদন হয়েছে স্পেনে। তৈরি করেছে এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস।

    ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি এয়ারবাসের সঙ্গে

    বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় নতুন শক্তিশালী, আরও প্রযুক্তিগত উন্নত এবং সর্বোপরি অধিক সক্ষমতার একটি পণ্য সরবরাহকারী বিমানের খোঁজে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই মোতাবেক, ২ বছর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ারবাসের সঙ্গে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’  (C-295 Aircraft) বিমান কেনার চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, যার মূল্য প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। 

    ৫৬টির মধ্যে ৪০টি বিমান তৈরি হবে ভারতেই

    চুক্তি মোতাবেক, ৫৬টি বিমানের মধ্যে প্রথম ১৬টি একেবারে ফ্লাই-অ্যাওয়ে কন্ডিশনে (সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায়) ভারতে উড়িয়ে আনা হবে। বাকি ৪০টি ভারতে তৈরি হবে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতে বিমানগুলি তৈরি হবে গুজরাটের ভাদোদরায়, যেখানে টাটার সঙ্গে যৌথ অংশিদারীতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। 

    এদেশে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া প্রথম সামরিক বিমান

    চুক্তিতে বলা হয়েছিল, স্বাক্ষর হওয়ার দিন থেকে চার বছরের মধ্যে ১৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমান ভারতের হাতে একেবারে তৈরি অবস্থায় তুলে দেবে এয়ারবাস। এদিন চুক্তির ঠিক ২ বছরের মাথায় প্রথম বিমানটি ভারতের হাতে তুলে দিল এয়ারবাস। ২০২৫ সালের অগাস্টের মধ্যে ১৬ নম্বর বিমানটি ভারতের হাতে চলে আসবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন এয়ারবাসের কর্তারা। ২০২৬ সাল থেকে ভাদোদরায় টাটাদের সঙ্গে যৌথভাবে শুরু হবে উৎপাদন, যা শেষ হওয়ার কথা ২০৩১ সালের অগাস্ট মাস নাগাদ। তেমনটা হলে, তা হবে ভারতের মাটিতে বেসরকারি সংস্থায় তৈরি হওয়া দেশের প্রথম সামরিক বিমান।

    কেন এই বিমান নিয়ে এত মাতামাতি? কী এর বিশেষত্ব?

    জানা যাচ্ছে, ২৫ সেপ্টেম্বর ভারতে আসবে প্রথম বিমানটি। বর্তমানে, স্পেনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) পাইলটরা। প্রথম স্কোয়াড্রন থাকবে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি প্রায় ৯ টন ওজন বহন করতে পারে। এদের গতি ঘণ্টায় ৪৮০ কিলোমিটার। মোট ৭১ জন সেনাকর্মী বা ৪৫ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্যারাট্রুপারকে বইতে পারবে এই বিমান। আকাশ থেকে বাহিনী বা রসদ নামানোর জন্য রিয়ার ব়্যাম্প রয়েছে এই বিমানে।

    এই বিমানে দুটি শক্তিশালী প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন রয়েছে যাতে ভর করে এই বিমানটি ১৩ ঘণ্টা টানা কম জ্বালানী খরচ করে উড়তে পারে। একটি ইঞ্জিনের সাহায্য এটি সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। ২টি ইঞ্জিন ব্যবহার করলে, এই বিমান ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। এছাড়া, এই বিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধবিমানের মতো মাঝ-আকাশেই জ্বালানি ভরতে সক্ষম ‘সি-২৯৫’ এয়ারলিফটার।

    টেক অফের জন্য এই বিমানের প্রয়োজন মাত্র ৪২০ মিটার রানওয়ে। ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রয়োজন এর অর্ধেক। ফলে, ছোট বা সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া এয়ারস্ট্রিপ থেকেও উড়ান দিতে পারবে এটি। এয়ারবাসের তরফে জানানো হয়েছে, কাঁচা, নরম এবং বালুকাময় অথবা ঘাসের এয়ারস্ট্রিপ থেকে এর অসাধারণ শর্ট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং (STOL) করার ক্ষমতা রয়েছে ‘সি-২৯৫’ (C-295 Aircraft) বিমানের।

    কেন একে ‘মুশকিল আসান’ বিমান বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক?

    বলা বাহুল্য, এই বিমান হাতে আসায় আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। কারণ, অনেক সময় জরুরি প্রয়োজনে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বায়ুসেনাকে। বিশেষ করে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে। সেনা ট্রাকে করে সড়কপথে বাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হয়। এখন ভারতের হাতে ‘মুশকিল আসান’ বিমান (C-295 Aircraft) চলে আসায় এবার থেকে সেই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে মতো দুর্গম অঞ্চলে অতি সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে অস্ত্র ও রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anantnag Encounter: জম্মুর অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই সেনা, এক পুলিশ আধিকারিক

    Anantnag Encounter: জম্মুর অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই সেনা, এক পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে (Anantnag Encounter) জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন সেনার দুই অফিসার এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। দুই সেনা আধিকারিকদের মধ্যে একজন কর্নেল এবং অপরজন মেজর পদমর্যাদার অফিসার ছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশের ডেপুটি সুপার (ডিএসপি) পদমর্যাদার এক অফিসারও জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। 

    মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল অভিযান

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag Encounter) জেলার কোকেরনাগের অন্তর্গত গাদোলে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মঙ্গলবার রাতে এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে৷ 

    বাহিনীর যৌথ দলটি সন্দেহভাজন স্থানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিরা তাদের উপর গুলি চালায়৷ পালটা গুলি চালানো হয় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে৷ সেই থেকেই এই এনকাউন্টারের শুরু৷ বেশি রাতে অভিযান স্থগিত করা হয়৷ বুধবার সকালে আবার অভিযান শুরু হয়৷ সময়ই জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন ওই কর্নেল৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয়। 

    ৩ শহিদ অফিসারের পরিচয়

    জানা গিয়েছে, নিহত কর্নেলের নাম মনপ্রীত সিং। তিনি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ১৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। একই ভাবে জঙ্গিদের বুলেটে আহত হন সেনার মেজর পদের অফিসার এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট। নিহত সেনা মেজরের নাম আশিস ধনচক। অন্যদিকে, নিহত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের (Jammu Kashmir) ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্টের নাম হিমায়ুন মুজামিল ভাট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের মৃত্যুর পরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে একাধিক রাস্তা। চলছে ব্যাপক তল্লাশি (Anantnag Encounter)।

    রাজৌরিতেও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    এর আগে, এদিনই রাজৌরি জেলায় সেনার সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ২ জঙ্গি খতম হয়েছে। সেখানেও টানা ২ দিন ধরে চলেছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ানও। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। জওয়ানকে রক্ষা করতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছে এক সামরিক সারমেয়র (Jammu Kashmir)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    AH-64E Apache: উৎপাদন শুরু হলো আমেরিকায়, ২০২৪ সালেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই শক্তি বৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় সেনার (Indian Army)। আগামী বছরই ভারতের স্থলসেনার হাতে আসতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache)। সম্প্রতি, হেলিকপ্টারের নির্মাণকারী সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং-এর তরফে এমনটাই খোলসা করা হয়েছে। ট্যুইটারে বোয়িং জানিয়েছে, আমেরিকার অ্যারিজোনার মেসায় বোয়িংয়ের কারখানায় এই হেলিকপ্টারের উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে এই যুদ্ধ-কপ্টার ভারতের হাতে পৌঁছে যাবে।

    চিন-পাক সীমান্তে বহুগুণ শক্তিবৃদ্ধি

    চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের নিরাপত্তাকে নজরে রেখে ২০২০ সালে ছ’টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ কপ্টার কেনার জন্য চুক্তি করেছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। চুক্তির মূল্য ছিল প্রায় ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এবার সেগুলোর উৎপাদন শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার আর্মি এভিয়েশন কোরের জন্য এই ৬টি হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে। এর আগে, ২০১৯ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হয়েছিল ২২টি ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হেলিকপ্টার। এবার ভারতীয় স্থলসেনার হাতেও আসতে চলেছে এই অত্যাধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। বোয়িং জানিয়েছে, এই কপ্টারের মূল কাঠামো বা ফিউসেলাজ তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদে অবস্থিত টাটা বোয়িং অ্যারোস্পেস লিমিটেডের কারখানায়। 

    ছুড়তে পারে ‘নরকের আগুন’!

    ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) হল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ও আধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলি। এই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর বলে পরিচিত ‘হেলফায়ার’ মিসাইল, যা লেজার-চালিত। এয়ার-টু-এয়ার ‘স্ট্রিঙ্গার’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তেও সক্ষম অ্যাপাচে। এছাড়া, এই কপ্টার একলপ্তে ৮০টি ৭০ মিমি রকেট নিয়ে উড়তে সক্ষম। এতেই শেষ নয়। অ্যাপাচের ঠিক নাকের নিচে ৩০ এমএম বন্দুক রয়েছে। যা দু’মিনিটেরও কম সময় ১,২০০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে। 

    ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত

    প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে ‘এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে’ (AH-64E Apache) কপ্টারের জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলিকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় এই কপ্টারকে। দিন হোক বা ঘুটঘুটে অন্ধকার, যে কোনও সময়, যে কোনও পরিস্থিতিতে লড়াইয়ে চূড়ান্ত দক্ষ ও নির্ভরশীল অ্যাপাচে। শত্রুঘাঁটিকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে নিপুণ এই বিশেষ কপ্টার। এর পাশাপাশি, এই কপ্টারে রয়েছে লংবো ফায়ার কন্ট্রোল রেডার যা ১ মিনিটে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম। অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৮৪ কিলোমিটার। প্রতি মিনিটে ২৮০০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম আমেরিকায় তৈরি এই যুদ্ধ কপ্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (2024 Loksabha Polls) হতে এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি। তার আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মোকাবিলা করতে ঘটা করে গতমাসে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়েছে ২৬টি বিরোধী দল— যার অন্যতম সদস্য হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বলেছিলেন যে, এই ‘ইন্ডিয়া’ নামটা নাকি তাঁরই দেওয়া, যা কি না সকলের মনে ধরেছে। গঠনের সময় বিরোধীরা ঠিক করেছিল, যে মোদিকে যেনতেন ভাবে নির্বাচনী ময়দানে রুখতে হবে। যার প্রথম ধাপ হবে সংসদ থেকে। অর্থাৎ, কিনা সংসদে মোদি সরকারের আনা কোনও বিল ও প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য সকল বিরোধী ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘মোদি-বিরোধিতা’য় সামিল হবে। 

    বিরোধীদের দুই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

    কিন্তু, এক পক্ষকালও পার হয়নি, বিরোধীদের সেই রঙিন স্বপ্নের ফানুস ইতিমধ্যেই আছাড় খেয়ে মাটিতে লুটোপুটি খেতে শুরু করে দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে, বিরোধীরা দুটি ইস্যুকে হাতিয়ার করবে বলে বেছে রেখেছিল। এক, মণিপুর ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। দুই, দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ বিল রুখতেই হবে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে সংসদে। গৃহীতও হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ঠিক একইভাবে, সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা হয়েছে দিল্লি অধ্যাদেশ (সংশোধনী) বিল। 

    সংসদে কোনটা পাশ করবে, আর কোনটা আটকে যাবে— তা নির্ভর করে সংখ্যাতত্ত্বের ওপর। সংখ্যাতত্ত্ব অর্থাৎ, কক্ষে কোন পক্ষের সংখ্যা কত? বা বলা ভালো, কোন পক্ষ কতটা শক্তিশালী? যেদিন ‘ইন্ডিয়া’ জোট তাদের প্রথম বৈঠক করল, তার এক সপ্তাহ পরই, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট তাদের শক্তিপ্রদর্শন করে। বিরোধীদের যেখানে ২৬টি দলের সমর্থন ছিল, সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে ৩৯টি দল। এর পরই বিরোধীদের ফানুস ফেটে যায়। যে কারণে, বিরোধীদের তরফে থেকে বলতে শুরু করে দেওয়া হয় যে, ‘‘অনাস্থা যে পাশ হবে না, তা জানা ছিলই। আমরা চাই, যাতে মোদি সংসদে বলুন।’’

    লোকসভায় এনডিএ-র ধারেকাছে নেই বিরোধীরা

    কেন বিরোধীদের এই মতবদল? এর উত্তর লুকিয়ে সেই সংখ্যাতত্ত্বে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া বর্তমান সংখ্যাতত্ত্ব ঠিক কী বলছে। প্রথমে আসা যাক দুই কক্ষ-বিশিষ্ট সংসদের নিম্ন কক্ষ অর্থাৎ লোকসভার প্রসঙ্গে। যেখানে উঠতে চলেছে অনাস্থা ইস্যু। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২ আসনের। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির একারই সাংসদ সংখ্যা ৩০১। ফলে, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। পুরো এনডিএ জোট ধরলে সংখ্যাটা ৩৩২।

    এছাড়া, শাসক জোটের সঙ্গী না হওয়া সত্ত্বেও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি ও জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর মোদি সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। লোকসভায় বিজেডির ১২ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। এই সংখ্যাটা এনডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হলে তা ৩৬৬-তে পৌঁছে যায়। এরপরেই চন্দবাবু নাইচুর সমর্থনের কথাও জানা যাচ্ছে। তার সদস্য রয়েছেন তিনজন। ফলে, ৩৭০-এর আশেপাশে। অন্যদিকে, বিরোধীদের কত সংখ্যা হলো, এটার পর সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    রাজ্যসভাতেও সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত এনডিএ

    এতো গেল লোকসভার কথা। কিন্তু, কোনও বিলকে আইনে রূপান্তর করাতে হলে, তাকে দুকক্ষেই পাশ হতে হবে। ফলে, এবার দেখে নেওয়া যাক সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার দিকে। যেমন, দিল্লি অধ্যাদেশ বিল লোকসভায় তো বটেই, রাজ্যসভাতেও পাশ করানোর বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। রাজ্যসভায় বিজেপি ও তাদের সহযোদীদের ১০৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর সঙ্গে, পাঁচ মনোনীত সদস্যের ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি তথা এনডিএ। এছাড়া, এক্ষেত্রেও, বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে পাশে পাচ্ছে বিজেপি। তাদের রয়েছে ৯ সাংসদ। সমর্থন জানাচ্ছে অন্ধ্রের আরেক দল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। তাদের রয়েছে একটি আসন। এর পরে, যদি নির্দল সাংসদরা সমর্থন জানান এনডিএ-কে, তাহলে সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে যাবে। ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সাতটিআসন ফাঁকা রয়েছে। ফলে, বর্তমান ২৩৮ আসনের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮-১২০।

    এখন থেকেই হারের ‘অজুহাত’ খোঁজা শুরু বিরোধীদের?

    এই দুই ইস্যু হাতছাড়া হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই এখন থেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Polls) যে মোদির জয়ধ্বজ অব্যাহত থাকবে, তা টের পেয়ে গিয়েছেন জোটের ‘হুজ হু’-রা। সেই কারণেই এখন থেকে হারের বিভিন্ন ‘অজুহাত’ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন ‘ইন্ডিয়া’-জোটের কাণ্ডারিরা। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ বৃহস্পতিবারই দেখিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata on EVM Hacking)। ফের একবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ইভিএম হ্যাক’-এর তত্ত্ব— যা বিরোধীদের অত্যন্ত পছন্দের অজুহাতের অন্যতম। এদিন নবান্ন থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে। ইলেক্ট্রিক মেশিন (ইভিএম) হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ 

    লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Polls) ৮ মাস আগেই কি তাহলে হার মেনে নিলো মমতার ‘ইন্ডিয়া’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে (ISRO Moon Mission) গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করলো ইসরো। পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে চাঁদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সোমবার রাত সোয়া ১২টা নাগাদ পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এর ফলে, পাকাপাকিভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে এবার চন্দ্র-বৃত্ত বা চন্দ্র কক্ষপথের দিকে এগিয়ে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছে?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হলো বা ঠেলে দেওয়া হলো চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    ইসরো জানিয়েছে, সোমবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। একেবারে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অঙ্ক কষে সেই হিসেব অনুযায়ী রকেট ফায়ার করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটা এতটাই সুক্ষ্ম যে, এক সেকেন্ডের হেরফের হয়ে গেলেই ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) চাঁদের দিকে এগনোর বদলে সোজা চিরতরে গভীর মহাকাশে (Deep Space) হারিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু, ইসরোর বিজ্ঞানীদের কুর্ণিশ (ISRO Moon Mission)। একেবারে সঠিক অঙ্ক কষেই তাঁরা ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই ঠেলে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

    এতদিন কোথায় ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এতদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলছিল। পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিচ্ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। গতকাল সে শেষবারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। তারপর মধ্যরাতে, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে চাঁদের রাস্তায় ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এবার কী হবে? পরের ধাপ কী?

    এখন লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3)। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট ইনসার্টশন। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষা করতে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিল ভারত। সম্প্রতি, পাক-সীমান্ত লাগোয়া জম্মু কাশ্মীরের আকাশে দেখা গিয়েছে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) মহড়া। 

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর ও লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলিকে অবগত করাতেই নাকি এই বিশেষ মহড়া চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলেছেন, উপত্যকায় উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলসিএ-র একটি ফ্লিটকে ফরোয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পর্বতাঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই বিশেষ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশ্য তেজসকে এই অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা।

    মিগ-২১ বাইসন আউট, তেজস ইন!

    বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তের সুরক্ষার দায়িত্ব ছিল মিগ-২১ বাইসনের হাতে। এখন, ধীরে ধীরে রুশ নির্মিত এই যুদ্ধবিমানকে পাকাপাকিভাবে অবসরে পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। তার জায়গায় তেজস যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করাই লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকট ভবিষ্যতে, পাক সীমান্তের আকাশসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তেজস ও রাফাল। রাফালের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় রয়েছে। মূলত, ভারত-পাক সীমান্তের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব ভাগ করে নেবে তেজস (Tejas Fighter Jet)।

    তেজসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোই লক্ষ্য

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) ওপর ধীরে ধীরে আস্থা ও নির্ভরতা বাড়াতে উদ্যোগী মোদি সরকার। প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে তেজস-এর ধার-ভার ও অস্ত্রবহনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরনো, ধুঁকতে থাকা মিগ যুদ্ধবিমানকে একেবারে সরিয়ে নতুন প্রযুক্তির তেজসকে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে, জম্মু কাশ্মীরের মতো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, সময় থাকতে থাকতে সেই কৌশল শিখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

    চিন-পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বনাম ভারতের তেজস

    ইতিমধ্যে তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) দুটি স্কোয়াড্রনকে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স ও ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই দুটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলি মার্ক-১ শ্রেণিভুক্ত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের তৈরি বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সমর্থ ও কার্যকরী। পাকিস্তান ও চিনের তৈরী জেএফ-১৭ বিমানের থেকে অনেকটাই ভালো মানের। আগামী দিনে এই লাইট ওয়েট যুদ্ধবিমানে আরও উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা যেতে পারে। সেই নিয়ে ডিআরডিও বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন বলেই সূত্রের খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ শ্রেণির বিমান বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এগুলি আরও অন্নত। মার্ক-২ শ্রেণির তেজস নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা) নিয়েও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share