Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-এর (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্ন-এর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, ব্রিটিশ নাগরিক কোলবার্ন পাকিস্তানের জলবায়ু সংক্রান্ত একটি লবিং গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপর নজরদারি চালানোর কাজে লিপ্ত ছিল। এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ-এর স্ত্রী ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (IB)-এর গোপন নথিপত্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন এবং সেইসব তথ্যের অপব্যবহার করেছেন। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।”

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    হিমন্তবিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma)  দাবি করেন, কোলবার্নের পাকিস্তান সফর ‘জলবায়ু গবেষণা প্রকল্প’ বললেও, আসলে এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের স্বীকৃত একটি সফর, যার পিছনে ছিল এক সুপরিকল্পিত যোগসাজস। তিনি বলেন, “এটি নিছক সফর ছিল না বা পারিবারিক বিষয়, বরং এটি ছিল পাকিস্তানের সরকারিভাবে অনুমোদিত ও সমন্বিত একটি প্রচেষ্টা।” মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ তোলেন, “গৌরব গগৈ এবং তাঁর স্ত্রী পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতীয় নীতিনির্ধারণী স্তরে ঢুকে পড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যুক্ত হন। তারা ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।” এই বিষয়ে প্রমাণস্বরূপ হিমন্ত (Himanta Biswa Sharma) জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার এই অভিযোগের নেপথ্যে যা যা প্রমাণ পেয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরবে।

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    তবে গৌরব গগৈ এই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে এটিকে “সি-গ্রেড বলিউড সিনেমার মতো” বলে ব্যঙ্গ করেন। গগৈ স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী ১৩ বছর আগে পাকিস্তানে এক বছর কাজ করেছিলেন এবং তিনি একবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তিনি একবার তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে একটি সফরে সঙ্গ দিয়েছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতের গোপন গোয়েন্দা নথি অর্জন করলেন?” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “ওনার এই কাজ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চরম অবহেলার প্রমাণ।” শর্মার (Himanta Biswa Sharma) অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর অফিসের প্রভাব ব্যবহার করেই দম্পতি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।

    আইএসআইয়ের এজেন্ট গগৈয়ের স্ত্রী

    কংগ্রেস এখনও গগৈকে (Gaurav Gogoi)  প্রকাশ্যে সমর্থন জানাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আগেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) । এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা। গত কয়েক মাস ধরেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতার স্ত্রীর ‘পাক যোগ’ নিয়ে একটানা আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিজেপি। হিমন্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসে গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথকে পাক এজেন্ট বলে অভিযোগ তোলার পর বিজেপিও একযোগে দাবি করে, এলিজাবেথ পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। পাশাপাশি, এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও অভিযোগ করে বিজেপি।
    হিমন্তের (Himanta Biswa Sharma) দাবি, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।”

  • PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Alipurduar)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ১০১৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২টি জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশন তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রকল্পের ফলে আড়াই লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন

    বাংলার সকলকে নমস্কার জানিয়ে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি (PM Modi in Alipurduar) বলেন, “বাংলার বিকাশ ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ মজবুত ইট গড়ার দিন। আমরা মঞ্চ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সিটি গ্যাসের শুভারম্ভ করলাম। পাইপলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন। সিলিণ্ডার কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে। সিএনজি ষ্টেশনের ফলে পয়সা খরচ কম হবে। সময় বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচবে। ২০১৪ সালের আগে ৬৬ জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। এখন তা বেড়ে ৫৫০ জেলায় এই নেটওয়ার্ক গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গতি এসেছে। ২০১৬ থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে। মহিলাদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। রান্নাঘরের সম্মান বেড়েছে।”

    বাংলার বিকাশের কাজ চলছে

    একইসঙ্গে, এদিন বাংলার সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Alipurduar)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ১৪ কোটির থেকে কম এলপিজি ছিল। এখন ২১ কোটি হয়েছে। আমাদের সরকার কোণায় কোণায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মজবুত করেছে। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সরকার পাইপলাইন বিছানো থেকে সব কাজ করছে। বাংলা ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় দিক। বাংলা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কেন্দ্র সরকার দশ বছরে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা মেট্রোর উন্নতি করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উন্নতি করা হচ্ছে। বাংলার বিকাশের কাজ চলছে। এই একটা পাইপ লাইন নয়, প্রগতির একটা দিক বাংলায় বিকশিত হচ্ছে।”

    সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা

    বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Alipurduar) বিমান। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সিকিমের ভারত অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছরের পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি জাতির গর্ব বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    নিয়মিত এক মুঠো তিল (Sesame Seeds), আর তাতেই হবে বাজিমাত। একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। আধুনিক জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হাড়ের রোগের মতো সমস্যা এখন খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দিচ্ছেন, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক এক মুঠো তিল। তাতেই একাধিক রোগের (Medicinal Benefits) সমস্যা কমবে।

    হাড়ের সমস্যা কমাবে তিল (Sesame Seeds)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বাড়লে হাড়ের সমস্যা। কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণার জেরে, অনেকের নিয়মিত কাজেও প্রভাব পড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই হাড়ের রোগ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই বয়স তিরিশের‌ চৌকাঠে পৌঁছলেই নিয়মিত তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমবে।

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক নানান সমস্যা বাড়ছে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাজের চাপ এবং পারিপার্শ্বিক নানান কারণে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। এই মানসিক চাপ কমাতেও তিল সাহায্য করে। তাই তিরিশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তিল (Sesame Seeds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিল খেলে শরীরে সেরোটোনিন তৈরি হয়। এই সেরোটোনিনের অভাবেই মস্তিষ্কে উদ্বেগ বাড়ে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই নিয়মিত তিল খেলে এই উদ্বেগ কমবে। মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের হৃদরোগ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত তিল খেলে এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের (Sesame Seeds) মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও যৌগ রয়েছে। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া তিলের বীজে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Medicinal Benefits)।

    হজমের গোলমাল কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এখন তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়মিত খাওয়া এবং অধিকাংশ সময়েই চটজলদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন হজমের গোলমালের জেরে লিভার এবং অন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এর দীর্ঘপ্রসারি ফল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।‌ তিলে (Sesame Seeds) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

    অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাবে তিল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলারা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। আয়রনের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তিলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই হিমোগ্লোবিন কম থাকলে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।

    কীভাবে তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিলের বীজ থেকে তিলের তেল তৈরি করা যায়। রান্নায় ওই তিল নিয়মিত অল্প ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া তিলের বীজ (Sesame Seeds) থেকে নাড়ু বা লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, চিনি বা গুড় ব্যবহার করা যাবে না। তিলের বীজ গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে কাঠবাদাম কিংবা পেস্তা গুঁড়ো মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে, নিয়মিত একটা করে খেলে প্রচুর উপকার (Medicinal Benefits) পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ (DOGE) ছাড়লেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ওই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন ছাড়লেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। তবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।

    ডজ-থেকে দূরে

    বন্ধুত্বের খাতিরে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ঢেলেছিলেন বিপুল টাকা। সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিয়েছিলেন ট্রাম্পও (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন টেসলা কর্তাকে। তাঁর জন্য সরকারি দক্ষতা বিষয়ক আলাদা একটি দফতরও তৈরি করে দেন, যার দায়িত্ব ছিল ইলনের কাঁধেই। কিন্তু সুখের সংসারে চিড়। বুধবারই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি, যা সংক্ষেপে ডজ (DOGE) নামে পরিচিত, তার নেতৃত্বে ইতি টানার সময় এসেছে। মাস্ক টুইট করে জানিয়েছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডজ-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”

    ট্রাম্প-মাস্ক দূরত্ব

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ ডজ (DOGE)। এই দফতরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। ইলন মাস্ককে (Elon Musk) বিশেষ সরকারি কর্মী হিসেবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। এই পারমিটে বছরে ১৩০ দিন কোনও ব্যক্তি সরকারের জন্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডজ-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ইলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের। তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে সামিল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইলন মাস্ককে। এমনকী ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁর গাড়ি কোম্পানি টেসলাকেও বয়কট করে। কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ারেও ব্যাপক পতন হয়।

    ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতান্তর

    প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে মতান্তরই কি টেসলা প্রধান মাস্কের এই অব্যাহতির প্রধান কারণ? সদ্য আমেরিকায় জনকল্যাণমূলক কাজে ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে অভিহিত করেন। সেই বিল নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছিল মাস্কের তরফে। মাস্ক (Elon Musk), প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করে বিলটি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের বহু কর্মীর দাবি ছিল যে ট্রাম্প এই বিলে সই করার ফলে মার্কিন রাজকোষে বহু টাকা বাঁচবে। এদিকে, মাস্কের দাবি ছিল এই বিলের ফলে রাজকোষে ঘাটতি বাড়বে। সেই মাতন্তর থেকেই কি মাস্ক সরে গেলেন পদ ছেড়ে? পদত্যাগের পরও মাস্ক জানান, তিনি ডজ-এর লক্ষ্যকে সমর্থন করবেন এবং সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মাস্কের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, মাস্ক সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরোক্ষে কাজ করবেন।

  • Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে।

    জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভরকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর (Freedom Fighter)। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

    হিন্দু শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন সাভারকর

    আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে নিজের কুঠুরিতে বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকর কারাগারেই রচনা করেছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা। এর ফলে ‘হিন্দু’ কে? যুক্তিসম্মত, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা পেয়েছিল দেশবাসী। সাভারকরের ভাষায়,

    ‘‘আ সিন্ধু, সিন্ধু পর্যন্তা যস্য ভারত ভূমিকা
    পিতৃভূ, পূণ্যভূশ্চৈব সবৈ হিন্দু রিতি স্মৃত’’

    অর্থাৎ, সিন্ধু নদ থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এই বিশাল ভূখণ্ডকে যিনি পূণ্যভূমি ও পিতৃভূমি বলে মনে করেন, তিনি আস্তিক হতে পারেন, নাস্তিক হতে পারেন, প্রতিমাপূজক অথবা নিরাকারবাদীও হতে পারেন, তিনিই হিন্দু। কোনও ব্যক্তি যদি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে মেনে চলেন তিনিই হিন্দু। হিন্দু শব্দের ব্যাপকতা তাই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত-ভূমির সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের নামই হিন্দুত্ব।

    লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল

    সাভারকর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter), রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ও দার্শনিক। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন বলে জানা যায়। পুণের ফার্গুসন কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ব্রিটেনে আইন পড়তে যান তিনি। সেখানে পড়াশোনা করার সময় ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন। কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

LinkedIn
Share