Tag: Madhyom

Madhyom

  • FIFA World Cup 2026: চূড়ান্ত ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কে কার বিরুদ্ধে খেলবে আগামী বছর?

    FIFA World Cup 2026: চূড়ান্ত ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কে কার বিরুদ্ধে খেলবে আগামী বছর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত হয়ে গেল ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২৬ সালের সব গ্রুপ। শুক্রবার আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। এই প্রথমবারের মত ৪৮টি দলের টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, ফ্রান্সের মতো দেশ জেনে গেল তাদের প্রতিপক্ষের নাম। চারটি দলের ১২টি গ্রুপ রয়েছে। তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স একটু কঠিন গ্রুপে। গ্রুপ পর্বেই দেখা যাবে কিলিয়ান এমবাপে বনাম আর্লিং হালান্ডের লড়াই। পর্তুগালেরও লড়াই তেমন কঠিন নয়। আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।

    গ্রুপ অফ ডেথ নেই বললেই চলে

    পরের বছরই প্রথম বার ৪৮টি দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ড্র সহজ হতে পারে, এমন অনুমান আগেই করা হয়েছিল। আদপে হলও তাই। ১২টি গ্রুপের কোনওটিকেই সে ভাবে ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ বা মারণগ্রুপ বলা যায় না। তিনটি শক্তিশালী দেশ রয়েছে, এমন গ্রুপ হয়ইনি। গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে তিনটি পট থেকে প্রথম তিনটি বল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোস্ট মেক্সিকো ‘এ’ গ্রুপে, কানাডা ‘বি’ এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘ডি’ গ্রুপে থাকবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। এদিনই প্রকাশ্যে আসে ২০২৬ বিশ্বকাপের থিম সং ‘ডিজায়ার’। সেই গান পরিবেশন করেন ব্রুস স্প্রিংস্টিন এবং নিকোল শারজিঙ্গার।

    কোন গ্রুপে কোন দল রয়েছে

    গ্রুপ এ : মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ ডি জয়ী দল

    গ্রুপ বি : কানাডা, কাতার, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ এ জয়ী দল

    গ্রুপ সি : ব্রাজিল, মরক্কো, হাইতি, স্কটল্যান্ড

    গ্রুপ ডি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্যারাগুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ সি জয়ী দল

    গ্রুপ ই : জার্মানি, কুরাসাও, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েডর

    গ্রুপ এফ : নেদারল্যান্ডস, জাপান, তিউনিশিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ বি জয়ী দল

    গ্রুপ জি : বেলজিয়াম, মিশর, ইরান, নিউজিল্যান্ড

    গ্রুপ এইচ : স্পেন, কেপ ভার্দে, সৌদি আরব, উরুগুয়ে

    গ্রুপ আই : ফ্রান্স, সেনেগাল, নরওয়ে, ফিফা প্লে-অফ ২ জয়ী দল

    গ্রুপ জে : আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, জর্ডান

    গ্রুপ কে : পর্তুগাল, উজবেকিস্তান, কলম্বিয়া, ফিফা প্লে-অফ ১ জয়ী দল

    গ্রুপ এল : ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ঘানা, পানামা।

  • Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফর শেষ করে শুক্রবার রাতেই দেশ ছাড়লেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President, Vladimir Putin)। ২৮ ঘণ্টার ব্যস্ত সূচি শেষে বিদায়বেলায় পুতিনকে এগিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, ব্যাঙ্কোয়েট হলে মোদি (PM Narendra Modi)–পুতিনের পাশাপাশি বসা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্য—সব মিলিয়ে বৈঠকের গাম্ভীর্য থেকে জোরদার বার্তা পাঠাল দুই দেশ। শুরু হল দিল্লি–মস্কো (Vladimir Putin India Visit) সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়। বাণিজ্য থেকে জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি থেকে প্রতিরক্ষা—প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে ফেলল দুই দেশ।

    জ্বালানি ও বাণিজ্যে গভীরতর সম্পর্ক

    দিল্লি-মস্কো ঠিক করে ফেলল আগামী ছয় বছরের বাণিজ্যিক পথনকশা। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। বৈঠক শেষে রাশিয়ার স্পষ্ট বার্তা, “ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত মস্কো।” জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি—সব খাতেই যৌথ উন্নয়নে এগোবে দুই দেশ। জ্বালানি নিরাপত্তাকে ভারত–রাশিয়া অংশীদারিত্বের মূল স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, নাগরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দুই দেশের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি, জি-২০, ব্রিকস, এসসিওর মতো ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিরক্ষায় যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত ও রাশিয়ার লেনদেন পৌঁছে গিয়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। শীঘ্রই এই অঙ্কটা পৌঁছে যাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে।” একইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট জানা এই বাণিজ্যের ৯৬ শতাংশই হয়েছে দেশীয় মুদ্রায় অর্থাৎ ভারতের টাকা ও রাশিয়ার রুবেলে মাধ্যমে। অর্থাৎ ডলারকে পাশ কাটিয়ে দেশীয় মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে জোয়ার এনেছে দুই দেশ। যা আমেরিকার ডলার অস্ত্রকে কড়া জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন

    সম্মেলনের পর এক্স-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “২৩তম ভারত–রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানান দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছি। সংযোগ বৃদ্ধি, জাহাজ নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বহু ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো হবে।” রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারত আবারও জানিয়েছে—ভারত শান্তির পক্ষেই। মোদি জোর দিয়ে বলেছেন, স্থায়ী শান্তিই ভারতের লক্ষ্য, এবং অচলাবস্থা নিরসনে শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। শুক্রবার যৌথ প্রেস বৈঠক থেকে রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকটাই হল উভয় দেশের সংস্কৃতি ও জনসাধারণ।’ আর সেই সংস্কৃতি ও জনসাধারণের মেলবন্ধনকে বজায় রাখতে রাশিয়ার কাজান এবং ইয়েকাতেরিনবুর্গে দু’টি ভারতীয় দূতাবাস খুলেছে নয়াদিল্লি। যার উদ্বোধন হল শুক্রবার।

    কুড়ানকুলামের দায়িত্ব নিলেন পুতিন

    ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুড়ানকুলামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। তামিলনাড়ুর এই পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি চুল্লির মধ্য়ে দু’টি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি চারটি এখনও নির্মীয়মান। সেগুলির দায়িত্ব নিতে চায় রাশিয়া, জানিয়েছেন খোদ পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করব আমরা।’ দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, “আগামী দিনে আমাদের এই বন্ধুত্ব বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি দেবে এবং এই বিশ্বাস আমাদের যৌথ ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ করবে।” মোদি এদিন ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বকে “ধ্রুবতারা” বলে অভিহিত করেন—যা বহু ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অটুট থেকেছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে দ্রুত এফটিএ (FTA) সম্পাদনের আহ্বান জানায় ভারত-রাশিয়া। দুই নেতা দ্রুত ইএইউ (Eurasian Economic Union)-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে মতৈক্যে আসেন।

    ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যে প্রধান সমঝোতাগুলিতে সই হয়েছে—

    ভারত–রাশিয়া কৌশলগত সহযোগিতা কর্মসূচি (২০২৩–২০৩০)—বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইত্যাদিতে সহযোগিতা বিস্তারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ চুক্তি।

    দুই দেশের নাগরিকদের অস্থায়ী শ্রম কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি

    অবৈধ অভিবাসন দমনে সহযোগিতা

    উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা

    খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা

    মেরু জলে পরিচালিত জাহাজের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা

    রাসায়নিক সার খাতে সহযোগিতা

    পণ্য ও যানবাহনের প্রি-অ্যারাইভাল তথ্য বিনিময়

    দুই দেশের ডাক ও যোগাযোগ বিভাগে চুক্তি

    মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় ও লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা

    তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে প্রসার ভারতী ও রাশিয়ার বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার মধ্যে একাধিক চুক্তি

    ভারত নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সে (IBCA) রাশিয়ার যোগদানের জন্য কাঠামোগত চুক্তি

    “ইন্ডিয়া ফেব্রিক অফ টাইম” (India, Fabric of Time) প্রদর্শনীর আয়োজন

    রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

    রুশ পর্যটকদের জন্য গ্রুপ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

  • Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে। প্রথমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল কলকাতার পারদ। আজ, শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পারদ নামল ১৪ ডিগ্রির ঘরে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি কম। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, এক রাতেই তাপমাত্রা কমল আড়াই ডিগ্রি! আলিপুরের পূর্বাভাস, এখন সবে শুরু! আরও নামবে পারদ।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর এই মুহূর্তে আর তেমন কোনও নিম্নচাপ অঞ্চল নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সাত দিন শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া৷ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে উত্তুরে হাওয়ার পথেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গে আরও অন্তত দু’ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে কনকনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে জেলায় জেলায়।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়ায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। সপ্তাহান্তে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে একধাক্কায় তাপমাত্রা পতন হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি ও রবিবার রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশা থাকবে ভোরের দিকে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকছে। পাহাড়েও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যাবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতার অভাব থাকবে। কুয়াশার প্রভাবে সতর্কতা জারি রয়েছে উত্তরে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে শীতলতম স্থান ছিল আলিপুরদুয়ার৷ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদায় তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে। ওপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিংয়ে পারদ নেমেছে ৪.৫ পাঁচ ডিগ্রিতে৷ আগামী সাত দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন নেই৷

  • Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাজারে হাজির কমলালেবু! বাঙালির শীতকালের সঙ্গে কমলালেবুর সম্পর্ক চিরকালীন। সকালের প্রাতঃরাশের থালায় হোক, কিংবা স্কুলের টিফিন বাক্সে, কমলালেবুর উপস্থিতি জানান দেয় শীতের দাপট! তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদে ও গন্ধে শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য গুনেও ভরপুর! তবে কিছুক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে।

    নিয়মিত বাচ্চাকে কমলালেবু দিলে কী হয়?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। শিশুরা শীতের সময়ে অনেকেই নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি-সর্দিতে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে এই ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমবে। ভোগান্তিও কম হবে।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    শীত মানেই নানান উৎসবের মরশুম। পিকনিক হোক কিংবা পারিবারিক উৎসব, নানান অনুষ্ঠান চলে। তাই খানাপিনাও দেদার চলে। বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিনের নানান পদ খাওয়া বেশি হয়। এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে শিশুদের বমি কিংবা পেটের সমস্যার মতো নানান ভোগান্তি বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হজমের অসুবিধার জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, জলখাবারের পরে কিংবা স্কুলের টিফিন শেষে নিয়মিত কমলালেবু খেলে হজম শক্তি বাড়বে।

    ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা দিনভর নানান কাজ করে। ছোটাছুটিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি করে। তাই তাদের বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জির চাহিদা পূরণ করতে কমলালেবু খুব উপকারি। কমলালেবুতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    ভারতীয় শিশুরা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কমলালেবু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত খাওয়া বা ‘ওভার ইটিং’-র প্রবণতা কমবে।

    হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমবে!

    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা সময় থেকেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বহু স্কুল পড়ুয়া ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। যা দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলের টিফিনে শীতকাল জুড়ে থাকুক কমলালেবু। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান রকম ভিটামিন থাকার পাশপাশি থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই উপাদান হাড় মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবু নিয়মিত খেলে হাড়ের মজবুত হবে।

    বড়দের জন্যও সমান ভাবেই উপকারি

    শিশুদের পাশপাশি বড়দের জন্যও কমলালেবু সমান ভাবেই উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ত্বকের সমস্যা মেটাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পাশপাশি কমলালেবু হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শীতকালে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত কমলালেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পদ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    তবে, খেয়াল রাখতে হবে…

    তবে কমলালেবুর উপকার পাওয়ার জন্য এই ফল খাওয়ার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু খালি পেটে খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভারি খাবার খাওয়ার পরে তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে দিনে দুটোর বেশি কমলালেবু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের দিনে একাধিক কমলালেবু না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 06 December 2025: কোনও গুণের জন্য সমাজের কাছে সমাদর পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 06 December 2025: কোনও গুণের জন্য সমাজের কাছে সমাদর পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শুধু শরীর সম্পর্কে আজ আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) রোজগার অনেকটাই বাড়বে, নিশ্চিত থাকুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ অনুকূল থাকছে।
    বৃষ
    ১) অর্থলাভের পক্ষে দিনটি আপনার ভালোই কাটতে চলেছে।
    ২) অপ্রত্যাশিত অর্থলাভের যোগও দেখা যাচ্ছে আজকে।
    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি আনন্দে কাটাবেন।
    মিথুন
    ১) শারীরিক ও মানসিক উৎকণ্ঠা আজ আপনাকে পোহাতে হবে।
    ২) কর্মক্ষেত্রেও থাকবে ঝঞ্ঝাট ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ।
    ৩) অর্থলাভের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হবেন, অন্যদিকে ব্যয়ও বাড়বে।
    কর্কট
    ১) গৃহে বা বন্ধু স্থানীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে।
    ২)  কোনও গুণের জন্য সমাজের কাছে সমাদর পাবেন।
    ৩) মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি হবে আজ।
    সিংহ
    ১) উল্টোপাল্টা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বেন, এর ফলে মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে।
    ২) শারীরিক দিক থেকেও দিনটি ভালো যাবে না, অস্বস্তি বোধ করবেন কোনও কারণে।
    ৩) সতর্ক থাকুন, কারও সাথে অযথা বাদানুবাদ সৃষ্টি হতে পারে।
    কন্যা
    ১) দিনটা খারাপ ভালো মিশিয়েই কাটবে।
    ২) শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অস্বস্তি আজ আপনাকে বয়ে চলতে হবে।
    ৩) পূর্ব পরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে সাক্ষাৎলাভ হবে।
    তুলা
    ১) ছোটখাট ঘটনায় সাময়িক উদ্বেগ হবে, তবে তা ক্ষণস্থায়ী, বাকি দিনটা আনন্দেই কাটবে।
    ২) অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থলাভের যোগ রয়েছে আজ।
    ৩) গৃহে অতিথির আগমন হবে, এর ফলে ব্যয় বৃদ্ধি হবে।
    বৃশ্চিক
    ১) আর্থিক দিক থেকে দিনটি শুভ।
    ২) সতর্ক থাকতে হবে, কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা ও নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    ৩) শারীরিক সুখ নষ্ট হবে, কোনও রোগের কারণে।
    ধনু
    ১) কোনও শুভ প্রচেষ্টার পক্ষে দিনটি মোটেও ভালো নয়, তাই বিরত থাকুন।
    ২) আয় ও আর্থিক ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই আজকে।
    ৩) বাহ্যিক আনন্দ প্রকাশ পাবে, তবে পুরনো কোনও কারণে মনের দিক থেকে চাপা গুমোট ভাব থাকবে।
    মকর
    ১) কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা আজকে আপনাকে মোকাবিলা করতে হবে।
    ২) শরীর আপনাকে বিপাকে ফেলতে পারে। তবে আয়ের ক্ষেত্রে শুভ দিন।
    ৩) তুলনামূলকভাবে ব্যবসায়ীদের আয় বাড়বে।
    কুম্ভ
    ১) অযথা অর্থ ব্যয় হবে আজকে।
    ২) কোনও পূর্ব পরিকল্পনা করে থাকলে তা হঠাৎ বানচাল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
    ৩) নিজ ভুলে অর্থহানির যোগ রয়েছে।
    মীন
    ১) পূর্বের কোনও ঘটনার জেরে ফের মানসিক আঘাত পেতে পারেন।
    ২) আইন সংক্রান্ত যে কোনও ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
    ৩) কর্মক্ষেত্র ও আর্থিক ব্যাপারে আজকের দিনটা ভালোই কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:কেন্দ্রীয় আবগারি (সংশোধনী) বিল, ২০২৫–এর আলোচনার জবাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গকে কখনওই অবহেলা করেনি কেন্দ্র সরকার। বরং তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নীতিই রাজ্যের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার , রাজ্যসভায় বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ খণ্ডন করে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিস্তারিত তালিকা পেশ করে করে তিনি বোঝান যে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই টাকার যথাযথ ব্যয় না করে স্বচ্ছতা দেখায়নি রাজ্য সরকার। এমনকি তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য থেকে শিল্প সংস্থাগুলি যে পালাচ্ছে সেই তালিকা প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

    শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে

    রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে,বলে দাবি করেন নির্মলা। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। নির্মলা বলেন, “প্রত্যেকটি তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রাজ্যসভার কাছে জমা দিচ্ছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল সাংসদরা জবাবদিহি চেয়েছেন যে, রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমি তার জবাব দিচ্ছি। এখন আবার আপনারা বলছেন, সেই জবাব শুনবেন না! তিনি বলেন, এক্সাইজ বাড়ানো হচ্ছে, তামাকজাত পণ্যের উপর। সেই টাকার ভাগ পাবে রাজ্য। সেই টাকা দিয়ে রাজ্য যেন উপকার করে তামাকশিল্পে জড়িত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এক্সাইজ যেহেতু রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়, তাই তামাকজাত দ্রব্যের উপর এক্সাইজ বাড়ানোর জেরে রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাবে কিছুটা।”

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে পশ্চিমবঙ্গ

    রাজ্যের উন্নয়ন তৃণমূল সরকারের কারণেই থমকে আছে বলে দাবি করেন নির্মলা। এদিনই রাজ্যসভায় নির্মলা সীতারামন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের পূর্ণ সমর্থন সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক বৃদ্ধি ব্যাহত করছে। সেন্ট্রাল এক্সাইজ (সংশোধন) বিল, ২০২৫ নিয়ে আলোচনার জবাবে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গকে উপেক্ষা করেনি। টিএমসি সদস্যদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সীতারামন বলেন, “আসলে, টিএমসি সরকারই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতি ব্যাহত করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি বাংলার মানুষের জন্য ভালো?”

    রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠান

    অর্থমন্ত্রী রাজ্য থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির চলে যাওয়ার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত-বহির্ভূত সংস্থা রাজ্য ছেড়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই প্রবণতা রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়। সীতারামন আরও পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কর বাবদ ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে, যা ২০০৪-১৪ সময়ের ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় ৪.৪ গুণ বেশি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক, এমনটাই দাবি করেন তিনি।

    পশ্চিমবঙ্গকে যা যা দিয়েছে কেন্দ্র

    কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তালিকা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে কল্যাণী এইমস চালু হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার (CSS) অধীনে ১১টি মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন পেয়েছে। এনডিএ সরকারের আমলে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রেকর্ড ১৩,৯৫৬ কোটি টাকার রেল বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে, যা ২০০৯-১৪ সময়ের গড় ৪,৩৮০ কোটি টাকার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি। এ ছাড়া, রাজ্যে ৩,৮৪৭.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০১টি অমৃত স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ১,৬৫০ কিলোমিটার রেললাইন বিদ্যুদায়িত হয়েছে, ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট রেল বিদ্যুদায়নের হার ৯৮ শতাংশের বেশি দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ২,৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    অভিযোগ ঠিক নয়

    সীতারামন আরও জানান, ২০২৪ সালের অগাস্টে ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অবস্থিত বাগডোগরা বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য ১,৫৪৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। টিএমসি সাংসদ সাগরিকা ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, সেন্ট্রাল রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (CRIF) স্থানান্তরিত হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ঠিক নয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০০২-০৩ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত সিআরআইএফ-এর অধীনে ১৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে একই সময়ে রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেস বাবদ ১২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGS) প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র থেকে ১৪,৯৮৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও যোগ করেন, “অন্যদিকে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আমাদের সরকার ৫৪,৪১৬ কোটি টাকা প্রকাশ করেছে, যা মনরেগা-এর অধীনে কেন্দ্রীয় তহবিল বিতরণে ২৬১ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।”

     

     

     

  • Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে  নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    Vladimir Putin India Visit: ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে’’ বন্ধু পুতিনকে পাশে নিয়ে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া সন্ত্রাসের মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin India Visit) সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘বন্ধু’ পুতিন। ঠিক এই সম্বোধন দিয়েই শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মোদি বলেন, ‘‘২৫ বছর আগে পুতিন আমাদের সঙ্গে স্ট্র‍্যাটেজিক পার্টনারশিপের সূত্রপাত করেছিল। ⁠ভারতের প্রতি পুতিনের দায়বদ্ধতা এবং বন্ধুত্বের জন‍্য আমি আমার বন্ধু পুতিনকে ধন‍্যবাদ জানাই৷’’ এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ হিসেবে সম্বোধন করেন পুতিন৷

    ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রাম

    মোদির (Modi-Putin Meet) কথায়, ‘‘ভারত-রুশ বন্ধুত্ব সময়ের সব পরীক্ষায় পাশ করেছে৷ ⁠আজ আমরা এই বন্ধুত্বকে আরও পোক্ত করতে আলোচনা করেছি৷’’ এরপরেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ⁠২০৩০ সাল পর্যন্ত ভারত এবং রাশিয়া একটি ইকোনমিক কোঅপারেশন প্রোগ্রামে সম্মতি হয়েছে ৷ মোদি জানান, ‘‘ভারত-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে ⁠এক্সপোর্ট এবং কোঅপারেশনের রাস্তা খুলবে দু’দেশের৷ ⁠কৃষি এবং ফার্টিলাইজারের ক্ষেত্রেও আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক কৃষকদের জন‍্য অনেক লাভদায়ক হবে। ভারত এবং রাশিয়া একসঙ্গে তৈরি করবে ইউরিয়া৷’’ শিপ বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও রাশিয়া ভারতকে নতুন সুযোগ দেবে বলে জানান তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, এই সমন্বয় এবং বন্ধুত্ব, সবটাই নতুন মাত্রা পেয়েছে পুতিনের নেতৃত্বে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ অংশীদারিত্বের তকমা পেয়েছিল। এমনকি, গত ২৫ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন পুতিন। আমি তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাই।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরালো সুর

    এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। সেটা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হোক বা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত হামলা, এই সমস্ত ঘটনার মূলে একই। ভারতের অটল বিশ্বাস যে সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধের উপর সরাসরি আক্রমণ। এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাষ্ট্রসংঘ, জি২০, ব্রিকস, এসসিও এবং অন্যান্য ফোরামে ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এই সমস্ত ফোরামে আমাদের আলোচনা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতেই বারংবার পাক প্রধানমন্ত্রী ও পাক সেনাপ্রধানকে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতে ‘ভারতবিরোধী’ হুঙ্কার তুলতে দেখা গিয়েছে। শুক্রবার যেন সেই সকল হুঙ্কারের জবাব দিয়ে দিলেন মোদি।

    ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ

    এদিকে শুক্রবার বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটা শান্তির যুগ। সাম্প্রতিক অতীতে শান্তি ফেরাতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। আমার বিশ্বাস গোটা বিশ্ব আবারও শান্তির পথে ফিরবে।” নেতা হিসেবেও পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রকৃত বন্ধুর মতো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন পুতিন। সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন।” মোদির কথায়, আগামী দিনে বিশ্বে শান্তি ফিরবে বলে আশাবাদী তিনি, কারণ শান্তির মাধ্যমেই বিকাশ ঘটবে।

    স্পেশাল কারেন্সি তৈরির পথে

    বর্তমানে ২৭ ঘণ্টার সফরে ভারতে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের মাটিতে পা রাখেন পুতিন৷ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে পুতিনের এই ভারত সফরের দিকে বিশেষ নজর রাখছে ওয়াশিংটনও৷ আজ, শুক্রবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর সঙ্গে দেখা করেন পুতিন৷ তারপরে হয় মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক৷ বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রনেতাই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন, মোদিকে ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ বলে বক্তব্য শুরু করেন। পুতিন বলেন, ‘‘আমরা স্পেশাল কারেন্সি তৈরির দিকে এগোচ্ছি৷ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লেনদেনে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে—এখন বাণিজ্য লেনদেনের ৯৬ শতাংশই জাতীয় মুদ্রায় হচ্ছে।” ⁠এনার্জি তৈরির ক্ষেত্রে সফল পার্টনারশিপ রয়েছে রাশিয়ার। ⁠ পুতিন বলেন, ‘‘ভারতে বৃহত্তম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, কুডানকুলাম তৈরিতে আমরা সহযোগিতা করছি৷ ⁠ভারতের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা চলছে—ছয়টির মধ্যে তিনটি রিঅ্যাক্টর ইতোমধ্যেই গ্রিডে সংযুক্ত হয়েছে।’’

    নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর

    পুতিন জানান, এই বৈঠকের পরে ভবিষ্যতে ⁠নিরাপত্তা, বাণিজ্য, সংস্কৃতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘নতুন আন্তর্জাতিক ট্রেড করিডোর তৈরির পরিকল্পনা করছি আমরা। যার মধ্যে অন্যতম হল উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডর প্রকল্প। রাশিয়ার টিভি চ‍্যানেল আরটি আজ থেকে ভারতে নিজেদের ব্রডকাস্ট শুরু করছে৷ ⁠আগামিবছর ভারত ব্রিকসে চেয়ার গ্রহণ করবে। আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে ভারতকে৷ গত বছর ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আমরা এই পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হব বলে মনে করি। মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের প্রক্রিয়া আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়াতে সাহায্য করবে। গত অর্ধশতাব্দী ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণে রাশিয়া সহযোগিতা করে আসছে। আমাদের আলোচনার ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। এই সফর দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’’

  • Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন।’ কথাগুলি বলেছেন ভারত সফরে আসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানিয়ে দিলেন, তিনি বা মোদি— কেউই চাপে সিদ্ধান্ত নেন না। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার ভারতকে শুল্ক-চাপ দেওয়ায় গর্জে উঠলেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, আমেরিকার যদি রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতেরও সেই অধিকার আছে।

    ‘‘আমেরিকার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না’’

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনের দেশ থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শাস্তিমূলক শুল্কও আরোপ করেছেন তিনি। যে কারণে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নামতে চলেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানি অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। অর্থাৎ, একদিকে ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার হুমকি, অন্যদিকে তলে তলে নিজেরা পরমাণু জ্বালানি কিনে চলেছে। এই নিয়েই ট্রাম্পের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এদেশে পা রেখেই পুতিন বলেন, “আমেরিকা তাদের পরমাণুকেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনা অব্যাহত রেখেছে। সেটা হল ইউরেনিয়াম, যেটা আমেরিকার পরমাণুকেন্দ্রগুলিকে সচল রাখতে ব্যবহৃত হয়।” তাঁর প্রশ্ন, রাশিয়া থেকে আমেরিকার জ্বালানি কেনার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না?

    “না আমি, না মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না”

    পুতিন জানান, পশ্চিমী চাপের কারণে ভারতের তেল আমদানি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কিছুটা কমেছে। তবে সেটা খুবই সামান্য। মোট বাণিজ্য আগের মতোই প্রায় একই পর্যায়ে আছে। পুতিন জানান যে, ভারতের সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে, তা পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা ইউক্রেনের যুদ্ধ তা পরিবর্তন করতে পারেনি। তিনি বলেন, “পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত তেল, ভারতের সঙ্গে রুশ তেলের বাণিজ্য মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে।” পুতিন বলেন, “না আমি, না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে কাজ করি না।”

    “মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম”

    পুতিনের কথায়, “বিশ্ব আজ ভারতকে এক শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখছে। ভারত তার নেতৃত্ব নিয়ে গর্ব করতে পারে।” একইসঙ্গে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন। পুতিন বলেন, “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য। মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম।” এছাড়া, তাঁদের মধ্যে বিশ্বস্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের মতে, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আর শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মোদি। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা যায়, সে দিকেই মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।

  • OBC Category in Bengal: মুখোশ খুলল মমতার তোষণ-রাজনীতির, জাতীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ পড়ছে রাজ্যের ৩৫ মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম

    OBC Category in Bengal: মুখোশ খুলল মমতার তোষণ-রাজনীতির, জাতীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ পড়ছে রাজ্যের ৩৫ মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে বাদ দিতে বলেছে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (NCBC)। এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার লোকসভায় এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। মঙ্গলবার তাঁর প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছে সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত একাধিক মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলতে থাকা শুনানির মধ্যেই এনসিবিসি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে ৩৫টি সম্প্রদায়—যাদের বেশিরভাগই মুসলিম—অপসারণের সুপারিশ করেছে।

    জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন-এর বক্তব্য

    কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান হানরাজ গঙ্গারাম আহির জানান, পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি তালিকায় বিপুল সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়টি পর্যালোচনা করেই এ সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “৩৫টি সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই মুসলিম, এক-দুটি হয়তো অমুসলিম হতে পারে।” কয়েক মাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, এই পরিস্থিতিতে সুপারিশটি রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংসদে জানানো হয়েছে যে, এনসিবিসি ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে ৩৫টি সম্প্রদায় বাদ দেওয়ার সুপারিশ পাঠিয়েছে। তবে কোন কোন সম্প্রদায়ের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি আহির। তাঁর বক্তব্য—এই সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষণা করার বিষয়।

    রানাঘাটের সাংসদের প্রশ্ন

    সংসদে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানতে চান, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল কি না। তার মধ্যে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি শংসাপত্র মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশের পরে কতগুলি জনগোষ্ঠী ওই তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এনসিবিসি কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না, কোনও জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছে কি না, সেই তথ্যও জানতে চান সাংসদ।

    কী বলল সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক

    জগন্নাথের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানান, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় যুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার। তবে ২০১১ সালে এনসিবিসি থেকে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিল। সেই মতো ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনসিবিসি পশ্চিমবঙ্গের ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ দিতে বলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় যোগ হওয়া ৩৭টি সম্প্রদায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনসিবিসি। এর মধ্যে ৩৫টিই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়।

    ‘অস্বাভাবিকভাবে বেশি’ মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত

    সংবিধানের ১০২তম সংশোধনী অনুসারে, এনসিবিসি-র মতামত পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিবর্তিত ওবিসি তালিকা সংসদে পেশ করতে হয়, এরপর রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করলে নতুন তালিকা গেজেট করে প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে নয়টি রাজ্যের ওবিসি তালিকা সংশোধনের সুপারিশ তাদের কাছে রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর আহির পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক ও কেরল-সহ বিভিন্ন রাজ্যের ওবিসি তালিকা নতুন করে খতিয়ে দেখছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে পরিদর্শনের পরই তিনি মন্তব্য করেন যে, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় ‘অস্বাভাবিকভাবে বেশি’ মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ মে ওবিসি নিয়ে প্রথম রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের পর রাজ্যের তালিকায় যত ওবিসি সম্প্রদায় যুক্ত হয়েছে, তা বাতিল। ২০১০ সালের পর থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি শংসাপত্রও বাতিল করে দেওয়া হয়। তার আগে রাজ্যে ওবিসি হিসাবে ৬৬টি সম্প্রদায় স্বীকৃত ছিল। বলা হয়, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করে নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে। সেই অনুযায়ী রাজ্য একটি সমীক্ষা করে ওবিসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে মামলা হয়। গত ১৭ জুন এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বিজ্ঞপ্তির উপরে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।

    তোষণের রাজনীতি তৃণমূলের

    এই তদন্ত ও সুপারিশকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করছে—বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে বেপরোয়া ভাবে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করেছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা সবক’টি সম্প্রদায়ই মুসলিম। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “দশক ধরে চলা তোষণ-নীতির বিকৃতি সংশোধন করছে মোদি সরকার।” তাঁর অভিযোগ—রাজ্য সরকারের ‘প্রগতিহীন ও তোষণ-চালিত’ নীতি সামাজিক ন্যায়ের পরিপন্থী, এবং কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য প্রকৃত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সঠিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

  • RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বছর শেষের বড় খবর! সাধারণ দেশবাসীর জন্য সুখবর শোনাল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আমজনতাকে সুরাহা দিয়ে রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটরি পলিসি বা আর্থিক নীতি রূপায়ণ কমিটির দু’দিনের বৈঠকের পর শুক্রবার সকালে এই ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ, রেপো রেট ৫.৫০ শতাংশ থেকে নেমে ৫.২৫ হল।

    কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ বারের জন্য কমল রেপো রেট বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি, এপ্রিলে ২৫ করে এবং জুনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নতুন হারে সুদ কমার পর ২০২৫ সালে মোট ১২৫ বেসিস পয়েন্ট কমল রেপো রেট। বিশ্লেষকদরে মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। এখন গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই আরও কমবে, অর্থাৎ ঋণ নেওয়া সস্তা হবে। অথবা, কেউ মাসিক কিস্তি কমাতে না চাইলে কমবে তাঁর ঋণ পরিশোধের সময়কাল। রেপো রেট কমার ফলে ভাসমান সুদে গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে প্রতি এক লক্ষ টাকায় আপনার ইএমআই কমতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদের লোন নিয়েছেন, তাঁরা অনেকটা স্বস্তি পাবেন। ফলে, গ্রাহকদের হাতে আসবে বাড়তি টাকা। আর বাজারে বাড়বে নগদের জোগান। তৈরি হবে চাহিদা।

    রেপো রেট কী?

    রেপো রেট হল সুদের হার। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। আরবিআই যদি রেপো রেট বাড়ায়, তাহলে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে এবং তারা গ্রাহকদের উচ্চ হারে ঋণও দেয় উল্টোদিকে, এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্ক কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ঋণে সুদের হার কমতে পারে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বৃদ্ধি সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

    কী বললেন আরবিআই গভর্নর?

    সঞ্জয় জানিয়েছেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেপো রেট কমানো হবে। কারণ টাকার দাম পড়লেও কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সে কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের শেষ মাসে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অবস্থাকে ব্যাখ্যা করা যায় একটাই শব্দে, ‘গোল্ডিলক্স পিরিয়ড।’ অর্থাৎ, একটি আদর্শ অর্থনৈতিক অবস্থা। যেখানে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল, বৃদ্ধি ভাল, বেকারত্ব কম ও মুদ্রাস্ফীতি কম বা মাঝারি থাকে। চলতি অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড লো হিট করেছে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ০.২৫ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রথম ৬ মাসে দারুণ জিডিপি বৃদ্ধি দেখেছে দেশ। এমনকি চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধিকে আরও স্থিতিশীল ও চাঙ্গা করতে সুদের হার কমানো জরুরি ছিল।

    অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ…

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাজারকে আরও গতি দেবে। তাঁদের মতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির স্থিতাবস্থা এবং ষষ্ঠবার ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির অগ্রগতির প্রবণতা সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও ধীরেসুস্থে এগনোর নীতি নিয়েছে। ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত ৬টি ত্রৈমাসিক দ্রুতগামী হয়েছে। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতি বেশ খানিকটা কমে মাসিক হিসাবের নিরিখে নিম্নগামী রয়েছে। এই বিরল ঘটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ নিয়ে পরপর চারবার রেপো রেট শক্ত হাতে ধরে রাখল।

LinkedIn
Share